নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয়িতা রহমান

জয়িতা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নঃ ঘুমানোর সময় শোবার কম-বেশিতে অনেক সময় ঘাড়ে / কাধে খুব ব্যথা হয় l এই ব্যথা কিভাবে সারানো সম্ভব?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৯


উত্তরঃ ঘাড়ব্যথার নানাবিধ কারণ রয়েছে।
যেমন- ১।ঘাড়ের অস্বাভাবিক অবস্থান যেটি হতে পারে কম্পিউটিংয়ের সময়
২। টেলিভিশন দেখার সময়
৩। খেলাধুলা বা শখের কাজের সময়
৪। শোয়ার সময় বালিশের ভুল ব্যবহার
৫। অনেক সময় ঘাড়ে আঘাত পেলে, মাংসপেশি হঠাৎ ছিঁড়ে গেলে বা মচকে গেলে
৬। স্পনডাইলোসিস
৭। ঘাড়ের হাড়ের বা ডিস্কের সমস্যা
৮। স্পাইনাল ক্যানেল স্টেনোসিস
৯। স্ট্রেচ, ইনজুরি,
১০।সারভাইকাল স্পনডাইলোসিস
১১। সারভাইকাল রিব, নিউরাইটিস
১২। বোন টি-বি
১৩। ঘাড়ে আঘাত বা ট্রমা, মাংসপেশির আংশিক বা সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গেলে, ১৪। ঘাড়ের হাড় ভেঙে গেলে, মাংসপেশীর সঙ্কোচন প্রভৃতি।

তবে ঘুমানোর সময় ঘাড় ব্যাথা ঘুমনোর ভঙ্গি ঠিক না হওয়ার করানো হয়ে থাকে। সাধারণত. অনেকে খুব উঁচু বালিশে মাথা রেখে ঘুমোন। অনেকে আবার খুব পাতলা বালিশ ব্যবহার করেন। কেউ রাতে টিভি দেখতে দেখতে সোফাতেই বেকেচুরে শুয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার উপুড় হয়ে ঘুমান. এসবই হলো ঘুমনোর সময় ঘাড় ব্যথার কারণ।

এক্ষেত্রে নিয়মিত শরীর চর্চা করা প্রয়োজন।
ব্যায়াম- মাথা সোজা রেখে হাতের চেটো দিয়ে গালের একদিকে শক্ত করে ঠেলতে হবে। মাথা শক্ত রাখতে হবে যাতে অন্যদিকে হেলে না যায়। এমন করে মাথার ডানদিক, বাঁদিক, চিবুক আর তার সাথে দুহাত জোড়া করে কপালের পিছনে ও সামনে ঠ্যালার মতো চাপ দিতে হবে। প্রতিবার এক থেকে দশ অবধি গুনতে হবে।
কম্পিউটার এ কাজ করার সময় সঠিক ভঙ্গিতে বসবেন। পিঠ চেয়ারে লাগিয়ে বসবেন সোজা হয়ে (পিছনে একটা ছোটো বালিশ জাতীয় রাখতে পারেন। চোখের মণির থেকে কম উচ্চতায় যেন কম্পিউটারের পর্দার ওপর দিকটা থাকে। মোটামুটি এক হাত বা আঠার ইঞ্চি দূরে বসা উচিত। কী বোর্ডে টাইপ করার সময় যেন কনুই শরীরের সাথে লেগে থাকে। অন্তত হাঁটুর উচ্চতা বিশিষ্ট চেয়ারে বসা উচিত। প্রতি কুড়ি মিনিট পর কুড়ি ফুট দূরে কুড়ি সেকেন্ড এর জন্য তাকান। আধ ঘণ্টা পর পর এক মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়ান।
ঘুমানোর সময় শুধু একটা বালিস নিয়ে ঘুমান। আর ঘাড়ের কিছু ব্যয়াম আছে যেমন হেড রোটেশান করতে পারেন। অর্থাৎ মাথা একবার ডান দিক থেকে বাম দিক এবং আবার বাম দিক থেকে ডান দিকে ঘোরাবেন। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
ব্যাথা বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ গ্রহন করুন।একজন ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিলে ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

(সংগৃহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.