![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
অপরাধ সম্পর্কে ধারণা থাকলে অনেক সময় বিপদ থেকে বাচা যায়। তাই বাংলাদেশ প্রতিদিনে আজ প্রকাশিত মির্জা মেহেদী তমাল এর রিপোর্টটি হুবহু তুলে ধরলাম। যারা পড়েন নি, তাঁদের জন্য।
রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্র। শিকারের খোঁজে মাইক্রোবাস নিয়ে নগরীর রাজপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওরা। ভাবভঙ্গি পুলিশের। হাতে থাকে ওয়াকিটকি, মোটা লাঠি। মাইক্রোবাসের ভেতর চোখ বাঁধা মানুষও থাকে। ব্যস্ততম সড়কে প্রাইভেট কার, সিএনজি চালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে তল্লাশি চালায়। পছন্দ হলেই সুযোগ মতো গাড়ি বা অটোর যাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। অপহৃত এসব যাত্রীর কখনো খোঁজ মেলে দুর্গম কোনো এলাকায়। আবার অনেকের লাশও খুঁজে পাওয়া যায় না।
এমনই বেশ কয়েকটি ঘটনা রাজধানীতে প্রকাশ্যে ঘটার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভাবিয়ে তুলেছে। ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক গুলশান-তেজগাঁও লিঙ্করোডের কাছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী এ টি এম রিয়াদকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাওয়া হয়ে যায়। রিয়াদকে দুই দিন পর উদ্ধার করা হয় অর্ধমৃত অবস্থায়। কিন্তু এই দুই দিনে তার ওপর দিয়ে গেছে অমানুষিক সব নির্যাতনের ঘটনা। তবে রিয়াদ এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, তাকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নাকি ভয়ঙ্কর কোনো অপরাধী চক্র। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীতে এমন বেশ কয়েকটি অপরাধী চক্র রয়েছে। এদের কাজই হলো মুক্তিপণ আদায় করা। রাস্তা বা যানবাহন তল্লাশির নামে যাত্রীকে তুলে নেয় তাদের নিজস্ব যানবাহনে। এর পর তারা পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। এরা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এরা যাদের তুলে নিয়ে যায়, তাদের প্রাণ নিয়ে ফিরে আসাটাই সৌভাগ্যের বিষয়। মুক্তিপণ ছাড়া অপহৃতদের উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছে না। অপরাধী চক্রটির নানা কৌশলের কারণে তাদের কর্মকাণ্ড রোধ করতে পারছে না পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে রাজপথে পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। ধরপাকড় শুরু হয়। এ সুযোগে অপরাধী চক্রটিও রাজপথে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। প্রকাশ্যে কাউকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হলেও পুলিশ ভেবে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে না। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, তারা এ ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। র্যাবের কাছে রয়েছে এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের পর চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও কার্যত তাদের শেকরের সন্ধান তারা এখনো পাননি। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে এ ধরনের বেশ কিছু প্রতারক চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের বন্ধ সিম সচল করে টাকা আদায়ের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা অপহরণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ৩৫ বছর বয়সী ব্যবসায়ী এ টি এম রিয়াদ গত ২৩ নভেম্বর বিকালে অপহৃত হন। দুই দিন পর তাকে অর্ধমৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় কালিয়াকৈর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের একটি ঝোপঝাড় থেকে। এ ছাড়া ধানমণ্ডি থেকে একইভাবে অপহৃত হয় আরেক যুবক। যাকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত করা হয়।
ব্যবসায়ী রিয়াদ জানান, অফিসের কাজ শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে গুলশান থেকে যাত্রাবাড়ী মীরহাজিরবাগের বাসায় ফিরছিলেন। লিঙ্করোডের কাছাকাছি পৌঁছলে পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস তাদের সামনে এসে থামে। মাইক্রোবাসে বসে থাকা ব্যক্তিরা তাদের থামার সংকেত দেন। চালক রাস্তায় সাইড করে অটো থামান। মাইক্রোবাস থেকে চার ব্যক্তি নেমে এসে অটোটি ঘিরে ফেলে। তাদের হাতে ছিল ওয়াকিটকি, মোটা লাঠি। এরা প্রত্যেকেই ছিল সাদা পোশাকে। তারা প্রথমে সিএনজির কাগজপত্র দেখতে চান চালকের কাছে। চালক কাগজপত্র দেখালে তারা সন্তুষ্ট হয়। এর পর তারা রিয়াদকে সিএনজি থেকে নামিয়ে দেহ তল্লাশি করে। রিয়াদের পকেটে এ সময় ব্যবসার তিন লাখ টাকা ছিল। ওই ব্যক্তিরা পকেটে হাত দিয়ে টাকার খোঁজ পান। তারা রিয়াদকে জিজ্ঞাসা করে টাকার কথা। রিয়াদ তাদের জানান, টাকাগুলো ব্যবসার। ব্যবসার কাজেই তিনি টাকা নিয়ে গুলশান এসেছিলেন। এ সময় ওই ব্যক্তিরা রিয়াদকে টেনেহিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ সময় আশপাশে অসংখ্য লোক এ দৃশ্য দেখলেও তাকে রক্ষায় কেউ তখন এগিয়ে আসেনি। রিয়াদ বলেন, মাইক্রোবাসে উঠেই চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় আরও এক ব্যক্তিকে দেখতে পাই। চোখ বাঁধা লোকটিকে সিটের নিচে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এর পর আমার চোখও বেঁধে দেওয়া হয়। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। চোখ ও হাত বেঁধে আমাকেও সিটের নিচে বসিয়ে রাখা হয়। মাইক্রোবাসও চলতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে আমাকে মাথার পেছনে আঘাত করা হয়। এর পর বুঝতে পারি আমার শরীরে ইঞ্জেকশন পুশ করা হচ্ছে। এর পর আমি অস্বস্তিবোধ করি। সম্ভবত আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। রিয়াদ বলেন, এক সময় চোখ মেলে অস্পষ্ট কিছু দেখছিলাম। ওই সময়টা সন্ধ্যা বা রাত হবে। এর পর আবারও শরীরে পর পর দুটি ইঞ্জেকশন পুশ করার কষ্ট পাই। বুঝতে পারি ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। এর পর আমি কিছু মনে করতে পারছিলাম না। আমি যখন চোখ মেলে তাকানোর চেষ্টা করি, বুঝতে পারি আমি কোনো গাড়িতে রয়েছি। বুঝতে পারছিলাম ওই সময় রাত। হঠাৎ আমাকে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। আমি গড়িয়ে গড়িয়ে কোথায় যাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ আমি বুঝতে পারি, আমি কোনো ঝোপঝাড়ের মধ্যে আটকে আছি, চারদিক শুধু অন্ধকার। পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত অবস্থা। ভালোভাবে চোখ খুলতে পারছিলাম না। আমি হামাগুড়ি দিয়ে সামনের দিকে এগুতে থাকি। বুঝতে পারি কোনো সড়কের ওপর আমি তখন। দূরে একটি দোকানের মতো দেখা যাচ্ছিল। আলো জ্বলছিল। সেখানটায় যেতে থাকি হামাগুড়ি দিয়ে। দোকানের কাছাকাছি যেতেই আমি রাস্তায় শুয়ে পড়ি। চোখ খুলে দেখি আমার মাথায় কেউ পানি ঢালছে। যে দোকান দেখে এগিয়ে আসছিলাম, সেই দোকানের লোকজনই আমার মাথায় পানি ঢালছিল। সেই দোকানদারদের মাধ্যমেই তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসে রিয়াদ। কালিয়াকৈর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের যে ঝোপঝাড়ে ফেলে রাখা হয়েছিল রিয়াদকে, তার পাশেই ছিল বড় ধরনের একটি খাদ। স্থানীয় লোকজন জানান, ঝোপঝাড়ের কারণেই নিচে পড়ে যায়নি রিয়াদ। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। মাইক্রোবাস থেকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে স্থানীয় পুলিশের ধারণা।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: আসলেই সর্বনাশ। কোন নিরাপত্তা নাই জান ও মালের।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
জাগতিক ভালবাসা বলেছেন: এ কোন দেশে বাস করছি আমরা?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: কেন ভাই বাংলাদেশে!!!
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
জহির উদদীন বলেছেন: জাগতিক ভালবাসা বলেছেন: এ কোন দেশে বাস করছি আমরা?
কেন ভাই শান্তিময় একটি দেশে বাস করছি.।আপনি শুনেন না প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন তিনি আমাদের শান্তি দিচ্ছেন......
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
জাগতিক ভালবাসা বলেছেন: এ দেশেই এটা সম্ভব।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: তাই তো দেখছি। সব অন্যায়ই এ দেশে সম্ভব।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
ভুক্তভোগী বলেছেন: "৩৫ বছর বয়সী ব্যবসায়ী এ টি এম রিয়াদ গত ২৩ নভেম্বর বিকালে অপহৃত হন।"
কোন সালের কথা, বস?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: ২০১৩ সালের ভাইয়া।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
লালপরী বলেছেন: :-& :-&
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ লালপরী
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: খোদ আমেরিকা তে এরকম অপরাধ প্রচুর,অন্যান্য দেশেও আছে । আমাদের দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সাথে সম্পৃক্ত থেকে এরা নির্ভয়ে একাজ করে। মলম পার্টি প্রায় বন্ধ র্যা ব এর কারনে । আশা করি এরাও ক্রস ফায়ার এ পড়বে যদিনা সুশীল রা চিল্লায় ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: এদেরকে এখনি দমন করা দরকার। তা না হলে আমি আপনিও অপহৃত হব। আর আমেরিকা তো অন্য দেশ। আমাদের কাজ হল, আমাদের দেশকে ঠিক রাখা।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এমন প্রতিদিন ঘটেই চলছে। কত মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরেই ফিরতে পারে না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
শিক্ষানবিস বলেছেন: যাদের দায়িত্ব ছিল মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া তারা এখন প্রতিদিন রাজপথে ডিউটি করে প্রতিবাদী মানুষকে খুন করার জন্য। শুধু গুলি করতেই তারা মজা পায়। হরতালে এত পুলিশ-র্যা ব রাস্তায় থাকে অন্য দিন তারা কোথায় যায়?
এক রিকসা চালক সেদিন বলেছিল, হরতালে গুলি করার জন্য যতগুলো পুলিশ রাস্তায় থাকে এর চার ভাগের একভাগও যদি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করত তাহলে ঢাকা শহরে এত যানজট থাকত না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: চমৎকার কথা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
আদম_ বলেছেন: সর্বনাশ।