নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয়িতা রহমান

জয়িতা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নঃ আমার আথ্রাইটিসের (বাত) সমস্যা আছে l কিন্তু শীতকাল এলেই এই সমস্যা বেড়ে যায় l অনেক নিয়ম মেনে চলি তবুও শীতে এই ব্যথা আমাকে ভুগাবেই l শীতের সঙ্গে এই ব্যথার সম্পর্ক কি? আর কি করলেই বা এই তীব্র ব্যথা থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারি? চিকিত্সাবিজ্ঞান কি বলে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৯





উত্তরঃ গরমকালে বাতের ব্যথা থাকলেও মানুষকে যতটানা কাবু করে তার চেয়ে শীত ঋতুতেই রোগীর ব্যথা বেদনা বেড়ে যায়। শীত প্রধান দেশগুলোতেও এই জাতীয় সমস্যাই মূলত বেশি। আমাদের দেশে শীত পরতে শুরু করেছে এবং এ তীব্রতাও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। আর শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাত ব্যথার কষ্টও বাড়তে থাকবে। তাই শীতে কিভাবে ব্যথা বেদনা থেকে সুস্থ থাকা যায়, তা নিয়ে লিখেছি.প্রতিরোধের উপায় : আলু, লেবু এবং গাজর কে বাত রোগের অন্যতম প্রতিশেধক হিসাবে গবষনোয় দেখা গেছে. বিশেষ করে আলু যা আমরা প্রতিনিয়ত তরকারী হিসাবে খেতে পারি এটা বাত রোগ প্রতিরোধক হিসাবে খুবই চমৎকার কাজ করে. গম/আটা থেকে তৈরী খাবার বাত রোগরের্ উপসগ বৃদ্ধি করে বিধায় এগুলি পরিহার করাই উত্তম। নিম্মলিখিত বিষয়গুলি পালন করলেও উপকার পাবেন.

১. ব্যথা বেশি হলে ৭ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিবেন।
২. নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চিকিত্সা নিবেন।
৩. ব্যথার জায়গায় গরম/ঠাণ্ডা স্যাক দিবেন ১০-১৫ মিনিট।
৪. বিছানায় শোয়া ও উঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে হাতের ওপর ভর দিয়ে শোবেন ও উঠবেন।
৫. মেরুদণ্ড ও ঘাড় নিচু করে কোনো কাজ করবেন না।
৬. নিচু জিনিস যেমন—পিড়া, মোড়া বা ফোরে না বসে চেয়ারে পিঠ সাপোর্ট দিয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে বসবেন।
৭. ফোম ও জাজিমে না শোয়ে উঁচু শক্ত সমান বিছানায় শোবেন।
৮. মাথায় বা হাতে ভারি ওজন/ বোঝা বহন নিষেধ।
৯. দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে রান্না করবেন।
১০. ফিজিওথেরাপি চিকিত্সকের নির্দেশমত দেখানো ব্যায়াম নিয়মিত করবেন, ব্যথা বেড়ে গেলে ব্যায়াম বন্ধ রাখবেন।
১১. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, পেট ভরে খাওয়া নিষেধ, অল্প অল্প করে বার বার খাবেন।
১২. সিঁড়িতে ওঠার সময় ধীরে ধীরে হাতল ধরে উঠবেন।
১৩. ঝরণায় বা চেয়ারে বসে গোসল করবেন।
১৪. কোনোপ্রকার মালিশ করা নিষেধ।
১৫. দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না, ১ ঘণ্টা পর পর অবস্থান বদলাবেন।
১৬. শোবার সময় একটি পাতলা নরম বালিশ ব্যবহার করবেন।
১৭. বাহিরে চলাফেরা করার সময় কোমরের বেল্ট ব্যবহার করবেন, শোবার সময় ও ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই বেল্ট খুলে রাখবেন।
১৮. হাইহিলযুক্ত জুতা ব্যবহার করবেন না, নরম জুতা ব্যবহার করবেন।
১৯.ব্যথা তীব্র হলে উঁচু কমোডে বসে টয়লেট করবেন।
২০.চলাফেরায় ঝুকিপূর্ণ যানবাহন ও রাস্তা এড়িয়ে চলবেন ও সামনের বা মাঝামাঝি আসনে বসবেন।
ব্যথা কমে গেলে নিয়মিত সমতল জায়গায় কমপক্ষে এক ঘণ্টা হাঁটুন।

(সংগৃহীত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

জুন বলেছেন: ভালো পোষ্ট। +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.