নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয়িতা রহমান

জয়িতা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগীর জিজ্ঞাসা

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৯

প্রশ্ন : রিউমাটয়েড নডিউলের কথা শুনেছি। এগুলো কী?
উত্তর : রিউমাটয়েড নডিউল হলো এক ধরনের গ্রন্থি বা ফোলা, যা চাপ দিলে ব্যথা লাগে। অস্থিসন্ধির চার পাশের প্রেসার পয়েন্টগুলোতে এসব নডিউল হয়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রায় ২০ শতাংশ রোগীর রিউমাটয়েড নডিউল হয়। সাধারণত নডিউল ব্যথা ঘটায় না, তবে মাঝে মাঝে এগুলো সংক্রমিত হয়। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সহকারে চিকিৎসা দিতে হয় এবং কেটে পুঁজ বের করে দিতে হয়।

প্রশ্ন : রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে খারাপ কী ঘটতে পারে?
উত্তর : আসলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগটিই খারাপ। এ কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা উচিত। তা ছাড়া চিকিৎসকদের পক্ষে নিশ্চিত করে বলা সম্ভবও নয় যে, কোন রোগীর ভাগ্যে কী আছে।
তবে তারা পরিসংখ্যান থেকে জানেন, ১০ থেকে ১২ বছর ধরে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে ভোগা ৮০ শতাংশেরও বেশি রোগীর অক্ষমতা বা বিকলাঙ্গতা দেখা দেয়। তারা তাদের অস্থিসন্ধিগুলো পুরোমাত্রায় নাড়াচাড়া করতে পারে না। তাদের হাঁটার গতি ধীর হয়ে যায়। এমনকি তাদের কোনো কিছু আঁকড়ে ধরতেও সমস্যা হয়।

প্রশ্ন : তার মানে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে কি কোনো ভালো খবর নেই?
উত্তর : আছে। জরিপে দেখা গেছে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ৫ শতাংশের কিছু কম রোগী হুইল চেয়ারে চলাফেরা করে এবং নিজেদের যতœ নিতে পারে না। বেশির ভাগ রোগী নিজেদের মানিয়ে চলতে পারে। এমনকি কিছু কঠিন কাজও করতে পারে, যেমনÑ ওজন বহন করা, হাঁটু গেড়ে বসা, হাঁটা, রান্না করা কিংবা কলম ধরা, ছবি আঁকা বা চুল আঁচড়ানোÑ এ রকম দৈনন্দিন কাজ। অনেক চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রাথমিক পর্যায়ে দ্রুত চিকিৎসা করালে অস্থিসন্ধির বিকলাঙ্গতা রোধ করা সম্ভব হয়, যেহেতু রোগাক্রান্ত হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে বেশির ভাগ বিকলাঙ্গতা ঘটে থাকে।

প্রশ্ন : সুতরাং এর জন্য আমি মরব না, তাই তো?
উত্তর : নিশ্চিত বলা যায় না। জরিপে দেখা গেছে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের লোকদের রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস-বিহীন লোকদের চেয়ে কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর কারণ হলো বেশির ভাগ প্রতিরোধযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে জীবন-মৃত্যুর এই দূরত্বকে বাড়ানো যায়।

প্রশ্ন : সমস্যাগুলো কী?
উত্তর : এই তালিকার সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে ইনফেকশন বা সংক্রমণ। এমনকি যেসব ওষুধ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দমিয়ে দেয়, সেসব ওষুধ সেবন না করলেও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকে। এটা রোগেরই নিজস্ব ফল। তাই এসব রোগীর মারাত্মক ইনফেকশন ঘটতে পারে, যেমনÑ নিউমোনিয়া, যা রোগীকে মেরে ফেলতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের স্বাভাবিক লোকের চেয়ে নন-হজকিনস লিম্ফোমা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এটা লিম্ফগ্রন্থির ক্যান্সার, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ। এটাও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অস্বাভাবিকতার জন্য ঘটে থাকে।

প্রশ্ন : আরো খারাপ খবর আছে কি?
উত্তর : হ্যাঁ। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের খুব বেশি পাকস্থলী ও অন্ত্রের সমস্যা হয়, বিশেষ করে জ্বালাপোড়া ও ক্ষত। এগুলো হয় আসলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টি-ইনফামেটরি ড্রাগ বা প্রদাহবিরোধী ওষুধের কারণে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর কারণ হলো প্রদাহ। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওষুধের বিষক্রিয়া থেকে কিডনি ও লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। সম্ভবত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রায় ২০ শতাংশ রোগীর ওষুধ সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দেয়।

প্রশ্ন : কিন্তু আমার চিকিৎসক কি আমার রোগকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন না?
উত্তর : অবশ্যই করবেন। কিন্তু চিকিৎসার বিষয়টা হলো রোগী ও চিকিৎসকের সমঝোতার বিষয়। আপনাকে চিকিৎসক ওষুধের পাশাপাশি যে পরামর্শগুলো দেবেন, আপনার কাজ হলো সেই পরামর্শগুলো মেনে চলার মাধ্যমে চিকিৎসককে সহায়তা করা। আর ওষুধে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তা তাৎক্ষণিক চিকিৎসককে জানানো।
(Collected)
সৌজন্যে- আইডিয়াল ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
৯৭/১/এ, শুক্রাবাদ (মেট্রো শপিং মলের বিপরীতে), ঢাকা।
যোগাযোগ- ০১৭৯৬-৫৮৯০১০

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.