![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসম পাহাড়ে সরলভাবে বেড়ে উঠা ছেলে।
আজ (০৭ মার্চ) শিবরাত্রিতে হিন্দু মেয়েরা শিব লিঙ্গে জল ঢালবেন। প্রার্থনা করবেন, তাঁর যেন শিবের মতো স্বামী হয়। একেবারে কচি থেকে থুড়থুড়ে বুড়ি, নারী মনে শিবের জন্য তিন রুমের ছোট্ট ফ্ল্যাট নয়, একেবারে গোটা আবাসনটাই। কিন্তু কে এই শিব ? যে কৃষ্ণর লীলায় প্রেমের মনে জোয়ার আসে তাহলে হঠাত্ প্রেমিক থেকে স্বামীর বেলায় কেন কৃষ্ণ সটান গেট আউট! আর শিবের সেখানে 'ওয়ার্ম ওয়েলকাম'! প্রশ্ন জাগেই মনে।
না আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাচ্ছিনা আবার কোন ধর্মকে ছোট করেও বলছিনা। বলছি, সঠিক কোন বিশ্লেষণ খুঁজে না পেয়ে।
শিব আক্ষরিক অর্থে "শুভ" বা "মঙ্গল"। শিব হিন্দুধর্মের আদিদেব। ত্রিমূর্তির প্রধান।( ত্রিমূর্তি হলো হিন্দুদের প্রাথমিক দৈব্য সত্ত্বা) ত্রিমূতির শিব ধ্বংসের প্রতীক।সকল অশুভ অন্যায় অত্যাচার শিব ধ্বংস করেন। আবার তিনি মঙ্গলময় সত্ত্বা। হিন্দুধর্মের শৈব শাখাসম্প্রদায়ের মতে, দেবতার চেয়ে শিবের পুজা/আরাধনা করা অধিক ফলপ্রদ। শিবই হলেন সর্বোচ্চ ঈশ্বর অনাদির আদি অনন্ত ও পরমেশ্বর । অন্যদিকে স্মার্ত সম্প্রদায় শিবকে পঞ্চদেবতার প্রধান মনে করেন। পঞ্চদেবতা হলো স্মার্ত হিন্দুদের পাচ প্রধান দেবতা।
তাহলে লিঙ্গ শব্দের অর্থ কি ?
এই শিবলিঙ্গের "লিঙ্গ" শব্দের অর্থ বিশ্লেষণে অনেকেই অনেকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সনাতন ধর্মীয় অনুসারে বলা হয়েছে "লিঙ্গ শব্দের অর্থ প্রতীক বা চিহ্ন"। আবার সনাতন ভাবনা ও সংস্কৃতি বিশ্লেষণ অনুযায়ী- লিঙ্গ তথা লিন ও অঙ্গা তথা আত্মা দারা যুক্ত একটি শব্দ, যাতে আত্মা ও পরামাত্মার সার বিদ্যমান।
১৯০০ সালে প্যারিস ধর্মীয় ইতিহাস কংগ্রেস রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ বলেন, শিবলিঙ্গ ধারনাটি এসেছে বৈদিক যূগস্তম্ভ বা স্কম্ভ ধারনা থেকে। যূগস্তম্ভ বা স্কম্ভ হল বলিদানের হাঁড়িকাঠ। এটিকে অনন্ত ব্রহ্মের একটি প্রতীক মনে করা হয়।
আবার কলকাতার একজন লেখক স্বরূপ দত্তের মতে লিঙ্গ শব্দের অর্থ "বাস" মানে বাসস্থান। অর্থাৎ শিবঠাকুর যেখানে বাস করেন বা বিরাজ করেন সেটাই আসলে শিবলিঙ্গ।
আর বাংলা অভিধান কি বলছে এই লিঙ্গের অর্থ বিশ্লেষণে ?
বাংলা অভিধানে, লিঙ্গ একটি বিশেষ্য পদ বা শিশ্ন। এবং লিঙ্গের অর্থ ও সমার্থক অর্থ উপস্থ, পুং-জননেন্দ্রিয়, ব্যাকরণে লিঙ্গ শব্দ হচ্ছে স্ত্রী ও পুরুষ ক্লীব ভেদ।
অ্যালেক্স মাইকেলসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী: আধুনিক শিবের সঙ্গে বৈদিক দেবতা রুদ্রের নানা মিল লক্ষিত হয়। হিন্দুসমাজে রুদ্র ও শিবকে একই ব্যক্তি মনে করা হয়। রুদ্র ছিলেন বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ের দেবতা; তাঁকে একজন ভয়ানক, ধ্বংসকারী দেবতা হিসেবে কল্পনা করা হত। হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হল ঋগ্বেদ। ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় যে ১৭০০ থেকে ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থের রচনা। ঋগ্বেদে রুদ্র নামে এক দেবতার উল্লেখ রয়েছে। রুদ্র নামটি আজও শিবের অপর নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঋগ্বেদে (২।৩৩) তাঁকে "মরুৎগণের পিতা" বলে উল্লেখ করা হয়েছে; মরুৎগণ হলেন ঝঞ্ঝার দেবতাদের একটি গোষ্ঠী। এছাড়াও ঋগ্বেদ ও যজুর্বেদে প্রাপ্ত রুদ্রম্ স্তোত্রটিতে রুদ্রকে নানা ক্ষেত্রে শিব নামে বন্দনা করা হয়েছে; এই স্তোত্রটি হিন্দুদের নিকট একটি অতি পবিত্র স্তোত্র। তবে শিব শব্দটি ইন্দ্র, মিত্র ও অগ্নির বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। তবে প্রাচীন দেবতা রুদ্রের সঙ্গে শিবের এই সমত্বারোপ সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত নয়।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৭
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: আহা, তাইলে এ কাহিনী!!
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪২
ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: পুং-জননেন্দ্রিয়-----শুধু এইটুকু বললেই লেটা চুকে যেত
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
স্যু বলেছেন: শিব এক অর্থে শক্তি ও বীর্যের প্রতিক। তাই কৃষ্ণত্যাগ নারী কর্তৃক কতটুকু গৃহীতব্য তা আরো বিশ্লেষণ সাপেক্ষ। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
বিজন রয় বলেছেন: ভাল
++++
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১১
বিজন শররমা বলেছেন: মূল ঘটনা হলো, দ্রাবিড় (উতপত্তিগত ভাবে আফ্রিকান নিগ্রো, যারা ভারতে এসে উত্তর পশ্চম অঞ্চলে বসতি করেছিল ) সব বড় বড় বা শক্তিশালী জিনিসকে ভয় ও পুজা করতো । তারা মোটা মুটি যুক্তিতে বিশ্বাস করতো । তারা নানা প্রাকৃতিক শক্তি (সূর্য্য, চন্দ্র, পাহাড়, নদী) কে পূজা করতো । এই সময় তাদের প্রশ্ন জাগে, এই সাথে নিজেদের সৃষ্টিকর্তাকেও তো পূজা করা বা সন্মান জানানো দরকার । কিন্তু মানুষের সৃষ্টিকর্তা কে ? এই প্রশ্ন করে তারা এর যৌক্তিক উত্তর পেয়েছে - লিঙ্গ । দ্রাবিড়রা লিঙ্গ পূজা করতো । মহেঞ্জোদারো হরপ্পায় ছোট আকারের যে অসংখ্য লিঙ্গ পাওয়া গেছে প্রথমে সে লিকে 'খল দাটি' (যা দিয়ে পাথরের বাটিতে কোন কিছু চূর্ন করা হয়) বলে মনে করা হয়েছিল, পরে জানা গেছে এগুলি আসলে কি। আর্য্যরা ভারত দখল করার পর দ্রাবিড়দেরকে লিঙ্গ পূজার জন্য ঠাট্টা করতো । তাদের অত্যাচারে বিতাড়িত হতে তারা উড়িশ্যায় এবং আশে পাশে অসংখ্য লিঙ্গ-মন্দির তৈরী করে । ভারতের অন্য অঞ্চলের দ্রাবিরেরা উপায়ান্তর না দেখে লিঙ্গকে শিবের লিঙ্গ এবং শেষে এর পরিবর্তে শিব কেই দেবতা বলে পূজার প্রচলন করে । পুরীর মন্দিরের তিনটি শিবলিঙ্গ (একটি সাদা) কে অত্যন্ত দ্রুততায় কিছু কাপড় রাংতা আর রঙ দিয়ে মানুষে পরিনিত করা হয়েছে, এটা ভালো করে দেখলেই বোঝা যায় ।
সৃষ্টিকর্তাকে কেঊ দেখেনি, অথচ তার নামে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলে অন্যকে শোষন করা, মানুষ হত্যা করা, জগতে অশান্তি সৃষ্টি করার চেয়ে "মানুষের সৃষ্টিকর্তা লিঙ্গ" এই সহজ সত্য বিশ্বাস করা অনেক ভালো এবং পৃথিবীর পক্ষে মঙ্গলজনক।
তবে লিঙ্গ পুজা অনেক ভাবেই হতে পারে । দ্রাবিড়রা একভাবে পূজা করতো । অনেকে আবার এটিকে দেবতা মনে করে অন্য ভাবে এটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে এর পূজা করে থাকে । অনেক সময় এটির বহুল ব্যবহার করার জন্য এই কাজের সহায়ক বিবাহ প্রথা প্রচলন করা হয়। তবে দ্রাবিড়রা অশিক্ষিত ছিল বলে গোপনে কোন কিছু করার কথা ভাবে নি ।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৮
কল্লোল পথিক বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
বিজন শররমা বলেছেন: লিঙ্গ পুজা অনেক ভাবেই হতে পারে । দ্রাবিড়রা একভাবে পূজা করতো । অনেকে আবার এটিকে দেবতা মনে করে অন্য ভাবে এটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে এর পূজা করে থাকে । অনেক সময় এটির বহুল ব্যবহার করার জন্য এই কাজের সহায়ক বিবাহ প্রথা প্রচলন করা হয়। তবে দ্রাবিড়রা অশিক্ষিত ছিল বলে চতুরতার মাধ্যমে কোন কিছু করার কথা ভাবে নি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: এল ও এল