![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৪ বছর বয়স চলছে। ভোটার হয়েছি প্রায় ৪ বছর আগে। জাতীয় নির্বাচন গেল, সিটি নির্বাচন গেল, উপজেলা নির্বাচন গেল কিন্তু একটি ভোটও আজ পর্যন্ত দিতে পারলাম না। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে একটি সুস্থ নির্বাচন আজও দেখলাম না। দেখলাম না স্বাধীন দেশের জনগনের ভোটের উল্লাস।
যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম, ভোটের দিন মানুষের মাঝে কতো আখাঙ্কা, আশঙ্খা, আগ্রহ আর উল্লাস। এখন মনে হয়, কে বা কারা যেন জনগণের গলা চেপে ধরেছে আর বলছে তোদের কথা বলার কোন অধিকার নেই। তোদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তোদের স্বাধীনতা বলতে কেছু নেই।
আবার কেন জানি মনে হয়, বাংলাদেশ থেকে নির্বাচন শব্দটি বাদ দেয়া উচিত। কারণ, এ দেশের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নির্বাচন শব্দের বাস্তবতা আজও দেখিনি। কোন দিন দেখতে পাব কিনা তাও জানিনা।
লজ্জা লাগে তখন, যখন দেখি তথাকথিত নির্বাচনের দিন জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার থাকে না, বেলা ১২ টায় ভোট গ্রহন বন্ধ হয়ে যায়, পুলিশ সামনে এসে বলে এই শুয়রের বাচ্ছারা জায়গা খালি কর, যা এখান থেকে। তোদের ভোট হয়ে গেছে। এই না হলে আমাদের জনগণের বন্ধুর প্রতিক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।
লজ্জিত হই, মিডিয়াতে আবার নির্বাচন কমিশনার দাঁত কেলিয়ে বলতে থাকে, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন এখন জনগণ দেখছে।
আসলে লজ্জা আমাদেরই পাওয়া উচিত। কারণ, আমরাই তো তাদেরকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। আমাদের ভোট পদ্দতি আসলে ঠিক ছিলনা। আমরা এখন দেখছি সত্যিকারের ভোট পদ্দতি কাকে বলে। ভোটাধিকার কাকে বলা হয়। এতোটাই শিখছি যে, আমরা সব শুয়রের বাচ্ছা। আর কর্তারা মানুষের বাচ্ছা।
©somewhere in net ltd.