নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি অচেনা ভূতের আর্তচিৎকার.............।

সেকেলে ভূত

সেকেলে ভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি তিক্ত ট্রেন যাত্রা

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

অনেকদিন ধরে বাড়িতে যাওয়া হয় না। তাই সামনের অফ ডে তে সব বন্ধুরা মিলে বাড়ি যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম, যেমন ভাবা তেমন কাজ। তো গত রবিবার আমরা ট্রেনে করে রাজশাহী থেকে ঢাকা আসছিলাম।
আমরা ছিলাম ৪জন আমি,সোহান,অয়ন আর তামান্না। স্পেশাল প্রথম শ্রেণীর ৪টা টিকেট কেটেছি। একসাথে মিলিয়ে কেটেছিলাম সবগুলা টিকেট।
তো সময়মত ট্রেনে উঠে পড়লাম, সিটগুলা দেখে মনে মনে বেশ খুশিই হলাম। দুটো দুটো করে ৪টা সিট মুখোমুখি করাই আছে; ভাবলাম, ভালোই হলো পুরো রাস্তা কার্ড খেলেই পার করে দেয়া যাবে ।
তো চিরাচরিত লেইট করা ট্রেনটি আজও আধমিনিট লেইট করে ছাড়লো । আমি আবার একটু চালাকি কইরা তামান্নার পাশের সিটটায়ই বসলাম ( উদ্দেশ্যতো কারোই অজানা নয় :P)

আয়েশ করে নিজ সিটে বসে আছি, ট্রেন তো চলছেই। চলতে চলতে ট্রেন ঈশ্বরদী ষ্টেশনে এসে কিছুক্ষণ বিরতি নিল। তখন কিছু যাত্রী উঠলো আবার নামলো, যদিও নামার চেয়ে উঠার পরিমাণটা অনেক বেশি। বিরতির পর আবার ট্রেন চলা শুরু করলো। অনেক যাত্রী উঠেছে আগের ষ্টেশন থেকে। ঢাকার লোকাল বাসগুলার চেয়েও বেশি ভিড় এখন ট্রেনের ভিতর। ভাগ্যিস আমরা বসেই যাচ্ছি।
যাত্রিদের ভিড়ের কারণে শ্বাস নেওয়াটাও কস্টের হয়ে গেছে । এক ভদ্রলোক ও তার স্ত্রী আমার সিটের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। মনে মনে খুব বিরক্ত লাগছিল, পুরো পরিকল্পনাই ভেস্তে যাচ্ছিলো যে।
এরকমই উল্টাপাল্টা চিন্তা করছিলাম তখন হঠাত খেয়াল করলাম আমার পাশে দাঁড়ানো ভদ্রমহিলাটি অসুস্থতা বোধ করছে!! মাথা ঘুড়ে পড়ে যাচ্ছেন!!! ট্রেনে অনেক যাত্রীর ভিড়, কোথাও একটুক জায়গা খালি নেই। মহিলাটির একটু আরামের দরকার, কিন্তু কেউ কোন সাহায্য করছে না। একজন মহিলা এভাবে কস্ট করবে তা কি হয়? আমি নিজের সিট ছেড়ে মহিলাকে বসতে দিলাম (মনে মনে অবশ্য একটু কস্ট লাগছিলো, তবুও ওকে ইমপ্রেস করার জন্য একটু কস্ট সইলাম) । সিটে বসে মহিলা আরামে ঘুমিয়ে পড়লেন। আর আমার অবস্থাতো পুরাই খারাপ। ভাগ্যিস আমার বন্ধু দুটা একটু বেশিই ভালো ছিলো, তাই ওদের সাথে সিট অদলবদল করে বসলাম।

এভাবেই চলতে চলতে ট্রেন কমলাপুর এসে পড়লো। সব যাত্রী নামলেন, আমরাও নামলাম। ঐ দম্পতিও নামলেন; ওরা আমাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সামনে এগুলেন। আমাদের ৪জনের ছোটখাট দলটাও এগুতে লাগলো। এমন সময় শুনতে পেলাম মহিলা ওর স্বামীকে বললেন, “কেমন হল আমার অভিনয়?” ভদ্রলোকটি বললেন, ‘দারুণ হয়েছে! আরেকটু দেরী করলে তো টিটি ধরেই ফেলতো। এমন পাকা অভিনয় করছো যে টিটি বেচারাতো ধোকা খাইছেই আর পাশের গচুগুলা ভোদাই হইয়া সিটও দিয়ে দিছে’
“এই ওভাবে বলোনাগো, পাশের ছেলেটা কিন্তু বড্ড কিউট ছিলো বুঝলা” মহিলার নির্লিপ্ত প্রতিবাদ।

আমরা তাদের একটু পিছনেই ছিলাম। এমন কথা শুনে আমরা তিনজনেই থ খেয়ে গেলাম!! এমনেই শকড অবস্থা, তার উপর আমার তামান্না আমদের উপর হাসির বোল্টড্রোজার চালাইতেছিল (মন চাইতছিল তখন পেত্নীটার ২৯দাত ঘুসি দিয়া উড়াইয়া ফেলি X() ।

যাইহোক, পরিশেষে গচু এবং কিউট (এটা শুধু আমাকেই বলছে B-)) নামক ২টি বিশেষণ গলায় ঝুলাইয়া সেদিনের মত যাত্রা শেষ করলাম।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩

শেখ মফিজ বলেছেন: এ রকম যাত্রী প্রাযই পাওয়া যায় ্।
বছর খানেক আগে খুলনা থেকে আসছিলাম ।
আমাদের টিকেট ছিল এ সি.
কোন এক স্টেশান থেকে এক যুবক হুজুর ও তার পরিবার উঠে
এই রুমের দুটি চেয়ারে বসল ।
পরবর্তি স্টেশান থেকে যাত্রী উঠে দেখলো
তাদের সিটে এরা বসে ।
টিটি এসে টিকেট দেখতে চাইলে জানা গেল
তারা কোন টিকেটই করেন নি ।
বিনা টিকেটের যাত্রী ।
যুবক হুজুর বলল, তার পরিবার অসুস্হ,
তাই আরামে বসার জন্য এখানে উঠেছে ।
বেশীদূর যাবে না,
কয়েক স্টেশান পর তারা নামবে ।
টিটি অবশ্য তাদের আবদার রাখেনি ।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৬

সেকেলে ভূত বলেছেন: vaii onk experience paisi emon

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.