![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পায়ের গোড়ালি ব্যাথার মূল কারন। বাংলায় একে প্লান্টার ফাসা’র প্রদাহ বলে। প্লান্টার ফাসা হলো লিগমেন্ট বা টিস্যুর চ্যাপ্টা ব্যান্ড, যা গোড়ালির সাথে পায়ের আঙ্গুলের সংযোগ সাধন করেছে। কোন কারনে প্লান্টার ফাসা মচকে গেলে, সেটা দুর্বল হয়ে পড়ে, ফুলে যায় ও প্রদাহ হয়। এসময় হাঁটলে বা দারালে পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা পাওয়া যায়।
লক্ষনঃ প্লান্টার ফাসাইটিসের লক্ষনগুলো হল, বিছানা থেকে নেমে পা ফেলার সাথে সাথেই গোড়ালিতে ব্যাথা হওয়া বা দীর্ঘসময় বসে থাকার পর হাঁটার সময় ব্যাথা হওয়া। এছাড়াও,
* সকালে গোড়ালি শক্ত হয়ে যাওয়া এবং প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া,
* সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করার সময় ব্যাথা বেড়ে যাওয়া,
* অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে ব্যাথা বেড়ে যাওয়া।
* কখনও কখনও গোড়ালি ফুলে যাওয়া।
কারনঃ প্লান্টার ফাসাতে অতিরিক্ত টান পড়লে প্লান্টার ফাসাইটিস হয়। পুরুষদের চাইতে মহিলাদের এই সমস্যা বেশী হয়। এছাড়াও আরও নানান কারনে এমনটা হতে পারে,
* অতিরিক্ত ওজন
* হঠাৎ করেই বেশী ব্যায়াম করলে,
* প্রতিদিন কয়েকঘন্টা পায়ের পাতার উপর দাড়িয়ে থাকলে,
* অন্য কোন শারীরিক সমস্যা যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা লুপাস থাকলে,
* উঁচু হিল পড়ে অভ্যাস থাকার পর হঠাৎ করে ফ্ল্যাট জুতা পড়লে,
* পায়ের পাতা সমতল থাকলে কিংবা অস্বাভাবিক বাঁকা থাকলে।
* পায়ের পাতা অস্বাভাবিক অবস্থানে রাখলে,
* অ্যাকিলিস টেনডন টাইট থাকলে।
চিকিৎসাঃ প্লান্টার ফাসাইটিস পায়ের পাতার ব্যাথা। অনেকসময় এক বছর বা তার সামান্য বেশী সময় পর একা একাই ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে এই সমস্যা কোন ওষুধে সারে না। ওষুধ কেবল ব্যাথা সারাতে পারে। চিকিৎসা শুরু করা হয় স্ট্রেচিং, বরফ, অর্থোটিকস দিয়ে। কিছু কিছু চিকিৎসক স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে চেষ্টা করেন। ফিজিক্যাল থেরাপি কিছুটা উপকারী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্লাটিলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা ব্যবহার করা হয়। কিছু চিকিৎসক প্রোলোথেরাপি দিয়ে থাকেন। যদি কোনোটাতেই কাজ না হয় তাহলে অপারেশন করা যেতে পারে।
(Collected)
সৌজন্যে- আইডিয়াল ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
৯৭/১/এ, শুক্রাবাদ (মেট্রো শপিং মলের বিপরীতে), ঢাকা।
যোগাযোগ- ০১৭৯৬-৫৮৯০১০
©somewhere in net ltd.