![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
ধমক দিয়ে নিশাত আমাকে বলল-আমাকে ফোন দিয়েছেন কেন! কিছুক্ষন পরেই ওর আম্মু আমাকে কান্না করে বলতে লাগল- বাবা আমার মেয়েটা নাওয়া-খাওয়া সব ছেড়ে দিয়েছে। ওকে মেহেদি নাকি কি বলেছে, এই জন্য মেয়েটা আমার পুরাই পাগল হয়ে গিয়েছে। আমি তো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। মানুষকে কখনো কষ্ট দেইনা। তারপরেও আমার মেয়েটার এরকম হল কেন। তুমি বাবা একটু এক্ষণই আমার বাসায় আসো। ওকে একটু বুঝাও। আবারও কান্না...
বলছিলাম- আমার প্রিয় ছাত্রী নিশাতের কথা। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকতার মাধ্যমে ওর সাথে আমার পরিচয়। অত্যন্ত অমাইক এক মেয়ে সে। অনেক ধার্মিক।
কোচিং এর বাংলা শিক্ষক মেহেদী। অনেক মেয়েদের সাথেই তার সম্পর্ক। তারই ধারবাহিকতায় নিশাতের সাথে সে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। অনেক চেষ্টা করেই নিশাত কে সে পটিয়েছে।
প্রথম প্রথম ফোনে কথা। তারপর ঘুরতে যাওয়া এবং অনেক কিছু। একটা পর্যায়ে নিশাত দেখল এভাবে বেশীদিন চললে বড় এক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সে প্রস্তাব করল- যদি আমাকে ভালো লেগে থাকে, তাহলে আমার সাথে রিলেশন করে আমাকে বিয়ে করেন। মেহেদীর সোজা কথা, না তোমার সাথে রিলেশন করতে পারবনা। নিশাত বলল- তাহলে শুধু শুধু আমার সময় নষ্ট করছেন কেন? মেহেদীর উত্তর- আরে স্টুডেন্টদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হয়না। তুমি এটাকে সময় নষ্ট বলছ কেন! নিশাত বলল- স্টুডেন্টদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হয়, ঠিক আছে। বাকি আপনি আমার সাথে যা করছেন, তা তো কোন টিচার করতে পারেনা! মেহেদী বলল- আরে এইগুলা একটু মজা, আর কি। ছেলে – মেয়ে একসাথে হলে এইগুলা একটু হয়। এইখানে টিচার- স্টুডেন্ট সম্পর্ক টেনে আনা ঠিক না।
মেহেদীর এসব কথা নিশাতের বেশ অপছন্দ হল। তাই সেদিন থেকেই সে তাঁকে এড়িয়ে চলতে লাগল। মেহেদীর প্রেস্টিজে আঘাত লাগল। নিশাত আমাকে এড়িয়ে চলছে! তাছারাও মেহেদী নিশাত কে যতটুকু ইউস করবে ভেবেছিল, তার অল্পই সে পূরণ করতে পেরেছে। একদিক প্রেস্টিজ ইস্যু। অন্যদিকে ইচ্ছা পূরণ না হওয়া।
মেহেদীর ক্ষোভ বাড়তে লাগল। তাই সে নিশাত কে ক্লাসে প্রতিদিন ই যাচ্ছে তাই বলা শুরু করল। এক পর্যায়ে নিশাত বাধ্য হয়ে কোচিং ছাড়ল।
এরপরও মেহেদীর মনের ঝাল মিটলনা। সে নিশাতের নামে আজে বাজে কথা ও বিভিন্ন ছবি কোচিংয়ের সবার কাছে এবং নিশাতের এলাকায় ছড়িয়ে দিল। নিশাতের ছড়িয়ে দেওয়া ছবি দেখে, সবাই নিশাতকে ধিক্কার দিতে লাগল। নিশাতের সঙ্গ ছাড়তে শুরু করল। নিশাতকে নষ্ট মেয়ে ভাবতে শুরু করল। এসব দেখে মেহেদী মনের আনন্দে নাচানাচি শুরু করল।
আর মনের দুক্ষে, মান- সম্মান হারিয়ে নিশাত এখন পাগল। জীবনে মন্ত্রী হওয়ার ও বড় হওয়ার স্বপ্ন মূহুর্তেই ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেল। পেরুতে পারলনা দশম শ্রেনীর গণ্ডি।
নিশাতের পরিবারে এখন শুধুই কান্নার রোল। হায়... একমাত্র মেয়ের একি বেহাল দশা! ক্ষমতার কারণে মেহেদীর বিরুদ্ধে নিশাতের পরিবার মন চাইলেও কিছু করতে পারছেনা। আমাদের দেশে অন্যায় এভাবেই পার পেয়ে যায়। আর ভিকটিমরা মনের কষ্টে অল্প সময়েই ইহ জগত ছাড়ে অথবা মূমুর্ষ জীবন যাপন করে।
উদিত সুর্য মুহুর্তেই অস্তমিত হয়ে গেল। আহ...
নিশাত এখন পাগল!
©somewhere in net ltd.