নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আজ জীবনানন্দ দাশের জন্ম দিন....
বাঙালি জীবিত প্রতিভার দাম দেয় না- এ কথাটা সত্যি।
বনলতা সেন দিতে পারেনি তাঁকে দু'মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা। চাকরীহারা বেকার হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন পথে পথে। ফিরেছিলেন দ্বারে দ্বারে। অফুরাণ ঋণের বোঝা কাঁধ থেকে নামাতে করেছিলেন সামান্য টিউশনি। বাড়িভাড়া দেবার টাকা ছিল না। করেছেন বীমা অফিসের দালালির কাজ! শুনুন সেই মানুষটার করুণ আকুতি- ....
_______
আমার প্রিয় অধ্যাপক কবির,
বিশিষ্ট বাঙালিদের ভিতর আমি পড়ি না; আমার বিশ্বাস, জীবিত মহত্তর বাঙালিদের প্রশ্রয় পাওয়ার মতনও কেউ নই আমি। আমি সেই মানুষ, যে প্রচুর প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রতিটি দ্রব্যকে সোনা বানিয়ে তুলতে চায় অথবা মহৎ কোনও কিছু – যা শেষ বিচারে একটা কোনও জিনিসের-মতন-জিনিস; – কিন্তু, ভাগ্য এমনই যে, আজ তার পেটের-ভাত জুটছে না। কিন্তু, আশা করি, একটা দিন আসবে, যখন খাঁটি মূল্যের যথার্থ ও উপযুক্ত বিচার হবে; আমার ভয় হয়, সেই ভালো দিন দেখতে আমি বেঁচে থাকব না। আপনার কথা-মতো আমি জ্যোতিবাবু অথবা বি.সি. রায়’এর সঙ্গে এখনও দেখা করার চেষ্টা করি নি; আমার মনে হয়, আমার মতন মানুষের পক্ষে তাঁরা দূরের মানুষ। আমি যেন অনুভব করি, আপনিই আমাদের মতন লোকের জন্য এক-মাত্র মানুষ; আপনার উপর আমার গভীর আস্থা আছে। আমি সর্বদা বিশ্বাস করি যে, আপনার নিজের পরিপূর্ণ শাসনের ভিতরে আছে, এমন কোনও একটা, আমার পক্ষে মানানসই, জায়গায় আপনি আমাকে বসিয়ে দিতে পারেন; আমাকে একটা উপযুক্ত কাজ দিয়ে দেবার মতন সুযোগ-সুবিধা আপনার খুবই আছে। আমার আর্থিক অবস্থাটা এখন এতটাই শোচনীয় যে, যেকোনো একজন সকর্মক ‘অপর’ মানুষ যে-কাজ করতে পারে, কেন্দ্রীয় সরকার’এর অধীনে সে-কাজ আমারও করতে পারা উচিত। আমি মনে করি, এ-রকম একটা কাজ এক জন মানুষকে সেই সম্মানটা দিয়ে দিতে পারে, যা প্রতিটি মানুষ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে অর্জন করে নেয়; তার বেশি আমি আর কিছু চাই না। আমার দেশ আমার অস্তিত্বের স-র-মাত্রাটার সাপেক্ষে সেই যথাযোগ্য সুযোগটা আমাকে দিক, যাতে আমি আমার ন্যূনতম জীবনযাপন নিয়ে থেকে যেতে পারি। প্রাইভেট কলেজের অধ্যাপকের কাজ ক্ষুদ্র কাজ : অধিকন্তু অন্যান্য নানা কারণেও ওই কাজটা আমি আর করতে চাই না। আমার খুবই পছন্দ তেমন কোনও একটা মানানসই কাজ, যাতে অনেকটা গবেষণা করতে হয়, লিখতে হয় এবং ভাবনা-চিন্তা করতে হয়।
ইতি,
আপনার জীবনানন্দ দাশ
১৬ই এপ্রিল, ১৯৫৪।
______________
হুমায়ুন কবির (২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৬-১৮ আগস্ট, ১৯৬৯) একজন ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও দার্শনিক। তার জন্ম অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরের, বর্তমান বাংলাদেশের, কোমরপুর গ্রামে। তিনি দুই দফায় ভারতের শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
হুমায়ুন কবির, জীবনানন্দের কোন চিঠিরই উত্তর দেননি, আর্থিক উন্নয়নে কোনো সহযোগিতাও করতে পারেননি। শুধু মরণোত্তর একাডেমি পুরস্কার পাইয়ে দিয়েছিলেন!
তথ্যসূত্রঃ দীপেনকুমার রায়-এর সম্পাদনায় জীবনানন্দ দাশের পত্রাবলী প্রকাশিত হয় বাংলা ১৩৮৫ সনে। পরবর্তী কালে আবদুল মান্নান সৈয়দ জীবনানন্দ দাশের পত্রাবলী প্রকাশ করেন ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে। জীবনানন্দ দাশের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত পত্রাবলী প্রকাশিত হয় ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ্কঠিন বাস্তবতা।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি শিক্ষিত কোন বেকার লোককে চাকুরী দিয়েছেন?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: দিয়েছি।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জন্মসূত্রে তিন জনই পূর্ব বাংলার( বাংলাদেশ) লোক।হুমায়ুন কবির, জ্যোতিবসু এবং জীবনান্দ দাশ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাই হরিণীর ডাক শুনি
কাহারে সে
-----------জীবনানন্দ দাশ
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: কবির সব লেখাই জীবন থেকে নেয়া।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৭
অক্পটে বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যবহুল লেখাটির জন্য।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: ট্রামের খাঁচায় আটকে পড়াটা কোনোভাবেই মানা যায় না। এতো ভুলো মন মানুষ হয়!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এমন অনেকেই ভুল করে অনেক কিছু করেন।
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
স্প্যানকড বলেছেন: তাই এহন কবি হয় ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার! অর্থের নিশ্চয়তা ঠিক করে পরে লিখে। শুধু লিখে পেট চলবে এইটা ভালো সিদ্ধান্ত নয় বলেই চলে। প্রিয় কবি ভালো থাকবেন ওপারে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অর্থই জীবন।
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
নাঈম বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছেন? আমাকে চিনতে পারছেন আশা করি....
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই চিনতে পেরেছি। তুমি কেমন আছো ভাইয়া?
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রিয় কবির জীবনটাই গেল দুঃখে দুঃখে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বেশীর ভাগ কবি সাহিত্যিকদের জীবন এমনই।
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১০
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: প্রিয় কবি সারাজীবন কষ্ট করে গেলো।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: বেশীর ভাগ কবি সাহিত্যিকদের জীবন এমনই ।
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই লোকটা আমার কাছে ঈশ্বর, কবিতার ঈশ্বর।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: 'কবিতার ঈশ্বর' - কথাটা ভালো লেগেছে।।
১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
অক্পটে বলেছেন: আসলে বেশির ভাগ কবিই দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে দিনাতিপাত করে গেছেন। এরা খুব অভিমানি হয় বোধহয়। যাদের কর্মের, সৃষ্টির মূল্যায়ন হয়না ঐ সময়ের ফ্রেমে। অথচ বহুকাল পরে মানুষ তাদের আবিষ্কার করে মহামানব হিসেবে। নিয়তিই বটে!
আমার প্রিয় কবির দুটো চরণ আপনার জন্য-
"এসব শূন্যতা ছাড়া কোনোদিকে আজ
কিছু নেই সময়ের তীরে
তবু ব্যর্থ মানুষের গ্লানি ভুল চিন্তা সংকল্পের
অবিরল মরুভূমি ঘিরে
বিচিত্র বৃক্ষের শব্দে স্নিগ্ধ এক দেশ
এ পৃথিবী, এই প্রেম, জ্ঞান,
আর হৃদয়ের এই নির্দেশ।"
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৬
তাশমিন নূর বলেছেন: জীবনানন্দ দাশকে ভালোবাসি।
হ্যাঁ, এমন কথা নজরুলও বলেছিলেন কাজী মোতাহার হোসেনকে লেখা চিঠিতে, "দেখো, আমি মরে যাবার পর ওরা আমার নাম বলে চাপড়ে টেবিল ভেঙে ফেলবে।"
সৃজনের সঙ্গে থাকতে গিয়ে তারা কখনোই বস্তুবাদী মানুষে পরিণত হতে পারেননি। আর পৃথিবীও সময়ে তাদের প্রতিভার মূল্যায়ন করতে পারেনি।
কিন্তু জীবনানন্দ দাশকে আমি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাব না। কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন শুধু তাঁরাই, যারা বুঝেছেন 'জীবনের এইসব নিভৃত কুহক।'