![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তলপেট এবং নিতম্বের মাঝে হাড়ের যে কাঠামোটি থাকে তাকে শ্রোনীচক্র বলা হয়। শ্রোনীচক্র সংলগ্ন এলাকাকে বলা হয় শ্রোনীদেশ। প্রসবের সময় শ্রোনীচক্রের নিচে যে গোলাকার ফাকা জায়গাটি থাকে, সেখান দিয়ে শিশু বের হয়ে আসে। শ্রোনীচক্রের মধ্যে জরায়ু থাকে যার মধ্যে শিশু বেড়ে উঠে। শিশুর বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে শ্রোনীচক্রের হাড়ের কাঠামোর উপর চাপ বাড়তে থাকে। যেহেতু শ্রোনীচক্রের হাড়ের জোড়া গুলো শক্ত এবং সম্প্রসারিত হয় না, তাই চাপের কারনে এক ধরনের ব্যথা এবং অস্বস্তি তৈরি হয়। এই ব্যথা শ্রোনীচক্রের সামনে তলপেটে অথবা পিছনে নিতম্বে অনুভূত হতে পারে।
এর কারনে গর্ভস্থ শিশুর কোন সমস্যা হয় না, কিন্তু কোন কোন গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে এই ব্যথা তীব্র হতে পারে, যার কারনে চলা ফেরায়ও সমস্যা হয়।
সাধারণভাবে এই সমস্যায় যে লক্ষন গুলো দেখা যায় তা হলো
১। শ্রোনীচক্রের সামনে, নিচের দিকে যে হাড়টি আছে যার নাম ‘পিউবিক বোন’, সেই এলাকায় ব্যথা হতে পারে
২।নিতম্বের দুইপাশে অথবা একপাশে ব্যথা হতে পারে
৩।যোনিপথ এবং পায়ুপথের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে
৪।কারো কারো ক্ষেত্রে এই ব্যথা উরু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ এই সময় শ্রোনীদেশের ভিতরে কিছু একটা ‘ফেটে যাছে’ বা ‘গুড়া হয়ে যাছে’ ধরনের অনুভূতি বোধ করেন।
এই ব্যথা সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায় –
১।হাঁটার সময়
২।সিড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠার সময়
৩।এক পায়ে ভর দিয়ে দাড়ালে
৪।বিছানায় পাশ ফেরার সময়
৫।কখনো কখনো দুই পা প্রসারিত করাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যেমন, গাড়ী থেকে থেকে নামার সময় যখন পা প্রসারিত করে এক পা আগে নামাতে হয়, তখন সমস্যা দেখা দেয়। তবে এর চিকিৎসা আছে। কিছু কৌশল অনুসরণ করলে এই সমস্যাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবেও কোন সমস্যা হয় না।
গর্ভাবস্থায় যখনই শ্রোনীদেশে ব্যথা অনুভব করবেন তখনই আপনার ডাক্তারকে জানান। সমস্যার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু হলে ব্যথাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ফিজিওথেরাপিস্ট (physiotherapist) গন এর চিকিৎসা করে থাকেন।
চিকিৎসার উদ্দেশ্য হলো ব্যথাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, মাংশপেশীকে শক্তিশালী করা, হাড়ের জোড়াগুলোকে তার জায়গামত রাখা এবং চাপ নেয়ার ব্যপারে সক্ষম করে তোলা।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবায় যেসব ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়, পেলভিক ফ্লোর মাংসপেশির এক্সারসাইজ, ম্যানুয়াল থেরাপি, মেরুদণ্ডের মাংসপেশির শক্তিবর্ধক ব্যায়াম, বসা এবং দাঁড়ানোর ভুল পজিশন ঠিক করা।
(সংগৃহীত)
সৌজন্যে- আইডিয়াল ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
৯৭/১/এ, শুক্রাবাদ (মেট্রো শপিং মলের বিপরীতে), ঢাকা।
যোগাযোগ- ০১৭৯৬-৫৮৯০১০
email- [email protected]
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:২৩
প্রামানিক বলেছেন: অনেক উপকারী পোষ্ট। ধন্যবাদ
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩৮
রাসেলহাসান বলেছেন: ভালো পোষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৯
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ ।