![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
সম্প্রতি গুলশানে ও শোলাকিয়ায় ঈদগাহের কাছেও হামলা হয়েছে। এ দুই হামলায় কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুস্থতা কামনা করছি। যারা বিপথগামী হয়েছেন, তাঁরা সু পথে ফিরে আসুক, সেই দোয়া করছি।
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- যার জিহবা ও হাত থেকে মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে সে ব্যক্তিই প্রকৃত মুসলিম। আর যার থেকে মানুষের জান ও মাল নিরাপদ থাকে সেই প্রকৃত মুমিন। অপর বর্ণনায় আছে- নবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে) জিজ্ঞেস করা হল যে, মুসলমানদের মধ্যে কে সর্বোত্তম? তিনি বলেন- যার জিহবা ও হাত থেকে মুসলমানগণ নিরাপদে থাকে। ( জামে আত তিরমিযীঃ হাদিস নং- ২৫৬৪)
হাদিসটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- প্রথম অংশে রাসুল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিহবার মাধ্যমে অপর মুসলমানকে নিরাপদ রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ জিহবা তথা মুখ দিয়ে গালিগালাজ করা যাবে না। কটু কথা বলা যাবে না। কাউকে হেয় করে বা আঘাত দিয়ে কিছু বলা যাবে না ইত্যাদি।
রাসুল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাতের মাধ্যমে অপর মুসলমানকে নিরাপদ রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ হাতের মাধ্যমে কাউকে মারা যাবে না, আঘাত করা যাবে না, কাউকে হত্যা করা যাবে না এবং অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না ইত্যাদি।
পরের অংশে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- যার থেকে মানুষের জান ও মাল নিরাপদ থাকে সেই মুমিন।
অতএব একজন মানুষকে মুসলমান ও মুমিন হতে হলে তার জিহবা ও হাত কন্ট্রোলে রাখতে হবে। জিহবা ও হাত দিয়ে যা ইচ্ছে করা যাবে না। জিহবা দিয়ে আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করে আল্লাহু আকবারের অপব্যবহার করা যাবে না। নিরপরাধ মানুষকে জিম্মি করে হত্যা করা যাবে না। মানুষের জান ও মাল সব সময় নিরাপদে রাখতে হবে। যারা এসব কাজ করতে পারবে রাসুল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) ভাষ্যমতে তারাই মুসলিম এবং মুমিন।
আর যেই মুসলিম ও মুমিন রাসুল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) এই হাদিস জানে, তিনি কখনই মানুষ হত্যা করতে পারেন না। তিনি তো সব সময় উৎকণ্ঠায় থাকবেন, না জানি আমার দ্বারা কেউ কষ্ট পেয়ে যায় কি না, পাছে তো আমার ইমানই থাকবে না।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪১
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: উদ্যোগ নিন। আমি আপনার পাশেই থাকব। যখনই ডাকবেন আমাকে পাবেন।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সচেতনতা দরকার।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
যুবায়ের বিন রিয়াজ বলেছেন: জি, অবশ্যই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: বাস্তবতা স্বীকার করে নিতে হবে। তরুনপ্রজন্ম সব সময় এডভেঞ্চার খোজে। এই বয়সে ফ্যন্টাসির প্রতি থাকে বিড়াট আকর্ষন। ধর্মের দিকে বেশী অনুরাগী হলে তারা সেইখানেও এডভেঞ্চার খুজবে। ধর্মীয় আর কোন কিছুতে তেমন এডভেঞ্চার নাই, একমাত্র জিহাদে কিছু এডভেঞ্চার আছে।ইসলামের আলোকে এই ''জিহাদ'' অপব্যখ্যা বলে চিল্লাচিল্লি করেও লাভ নাই।এইসব উপদেশবাক্য তাদের কানে ঢুকবে না।
তরুনদের এই নতুন এডভেঞ্চারের নেশা বন্ধ করতে হলে সামাজিক উদ্যোগ নিতে হবে।