নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নি:সংগ পথের বেনামী পথিক....

মৎস্যকন্যা

অচিন দেবতার কৃপা খুজে সময় অপচয় না করে মানুষ খোজ

মৎস্যকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাতমোজা / ভাতমজা প্রসঙ্গ :

২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

আমাদের চাকমা সংস্কৃতি পুরোপুরি সামাজিক যোগাযোগ ও সম্পর্কের ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে... সমাজে একে অপরের খেয়াল রাখা, বিপদে আপদে পাশে থাকা এইসব রীতি নীতির মাধ্যমে বহু যুগ থেকে গড়ে উঠেছে বালা, মালেইয়ে, ভাতমজার মত সম্প্রীতির সংস্কৃতি.. যখন কোন মেয়ে গর্ভবতী হয় তখন তার বিশেষ খেয়াল রাখার প্রয়োজন হয় পরবর্তী প্রজন্মের সুস্থ আগমনের জন্য.. এ সময় মেয়েদের নানা হরমোনাল পরিবর্তন , দূর্বলতা, খাবারে অরুচি, মানসিক চাপ আরো নানা উপসর্গ দেখা দেয়... মা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি... চাকমা সমাজে পরিবারের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশি , বন্ধু , আত্মীয় মহিলারা গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করে নতুন শিশুটির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন.. এই ধারাবাহিকতা চলে সন্তান জন্মের পরবর্তী ১-২ বছর পর্যন্ত...এই রীতির মাধ্যমে বোঝা যায় চাকমা সমাজে সন্তান ব্যক্তিগত হয় না... সন্তান তথা পরবর্তী প্রজন্মের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত.. মায়েদের জন্য খাবার সরবরাহের এই রীতিকে চাকমা ভাষায় বলে 'ভাত মজা/ ভাত মোজা...
এখন আমার কথা বলি... কন্সিভ করার পর থেকেই আমার আত্মীয়, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা কখনো ভাত মোজা , কখনো ফলমূল , টকঝাল মিষ্টি আচার ও নানা কিছু পাঠাচ্ছেন...আমি এই সময়টা আসলে খুব উপভোগ করছি যে আমাদের সন্তানকে সবাই কত স্নেহ করছেন এখন থেকেই.. আমারও মাঝে মাঝে অরুচি হয়..কিছু খেতে মন চায় না.. তখন হাত বদলের এই ভাতমোজা গুলো একেবারে অমৃত লাগে.. রুচি ফিরে আসে.. সেই সাথে এ সময়ে কি খাওয়া উচিৎ কি অনুচিত এই পরামর্শগুলো আমার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে...
আমরা মেয়েরা শুরু থেকে নিরবে আমাদের সংস্কৃতি গুলো আধুনিক সমাজেও বয়ে বেড়াচ্ছি..পোশাক পরিধান, সামাজিক রীতি যত বেচে আছে আমাদের মেয়েদের কল্যাণে আছে.. হইতো পুরনো দিনের মত এতো চোখে পড়ে না, কিন্তু ভাতমোজা যে এখনো মেয়ে সমাজে বেচে আছে তার প্রমাণ আমরা নিজেরাই

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লাগলো আপনাদের সংস্কৃতি।

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১০

মৎস্যকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

মৌন পাঠক বলেছেন: সংস্কৃতি, বেচে থাকার রসদ।

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১১

মৎস্যকন্যা বলেছেন: আসলেই ঠিক বলেছেন |

৩| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৩৫

কিরকুট বলেছেন: আপনাদের সংস্কৃতি দির্ঘজিবী হোক। কিন্তু দয়া করে অন্যের সংস্কৃতিকে আকথা কুকথা বলবেন না।

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

মৎস্যকন্যা বলেছেন: আমার লেখার কোথাও কি তুলনা পেয়েছেন ?

৪| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার নিজের সাংস্কৃতির পরিচয়ে আনন্দিত হলাম।
দারুণ একটা ব্যাপার। প্রতিটা সমাজবদ্ধ মানুষের এমন পারস্পারিক সম্পর্ক থাকা উচিৎ।
অজানা একটা বিষয় জানলাম।
তা বাবুর জন্ম কি হয়েছে?

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

মৎস্যকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ| আরও ব্লগ লেখার প্রচেষ্টায় থাকবো |
এখনও মায়ের আবরণে সুরক্ষিত আছে সে|

৫| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:২০

শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো। এরকম আরও তথ্য ব্লগে শেয়ার করুন।

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

মৎস্যকন্যা বলেছেন: চেষ্টা করবো লেখার| ধন্যবাদ

৬| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: চাকমা সাহিত্য নিয়ে কিছু লিখুন ।

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

মৎস্যকন্যা বলেছেন: আমি সাহিত্যে্ের সাথে সম্পৃক্ত না | নিত্য দিনের গল্প বলতে পারি

৭| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: কী চমৎকার একটা ব্যাপার ! এমনটা হওয়াই তো উচিৎ সব সমাজে ।

আরো লিখুন আপনাদের সংস্কৃতি নিয়ে ।

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

মৎস্যকন্যা বলেছেন: লেখার চেষ্টা করবো| অনেকদিনের অনভ্যাস জমে গেছে|
ধন্যবাদ

৮| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভাতমোজা সম্পর্কে জানলাম।
আপনি যখন গর্বতী তখন কিন্তু কেউ আপনাকে ভাতমোজা দেয়নি। আপনাকে দেখতে এসেছেন। সাথে ফলটল বা অন্য কোনো খাবার এনেছেন। এটা ভাতমোজা নয়।

২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

মৎস্যকন্যা বলেছেন: লেখা টা আরো ভাল করে পড়ুন এবং সংযুক্ত ছবিটি দেখুন| আশা করি মন্তব্যে পরিবর্তন আসবে|

৯| ২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "বছর বছর আসুক এই ক্ষণটি ঘুরে ঘুরে,
খেতে থাকুন মজার মজার সব খানা
আপনি পেট পুরে "

- সাথে সাাথে বাবুও খাবে ;) আপনি একেলা না।

আর এভাবেই বেঁচে থাকুক আবহমান বাংলার এক (চাকমা) লোকাচার/ সংস্কৃতি ভাত মোজা।

১১| ২৫ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



যদি আমার ভুল না হয় তাহলে মৎসকন্যা সম্ভবত সেই তিনি যিনি চকমা মেয়েদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে
ফেবুতেও বেশ সক্রিয় । সাধুবাদ জানাই এই মহতি উদ্যোগকে ।
ঠিকই বলেছেন
চাকমা সমাজে পরিবারের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশি , বন্ধু , আত্মীয় মহিলারা গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টিকর
খাবার সরবরাহ করে নতুন শিশুটির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ভাত মোজা তারি একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
এ কথাটিও ঠিক বলেছেন
চাকমা মেয়েরা শুরু থেকে নিরবে তাদের সংস্কৃতি গুলো আধুনিক সমাজেও বয়ে বেড়াচ্ছে পোশাক পরিধান,
সামাজিক রীতি যত বেচে আছে তা চাকমা মেয়েদের কল্যাণে আছে । ভাতমোজা যে এখনো মেয়ে সমাজে
বেচে আছে তার প্রমাণ চকমা মেয়েরা নীজেরাই ।


উল্লেখ্য চাকমা মেয়েদের পাশাপাশি দেশে বিশেষ করে এপার ওপার দু বাংলাতেই হিন্দু সমাজে গর্ভবতি
মেয়েদের জন্য ৫ এ পঞ্চামৃত ও ৭ এর সাধ এক আনন্দ অনুষ্ঠানেরই প্রতিক হয়ে উঠেছে ।
সাত মাসের সাধে খুব নিকট আত্মীয়রা হবু মায়ের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় সাথে
হরেক পদের খাদ্য পরিবেশন করে থাকেন ।

শুধু কি খাদ্য গর্ভাবস্থার শেষ সময়ে হবু মায়েদের উপহার সামগ্রী দেওয়ার রীতিও প্রচলিত।
বাংলাদেশসহ পশ্চিম বাংলায় সাত মাসের গর্ভাবস্থায় হবু মায়েরা শাড়ি-গহনাসহ নানা উপহার
পান। বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এটা অত্যাবশ্যক আচার হলেও যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই রীতি
এখন হিন্দু-মুসলিম সবাই কম-বেশি পালন করে থাকেন।ছবিটি অন্তর্জাল হতে সংগৃহীত ।


শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.