![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেট থেকে দিরাইর একটি বহমান নদী, আব্দুল করিমের কালনী।
নিশাদ ফোনে কথা বলছে তার ভালোবাসার মানুষের সাথে। তাকে সে ম্যাম সাহেবা ভাবে।ম্যাম সাহেবা সারাদিন খোভ ব্যাস্ত ছিলেন, তার দোলাভাই হসপিটালাইজড দুপুরে থাকে দেখতে গিয়েছিল। মায়েরও ডায়বেটিক পরীক্ষা করা হয়েছে কালকে রেজাল্ট পাওয়া যাবে। কথা বলার ফাঁকে নিশাদ শোনতে পেল ম্যাম সাহেবার কাজের ছেলে ছোট্র তানজিম গেছে পাশের দোকানে দুধ কিনতে। কথার মাজেই সে ফিরে এলো ১০ টাকার পোড়ানো ছিড়া একটা নোট নিয়ে,যা দেখে ম্যাম সাহেবার মন যারপরনাই খারাপ হলো ফলে ‘একঝাক বকুনি। নিশাদ জিঙ্গেস করলো কেন রুড় এই আচরনটা ছোট মানুষটার সাথে? সে প্রায় দোকানে ২৯ টাকা রিচার্জ দিয়ে একটাকা দোকানি কে দিয়ে আসে। আচ্ছা, নিশাদভাবে তাকে বলবে আসলে দোকনিই তা রেখে দেয় যা ছেলেটি হয়তো বলে না, কিন্তু হঠাৎ মেহমান আসাতে তাদের কথায় ছোট্র একটি বাধা আসে। নিশাদ ফোনটা রাখে না কথাগুলো শোনতে থাকে,এমন সময় সাধারনত ও ফোন কেটে দেয়। ম্যাম সাহেবার বান্ধবী এসেছেন,সম্ভবত খালাতো ভোন টাইপের কেউ হবে হয়তো।তাদের এই আকস্মিক সাক্ষাতে দুজনার মাজেই উচ্ছাসের ভাব কথায় বুজা যায়।ফোনটা না কেটে ছোট একটা কথা বলে রাখতে নিশাদ সিদ্বান্ত নেয়। ম্যাম সাহেবা বুদ্ধি করে আলাপনের ফাকে বিদায় নিতে এলে সে বললো,তুমি বান্ধবির সাথে সুন্দর করে কথা বলছো কিন্তু ছোট্র ছেলেটাকে আঘাত দিয়ে কথা বললে তাই একটি কথা বলে রাখার জন্য এত সময় হোল্ডে ছিলাম। ম্যাম সাহেবা খোভ লজ্জিত হয়ে তাকে কথাটি বলার পূর্বেই থামিয়ে দিলো, সে অনুরুধ করলো লাইনে থাকতে তানজিমকে সে আদর করবে এবং নিশাদকে তা শোনতে হবে। নিশাদ লাইনটি কেটে দিলো।
উপড়ের এই আলোচনাটা খোভই স্বাভাবিক। নিশাদই তা সাধারন করে রেখেছে। ইদানিং তার দুশ্চিন্তা হয়‘সে পাগল হয়ে গেছে,সত্যি বলতে কি সে ম্যাম সাহেবাকে বলতে চাইছিলো তার বান্ধবিকে জিঙ্গেস করতে সে আন্ডারসেভ করছে কিনা। হয়তো ম্যাম সাহেবা তার বান্ধবিকে এই জগন্য কথাটি জিঙ্গেস করতে পারবে না কখনো কিন্তু মেসেজটা যতক্ষন তার বান্ধবি থাকবে তার মনে ঘুরতে থাকবে,ব্যাপারটা মোটেই স্বাভাবিক নয়। নিশাদ হাতের জ্বলন্ত সিগারেটের দিকে তাকিয়ে সেই মুহুর্তেই কথাটি বলতে চেয়েছিলো যা হয়তো আর কখনো বলতে পারবে না। না বলা অনেক কথাই থেকে যায়। নিশাদের হঠাৎ করেই মনে পড়লো তানজিম নামটি তারও বড় অপছন্দের। এক সময় এই নামটাকে সে খোভ ঘৃণা করত। ম্যাম সাহেবার বাড়ির গেটের সামনে ছোট্র তানজিমকে সে সাইকেল তোলতে সামান্য সাহায্য করেছিলো, সেই মুহুর্তে ছেলেটা ছোট্র একটি হাসি দেয়। নিশাদের ভালো লাগে। বয়স ২৭ হলেও সে যেন সেই ছোট্রটি রয়ে গেছে। প্রতিটা ছোট্র শিশুদের প্রতি এই ভালোবাসা সে প্রায়ই উপলদ্ধি করে, বিশেষত গরীব পথশিশু ও টোকইদের প্রতি। একটা শূন্যতা ও দুর্বলতা বুকের ভীতরে কষ্ঠ তেরি করতে বেশ একটা সময় নেয় না। জীবনটা মনে হয় যুদ্ধক্ষেত্র যাতে ধনী আর গরীব প্রতিপক্য।
নিশাদের বাল্যকালের ঘনিষ্ট বন্ধু সজীব। সজীবের মাথায় চমৎকার সব অদ্ভুত চিন্তা খেলে। যেমন,একদিন তার মনে হলো জিন্দাবাজার ওয়েষ্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটিতে একটি ডিভিডির দোকান দিলে ভালো ব্যবসা হবে। দোকানের নামটি শুধু পি,এস আই লাভ ইউ হতে হবে।উদ্ভোদনের দিন থেকে পত্যেক সেল-এ পিএস আইলাভ ইউ‘র একটি ডিভিডি মাষ্টার কপি ফ্রি দিলে আরো ভালো হয়।নিশাদ জিঙ্গেস করেছিল কিরে ছবিটা কি তোর প্রিয়? আরে না এখনওতো ছবিটা দেখা হয় নি। তবে রেংকিং দেখে সহজে আন্দাজ করা যায় যে ছবিটা খোভ একটা খারাপ হবে না।এই ছিল সজীবের উত্তর।
হুমম, নিশাদ আনমনে ভাবতে থাকে। একটি সস্তা দামের হোটেলে দুজন চা খেয়ে গল্প করছে। আনমনে নিশাদ সজীবকে নিয়েই ভাবছে।হঠাৎ করে ওর কি হলো! ছেলেটাতো শান্তশিষ্ঠই ছিলো যাকে বলে একেবারে লেজবিশিষ্ট। উহু, সে মোটিই বিড়ালের মতন ছিলো না বলা যায় লেজবিশিষ্ট সিংহ, এখন যে খোব একটা পাল্টেছে এমন না তবে, যাই হোক না কেন সজীব সবার মধ্যে আলাদা ছিলো হয়তো এই কারনেই তার বর্তমান অবস্থাটা এমন দাড়িয়েছে। একটা ছবিতে শোনেছে সে, পৃথবীতে সব কিছুর পিছনে একটা কারন থাকে হয়তো তার পেছনেও একটা কারন আছে।বিষয়টা সময় করে একবার সজীবের কাছ থেকেই জানতে হবে। জানার অবশ্য পূর্ব চেষ্ঠার কমতি নেই কিন্তু সজীব তা কিছুতেই বলবে না। নিজের এতো সমস্যা এর মধ্যে তারটা নিয়ে এতো ভাববার সময় কি আমার আছে?
কিরে এতো গম্ভীর হয়ে তানিয়াকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে নাকি? সজীব হঠাৎ প্রশ্ন করলো। হুমম তাই, নিশাদ কথাটার পাশকেটে গেলো।আচ্ছা গ্রামিনফোনে এখন টাকা না থাকলেও কি পে ফর মি কল হয়? সজীব বললো, আমারতো জানার কথা নয় তবে শোনছি গত কয়েকদিন দরে এমনটি হচ্ছে। বলিছ কি দুস্ত নিশাদ আহ্লাদের সুরে বললো, দেখ জিপি মামারা নতুন সিস্টেম করে, কালকে থেকে তানিয়া আমাকে পে কল দিচ্ছে এদিকে আমি যে কল ব্যাক করবো তারও উপায় নেই। হা হা সজীব হেসে বললো ভালোইত কোম্পানি নতুন কায়দা বের করবে আর তুই পে করবি যদি টাকা দিয়ে না পারো তাহলে সমস্যাগ্রস্থ হয়েও সহি। আসলে আমার মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার একশ একটা কারন আছে।টিকই বলছিস এই কারনে হয়তো এক সপ্তাহ আমাদের কথা বলা বন্ধ থাকবে। এই যে সন্দেহ।
জানিস বন্ধু ? সজীব বললো, ছোট্র মানহা আব্বু আম্মুকেই তার পৃথিবীভাবে আর আব্বু কাজ থেকে ফিরে এসে আম্মুকে জড়িয়ে দরে তাকে বলবে ঘুড়তে বের হতে, তৈরি হতে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে সে শুধু আব্বুকে নিয়ে, তার আব্বুটা না ‘তার মার ভালোবাসার মানুষ।একজন ছোট্র বালিকার চোখে সপ্নটা তার এই দুজনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ১০ মাস ২২ দিনের সন্তানের স্বপ্ন এমনটিই হবার কথা তাই না ? নিশাদ হঠাৎ কার প্রশ্নে আকস্মিকথায় চটজলদি বলে ফেলে, তাই হবে। মেয়েটা কেরে? সজীব পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বেড় করে একটি গোল্ড লিফ দড়ালো। তুই নিজেকে ইদানিং পাগল ভাবছিস, এমনটা আমার মনে হয়। সত্যি কি তাই রে ? নিশাদ হতভম্ভ হয়ে যায়, মনেতে ভাবে সত্যিতো তাই মাযে মধ্যে মনে হয়, তাই বলে কি তাই? আসলে সালা সজিব গেছে! গাাঁজা ওর মাথা খাইছে। সত্যি বলতে কি খোব বেশি দিন হয় নি ব্ন্ধুটা আমার কেমন হয়ে গেছে। উত্তর না দিয়ে থাকিয়ে দেখি সজীব গোল্ডলিফের কঠিন নিকোটিন প্রাণভরে হরন করছে। আচ্ছা মানহা শব্দটির অর্থ কি হতে পারে? সজীব আসক করলো। মনের বাসনা যা প্রবিত্র পাওয়াতে হয়তো হবে রে। he ash the cigarette and than say' তহ পাইলে সোঁনা মনোভাইয়ো। More like vanchu kanchan ! তুমি যাকে বলো সোনা, আমি বলি মানহা।বন্ধু তোরে তানিয়া ভিষন ভালোবাসে। একটা দারুয়ানের অদ্ভুত গল্প শোনবি? আচ্ছা বল। গল্পটা ছোটরে অন্জন দত্তের গান থেকে ছোট করে বলছি। একটু ভালো করে বাচবে বলে, আর একটু বেশি রোজগার।ছাড়লো ঘড় তার,ছাড়লো ভালোবাসা আর তার নীলছে পাহাড়। পারলোনা কিছুতেই বিদেশমাথা তাকে ভুলিয়ে দিতে, পাহাড়ি রাস্তার দাড়ের বস্তির তার কান্চনকে। সোনার খোজে কেউ কত দূর দেশে যায় সে বিদেশমাথায়, সোনার সপ্ন খোজে ফিরে একা একা সে ধর্মতলায়। রাত্তির নেমে এলে তিনশ বছরের সিমেন্টের জঙ্গলে, ফিরে চলে যায় তখন সে পাহাড়ি বস্তির কান্চনের কাছে। জংদরা রংচটা পার্কের বেন্চিটা তার বিচানা, কখন যে তুলে নিয়েছিলো পুলিশ তাকে থানায়। তিসমাস জেলখেটে এখন সে সেই থানার দাড়োয়ান। পারবে না ফিরে পেতে হয়তো কোনদিন তার সেই কান্চনকে। তার মিনতিটা এমনি ছিল হুবহু যে, বেড়াতে যদি তুমি যাও কোনদিন আমার কেলিংকন, মনে রেখ শংকর হোটেল এ্রর ভাড়া টোরিস্ট লজিং থেকে কম। রাত্তির নেমে এলে আসবে তোমার ঘরে চুল্লিটা জ্বালিয়ে দিতে। আর কেউ নয় সে যে আমার ফেলে আসা নীলচে পাহাড়ের মেয়ে, বলনো থাকে আমি দড়োয়ান শুধু বলো করছি ভালোই রুজগাড়।ঐ বস্তির ড্রাইভার চিগমির সাথে যেন বেধে না ফেলে সংসার! আর কিছু টাকা আমি জমাতে পারলে যাব যাব ফিরে। পাহাড়ি রাস্তার, দাড়ের বস্তির আমার নিজের ঘরে। আর যদি দেখ তার কপালে সিঁদুর, বলনা কিছুই তাকে আর। শুধু এই সত্তর টাকা তুমি যদি পার গুজে দিও হাতে তার, ট্রেনের টিকিটের ভাড়াটা সে দিয়েছিল কানের মাকড়ি বেচে। ভালোবাসার সেই দাম তুমি দিয়ে দিও আমার কান্চন কে।
বাহ! গানের কথাগুলো ভয়াবহ বাস্তবিক মিষ্ঠিতো। নিশাদের মনে একটা সুখের অনুভুতি হলো। আসলে সজীব তার ভালো বন্ধু তা মাযে মধ্যে ভাবতেই ভালো লাগে।
‘সজীবের তাঁনপুরা‘
আজকে তার আম্মুর শরীল ভালো নেই। আব্বু ও ভাবি তাকে নিয়ে গেছেন মেডিকেল। এই সময়টা তার বিষন অসহায়ভাবে কাঠতে থাকে। সে মাকে ভিষন ভালোবাসে, প্রায়ভাবে মা বাপ ছাড়া মানুষ বাচেঁ কি করে? বিশেষ করে মা। আস্তে আস্তে তার চিন্তাশক্তি লোপ পেতে থাকে। বিধাতার কাছে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। ছেলে হিসেবে এতদম সে ভালো নয়। নিজেকে কোন এক্সকিউজ সে দিতে পারছে না। বড় অভিসপ্ত মনে হয় তার নিজেকে। তার চোখে জ্বল জমতে থাকে। জানালার পর্দা টেনে দরজা বন্ধ করে, কান্নার প্রস্তুতি।তিনিতো শুধু অসুস্থ্য হইছেন তাই না আল্লাহ? আমান সুখ পাখি!আমার মা প্লিজ আল্লাহ। তুমি যা চাও তাই আমার সাথে করো শুধু আম্মাকে আরো কিছুদিন, প্লিজ। সে আল্লার কাছে প্রর্থনা করে মন থেকে। বিধাতা কি তার প্রর্থনা শুনেন? সে মনে করে তিনি শুনেন তার আম্মুর নিশ্চয় কিছু হবে না। জগতটা সাধনার জায়গা, নিশ্চয় এতটা নিঠুর আল্লাহ নয়। চোখ লাল হয়ে যায়,পড়নে টি শার্টটা ভিজতে থাকে। শ্যাম বালিকার বাবা আসে, তিরস্কার করেন। ম্যাম সাহেবের বাবাও আসে তিরস্কার করেন। অনুর আব্বু আম্মু আসেন। চোখ মুচে সে, নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে আর কুরআনশরীফ। পড়লে নিশ্চয় আম্মু ভিষন খুশি হবেন। সে ভালো হবে, নিজে থেকেই। কাউকে প্রয়োজন নাই, ইচ্ছাশক্তিটা প্রবল আকারে বাড়ছে। সে তো মনে প্রাণে ধার্মীক শুধু বাহিরটা কেমন যেন। সবাই নাস্তিক ভেবে ভুল করে,ব্যাপারটা সে মনে মনে উপভোগই করে বটে। সাধনার বেড়াজালে ব্যাঙের মতন লাফালাফি। আচ্ছা এখন তার করনীয় কি? আম্মুর জন্য কোন নীয়ম-কানুন মানা চলে না। তার উচিত গোসল করে নাস্তীক সেজে ঘোপনে নামাজ পড়ে আম্মুকে দেখতে যাবে। একদমই সময় নষ্ঠ করা যাবে না। আজকে মানুষ হতে ইচ্ছে করছে,পিতামাথার বাধ্য সন্তান।
'নিশাদের ইউনিকোড‘
উড়ে এসে জুড়ে বসে এক সুখপাখি, সুখপাখি গান গায় কেউ শোন নাকি? কার গান, কোন গান ? তুমি কিছু জানো? জানো যদি তবে কেনো এতো কাছে টানো? আজ নিশাদের মন ভালো নেই। গোসল করে বেড় হয়েছে আসরের নামাজ পড়বে দরগাহ মসজিদে, তাই আপাত নির্দষ্ট গতিপথ। মন খারাপের সময় গুনগুনিয়ে বেসুরা সুরে গান দরে সে, কাগজের নেীকা কেউ বানিয়েছে তা, চুপচাপ ভাসিয়েছে জলে। রেলগাড়ি জমাজম কেউ বেশি কেউ কম নিজেস্য কথাটুকু বলে। রাস্তাথে পুলিশ টহল দিচ্ছে‘দেশের পরিস্থিতি থমতমে চারিদিকে দরাদরি চলছে। প্রত্যেক মানুষের কি নিজেস্য গোপনীয়তা থাকে? চলছে মনোভাবনা। মানুষরা সেইসব সিক্রেট তার কাছেই উন্মোচন করে যার কাছে সে নিজেই একটা সিক্রেট যা চাইলেই শ্রুতা কাউকে বলতে পারবে না। অভাবই বাস্তবতা যা চরমপত্র, পরিস্তিটা এমনি ছিল কেউ শিকার হয়েচে এই তো তাই। সজীবের নাটকটা দৃশ্যত অদ্ভুত মনে হলেও সে কিন্তু মোটেও অস্বাভাবিক নয়। সত্য করে স্বীকার করলে তো তাই,আমরা এডিক্টরা বড়ো স্বার্থপর,নিজের সুখটাকেই সবার উপরে রাখি। যদিও চাওয়াটা সীমিত ও নিষ্পাপ। তফাৎটা শুধু মাঝেমধ্যে চেহারার মুখোশ উন্মোচন করে আসল চেহারা নিয়ে চারিদিকে ঘুরেফিরি। সবাইকে একটি নীয়মের ভিতরে থাকতে হয় সেটা ভুলে গিয়ে গল্পটা শুরু হয় বিরক্তি নিয়ে আর শেষটা থেকে যায় অসমাপ্ত। হঠাৎ নিশাদ রাস্তার পাশে বড় একটি এলসিডিতে ডিজিটাল পদ্বতিথে একটি লেখা দেখতে পেল, সাথে একটি কিবোর্ডে লেখাটি ইংরাজিতে ‘হোয়াট উড ইউ লাইক টু ডু বিফোর ডাই?'
আজ চৌটা জানুয়ারি শ্যাম বালিকা, মালিহা ও তার বাবাকে নিয়ে ঘুড়তে বেড় হয়েছে, আজ মানহার প্রথম জন্মদিন। রাস্তার সেই সাইন বোর্ডটার পাশদিয়ে একটি ইডি কার দিয়ে যাওয়ার সময় শ্যামা ‘স্বামীর চোখে অকৃত্রিম ভালোবাসায় ডুবেছিল, বোর্ডটি অগোচরে থেকে যায়। ডিজিটাল বোর্ডটাতে উইসের সংখ্যা বাড়তে থাকে নিশাদ সেখানে লিখেছিল, একদিন ছোট্র মানহাকে নিয়ে ঘুঁড়তে বের হবো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১
কালনী নদী বলেছেন: আমি পিসিতে বিজয় ইউনিকোড দিয়ে উইন্ডোজ টেন থেকে এখানে কপি করার পর ফন্টে কিছু সমস্যা হচ্ছিলো আর অশুদ্ধ লিখার জন্য আমি সত্যি আন্তরিকভাবে দু:খিত , সেজন্য আরো বেশি করে বাংলা পড়ছি ভাইয়া। আমার ভুলগুলো সুন্দর করে দরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কোন ভাষায় গল্প লিখেছেন ভাই? বাংলা বানান এমন!