নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জলপাই

মানুষের জন্য শুভকামনা

জলপাই দেশি

পাঠক এবং কবিতার বিমুগ্ধ পাঠক

জলপাই দেশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কবিতাঃ সোনার তরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৯

সোনার তরী

গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।

কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।

রাশি রাশি ভারা ভারা

ধান-কাটা হল সারা,

ভরা নদী ক্ষুরধারা

খরপরশা–

কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা॥



একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা—

চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।

পরপারে দেখি আঁকা

তরুছায়ামসী-মাখা

গ্রামখানি মেঘে ঢাকা

প্রভাতবেলা—

এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা॥



গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে!

দেখে যেন মনে হয়, চিনি উহারে।

ভরা পালে চলে যায়,

কোনো দিকে নাহি চায়,

ঢেউগুলি নিরুপায়

ভাঙে দু ধারে—

দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে॥



ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্‌ বিদেশে?

বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।

যেয়ো যেথা যেতে চাও,

যারে খুশি তারে দাও—

শুধু তুমি নিয়ে যাও

ক্ষণিক হেসে

আমার সোনার ধান কূলেতে এসে॥



যত চাও তত লও তরণী-পরে।

আর আছে?— আর নাই, দিয়েছি ভরে॥

এতকাল নদীকূলে

যাহা লয়ে ছিনু ভুলে

সকলি দিলাম তুলে

থরে বিথরে—

এখন আমারে লহো করুণা ক’রে॥



ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী

আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।

শ্রাবণগগন ঘিরে

ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,

শূন্য নদীর তীরে

রহিনু পড়ি—

যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী॥

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৬

কাজল রশীদ বলেছেন:
আবারও পাঠ হলো ভালো লাগলো,

আপনাকে শুভেচ্ছা।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৮

দীপান্বিতা বলেছেন: কতদিন পরে আবার পড়লাম!!!......আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ .......

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:২৩

তাজা কলম বলেছেন: প্রিয় কবিতাটি আবারো পড়লাম। ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

দিব০০৭ বলেছেন: ব্লগীয় স্বাধীনতা বনাম গঞ্জু গাবগাছ কথন

প্রিয় মডারেটার আমার একটা কবিতা মুছে দিয়েছেন এবং আমার স্ট্যাটাস মঈন থেকে সা’কা’ কিংবা সাঈদী এ নামিয়ে এনেছেন, অর্থাৎ জেনারেল থেকে পর্যবেক্ষনে। আর আমাকে সতর্ক করা হয়েছে আর বাড়াবাড়ি করলে সোজা ক্রসফায়ারে নেয়া হবে, মানে ব্লগ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। আমি অপরাধী (সত্য কথন অবশ্যই অপরাধ) তবে মরতে চাই না, আমি অপরাধ উগলাতে চাই, আমি স্বীকার করতে চাই আমার অপরাধের ভয়াবহতা, ব্লগীয় রাজত্বের রস, রৃপ, সুধা আরো কিছুদিন পান করতে চাই।

অপরাধ স্বীকারঃ-

কি ছিল সে কবিতায়, ওয়েল কিছুটা সত্য কথন ছিল। আমাদের এই তৃতীয় বাংলায় গঞ্জু গাবগাছ নামে এক ছায়াধারী আছে সে এক ধরনের কোবতে লিখে, আপসুস তার কোবতে কেউ পড়েনা এ জন্য সে সবার উপরে মহাখাপ্পা, সে চেষ্টা অপচেষ্টার কোন কমতি রাখেনি তার কোবতে যাতে গছাতে পারে তৃতীয় বাংলার সাহিত্য মহলে। এক সম্পাদক একদিন কথা প্রসঙ্গে জানালেন এই খচ্চরের কোবতে তাদের অফিস ডাস্টবিনের সৌন্দর্য বাড়াতো। এই সম্পাদকের পায়ে সে লিটার লিটার তেল মালিশ করতো শুধুমাত্র সামান্য লিফটের আশায়, তেল মালিশ কার না ভালো লাগে বলুন, সেই সম্পাদক কিছুক্ষনের জন্য গলে গিয়েছিলেন, তেল মালিশে তিনি তেলাল (সিলেটি শব্দ শুদ্ধ বাংলা তৈলাক্ত) হয়ে দু একটা কলা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বাঁদরটার প্রতি অর্থাৎ তার দু একটা কবিতা ঐ সম্পাদকের পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো। গঞ্জু গাবগাছ এতোই আপ্লুত হয়েছিলো যে পরবর্তী তে তার এক চটি কোবতে ঐ সম্পাদকের নামে উৎসর্গ করে ফেলে। আমাদের দুঃভাগা সম্পাদক জানতেন না যে তিনি দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষছেন যখন বুঝতে পারলেন তখন ছোবল বসিয়ে দিয়েছে, খচ্চরটার উদ্দ্যেশ্য সফল হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে আমাদের সেই সম্পাদক সাপের বিষমুক্ত হয়েছেন আর সাপের মুখে ছিটিয়ে দিয়েছেন পোড়া রশুন। খচ্চরটার সফলতা কি ছিল খানিকটা বলি তার সফলতা ছিল সে দু একটা ব্যাঙাচি অথবা চামচা তার চারপাশে জড়ো করতে পেরেছিলো।
সময় বহিয়া যায় তাকে এবং তার ব্যাঙাচিদের আর কেউ পুছে না। সে মনে মনে আবার ফন্দি আঁটে কি করা যায়, কি করা যায়। তার ধূর্ত মস্তিস্কে খেলে যায় খেলা, নিজের ধূর্তামিতে নিজেই হেসে ফেলে। তাকে তো আর কেউ পাত্তা দেবে না তাই তার এক চামচাকে এগিয়ে দেয়। হঠাৎ ঘোষনা করে বসে তার এই চামচা তৃতীয় বাংলার শ্রেষ্ট কবি শুনে তৃতীয় বাংলার সাহিত্য মহলে হাসির রোল পড়ে (আপনাদের একটু স্বরণ করাই, কয়েক বছর আগে দাদাদের দেশের এক বানিজ্যিক সাহিত্য পুরস্কার আমাদের বাংলা একাডেমি কে দেয়ার ঘোষনা প্রদান করে, বাংলা একাডেমি এমন পুরস্কার গ্রহনে অস্বীকৃতি জানালে তারা ক্রোধিত হয়, প্রতিশোধের মানসে সে পুরস্কার তারা বিতর্কিত লেখিকা তসলিমাকে প্রদান করে, দাদাদের এমন বেওকুফি/নিল্লর্জতায় তখনো সারা দেশ হেসেছিলো।) এই চামচা তৃতীয় বাংলার সাহিত্য মহলে জোকার হিসেবে পরিচিত। এই শিম্পাঞ্জি শ্রেষ্ট কবি ঘোষনা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, উঠে পড়ে লেগেছে তার চামচাকে দিয়ে একটা সংগঠন জাতীয় কিছু দাড় করাতে, এখন সে ও তার চামচা জনে জনে ঘুরে বেড়াচ্ছে কবিতা পরিষদ নামে তথাকথিত এক সংগঠনের সম্পাদক (সভাপতি নাকি সেই জোকার) পদের অফার নিয়ে, এই ভন্ডদের অফার ইতিমধ্যে আমি রিফিউজ করেছি তবুও তারা পিছু ছাড়ছে না। বাঁদরদের বাঁদড়ামি কত সহ্য হয় বলুন। তো তৃতীয় বাংলার কেউ বাঁদর কিংবা তার চামচাদের কবি বলে না বাংলাদেশের কথা না হয় বাদই দিলাম। (আপনাদের ভালো লাগলে এই বাঁদরের বাংলাদেশের কীর্তি কলাপ পরবর্তী পোষ্টে দেয়া যাবে। কোথায় কোথায় বাঁদরামি করেছে বিররণ সহ।) তো বিলেত বাংলাদেশ গেলো বাকী কি থাকলো, আছে বাকী আছে, দাদারা বাকী আছে এই শাখামৃগ এখন পানি পেতে দাদাদের কিংবা দিদিদের তেল মারতে শুরু করেছে, তো কবিতায় আমি এই কথাই লিখেছিলাম। দাদাদের তেল মারা ছিলো কবিতার বিষয়বস্তু কিংবা আমার অপরাধ। খবর নিয়ে জানলাম এই বাঁদর তার চামচা এবং তাদের হাজারো নিক মডারেটারের কাছে ধন্যা দিয়েছে আমাকে ব্যান করার জন্য কিছুটা সফল তারা হয়েছেও বটে। মডারেটার আমার চলা ফেরা রেস্টিক্টেড করে দিয়েছেন। কুচ পরোয়া নেহি...
তবু আজ যতক্ষন দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে ক’রে যাব আমি—
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার

পাদটিকাঃ- আমার স্ট্যাটাস তো এখন সাকা কিংবা সাঈদীর মতো, বাইরে বেরুবার অনুমতি নাই অর্থাৎ ব্লগের প্রথম পাতায় প্রবেশাধিকার নাই, তো এই টেক্সট কি কাজে লাগবে! ওয়েল অবশ্যই লাগবে যাদের উদ্দ্যেশে লেখা তারা নিজেদের মুখচ্ছবি আরশিতে দেখার আশায় দিনে অন্তত ডজন খানেক বার আমার বাড়িতে ঢু মেরে যায়, অতএব আমার উদ্দ্যেশ্য অবশ্যই সফল হবে।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৭

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমার জীবনের প্রথম সম্পুর্ণ মুখস্থ করা কবিতা !
আজো প্রায় পুরোটা মনে আছে।
:#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.