![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভাপতি, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি
কোরআন কি আল্লাহর বাণী? অনেক ভক্ত মুসলিমরা বলেন, অলৌকিকতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ 'কোরআন'। কারণ কোরআন আল্লাহর বাণী।
একটু খোলা মনে বিষয়টাকে নিয়ে আলোচনা করি। কোরআন-এ বলা হয়েছে, "আল্লাহ-ই আসমান ও জমিনের আদি স্রষ্টা। যখন তিনি কোনও কিছু করতে ইচ্ছা করেন তখন শুধু বলেন- 'হও', অমনি তা হয়ে যায়।" সূরা ও আয়াতের ক্রমিক সংখ্যা ২:১১৭, ৩:৪৭, ১৯:৩৫।
পৃথিবী সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সঙ্গে কোরআন-এর দেওয়া ব্যাখ্যার কোনও মিল নেই। বরং বলতে পারি- কোরান-এর ব্যাখ্যা বিজ্ঞান বিরোধী।
আবার কোরআন-এর সূরা ও আয়াত ৫০:৩৮-এ বলা হয়েছে, "আমি আসমান ও জমিন এবং মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি।" এখানে 'আমি' মানে আল্লাহ।
কোরআনে একবার আল্লাহর বক্তব্য হিসাবে বলা হচ্ছে, 'হও' বললেই সৃষ্টি হয়ে যায়। তবে আসমান, জমিন ও মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করতে ছয় দিন কেন লাগল? এ তো কোরআন-এর স্ববিরোধীতা, আল্লাহর স্ববিরোধীতা।
কোরআনের ৪১ নম্বর সূরার ৯ থেকে ১২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ দু-দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। তারপর চারদিনে খাদ্যের ব্যবস্থা করলেন। তারপরের দু-দিনে আকাশকে গ্রহ-নক্ষত্রে সাজালেন।
কোরআন-এর এই বক্তব্য অনুসারে আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর নক্ষত্রর সৃষ্টি।
এমন বিজ্ঞানবিরোধী উদ্ভট তত্ত্ব কোনও সুস্থমস্তিষ্কের শিক্ষিতের পক্ষে মানা অসম্ভব।
কোরআন কি আল্লাহর বাণী? ---এ প্রসঙ্গে বলি, কোরআনের বাণীতে অনেক জায়গায় সূর্য, চন্দ্র, দিন, রাত্রি, নক্ষত্র, পর্বত ইত্যাদির নামে শপথ করে আল্লাহ নিজের বাণীকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চেয়েছেন। সূরা ও আয়াতের ক্রমিক সংখ্যা ৩৭:১, ৪৩:২, ৫১:১, ৮৯:১, ৯২:১, ১০০:১।
যিনি সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা, প্রাণীকুলের স্রষ্টা ও নিয়ন্তা, তাঁকে কেন নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের জন্য শপথ নিতে হবে? তাও শপথ নিতে হচ্ছে তারই সৃষ্ট-বস্তুর নামে? শপথ করা হয় শ্রেষ্ঠতর কিছুর নামে। এমন উল্টাপুরাণ প্রমাণ করে কোরআন কখনই আল্লাহর বাণী নয়। কোনও মানুষই নিজের সৃষ্ট ধর্ম প্রচারের জন্য এমনটা প্রচার করেছিলেন।
পৃথিবীতে ৫৫টি মুসলিম শাসিত রাষ্ট্র আছে। এদের কোনওটাই ধর্মনিরপেক্ষ নয়। গোটা চারেক রাষ্ট্র ছাড়া আর কোনও মুসলিম শাসিত রাষ্ট্রে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না।
কোরআন অনুসারে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে প্রেম কখনওই সম্ভব নয়। কোরানের সূরা ও আয়াতের ক্রমিক সংখ্যা ২:১৯৩, ৯:৫, ২৯:৭৩ অনুসারে পৃথিবীর সব মানুষকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়েছে 'মুসলমান' এবং 'অমুসলমান'। এবং আরও বলা হয়েছে, অমুসলমানরা যতদিন না ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ততদিন তাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। তাদের সম্পদ লুঠ করতে হবে, হত্যা করতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, এই যুদ্ধে কোনও মুসলিম শহিদ হলে সে শহিদ হওয়ার পরই বেহেশ্ত অর্থাৎ স্বর্গে যাবে। কেয়ামতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সেখানে সর্বোত্তম খাবার, মদ ও অসাধারণ সুন্দরী কুমারী যুবতী ও সমকামিতার জন্য সুন্দর কিশোর থাকবে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, লোভ দেখিয়ে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে কোরআন।
লুঠের মালকে ভোগ করার অধিকার কোরআন দিয়েছে জিহাদি লুটেরাদের। (কোরান ৮:৬৯) কোরাআন-এর ২৩:৫, ৬-তে বলা হয়েছে বন্দি রমণীদের সঙ্গে অবাধে যখন ইচ্ছে সঙ্গম করা যাবে।
এমন একটা হিংসার গ্রন্থকে ধর্মগ্রন্থ বলা যায় কি? মানুষের পক্ষে কল্যাণকর বলা যায় কি?
কেউ মুক্তমনে কোরআন পড়লে নিজের যুক্তিতেই কোরআনের স্ববিরোধীতা, হিংসার রাজনীতি, বিজ্ঞান বিরোধিতা- সবই বুঝতে পারবে। তবে সত্যকে জানতে হলে বিজ্ঞানকেও অবশ্যই জানতে হবে। কারণ বিজ্ঞান ও যুক্তিই সত্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারে।
হিন্দু ধর্মে যা 'আত্মা', তার আরবি প্রতিশব্দ 'রুহ'। হিন্দুধর্মে পরমাত্মা বা ব্রহ্মের সঙ্গে আত্মার মিলনের মধ্য দিয়ে মুক্তির কথা বলা হয়েছে। খ্রিস্ট ধর্মে গভীর বিশ্বাসীরা 'Salvation of soul'-এ বিশ্বাস করে। তারা মনে করে এভাবে মুক্তি লাভের পর God-এর সঙ্গে অনাবিল সুখের অবস্থায় থাকবে। ইসলাম ধর্মে আল্লাহর সঙ্গে রুহের মিলনের কোনও চিহ্ন কোরআনে নেই। এখানেই কোরানের সীমাবদ্ধতা।
কোরআন লিখে ১:২ বা ৯:৬ লিখলে বুঝতে হবে 'কোলন' ( : ) চিহ্নের আগের সংখ্যাটি হল সূরার সংখ্যা এবং কোলন ( : ) চিহ্নিত পরের সংখ্যাটি হল সূরার আয়াতের ক্রমিক সংখ্যা)।
ইসলাম নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে গোলটেবিলে সাফ জবাব বইতে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮
যুক্তিবাদী্ প্রবীর ঘোষ বলেছেন: ভাই আপনি আমার বই খুব কম পড়েন বা পড়েন-ই-নি, এটা বুঝলাম। নাহলে এমন বোকা বোকা গাঁজাখুরি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তুলতেন না। আমি গোটা পঞ্চাশেকের ওপর বই লিখেছি। তাতে হিন্দু ধর্ম নিয়ে এত বেশি সমালোচনা করেছি যা মুসলিম ধর্ম নিয়ে করিই-নি। আপনি এত অসহিষ্ণু কেন? আর একটা কথা বলি আমি কিন্তু হিন্দুও নই, মুসলিমও নই। আমি একজন মানবতাবাদী। অতএব অসাধু সাবধান।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
আবু আবদুর রহমান বলেছেন: নিজে না বুঝে তাহার দোষ আল্লাহর বানীর উপর ছেড়েছেন ? এমন দুষমনী মূলক লেখার লেখার কারণ কি ?
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
আবু আবদুর রহমান বলেছেন: পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর বানী এতে একটু ও সন্দেহ নেই । কোন মানুষের পক্ষে কি এমন কিতাব লিখা সম্ভব ! কুরআন চ্যালেন্জ দিচ্ছে যদি মহান আল্লাহ বানী হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ হয় তবে অনুরূপ একটা সূরা নিয়ে আসো । পৃথিবীতে মুসলিমের চাইতে অমুসলিম সব সময় বেশি ছিল । বর্তমানে ও অমুসলিম মুসলিমের চাইতে বেশি । মিশরে বড় বড় আরবির অধ্যাপক গণ খ্রিষ্টান । তারা ইসলামের সাথে শত্রুতার একটু ও কমতি করে না । যদি কুরআন আল্লাহর বাণী না হয়ে অন্যের হত তারা সে চ্যালেন্জ নিত ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯
যুক্তিবাদী্ প্রবীর ঘোষ বলেছেন: যাক আপনি আল্লার বাণী বলে বিশ্বাস করে বসে থাকুন, আমার কিছু করার নেই। আমি যুক্তিবাদী, মুক্তমনা। সব কিছুকেই পড়ব, বিচার করব, বিশ্লেষণ করব এবং সমস্ত মতামত জেনেই আমার মতামত দেব। অনুরোধ কুয়োর ব্যাঙ হয়ে থাকবেন না।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
হানিফঢাকা বলেছেন: কুন- ফায়াকুনঃ
Originator of the heavens and the earth. When He decrees a matter, He only says to it, "Be," and it is. (২:১১৭)
কুন এবং ফায়াকুন এর মধ্যে সময়ের ব্যবধান আছে। জনপ্রিয় মতবাদ হচ্ছে যখন আল্লাহ বলেন হও (কুন), সেটা সাথে সাথে হয়ে যায় (ফায়াকুন) । কিন্তু যে জিনিশটা অভারলক করে যাওয়া হয় তা হচ্ছে যে কুন থেকে ফায়াকুন হতে একটা সময়ের ব্যবধান আছে। এটা ইনস্ট্যান্ট হয় না, যদি সাথে সাথে হয়ে যাওয়ার মত কোন ঘটনা থাকে সেটা সাথে সাথে হতে পারে, কিন্তু আল্লাহর নিয়ম করে দেওয়া যে ঘটনার যে সময় লাগে, সেটা ঘটতে সেই সময়ই লাগবে, সাথে সাথে হয় না। এর প্রমান ৩০:৩০
So set your face to the religion upright. Nature (made by) Allah (upon) which He has created mankind [on it]. No change (should there be) in the creation (of) Allah .That (is) the religion the correct, but most men (do) not know. (৩০:৩০)
সুতরাং আল্লাহ যখন কোন কিছু সিদ্ধান্ত নেন তখন বলেন কুন। এর পর নিদ্দ্রিস্ট সময়ের পর ঐ জিনিষ হয়ে যায়। আল্লাহ বিশ্বজগত সৃস্টি থেকে শুরু করে মানুষ সৃস্টির ব্যপারে এই কুন শব্দ ব্যবহার করেছেন। এই কুন শব্দ ৩০:৩০ অনুযায়ী ফায়াকুন হয়েছে। কোথাও বলা হয়নি তা ইনস্ট্যান্ট হয়ে যায় বা হয়ে গেছে। এইটা অনুবাদের ভুল এবং বোঝার ভুল।
ছয় দিনে পৃথিবী সৃস্টিঃ
কোরআনে কোথাও ৬ দিনে পৃথিবী সৃস্টির কথা বলা হয় নাই। এই খানে যে শব্দটা এসেছে তা হচ্ছে “আয়ম” বা পিরিয়ড, এপক, লং টাইম। এখনে আল্লাহ কোথাও দিনের কথা বলেন নাই।
And He placed therein (Earth), mountains standing firm, high above it, and bestowed blessings therein (on the Earth), and measured therein its sustenance in four periods (Arabic: ayyamin), in accordance with (the needs of) those who seek (Sustenance)" (৪১:১০)
এবং আমাদের সময় সংক্রান্ত কনসেপ্ট এবং আল্লাহর সময় সংক্রান্ত কনসেপ্ট এক নয়। আল্লাহ বলেছেনঃ
"And they ask you to hasten on the punishment, and God will by no means fail in His promise, and surely a day with your Lord is as a thousand years of what you number" (22:47) (See also 32:5)
"To Him ascend the angels and the Spirit in a day the measure of which is fifty thousand years"(70: 4)
সুতরাং ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি করা হয়েছে এই কথা আল্লাহ কোথাও বলেন নাই। এই ধারনার উৎপত্তি বাইবেল যেখানে বলা হয়েছে গড ৬ দিনে বিশ্ব জগত সৃষ্টি করে সপ্তম দিনে বিশ্রাম নিয়েছিলেন (সাবাথ ডে)।
বিশ্বজগত সৃস্টির প্রক্রিয়াঃ
৪১:৯-১২, ৬৫:১২, ৭৯:৩০, ৩২:৪, ৫০:৩৮, ১০:১৩, ১১:৭, ৭:৫৪ এই আয়াতগুলি একসাথে পড়েন এবং একটা চার্ট বানান। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি যা বলেছেন তা ভুল।বিস্তারিত ব্যাখায় গেলাম না কারন এতে বেশ সময় লাগবে।আমি রেফারেন্স দিয়ে দিয়েছি নিজে চেষ্টা করুন।
আউট অফ কন্টেক্সটঃ
আপনি এই ২:১৯৩, ৯:৫, ২৯:৭৩ আয়াতগুলির রেফারেন্স আউট অফ কন্টেক্সটে দিয়েছেন। এইটা আপনার মত পাবলিকেরে শত বছর ধরে দিয়ে আসছে। যতই এই সংক্রান্ত আয়াতের ব্যাখা দেওয়া হোক না কেন আপনার মত মানুষেরা মানতে চান না, কারন যে চোখ, কান বন্ধ করে রাখে তাকে বোঝানো সম্ভব নয়। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু লেখা এই ব্লগে এসছে। আমি নিজেও এই ধরনের একটি লেখার উত্তর দিয়েছি। কিন্তু তারপরেও বার বার একি কথা কেন? মানতে না চাইলে সরাসরি বলে দিন আপনারা কোন কিছুই মানবেন না, যা ইচ্ছা বলে যাবেন। এইসব এখন পুরানো হয়ে গেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে নতুন কিছু বের করার চেষ্টা করুন। কন্টেক্সট পড়ে দেখুন তারপরে বলুন।
আমার আপত্তি ঃ
আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন। আপনার মনে প্রশ্ন উদ্য় হওয়া স্বাভাবিক।আপনি হয়ত কোরআন পড়েছেন বা পড়েননি। হয়ত অন্য কোন ইসলাম বিদ্ধেসী লেখা থেকে এইগুলি পড়েছেন এবং এইখানে এই প্রশ্ন গুলি করেছেন। এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটিচিউড নিয়ে। আপনি এই পোস্টের মধ্যে একটা ছবি দিয়েছেন যা মুসলমানদের জন্য চরম আপত্তিজনক। আপনার এই ছবি দ্বারা আপনার প্রশ্নের উদ্দেশ্য প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলি স্বভাবিক ভাবেও করা যায়, এর জন্য এই রকম একটা ছবি দেবার প্রয়োজন হয় না। এর দ্বারা আপনার উদ্দেশ্য সমর্পকে কিছু ধরানা পাওয়া যায়। কোন মুসলমান যদি আপনার ধর্ম নিয়ে এই ধরনের কোন ছবি এইখানে দেয়, তা কি আপনার ভাল লাগবে?
আমার প্রশ্নঃ
আপনার প্রশ্নের উত্তর লিখার সময় আমার মাথায় দুইটা প্রশ্ন এসেছে। আসা করি প্রশ্ন দুইটির উত্তর দিয়ে আমাকে বাধিত করবেনঃ
১। আপনার ধর্মের নাম কি?
২। আপনার ধর্মগ্রন্থ অনুসারে আপানার গড কিভাবে বিশ্বজগত সৃস্টি করেছেন?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
যুক্তিবাদী্ প্রবীর ঘোষ বলেছেন: আপনি ভাবেন প্রাণি সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ, ক্রিশ্চানরা মনে করেন তাদের গড, আর হিন্দুরা মনে করেন তাদের দেবতা। আর যত ধর্ম আছে সবাই তো মনে করেন তাদের ধর্মবিশ্বাস মতে তাঁদের ঈশ্বররাই প্রাণি জগৎ সৃষ্টি করেছেন। যে যার নিজেদের মতো তর্ক করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছোন তারপর নিশ্চয় উত্তর দেব।
আমার ধর্মের নাম মানবতাবাদী। আমার ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী মানবতাবাদীদের কোনও গডই নেই। প্রকৃতি প্রকৃতির নিয়মেই তৈরি হয়, চলে।
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: যুক্তিবাদী প্রবীর ঘোষ, আপনি যে মাত্রার জগতে বসবাস করেন সেই মাত্রার একধাপ উপরের জগত নিয়ে চিন্তা করলেই আশা করি ক্লিয়ার হবেন কোরআন আল্লাহর বাণী কিনা ...
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৭
নতুন বলেছেন: প্রবীর দা এটা কি আপনি নিজেই লেখেন না কি কেউ আপনার হয়ে এই ব্লগটি চালাচ্ছে। আপনার মতন ব্যস্ত মানুষের তো ব্লগে লেখার সময় হবার কথা না।
প্রবীর দা<< আপনার এপ্রোচটা একটু বেশি এটাকিং হয়ে গেছে।
কিছু জিনিস আপনি অন্যরকম ভাবে বুঝেছেন<<<
অমুসলমানরা যতদিন না ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ততদিন তাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। তাদের সম্পদ লুঠ করতে হবে, হত্যা করতে হবে।
কিছু আয়াত আছে যেই গুলি ঐসময়ের কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে এসেছিলো। তাই এখনো অমুসলমানকে হত্য করতে হবে সেটা ঠিক না।
আরও বলা হয়েছে, এই যুদ্ধে কোনও মুসলিম শহিদ হলে সে শহিদ হওয়ার পরই বেহেশ্ত অর্থাৎ স্বর্গে যাবে। কেয়ামতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সেখানে সর্বোত্তম খাবার, মদ ও অসাধারণ সুন্দরী কুমারী যুবতী ও সমকামিতার জন্য সুন্দর কিশোর থাকবে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, লোভ দেখিয়ে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে কোরআন।
কোরানে হুর/ হুরী বলা আছে কিন্তু সুন্দরী কুমারী যুবতী বা সমকামিতার জন্য কিশোর থাকবে এটা বলা নাই কোথাও।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
যুক্তিবাদী্ প্রবীর ঘোষ বলেছেন: আপনি কোথাও দেখাতে পারবেন না আমি শুধু 'অমুসলমানরা যতদিন না ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ততদিন তাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। তাদের সম্পদ লুঠ করতে হবে, হত্যা করতে হবে।' এই অভিমত প্রকাশ করেছি। এরকম কথা আমি নিজে বলিনি। দেখাতে পারবে না। সৎ হন।
ব্লগের উত্তর আমি-ই দিই।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: তথ্য গত ভুল ধারনা আছে এই পোষ্টে। অকারনে কোরআন কে আঘাত কেন করছেন। গিতা বা বেদে এমন অনেক কিছু আছে যা অশ্লিলতার চুরান্ত রুপ। রাধা কৃষ্ণের সম্পর্ক কে হিন্দুরা স্বর্গীয় বলেন, কিন্তু দৃশ্যত তারা মামী ভাগ্নে। মানব সমাজে এমন সম্পর্ক ঘোরতর অন্যায়, দেব দেবীগন গাজা না খেয়ে ঈশ্বরের ধ্যনে বসতে পারে না। এটা কি আদৌ ন্যায় সংগত। ঈশ্বর কে ডাকতে আমাকে কেনো গাজা সেবন করতে হবে।
আপনি একক ভাবে ধর্মীয় হিংসা বোধ থেকে নির্মম ভাবে কোরআন কে আক্রমণ করছেন যাহা অন্যায়, আলোচনা করতে চান সমস্যা নেই কিন্তু ইচ্ছা করে অন্যের ধর্ম কে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নিজের ধর্মের রিপু গুল বন্দ করে আসতে হবে। নিউটনের সূত্র মোতাবেক একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন " প্রতিটি ক্রিয়ার সমান অথোবা বিপরীত ধর্মী প্রতিক্রিয়া আছে" অতএব সাধু সাবধান।