নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐ নতুনের কেতন ওড়ে ..

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত .. আমি সেই দিন হব শান্ত ....

কালবৈশাখীর ঝড়

আমার আগের নিক 'হাসান কালবৈশাখী' বিকল হয়ে যাওয়াতে এই ২য় নিক।

কালবৈশাখীর ঝড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহাবাগ গনজাগরন মঞ্চ, আন্দোলনে যা পেলাম।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

গত মাসে শুরু হওয়া শাহাবাগ গনজাগরন মঞ্চ দেড় মাস পার করলো।

শাহাবাগ আন্দলনের প্রথম দুইহপ্তা আন্দলনের মুল অর্জন টি হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে নিয়ে আসা।



স্লোগান তো নয় .. যেন সঙ্গীতের মুর্ছনা!



মুল দাবিতে (কাদের মোল্লার ফাঁসি) মিল থাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন ২য় দিন থেকেই আন্দলনে একাত্বতা ঘোষনা করে এবং সাথে থাকে। পরে জাসদ, সিপিবিও আসে, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটও আসে।

আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার পর সরকারি কিছু নির্বোধ নেতা ছাত্রলিগের সহায়তায় আনাড়ী ভাবে আন্দলোনের দখল নেয়ার চেষ্টা চালায় এদের বোতল কাগজ প্রভৃতি ছুড়ে ও তীব্র জয়বাংলা স্লোগানের মাধমে বিতারিত করা হয়েছিল। এসব মোটেই অভিনয় ছিলনা, লাইভ টেলিভিশনে সবাই দেখেছে। সরকারি নেতাদের মাইক থেকে নামিয়ে দেয়ার পর জনসমাগম দ্রুতই বৃদ্ধি পেয়েছিল। প্রথম দুইশপ্তাহ জনমনে তীব্র প্রভাব ফেলেছিল।

বাঙ্গালির প্রানপ্রিয় স্লোগান 'জয় বাংলা' আওয়ামীলিগের হাত থেকে ছিনিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা পেয়ে প্রায় সার্বজনিন হয়ে গেছে। আরো আছে - "তুমি কে আমি কে? - বাঙ্গালি বাঙ্গালি"। সাধারন পাবলিককে ১৭ দিন একাত্ত করে জনমত তুঙ্গে রাখা সম্ভব হ্য়ছে। সরকারের সমর্থন বা মদদ ছিল বলে এতটা সফল হয়েছে এটা ভাবা ভুল হবে, কারন আন্দোলন শুরুই হয়েছিল "আঁতাতের রায় মানবোনা" স্লোগান দিয়ে।





প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাহবাগের কর্মসুচীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছিল, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়েছিল।





বিশেষ করে একদিন বিকেল চারটায় ৩ মিনিট নিরবতা ব্যাপক ভাবে পালিত হয়েছিল। সারা দেশের রাস্তায় গাড়ীগুলো থেমে গিয়েছিল। সবাই গাড়ীথেকে নেমে নিরবতা পালন করে, বহুতল অফিস ভবনগুলো থেকে লোকজন রাস্তায় নেমে আসে, বাসাবাড়ী, এপার্টমেন্ট থেকে মহিলাদের কোলেশিশু নিয়েও নামতে দেখেছি, অবিশ্বাস্য, অবিশ্মরনীয়!

সরকারি মদদে এতকিছু কোনভাবেই সম্ভব নয়। বরং সরকার গনজাগরন মঞ্চের সম্পুরক দাবিগুলোর একটিও মানেনি। মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে দাঙ্গা বাধানো প্রতিক্রীয়াশীল আমারদেশ পত্রীকা নিসিদ্ধ ও সম্পাদক গ্রেফতার, যুদ্ধাপরাধীদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ইত্যাদি মানেনি।



অনেকে বলছে এটা সরকারের নিজস্য অর্গানাইজড মঞ্চ, সরকারি ছত্রছায়ায় সরকারি পুলিশ পাহারা দিচ্ছে, খাওয়া দিচ্ছে!



হ্যা দিচ্ছে, বিএনপির বা অন্যদলের মিটিং মিছিলেও রাস্তার উভয় দিকেই পুলিশ পাহারা থাকে, নাশকতা এড়াতে হউক, ভাংচুর এড়াতে হউক। যে কোন বড় জামায়েতে এমনকি ঈদের জামাতেও পুলিশ পাহারা থাকে।.

আলোচিত গনজাগরন মঞ্চ বিরোধী জামাত-শিবিরের আক্রোশের শিকার হতে পারে এটা সবারই জানা, সরকার জেনে শুনে এতবড় ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটতে দিতে পারে না কোনমতেই, সঙ্গত কারনেই শক্ত পাহারা দিয়ে উচ্চ নিরাপত্তার দেয়ার ব্যাবস্থা করেছে। সরকারের নিজের ভালর জন্যই করতে বাধ্য হয়েছে।

হ্যা, খাওয়া অনেকেই দিচ্ছে, বিচ্ছিন্ন ভাবে, আবার সঙ্গবদ্ধ ভাবেও। পুরোনো ঢাকার এক ধনী মহিলা নিজেই প্রতি দিন দশ ডেকচি খিচুড়ী রান্না করে আনতেন, আমার নিজের চোখে দেখা। ছাত্রলীগ তাদের কর্মিদের খাবারের ব্যাবস্থা হাতখরচের ব্যবস্থা করেছে সত্য, ছাত্রলীগের আনা খাবারের প্যকেট সিপিবি বা বাসদ কে দিবেনা নিশ্চই। ছাত্রইউনিয়ন, বাসদ ও জাসদ-সিপিবিও তাদের পোলাপানদের খাবারের ব্যাবস্থা করেছে বিচ্ছিন্ন ভাবে। FBCCI এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও BNP নেতা (পরবর্তিতে আওয়ামীপন্থি) আজাদ প্রোডাক্টস এর মালিক নিয়মিত খাবার সাপ্লাই দিয়েছেন, এটা ওপেন সিক্রেট, গার্মেন্টেস মালিকদেরকে চাঁদাবাজি করে হঊক বা নিজের পকেটের টাকা হউক, দিয়েছেন। সব সরকার করেছে বললে ভুল হবে।



দেশের প্রতিটি বড় শহরে, জেলায়-উপজেলায় গনজাগরন মঞ্চ হয়েছে। আমি চট্টগ্রাম থেকে বাসে ঢাকা আসতে রাস্তার ধারে অসংখ্য ফাসির মঞ্চ দেখেছি। জটলার ভেতর গাড়ী বার বার স্লো হয়ে থেমে থেমে যাচ্ছিল, স্লোগান শুনেছি, এসব সরকারের সাজানো নাটক বলা যাবেনা কোনমতেই। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একযোগে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত হয়েছে.. চোখের পানি বের হয়েছিল!





কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাজপথ। -50c হিমশীতল ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে





দেশের বাইরে বিদেশেও তাই, বিশ্বে প্রায় প্রতিটি শহরে যেখানে বাঙ্গালি ছিল সেখানেই গনজাগরন মঞ্চ হয়েছে, এমন কি ছোট ডাউন্টাউনেও যেখানে ১০-১২ জন বাঙ্গালি ছিল সেখানেও গনজাগরন হয়েছে! বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙ্গালি পোলাপান রাস্তায় নেমেছে, ফেসবুকে দিয়েছে।

এগুলোও কি সরকারি বা ভারতীয় মদদে?



ইকোনমিষ্ট, বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়ার ও কিছু বিদেশী কলাম লেখক, যারা লিখেছিল "গনজাগরন মঞ্চ ভারতীয় মদদে হচ্ছে"। কিছু দেশী বুদ্ধিজিবী নামের শুয়রের বাচ্চাদের পয়শা খাইয়ে কিছু ফরমায়েসি রিপোর্ট ছাপানো হয়েছিল যা কখনো এদেশে গ্রহনযোগ্যতা পায় নি। এইসব আবর্জনা সুধু ছাগুদের ও নিরোপেক্ষ নামের মাদারচোদদের খাদ্য হিসেবে আছে।



কি পেলাম?



১। বাঙ্গালির প্রানপ্রিয় স্লোগান 'জয় বাংলা' আওয়ামীলিগের হাত থেকে ছিনিয়ে আনা হয়েছে।

২। শাহাবাগের জনমত তাজা থাকতেই দ্রুততার সাথে ৪টি আইন সংশোধন ও সংযোজন করে ফেলে।

যেমন দল (জামাত) নিসিদ্ধের আইন, দ্বিমুখি আপিল অধিকার।



৩। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপুর্ন আইনটি হচ্ছে - রায় ঘোষনার ২ মাসের ভেতর আপিল আবেদন ও নিস্পত্তি সারতে হবে, যা বাধ্যতামুলোক।

তার মানে খেলা ফাইনাল জুলাই-আগষ্টের ভেতরই

বিচার চলাকালিন দ্রুত সংসদে আইন উত্থাপন। ভয়াবহ আইন পরিবর্তন হচ্ছে, বিরোধী পক্ষের তীব্র প্রতিবাদ হওয়ার কথা, কিছুই হয়নি কারন সাহাবাগ তখন অবিশ্বাস্য ভাবে তুঙ্গে।

আন্দোলনের মুল জয় এটাই।



৪। সবচেয়ে বড় জয় চেতনাকে ফিরিয়ে আনা।

অনেকের কাছে সন্দেহ হইছিল, সরকার আঁতাত করছে, জামাতের সাথে। অথবা ভয় পেয়েছে, জামাতের মারমুখি তান্ডোবকে বা আন্তর্জাতিক অভিভাবককে। তাই আঁতাতের বিরুদ্বেই হোক বা ভয় ভাংগাতেই হোক, সবাই মনে করেছিল সাহাবাগে যাওয়া দরকার, সে কারনেই সাহাবাগ হয়েছে, গনজাগরন হয়েছে।

আগে কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও সরকার এখন বদ্ধপরিকর বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য।



বিএনপি-জামাত (রাজাকার পক্ষ) ঘুরে দাঁড়ায় ১৭ দিন পর সিংগাপুর থেকে ম্যাডামের ওকে বার্তায়।

তাদের নৈরাজ্য আন্দলন, আক্রমন শুরু করে ২২ সে ফেব্রুয়ারী শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর। নাস্তিকতার ধুঁয়া তুলে। এটা দুদিন পর চুপসে যায় কাওমি ও সুফিরা সরে আসাতে।



এরপরের হরতালে বগুড়া, গোদাগাড়ী, চাপাই, বাশখালী সহ ৯ টি জেলায় সর্বাত্বক ধ্বংশকান্ড চালায়। একটা ফাউল বিষয় নিয়ে সাধারন মানুষকে উষ্কে দেয়া হয়েছিল, সায়েদি্র ছবি চাঁদে দেখা গেছে। ভোরে ফজর নামাজের পরপর পবিত্র মসজিদের মাইক ব্যাবহার করে "সায়েদির ছবি চাঁদে" ঘোষনা করা হয়েছিল। (যদিও ইসলামে ছবি বা প্রতিকৃতি হারাম) এটা দুদিন চললো। শতাধিক প্রানহানি, পুড়িয়ে দেয়া হল উপজেলা, প্রকৌশলি হত্যা, বিদ্যুতকেন্দ্রে আগুন,

কিন্তু ২য় দিন সন্ধার পর ব্যাপক নৈরাজ্য ম্লান হয়ে আসে, সরকারি প্রপাগান্ডা মেসিন সাক্সেসফুলি সায়েদি-মুন ফোবিয়া কাউন্টার দিয়েছে।

এর পরও না না ভাবে চেষ্টা করে চান্গা করতে কিন্তু বৃথা. গতকাল ২ দিন হরতালের প্রথম দিন বিরোধী দলীয় নেত্রী মুনশিগঞ্জ জনসভায় আরো অনেক মানুষ মারা যাবে বলেছিলেন কিন্তু বিধি বাম। ফ্লপ হরতালের আগের রাতে সিলেটে রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, কিন্তু ড্রাইভারের বিচক্ষনতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়, ৪ ঘন্টার ভেতর লাইন মেরামত করে রেল যোগাযোগ পুনস্থাপন করা হয়েছিল।



বিএনপি-জামাতের এই হাঙ্গামা বেশীদিন চালানো সম্ভব হবে না। কারন ম্যাডাম অনেক লেট রেসপন্স ১৭ দিন। আজ বৃহস্পতিবার সহ লাগাতার হরতাল হবে বলা হয়েছিল, কিন্তু প্রানহানী না হওয়াতে আর সম্ভব হয়নি।



নাস্তিকতার ধুঁয়া, সায়েদির ছবি চাঁদে দেখিয়ে ধর্মপ্রান মানুষকে খেপিয়ে তোলা, একজন সায়েদিকে কয়বার চাঁদে দেখাবে? এরপর কি?





শাহাবাগ ফুরিয়ে যায় নি, যেতে পারে না। কৌশলগত কারনেই বিএনপির হরতালে মুখমুখি থাকা এড়িয়ে চলা হচ্ছে, তাই সমাবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। শাহাবাগে নেক্সট বড় সমাবেশ হবে শুক্রবার। এরপর হয়তো আবার বিরতিতে যাবে।

এর মানে এইনা যে আমরা ভুলে যাব ফাঁসির দাবির কথা।

আবার উল্টা পাল্টা রায় আসলে আরেকটা শাহবাগ তৈরী হতে ১ ঘন্টার বেশি লাগবে না। জয় বাংলা।



জয় বাংলা।



মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
শাহাবাগ আন্দলনের প্রথম দুইহপ্তা আন্দলনের মুল অর্জন টি হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে নিয়ে আসা।
এখন এই আন্দোলন বন্ধ করলেও কোন ক্ষতি নাই।

তবুও বিপ্লব চলবেই।

++++++++++++++++++++
ধন্যবাদ।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: তবুও বিপ্লব .. চলবেই।

ধন্যবাদ।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

বলাক০৪ বলেছেন: খাবার নিয়ে আমিও গেছি। পরে কিছু লোককে মঞ্চে বক্তা হিসেবে দেখে যাওয়ার উৎসাহ নিভে গেছে।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনি মহান,
আমি অনেককে খাবার, পানি কিনে দিতে দেখেছি।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১২

বাঙ্গাল৭১ বলেছেন: আমি মনে করি সবচাইতে বড় অর্জনটি হচ্ছে যে জামাত-বিএনপি নেতারা ৫ ফ্রেব্রুয়ারীর আগে বলত জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জামাত নেতাদের মুক্তিদিন। তারই বলতে শুরু করে শাহবাগের কথায় রায় দিলে হবে না । আইন অনুযায়ী রায় দিতে হবে।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন - জামাত নেতারা বলতে বাধ্য হয়েছিল -
আইন অনুযায়ী রায় দিতে হবে!

বাহহ ..

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

নন্দনপুরী বলেছেন: বিপ্লব চলবেই.............

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

সারোয়ার হাবিব বলেছেন: আমার শরীরে কোন রক্ত আছে বলে মনে হয় না...পানি আর পানি...


২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১১

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: বুঝলাম না, কি বলতে চাইলেন!

শাহাবাগ আন্দলনের প্রথম দুইসপ্তাহ সর্বাত্বক সমর্থন পেয়েছিল, এমনকি বিএনপির মহাসচিব ফকরুল ইসলাম আলংগির একে সমর্থন করে ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছিলেন। প্রায় সবগুলো টিভি চ্যানেল সর্বাত্বক সমর্থন দিয়েছিল, যুদ্ধকালিন অবস্থায় যেভাবে সমর্থন দেয়া হয় সেভাবেই।
সবাই শাহাবাগের নেতিবাচক খবরগুলো বাদদিয়ে ভালটা প্রচার করেছে, এখানেও প্রবল জনমতের পক্ষে সবাই কাজ করেছে, বিএনপি পন্থি NTV, বাংলাভিশন, আরটিভি ও প্রবল জনমতের পক্ষে গা ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
এর নাম বাস্তবতা।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

পথহারা সৈকত বলেছেন: আপনার বর্ণনায় এমারান সাহেব বাদ গেল কেন... X( X( ঝাতি জানবার চায় :P

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
এমারান এইচ সরকার কোন হর্তাকর্তা নয়, নেতা নয়ই।
সে একজন সমন্ন্যয়কারি মাত্র।
অংশগ্রহন কারি দল, ফোরাম ও সংস্থাগুলোর সমন্যয়কারি।

সাহাবাগ আন্দলনে কোন নেতা ছিলনা এখনো নেই।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

অজানাবন্ধু বলেছেন: শাহাবাগ ফুরিয়ে যায় নি, যেতে পারে না।
জয় বাংলা।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
জয় বাংলা

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

লুকার বলেছেন:
চমৎকার বর্ণনা।
কালের কন্ঠ ট্রাকে বিরিয়ানীর প্যাকেট বিলিয়েছে কয়েকদিন দেখলাম। তবে বেশীরভাগ মানুষ নিজেরাই খেয়েছে। কিছু মানুষ বিস্কিট, সিংগারা কিনে বিলিয়েছে।
সাধারণ মানুষ, মহিলা, বাচ্চাদের ব্যাপক সমাগম হওয়ায় বিভিন্ন সংস্থা সাপোর্ট দিয়েছে, যেমন সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা। পিজি হাসপাতাল থেকে ওয়াইফাই ফিল্ড দেয়া হয়েছে। অনেক উচ্চপদস্থ আমলাদের ফ্যামিলী সেখানে গিয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারী সংস্থাগুলো নিয়েছে, তবে এমনিতেই এখানে কোন ক্রাইম হয়নি। হামলার আশংকা ছিল, তিনস্তর নিরাপত্তার মধ্যেও ককটেল ফুটেছে। মেয়েদের কেউ বিব্রত করেনি। এর প্রধান কারণ প্রথমদিকে প্রায় সব মানুষই ছিল উচ্চশিক্ষিত। এবং পরিবেশ ছিল পুরো ৭১ এর মত দেশপ্রেমে মুখর। টিভিতে চেহারা দেখাতে কেউ ব্যস্ত ছিল না, বরং চ্যানেলের সাংবাদিকেরা যাকেই প্রশ্ন করেছে, সেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে আন্দোলনটা কিসের, তারা কি চায়। প্রথমদিকে কেউ নেতা ছিল না এবং রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা দিতে দেয়া হয়নি, এগুলোই মানুষকে আকর্ষণ করেছে এবং দেশব্যাপী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
আপনার বিস্তারিত বর্ণনা মন দিয়ে পড়লাম।
খুব ভাল লাগলো।

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

আব্দুল মোমেন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আপনার কথায় যুক্তি আছে। এই জন্যে একমত পুসন করছি। আপনাকে অভিনন্দন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: ধন্যবাদ।

জয় বাংলা

১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

শাপতাহিন বলেছেন: জয় বাংলা।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: জয় বাংলা

১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: সব আওয়ামী ষড়যন্ত্র, সব ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৭

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: ? ? ?

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

হ্যারিয়ার টু বলেছেন: সুন্দরভাবে আমার নিজের মনের কথাই লিখেছেনঃ -
জয় বাংলা!

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৫

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: জয় বাংলা!

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৭

শিপু ভাই বলেছেন:
জয় বাংলা।


চমৎকার বিশ্লেষন!!! পুরাই সহমত!!!

++++++++++++++++++++++++++

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩০

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ধন্যবাদ শিপুভাই!

শাহাবাগ ফুরিয়ে যায় নি, যেতে পারে না!
জয় বাংলা!

১৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: পাইতে পাইতে শেষ
ভাসল জলে দেশ
যাদের লাভ সুখি
মরুক বাদ বাকি

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৫

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন!!! ৯৯% সহমত!!!

++++++++++++++++++++++++++

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৮

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: ৯৯% মাত্র ?
যাইহোক প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

১৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
অনেক অনেক ভাল লাগল লেখাটা, মন্তব্যের জবাবগুলোও। অনেক ধন্যবাদ।

জন্ম থেকে জন্মান্তরে,
শাহবাগ প্রজন্ম অন্তরে।

স্বাধীনতার মাস,
উত্তাল মার্চ,

অগ্নিঝরা মার্চে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন

একাত্তেরর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।

তুমি কে আমি কে
বাঙ্গালী, বাঙ্গালী।

তোমার আমার ঠিকানা,
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।

রাজাকারের ঠিকানা
ফাঁসির পর পাকিস্তানের মোহনা।

একটাই দাবি ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই।

কসাই কাদের সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি।
ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবে।

জয়বাংলা।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১১

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: স্বর্ণাপু, আপনাকে দেখে ভাল লাগলো।

আপনার স্লোগানগুলো এই পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করলো

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪২

বাদল দিনের গান বলেছেন: জয় বাংলা!

২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: ধন্যবাদ

জয় বাংলা

১৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১০

মুকতাদির রহমান বলেছেন: জয় বাংলা...

২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: শাহাবাগ ফুরিয়ে যায় নি, যেতে পারে না!
জয় বাংলা!

১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১০

কাজী শািহন মাহমুদ বলেছেন: abar kono ulta ray hole shahabag toiry hote 1 ghontao lagbena.
++++++++++
rajniti valo lagena.kintu jara gono manusher ei shantipurno andolonke dolio dristikon diye bichar korce,bivranto korce,tara ki er shokti somporke shocheton non?
tader ostitto tikiye rakhtei ei andoloner biporete obostan niyece.ekti shishur bojromusti hat ar gogon bidari slogan je ki voyanok ta tara jene gece.

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৬

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
তাই বলে এই নপুংশক দলটির অস্তিত্ত টিকিয়ে রাখতে এত নীচে নামতে হবে?

শিবিরের মত ছোট মিলিট্যান্ট দলের নেতার মুক্তির দাবিতে হরতালে সংহতি প্রকাশ করে প্যারালাল হরতাল ডাকা?

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১০

আকাশ চুরি বলেছেন: আপনি এফবিসিসিআিয়ের সাবেক সভাপতি যে আজাদের কথা বলছেন উনি আর আজাদ প্রোডাক্টসের মালিক আজাদ এক লোক না। এফ বিসি সিআইয়ের এই লোক সব সময়ই লীগ ছিল। সমকালের মালিকও বটে।

২১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

এস বাসার বলেছেন: ফাইনালি আন্দোলনটা সফল। বিএনপি-জামাত যাই বলুক না কেন, প্র্যাকটিক্যালি শাহবাগ আন্দোলনটা না হলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার একটা প্রহসনে রুপ নিতো।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
একজ্যাক্টলি ..!

২২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৫

তুহিন সরকার বলেছেন: “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ”

ধন্যবাদ কালবৈশাখীর, শুভকামনা রইল।

২৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

হাম্বা বলেছেন: আমার মতে- আন্দোলনটা মূলত ছিল ভন্ডামির

কারণ আন্দোলনরত কাউকেই জোড়ালো ভাবে আওয়ামি মেশিনের মধ্যে ঢুকে পাক পবিত্র হওয়া রাজাকারদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে শুনিনি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
আওয়ামীলীগে দু একটা রাজাকার থাকতে পারে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন খুন খারাপি বা অন্য কোন ভায়োলেন্সের অভিযোগ নাই।
যদি থাকে তাহলে ট্রাইবুনালের দরজা এখনো খোলা আছে, যেতে পারেন।

এখানে ভন্ডামির কি দেখলেন। বাস্তব দাবী।
গণজাগরন মঞ্চ দুর্দান্ত ভাবে সফল।
এই আন্দোলনটা না হলে কশাই কাদেরের ফাসি দেয়া অসম্ভব ছিল।


গণজাগরন মঞ্চের লাখ লাখ সাধারন মানূষের দাবি এবং আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইসতেহারের প্রথম ধারা মুলত একই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি।

গণজাগরন মঞ্চের সাথে একাত্ততা পোষন করে ছাত্র লিগ ও ছাত্র ইউনিয়ন ও অন্যান্ন কিছু ছাত্র সংগঠন, বিচ্ছিন্ন ভাবে ছাত্র দলের কিছু সদস্য।

নীতিগত ভাবে গনজাগরন মঞ্চের সাথে আওয়ামীলীগ একাত্ত ছিল শুরু থেকেই। থাকতে হবেই, কারন বিচার করছে আওয়ামীলীগ, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত আওয়ামীলীগেরই।
সবাই ভালকরেই জানে আওয়ামীলীগ ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন দল এত বড় দুঃসাহসি কাজে হাত দিত না।
আওয়ামি লীগ এটাকে পলিটক্যাল বানিয়া ফেললে এটা পচে যেতে পারে না।

বেশিরভাগ দাবী মেনে নেয়াতে গণজাগরন মঞ্চের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়।
যেমন

রায়ের দ্বিমুখি আপিল অধিকার আইনে সংযোজন। যার মাধ্যমে কশাই কাদেরের ফাসি সম্ভব হয়েছে।
দল (জামাত) নিবন্ধন বাতিল,
আমারদেশ পত্রীকা ছাপানো নিসিদ্ধ ও সম্পাদক গ্রেফতার।
রায় ঘোষনার ২ মাসের ভেতর আপিল আবেদন ও নিস্পত্তি।


জয় বাংলা!

২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ++++++

২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
:)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:

;) ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.