নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য পথের পথিক হতে চাই.

জর্দা বাবা

সত্যকে জানতে চাই, সত্যকে মানতে চাই।

জর্দা বাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

****আমার উড়ো চিঠি****

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

নাহিদা,
কেমন আছ তুমি? এই দেখ আমি কতো বোকা" আমার চোখের সামনেই তুমি কোটিপতি স্বামী নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছ, তাও আমি আবার জানতে চাই কেমন আছ। জানো নাহিদা তোমার কথা না আমার খুব মনে পরে। কেন যে তোমাকে ভুলতে পারি না! যদিও অনেক চেষ্টা করেছি। আচ্ছা, তোমার কি আমার কথা একবারও মনে পরে? আমার চোখের ভাষা কি তুমি বুঝতে পারতে?

জীবণে কাউকে ভালবাসিনি একমাত্র তুমি ছারা। মনে হয় কাউকে ভালবাসতে পারব না। আমার শরীরের প্রতিটি রক্ত কণিকার সাথে তুমি মিশে আছ। আমার প্রতিটি শাঁস প্রশ্বাসের সাথে তোমাকে আমি এখনও অনুভব করি। কারণ, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। আজীবণ ভালবেসে যাব।

আমি জানি নাহিদা, তুমি আজ অন্যের ঘড়নী। তোমার দিকে চোখ তুলে তাকাবার অধিকার ও আমার নেই। তাই বলে আমার ভালবাসা কমে যাওয়ার কোন কারণ তো নেই। তোমার প্রতি আমার ভালবাসা আমরণ।

ভালবাসার অর্থ যদি শুধুমাত্র বিয়ে আর দেহভোগ হয়, তবে বিশ্বাস কর আমি এর পক্ষে নই। যদি ভালবাসার অর্থ হয়, কাউকে সর্বক্ষণ অনুভব করা, কাউকে সবচাইতে বেশী বুঝতে পারা, কারো মুখের হাসি সবচাইতে ভাল লাগা, কারো সুখকে নিজের সুখ মনে করা, তাহলে তুমি জেনে রাখ, আমিই তুমাকে সবচাইতে বেশী ভালবাসি। আমার চাইতে তোমাকে বেশী ভালবাসতে কেউ পারবে না। এটা আমার বিশ্বাস।

নাহিদা, আমি জানতাম তুমি আমাকে মোটেও পছন্দ করতে না। কথায় কথায় আমাকে পাগল বলতে। আমিও তোমার সাথে অনেক পাগলামি করতাম। কেন জান? কারণ, তোমার মুখে পাগল ডাক শুনতে আমার অনেক ভাল লাগত। বিশ্বাস করো, তোমার মুখে ডাকা পাগল ডাকটাকে অনেক মিস করি।

আর তুমিও জানতে আমি তোমাকে কতটা ভালবাসতাম। তুমি সবসময় আমাকে এড়িয়ে যেতে। তুমি চাওনি বিধায় আমি ভালবাসার দাবি নিয়ে কোনদিন তোমার সামনে দাড়াই নি। তোমার বিয়েটাকে হাসি মুখে মেনে নিয়েছি। তোমার বিয়ের ছবি গুলো দেখলে আমার খুব ভাল লাগে। কেন জান? তোমার বধুসাজ মুখে সুন্দর মিষ্টি মায়াবী হাসিটা আর কোনদিন বাস্তবে দেখতে পাব না। তাই যতবারই দেখি ঠিক ততবারই তোমার মুখের হাসিটা আমার কাছে নতুন মনে হয়।

আমি জানতাম, তুমি আমাকে তোমার যোগ্য মনে করতে না। তাই আমি তোমার পথের কাঁটা হয়ে দাড়াই নি। তুমি তোমার মতো জীবণ বেছে নিয়েছ তাতিই আমি অনেক খুশি।

যেদিন শেষবার তুমি আমার কাছি মুক্তি চাইছিলে সেদিন বার বার তোমাকে দেখছিলাম। কিন্তু আজও একটি উত্তর খুজি তা হল আমি গোপনে তোমাকে বার বার দেখছিলাম, আশ্চর্যের বিষয় বার বারই তোমার সাথে আমার চোখাচোখি হয়েছে। কেন? তাহলে তুমিও কে আমাকে দেখছিলে? যাই হোক আমি তোমাকে মুক্তি দিয়েছি। চিরতরে দিয়েছি।

তুমি ভাল থাক নাহিদা। আমি সবসময় এই দোয়াটাই করি।

শুধু এতোটুকো মনে রেখ, কোন একদিন তোমাকে কেউ ভালবেসেছিল।

ইতি
তোমার পাগল সোনাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

জুনায়েদ জুবেরী বলেছেন: ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.