নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোনালিসা চুরি....

০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১১

মোনালিসা চুরি....

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসার নাম শোনেনি এমন শিক্ষিত মানুষ বোধহয় পৃথিবীতে বিরল। ফ্রান্সের রাজা প্রথম ফ্রান্সিস মাত্র ৪০০০ স্বর্ন মুদ্রায় দ্যা ভিঞ্চির কাছ থেকে মোনালিসাকে সংগ্রহ করেন। রাখেন ভার্সাইয়ের রাজপ্রাসাদে। তারপর নেপোলিয়ান মোনালিসাকে নিয়ে যান টুইলিরাইসে, রাখেন নিজের শয়নকক্ষে। নেপোলিয়নের মৃত্যুর পর ছবিটি ল্যুভর মিউজিয়ামকে উপহার দেওয়া হয়। ছবিটি ফ্রান্সের জাতীয় সম্পত্তি।
শুধু জনপ্রিয়তার দিক থেকেই নয়, অর্থমূল্যের দিক থেকেও মোনালিসা পৃথিবীর সবচেয়ে দামি শিল্পকর্ম। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রবন্ধে বলা হয়েছিল, ১৯০৬ সালে ছবিটির দাম ছিল ১৬২ কোটি ৯৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৬২ ডলার। মোনালিসার দাম নাকি প্রতি মিনিটে বাড়ে ৬৪.৩ ডলার!

এক ব্যক্তি ঠিক করলেন এহেন মোনালিসার নকল ছবি আসল বলে বিক্রি করবেন। পরিকল্পনা মত তিনি ছ'জন খরিদ্দার ও ঠিক করে ফেলেন। কিন্তু সমস্যা হল যত সময় মোনালিসা ল্যুভের থেকে চুরি না যায় ততসময় তা বিক্রি সম্ভব নয়।
তিনি একটা পরিকল্পনা করলেন। পরিকল্পনা মতো তিনি প্রথমে একজন শিল্পীকে ঠিক করে তাঁকে বললেন, হুবহু ছ'টা মোনালিসা আঁকতে হবে। কিন্তু শিল্পী রাজি নয়, কারণ কপিরাইট আইনে হুবহু মোনালিসা আঁকা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পরে অবশ্য বেশি টাকার লোভে শিল্পী রাজি হলেন। এবং ছ'টা মোনালিসা এঁকে দিলেন। তারপর ওই ব্যক্তি বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে এক চোরকে ঠিক করলেন, এবং কিভাবে ল্যুভের থেকে মোনালিসা চুরি করতে হবে তার উপায় বলে দিলেন।

পরিকল্পনা মতো চোর মিউজিয়াম বন্ধের কিছু আগে মিউজিয়ামে ঢুকে লুকিয়ে থাকলো। নির্দিষ্ট সময়ে মিউজিয়াম বন্ধ হয়ে গেল।
পরেরদিন ১৯১১ সালের ২১ আগস্ট সোমবার, সকালবেলা মিউজিয়াম খোলার সাথে সাথে মিউজিয়ামে রাখা ওয়াল আলমারি থেকে বেরিয়ে এলো সেই চোর। তার ওভারকোটের মধ্যে তখন পৃথিবী বিখ্যাত এবং দামী ছবি মোনালিসা। পরেরদিন ২২ শে আগস্ট ১৯১১, ফরাসি কাগজে বড় বড় করে একটাই খবর প্রকাশিত হল "অভাবনীয় ঘটনা, মোনালিসা কোথাও নেই।"
ল্যুভের থেকে চুরি হয়ে গেল লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনালিসা!

মোনালিসা চুরির খবর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা ইউরোপে। ফ্রান্সের বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়েছিল। ফ্রান্স জুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল জনগণ। ল্যুভের মিউজিয়ামের তৎকালীন কিউরেটর থিওপেলি হোমলোকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল ছবিটি যে খুঁজে দেবে তাকে কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই ৪০ হাজার ফ্রাঁ দেওয়া হবে। একই কারণে প্যারিস জার্নাল ৫০ হাজার ফ্রাঁ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

এদিকে চোর মোনালিসা নিয়ে অপেক্ষা করে আছে, কখন ওই ব্যক্তি ছবি নিতে আসবে। কিন্তু ওই ব্যক্তির তো আসল মোনালিসার কোন দরকার ছিল না। তার শুধু দরকার ছিল ল্যুভের থেকে মোনালিসা চুরির খবরের।
মোনালিসা চুরি যাবার খবর প্রকাশের সাথে সাথে ছ'টা ছবি পূর্ব নির্ধারিত ছয়জন ক্রেতার কাছে প্রতিটি মাত্র এক কোটি ডলারে অর্থাৎ মোট ছয় কোটি ডলারে বিক্রি করে ওই ব্যক্তি যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। এতো 'চোরের উপর বাটপারি' নয়, ছয়টা লোভী লোকদের উপর বাটপারি!

চুরি যাওয়ার আট দিন পর ২৯ শে আগস্ট প্যারিস জার্নালের অফিসে এলেন এক যুবক, নাম জোসেফ গেরি পিয়েরেট। নিজেই স্বীকার করলেন- সে নিজেই চুরি করেছেন মোনালিসা।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সে কেন বা কার কথায় এই কাজ করেছে?
কিন্তু সে একটাই কথা বার বার বলেছে আর্টওয়ার্ক চুরি করা তার নেশা। এ ছাড়া তার আর কোন উপায় ছিল না। কারন কোন প্রমাণ নেই- কেউ একজন তাকে বিরাট অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে এবং চুরির কৌশল শিখিয়ে দিয়েছিল।
অবশেষে চুরি যাওয়ার আট দিন পর পৃথিবী বিখ্যাত ছবি মোনালিসা তার নিছের জায়গায় ফিরে গেল।
(আপনাদের জানা ঘটনাটাই আমি আমার মতো করে সংক্ষিপ্ত ভাবে লিখলাম)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.