নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

jobrul islam habib

jobrul islam habib › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ থেকে কি নবীর বুদ্বী বেশি?

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২১

আরিয়ান নিয়ম করে প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েনা, তার রুটিনে পড়াশুনা, গানবাজনা, ফিল্ম, আড্ডা ছাড়া নামাজ-কালাম তেমন একটা নেই, তবে মাঝেমধ্যে নিজের কাজগুলো নিয়ে সে অনুতপ্ত হয়ে মসজিদে যায় । তার স্বভাবের কথা বলতে গেলে একটু চঞ্চল, বদমেজাজি, অজানাকে জানার প্রচণ্ড আগ্রহী এবং কোনকিছু নিয়ে তর্কাতর্কির বদঅভ্যাস আছে, এইতো কদিন আগে ফেইসবুকে এক নাস্তিকের সাথে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর মেরাজ (আল্লাহর সাথে সাক্ষাত) নিয়ে আরিয়ান তর্কে লিপ্ত হয়ে যায় ।
তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আরিয়ানকে নাস্তিক প্রশ্ন করলো;
- "মোহাম্মদকে আল্লা প্রথম কয় ওয়াক্ত নামাজ দিয়েছিল।
- আরিয়ান উত্তর দিলো; ৫০ ওয়াক্ত ।
- নাস্তিক বললো; "মোহাম্মদ আল্লার সাথে বেয়াদবের ন্যায় দরকষাকষি করে ৫ ওয়াক্তে এনেছিল, রাইট ?
- আরিয়ান রাগেগরগর করলে ও গালি না দিয়ে কি বলতে চায় বুঝার চেষ্টা করে বললো; রাইট ।
- নাস্তিক এবার বললো; একজন মুমিনের এক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি করতে হয়, এবং আনুমানিক কত সময় লাগতে পারে ??
- আরিয়ান বললো; একজন মুমিনের মিসওয়াক-অযু তারপর উত্তম কাপড় পরিধান পর্যন্ত প্রায় ১০ মিনিট, এবং মসজিদে যাওয়া আসাতে প্রায় ১০ মিনিট
সুন্নত ফরজ তারপর দোয়া ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ১২ মিনিট, মোট = একজন মুমিনের এক ওয়াক্ত নামাজে প্রায় ৩২ মিনিট লাগতে পারে।

- নাস্তিক এবার হাসির রিয়েক্ট দিয়ে বললো; এখন ৫০ ওয়াক্ত নামাজ আর ৩২ মিনিট গুন দিয়ে দেখেন কত ঘন্টা ?
- আরিয়ান ক্যালকুলেটর খুজে বের করে হিসাব করে দেখলো; ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে একজন মুমিনের প্রায় ২৬ ঘন্টা লাগতে পারে ।
- এবার নাস্তিক বললো; "দিনরাতে মাত্র ২৪ ঘন্টা সময় থাকে, তাহলে ২৬ ঘন্টা সময় নামাজ কিভাবে পড়া যাবে? তাছাড়া একটা মানুষ যদি শুধু নামাজই পড়তে থাকে তাহলে দুনিয়ার অন্যসব কাজকারবার কিভাবে করবে ? ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, চাকুরী বা চাষাবাদ ইত্যাদি কিভাবে করবে ? এসব চিন্তা না করে কিভাবে আল্লা মোহাম্মদকে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের কথা বলতে পারলো ?? তোদের আল্লাহ কি এতটাই নির্বোধ, আর মোহাম্মদ কি আল্লা থেকে বুদ্বিমান" ? এতে কি প্রমাণ হয়না এই ধর্ম বানোয়াট।

নাস্তিকের নিখুঁত যুক্তি দেখে আরিয়ান প্রচণ্ড রকমের একটা ধাক্কা খেলো।
আরিয়ান চিন্তা করে , নাস্তিকের কথাটাই কি টিক ? নাকি মেরাজের ৫০ ওয়াক্ত নামাজের কথা হুজুররা গল্পের ছলে মিথ্যা বানিয়েছে, নাকি ইসলামই ধর্মটাই মিথ্যা !!
আরিয়ান খাওয়া-দাওয়া ঘুম-টুম ছেড়ে দিয়ে শুধু চিন্তা করে। চিন্তা করতে করতে একবার তার মাথায় আসলো আল্লাহ হয়তো নামাজের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য মোহাম্মদ (সঃ) কে ৫০ ওয়াক্তের কথা বলেছিলেন। কিন্তু নাস্তিককে একথা বললে তো হেসে উড়িয়ে দিবে। আরিয়ান বিষয়টা একটু মাথায় গুছিয়ে নিয়ে নাস্তিককে ইনবক্সে নক করলো; আসসালামু আলাইকুম ।
- নাস্তিক ভদ্রতা দেখাতে; ওয়ালাইকুম আস সালাম বললো।
-আপনাকে একটা গল্প বলার জন্য নক করলাম, সময় হবে ??
- নাস্তিক বললো : নেকামো না করে বলতে পারেন আরিয়ান ভাই।
-তাহলে শুনেন; আমাদের প্রাইমারী স্কুলে একজন স্যার ছিলেন, উনাকে সব ছাত্রছাত্রী ভালোবাসতো, কারণ উনি আমাদেরকে শাসন করার পাশাপাশি খুব ভালোবাসতেন । সবকিছু মিলিয়ে উনি আমাদের কাছে একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন ।

- একদিন স্যার আমাদেরকে বললেন; তোমরা আগামীকাল ৫ পাঠের রচনামূলক প্রশ্ন সংক্ষতিপ্ত প্রশ্ন এবং সটিক উত্তর শিখে আসবে। কেমন ?
-স্যার ভালো করে জানেন আমাদের দ্বারা এক পাঠ শিখে আসা ও অনেক কষ্টের ব্যাপার ।
- যেহেতু স্যার আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতেন, তাই সব্বাই সাহস করে এক সাথে বললাম; পাচ পাঠ পারবো না স্যার এক পাঠ পড়া দিলে ভালো হয়।
- স্যার এবার মুচকি হেসে বললেন টিক আছে, সবাই এক পাঠ ভালো করে পড়ে আসবা, কেমন ??
-ছাত্রছাত্রী হ্যা সম্মতি দিয়ে চলে গেলো।
- আরিয়ান এবার নাস্তিককে প্রশ্ন করলো; এখানে ৫ পাঠের সম্পূর্ণ পড়া শিখার কথা বলাতে কি স্যারকে আপনার কাছে নির্বোধ মনে হয় ?
নাকি ছাত্রছাত্রীদের পড়ার প্রতি মনযোগ বাড়ানোর জন্য প্রথম ৫ পাঠের কথা বলাতে স্যারকে বুদ্বিমান মনে হয় ।
- এখানে স্যার ৫ পাঠ পড়া দিলে ছাত্রছাত্রীরা স্যারকে এক পাঠ পড়া দেবার কথা বলাতে কি বেয়াদবের মতো দরকষাকষি মনে হয় ? নাকি আগামীকাল পড়া শিখে না আসতে পাড়লে স্যারের সাথে বেয়াদবি হতো ? অথবা স্যারের শাস্তির ভয়ে আগেই অপারগতার কথা জানানো উত্তম কাজ ছিল ?
- আরিয়ান এই প্রশ্নগুলো করার পর থেকে নাস্তিকের আর উত্তর পাওয়া যায়নি !!
জাতী এবার উত্তরের অপেক্ষায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.