নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয়িতা রহমান

জয়িতা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোমরে ব্যথা হলে

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪০

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সারা বিশ্বে ৮০ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক লোক জীবনে কোন না কোন সময় কোমড় ব্যথায় আক্রান্ত হয়। এই ব্যথা মানুষকে ভীষণ কষ্টে ফেলে দেয়। অনেকে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন বা স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারে না। কোমড় ব্যথা অবহেলার বিষয় নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ব্যথা নির্মূল করতে না পারলে রোগীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

কোমড় ব্যথার কারণ

অনেকক্ষণ বসে বসে কাজ করা কিংবা নিচু হয়ে ভারী কোন কিছু তোলা কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
হাড ক্ষয় জনিত রোগ যাকে বলে লাম্বার স্পনডাইলোসিস অথ্যাত্ হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া কিংবা বেড়ে যাওয়ার কারণে অথবা হাড ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে কোমড়ে ব্যথা হতে পারে।
ডিস্ক পলাপ্স; দুটি কশেরুকা বা হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে জেলীর মতো ডিস্ক সরে গেলে তা পার্শ্ববর্তী নার্ভ বা স্নায়ুর গোড়ায় কিংবা মেরুরজ্জুতে চাপ পড়লে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
স্নায়ুচাপজনিত ব্যথা, ইহা কোমড় ব্যথার সম্প্রসারিত রুপ। এই ব্যথা কোমড় থেকে পায়ের গোড়ালীতে চলে যেতে পারে। ব্যথা পায়ে বেশি অনুভূত হয়। একটানা বেশি হাটা-হাটি, দাঁড়িয়ে ও সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে এ ব্যথা আরো বেড়ে যায়।
আঘাত জনিত ব্যথা
শিরদাড়ায় টিউমার, ইনফেকশন, টিবি হলে কোমড় ব্যথা হতে পারে।
অকুপেশনার স্টেস থেকে কোমড় ব্যথা হতে পারে।
মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া
মেরুদন্ডের কাঠামো ঠিকমত না রাখা।
মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া।
শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে কোমড় ব্যথা হতে পারে।
দু:শ্চিন্তা ও সাএকালজিক্যাল সমস্যা।
গর্ভকালীন কোমড়ে ব্যথা হতে পারে।

কোমড় ব্যথাল লক্ষণ
প্রাথমিক অবস্থায় কোমড়ে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া।
কোমড়ে ব্যথা কখনও কখনও কোমড়ে থাকে আবার কখনও কখনও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
পা ঝিন ঝিন বা জ্বালাপোড়া করা
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে পা ফেলতে সমস্যা হতে পারে।
পায়ের মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া
পা অবশ ও ভারী হয়ে যাওয়া।
পায়ের শক্তি কমে যাওয়া।
মাংসপেশী মাঝে মাঝে চিবানো বা সংকোচিত হয়ে যাওয়া।
স্বন্ধির কার্যক্রম ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
একটানা বেশিক্ষণ হাঁটলে ও দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

পরামর্শ

কোমড়ের ব্যথার রোগীকে প্রথমে সংশ্লিষ্ট কোন জেনারেল ফিজিশিয়ানের কাছে নিতে হবে। জেনারেল ফিজিশিয়ানের পরামর্শ মোতাবেক অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট বিশেষজ্ঞ আপনাকে কোমড় ব্যথা প্রতিরোধে সঠিক টিটমেন্ট দিয়ে থাকবেন। সুতরাং মনে রাখতে হবে অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট-এর পরামর্শে কোমড় ব্যথার চিকিত্সা নিলে আপনি রোগ মুক্ত থাকতে পারবেন।
(Collected)
সৌজন্যে- আইডিয়াল ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
৯৭/১/এ, শুক্রাবাদ (মেট্রো শপিং মলের বিপরীতে), ঢাকা।
যোগাযোগ- ০১৭৯৬-৫৮৯০১০
email- [email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার সব শেয়ার।


শুভ কামনা আপনার জন্য।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫২

জয়িতা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.