নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জার্মানিতে নাৎসি দল বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ....

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭

জার্মানিতে নাৎসি দল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ....

জার্মানিতে যেভাব নাৎসি দল নিষিদ্ধ হয়েছিলঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর নাৎসি দল নিষিদ্ধ করা হয়। মিত্রবাহিনী নাৎসিবাদ নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় দলটিকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং জার্মান সমাজ থেকে নাৎসি প্রভাব অপসারণের চেষ্টা করে। ১৯৪৫ সালে প্রণীত নিয়ন্ত্রণ পরিষদ আইন নং ১, বিশেষভাবে সেই আইনগুলিকে বাতিল করে দেয় যা পূর্বে নাৎসি দলকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছিল।

অবৈধতার ঘোষণাঃ
যুদ্ধের পর, মিত্রশক্তি, মিত্র দখলদার কর্তৃপক্ষের অংশ হিসেবে, নাৎসি দলকে অবৈধ ঘোষণা করে।

অবৈধতা নিরস্ত্রীকরণঃ
মিত্রশক্তির লক্ষ্য ছিল আইন, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি সহ জার্মান জীবনের সকল দিক থেকে নাৎসি মতাদর্শ এবং প্রভাব নির্মূল করা।

নিয়ন্ত্রণ পরিষদ আইন নং ১
১৯৪৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পাস হওয়া এই আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫টি নাৎসি আইন বাতিল করে, যার মধ্যে রয়েছে সক্রিয়করণ আইন এবং দল গঠনের বিরুদ্ধে আইন।

অন্যান্য দলের পুনঃপ্রতিষ্ঠাঃ
অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে রাজনৈতিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সাথে সাথে, কমিউনিস্ট পার্টি এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মতো ওয়েইমার প্রজাতন্ত্রের অনেক প্রাক্তন দল নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল।

নুরেমবার্গ বিচারঃ
নুরেমবার্গ বিচারে শীর্ষ নাৎসি নেতাদের বিচার করা হয়েছিল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, যার ফলে মৃত্যুদণ্ড এবং কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

একই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগঃ


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়াও, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

বিচার প্রক্রিয়াঃ

ইতোমধ্যেই ফ্যাসিবাদের নেতা জনরোষে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ছাড়াও ছাড়াও তার দোষরদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে চার্জশিট দাখিল করেছে.....

এখন শুধু অপেক্ষা....

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪১

খাঁজা বাবা বলেছেন: নাৎসি দল আওয়ামীলিগের চেয়ে অনেক ভালো ছিল।
তাদের নীতি খারাপ হলেও উদ্দেশ্য ছিল দেশের মংগল।
আর আওয়ামীলিগের উদ্দেশ্যই ছিল দেশকে ধবংশ করা।

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

সামু ব্লগে এখনো ভাদা-ভাকু মুক্ত দেশ প্রেমিক ব্লগার আছেন দেখে ভালো লাগছে।

২| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:০০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কিসের সাথে কি মিলাইলেন ভাই , নাৎসি বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিলো দেশ প্রেম , আর আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যই হচ্ছে, ভারত প্রেম ,লুটপাট ও অর্থপাচার ।

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: স্যালুট!

৩| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

কাঁউটাল বলেছেন: এইটা দেখছেন নাকি ভাই:

১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: পিনাকী দেশে থাকতে আমরা যুথবদ্ধ ভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। উনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরও ভালো যোগাযোগ ছিলো। ২০১৮ সালে আমি গুম হবার পর উনি আমার পক্ষে লেখালেখিও করেছেন। গত নভেম্বর মাসে তিনি আমাকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করেছেন- তাই ওনার কন্টেন্ট আমি দেখিনা। এখন আপনি শেয়ার করায় দেখলাম।

৪| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জার্মানির নাৎসি নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার আদলে বাংলাদেশেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ইতিহাস দেখিয়েছে—যে দল মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তার স্থান রাজনীতিতে হতে পারে না। বিচার চলছে, অপেক্ষা শুধু ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সঠিক রায়ের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.