![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুদ্ধি আমার বিগড়ে যায়, আমি খুব আহত হই, কারণ;
আমি কদিন আগেও জানতাম না মুসলমানদের মাঝে এমন ও একটা দল আছে যারা ৩ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।
আমি মাত্র কদিন আগ পর্যন্ত আমার আশেপাশের আলিম উলামাদের মুখ থেকে শুনে এসেছিলাম, শবেবরাত একটা পুণ্যবান রাত্রি, এই রাত্রিতে আল্লাহ আমাদের ভাগ্য নির্ধারন করেন, দোয়া কবুল করেন, তাই আমরা খুব যতন করে কবর জিয়ারতের পর সারারাত ইবাদত বন্দেগী করি । কিন্তু বর্তমানে সাঈদি সাব সহ প্রায় সব বক্তা বলেন এই রাত্রিতে ইবাদত বন্দেগী করলে নেকি তো দূরে থাক উল্টো গুনাহ হয়।
আমি সব সময় মেনে এসেছি জেনে এসেছি শুনে এসেছি মাজহাব মানা ওয়াজিব, এখন দেখি মানা না মানা নিয়া হুজুরদের মাঝে দুচা কুদাকুদি চলতেছে।
আমরা সব সময় বিশ্বাস করে আসছি আল্লাহ সব জায়গাতে বিরাজমান, কিন্তু এখন দেখি মতিউর রাহমান মাদানি দুচা কোরআন-হাদিস তরজমা করে প্রমাণ কইরা দেখায় আল্লাহ শুধু আরশে আজিমে আছেন।
সেই ছোটকাল থেকে খুব যতন করে চোখ বন্ধ করে অন্তরকে নরম করে মিলাদ পড়তাম, এখন শুনি কুদির ভাইয়েরা কয় মিলাদ পড়া নেকী নায় উল্টো গুনাহের কাজ। বলেন দেখি মনডা কি কয় ??
আমি যতটুকু হুজুরদের কাছ থেকে জেনেছি নামাজে পুরুষদের হাত নাভীর উপর আর নারীদের বুকের উপর বাধতে হয়, কিন্তু ইদানীং জাকির নায়েক দেখলাম নামাজে বুকের উপর হাত বাধে এবং অনেক বক্তারা ও বলেন বুকের উপর হাত বাধা সচ্ছ হাদীস; যদিও আবু হানিফার অভিমত পুরুষরা নাভির উপর মহিলারা বুকের উপর। আর মালিকী তো বলেন হাত না বেধে দাঁড়ালেই চলে।
সবাই হয়তো জানেন একসময় হুজুররা বলতো ইংলিশ ভাষা শিখা হারাম, কারণ এটা ইহুদী খৃস্টানদের ভাষা, চিন্তা করেন যদি এই কথা কওমিদের মতো সবাই পালন করতো মুসলিমরা কত পিছিয়ে যেতো ??
অবশেষে সাধারণ মানুষ এসব ফাও প্যাঁচাল বাধ দিয়ে একেক দল একেক আলিমের পাঞ্জাবীর কুটে ধরে বসলো; উনি যে দিকে যাবেন আমরা ও সেদিকে যাবো, উনি যা বলবেন আমরা ও তাই বলবো। যেমন অনেকে আল্লামা শফী হুজুরের পথ অনুসরণ করে, অনেকে চরমুনাই হুজুরের পথ অনুসরণ করে, অনেকে ফুলতলি পীরের অনুসরণ করে, আবার অনেকে জাকের নায়েকের পথ অনুসরণ করে, এভাবে ভালোই চলছিল, যেহেতু হুজুরদের মধ্য কোরান হাদিসের প্রায় প্রতিটা বিষয়ে মতপার্থক্য। কিন্তু ইদানীং সাধারণ মানুষ এভাবে ও ইমান নিয়ে থাকতে পারছেনা, যেমন কদিন আগে আবু সুফিয়ান আবেদি আল কাদেরী আল্লামা শফির মতো একজন বয়স্ক মুরব্বী হুজুরকে মালাউন শয়তান বলে গালাগালি করলো, ইউটিউব খুজলে দেখবা চরমোনাইকে নিয়ে ও বক্তারা কিরকম নোংরা ভাষায় গালাগালি করে, জাকির নায়েকের মতো একজন মানুষকে প্রায় সব হুজুর মিলেমিশে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গালাগালি করে ।
আমরা মুসলমানরা এমন একটা ব্রান্ড, যারা মুখে বলি আমরা একে ওপরের ভাই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমাদের কাজ গৃহযুদ্ধ করা আর শীতকালে গ্রামে অহরহ মুসলমান ভাইয়ের শীতের কাপড় নেই ঘরে ভাত নেই কিন্তু বক্তাদেরকে বড় অংকের টাকা দিয়ে প্লেন করে ওয়াজে আনা, এবং সে পাগলাচোদা ওয়াজির কাজ শুধু সরকারকে গালাগালি করা না হয় তার মতো আরেকজন আলিমকে গালাগালি করা ।
©somewhere in net ltd.