নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আ মরি বাংলা ভাষা

এইসব ভালো লাগে...

যুধিষ্ঠির

অবশেষে বেকারত্ব ঘুচালাম! লেখালেখি করা না হলেও ব্লগ পড়তে ভালোই লাগে ব্লগে প্রকাশিত সব লেখা অনুমতি ব্যতীত কপি মারা যাবে!!!

যুধিষ্ঠির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালির বিদেশ ভ্রমণ প্রস্তুতি

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৫

ছোট বোনাই বিদেশে যাচ্ছে। ছোট বোন আমাকে বললো লিংক দাও কি কি নিতে হবে। আমি খুঁজলাম। আপা খুঁজলো। পেলাম না বাংলায় লেখা দরকারী তথ্য। তাই এই ব্লগ। কারো সামান্য উপকারে আসলে খুশি হবো।

তবে এটা সম্পূর্ণই আমার অভিজ্ঞতার আলোকে। কেউ কোন কিছু সংযুক্ত করতে চাইলে স্বাগতম।

প্রথমে যে কোন দেশে যাওয়ার পূর্বে সেই দেশের মুদ্রা সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণা থাকা উচিৎ। যেমন পোলিশ মুদ্রা জুয়লটি। তবে ইউরোতে কাজ চললে সে খবর নিয়ে রাখা উচিত। কিছু ঐদেশীয় টাকা আর সব রকম কয়েন কিছু সংগ্রহ করে রাখুন। এয়ারপোর্টে পৌঁছে কাউকে ফোন দিতে হলে হেনস্তা হতে হবে না। বোর্ডিং পাস, ভিসা, পাসপোর্ট, ন্যাশনাল আইডি কাছে রাখবেন পুরা ভ্রমণে।লাগেজ বাইচান্স মিসিং হতেই পারে তাই ভুলেও একই যাত্রার বোর্ডিং পাস ফাইনাল গন্তব্যে পৌছার পূর্বে ফেলে দেবেন না।

দ্বিতীয় পর্ব হলো কেনাকাটার। খেয়াল রাখতে হবে কোন দেশে যাচ্ছেন এবং তা আসলে কতটা শীতপ্রধান বা গ্রীষ্মপ্রধান। ধরে নিলাম শীতের দেশেই যাচ্ছেন। তাহলে লাগবে এট লিস্ট দুইটা ভালো জ্যাকেট। এই জিনিস দেশের থেকে বিদেশেই ভালো কিনতে পারবেন। এবং বিদেশে বসে কাজ চালানোর মত একটা কিনতে অন্তত আমেরিকার হিসেবে দামের তফাৎ নেই বললেই চলে। তাই দেশ থেকে একটা ভালো দেখে কেনাই আপাতত বুদ্ধিমানের কাজ। বঙ্গবাজারেই পাবেন এবং তা নর্থ আমেরিকার শীতে ভালোই কাজ করে। আমার ক্ষেত্রে ২০১১ তে ৩২০০ টাকা নিয়েছিলো। লিস্ট আকারে বাকীগুলা দিচ্ছি। খেয়াল রাখতে হবে আমি মোটামুটি দুই বছরের জন্য যারা বাইরে আসছেন তাদের এস্টিমেট (আসলে আমার) অনুযায়ী পরিমান বলছি। অন্যরা সেভাবে ঐকিক নিয়মে হিসেব মিলিয়ে নিতে পারবেন।

১) দেশে যে ভালো শার্ট পাবেন তা বিদেশে পাবেন না। তাই ট্রেনিং এ বা চাকরীতে গেলে নিজের চাহিদা মত ৩/৪ টা নিয়ে নিন। সমান পরিমান প্যান্ট ও নেবেন।

২) ২ জোড়া ইনার নিতে পারেন। বঙ্গবাজারে পাবেন। তবে মাথায় রাখবেন বিদেশে সব রুমের টেম্প প্রায় ৭৫ ফারেনহাইটে থাকে। আর যেহেতু আপনি বেশিরভাগ সময়ি থাকবেন রুমের ভেতরে তাই ইনার পরলে বিপদে পড়বেন। আমার পরামর্শ প্রথমে টি শার্ট/স্যান্ডো+শার্ট+সোয়েটার+জ্যাকেট। এতে গরম অনুযায়ী খুলতে সুবিধা। পায়ে শীত মোজা, হাফ প্যান্ট/পাজামা+জিন্স অথবা ইনার+জিন্স।

৩) জিন্স ১০ টা।

৪) ১০/১৫ টা টিশার্ট মাস্ট (শাহবাগের আজিজে যেতে পারেন)

৫) ৭/৮ টা পাজামা, লুঙ্গি পরলে ২/৩ টা নেবেন আর কাপড় পাল্টাতে হলে একটাই এনাফ।

৬) ৭/৮ টা আণ্ডারওয়্যার, ৭ জোড়া মোজা, ৩ জোড়া শীত মোজা, গ্লাভস ১ জোড়া ই এনাফ। আরেক জোড়া লেদারের কিনবেন। কানটুপি সেভাবে লাগে না। একটা হুডিওয়ালা জ্যাকেট কিনলেই এনাফ। তারপরো ১ টা নিতে পারেন।

৭) মাফলার মাস্ট। প্রচন্ড শীতে মাফলারের চে ভালো কিছু নেই। রুমাল না নিলেও চলে। কারণ টিস্যু/পেপার ন্যাপকিন পানির চে সহজলভ্য ওয়াশরুমগুলোতে ও প্রচুর পরিমাণে থাকে সর্বত্রই। ও ভালো কথা! পানি ছাড়াই শৌচকার্য অভ্যাস করে নিন ;)

৮) ১ টা ফুল আর ১টা হাফ সোয়েটার

৯) দেশি কলম রাখুন সাথে। বাইরের কলম আমার বিগ টাইম সাক মনে হয়েছে, একটা স্ক্রাচপ্যাড, পেন্সিল আর শার্প্নার। এগুলা হাতের কাছে রাখবেন। অন ফ্লাইট ফর্ম পূরণ করতে হতে পারে।

১০) বিদেশে দেশের রান্না মিস করবেন। তাই হলুদ, মরিচ, ধনে আর জিরে গুড়া সাথে গরম মসলার গুড়া নিয়ে নেবেন অন্তত ৬ মাসের। পারলে ডিম ভাজা, আলু ভাজা আর গোশ্তের আইটেম শিখে যেতে পারেন। এটা অবশ্য ঐচ্ছিক।

১১) টুথব্রাশ, টূথপেস্ট, শেভিং ক্রিম, লোশন ইত্যাদি নেবেন। চুল কাটার ট্রিমার আপনি গিয়ে কেনাই ভালো। দেশের মতই দাম আবার সুইচ পোর্টের ঝামেলাও থাকবে না।

১২) বেল্ট লাগলে দেশ থেকে নিয়ে যান। রাফ আর অকেশনাল ১ টা করে। একটা কমপ্লিট স্যুট নিন আর সাথে ম্যাচিং টাই। ডিফেন্সের দিন/ জবে কাজে দিবে।

১৩) ল্যাপটপ আগেই কেনা থাকলে দেশ থেকে নেয়াই ভালো। ঐ দেশের চার্জিং পোর্ট কেমন জেনে নিন। আপনার ল্যাপটপের সাথে না মিললে কনভার্টার লাগবে। বেশি দাম না ১৩/১৪ ডলারের মত। মোবাইল স্মার্টফোন হলে বিদেশে গিয়ে সিম নিয়ে নিলেই হলো।

১৪) চার্জার আর হেডফোন নিয়ে নিন দেশ থেকেই। এগুলার বাইরে হাউকাউ দাম।

১৫) কানা হইলে ৩/৪ জোড়া এক্সট্রা চশমা রাখুন। একটা সর্বদাই কাছে থাকুক।

১৬) কাপলদের জন্য প্রেশার কুকার মাস্ট। বাইরে দাম অকারণ বেশি।

মোটামুটি এগুলো হলেই বিদেশে ইনিশিয়াল সার্ভাইভাল পিরিয়ড পার করে ফেলতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

১৭) কেডস বাইরে থেকে কেনাই ভালো। সু দেশ থেকে মাস্ট! চপ্পলের জুতা ফর ওয়াশরুম।

১৮) দরকারী কিছু ওষুধ যেমন স্যালাইন, নাপা এক্সট্রা ইত্যাদি। ব্লগার সুফিয়াপুর সাজেশানঃ নিয়মিত ব্যবহার করছেন এমন কোন ওষুধ এর বেলায় প্রেসক্রিপশান তো নিবেনই। এর একটা ফটোকপি অবশ্যই হাতব্যাগে সাথে রাখা প্রয়োজন। কোন ওষুধ কোন দেশে ব্যান্ড তা তো বলা যায় না। ইমিগ্রেশনে এ নিয়ে সমস্যা করে মাঝে মধ্যে। তাই বলছি।



এছাড়াও ইউরোপ ভ্রমণের জন্য বিশেষ করে জার্মানী ও তার আশেপাশের দেশগুলোর জন্য নিচের পোষ্টটি দেখতে পারেন।

জার্মানিতে আসার সময় কি কি জিনিস সাথে করে নিয়ে আসবেন ?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:১২

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ দরকারী একটা লেখা দেবার জন্য । জার্মানি বা তার আশে পাশের ইউরোপের দেশে আসার সময় কি কি জিনিস সাথে করে নিয়ে আসতে হবে তার জন্য দেখতে পারেন এই লেখাটি- জার্মানিতে আসার সময় কি কি জিনিস সাথে করে নিয়ে আসবেন ? -http://www.germanprobashe.com/archives/2968

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫২

যুধিষ্ঠির বলেছেন: দারুন পোস্ট

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০১

আরমিন বলেছেন: সবচেয়ে দরকারী জিনিসটাইতো বাদ পড়লো, ওষুধ নিতে হবে না?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫২

যুধিষ্ঠির বলেছেন: জ্বি এড করছি

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: কাজের পোষ্ট।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

সুফিয়া বলেছেন: নিয়মিত ব্যবহার করছেন এমন কোন ওষুধ এর বেলায় প্রেসক্রিপশান তো নিবেনই। এর একটা ফটোকপি অবশ্যই হাতব্যাগে সাথে রাখা প্রয়োজন। কোন ওষুধ কোন দেশে ব্যান্ড তা তো বলা যায় না। ইমিগ্রেশনে এ নিয়ে সমস্যা করে মাঝে মধ্যে। তাই বলছি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

যুধিষ্ঠির বলেছেন: এড করে দিচ্ছি হুবহু

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:

দরকারী লেখা। বিদেশ গেলে কাজে লাগবে

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১০

যুধিষ্ঠির বলেছেন: উপকারে আসলে ভাল্লাগবে ঠাকুরনানা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.