নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কফি কথা....
'ডালগোনা' কফি খাচ্ছি(আমরা পান করাকেও খাওয়া বলি) এক সপ্তাহ যাবত। খেতে তেমন একটা ভালো লাগেনি তবে কফি মেকিংটা ভালোই রপ্ত করেছি। আমি চূড়ান্ত কফিভক্ত হলেও গত দুই বছর যাবত কফি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছি। আগে দিনে অন্ততঃ চার মাগ কফি ভর্তি না হলে চলত না কিন্তু এখন ছোট কাপে সর্বোচ্চ দুইবার। কফি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি সত্য কিন্তু কফির স্বাদ নিয়ে অল্পবিস্তর কৌতুহল এখনো আছে। পানীয় গত বছরের সব থেকে চমকপ্রদ সংযোজন ডালগোনা কফি। এর অনেক আগে থেকে পৃথিবীজুড়ে যে কত্তো রকম কফি আছে, দেখতে বসলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যেতে হয়। আসুন আমার জানা কয়েকটি কফির সংক্ষিপ্ত পরিচয় শেয়ার করিঃ
(১) এসপ্রেসো (Espresso): কফির একেবারে আদিম, অথেনটিক স্বাদ পেতে গেলে এসপ্রেসো। নির্দিষ্ট পরিমাণ কাপে গুঁড়ো কফি আর ফুটন্ত পানি, ব্যস। শুনতে সোজা কিন্তু ঐ অনুপাত ঠিক রাখা অতি এক্সপার্টের কাজ।
(২) রিসত্রেত্তো (Ristretto): এসপ্রেসোর একই পরিমাণ কফি কিন্তু এসপ্রেসোর অর্ধেক পরিমাণ পানি। খেতে একেবারে তেতো। বহুদিনের কফিখোর না হলে এর ঝাঁঝ সহ্য করা যাবে না।
(৩) অ্যামেরিকানো (Americano): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যামেরিকান সৈন্যদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়। দুটো এসপ্রেসো শট এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ গরম পানি।
(৪) ডোপিও (Doppio): ইংল্যান্ডে আবার এসপ্রেসোকে একটা শটে খাওয়া হয়না। দুটো এসপ্রেসো শটকে ওরা স্ট্যান্ডার্ড এসপ্রেসো বলে। তাই এর নাম ডোপিও বা ডাবল এসপ্রেসো শট।
(৫) ক্যাপুচিনো (Cappuccino): সবাই শুনেছেন এর নাম। তিনটে স্তর থাকে এর। একদম নীচে একটা এসপ্রেসো শট, তার ওপরে ফুটন্ত দুধ, একদম ওপরে দুধের ফেনার একটা স্তর তৈরি করা হয়।
(৬) লাটে (Latte): একটা এসপ্রেসো শট এর নির্দিষ্ট পরিমাণ ফুটন্ত দুধ, তার সাথে ফেনা মেশানো হয়। পুরো কফিটাই সমান ঘন হয়, ক্যাপুচিনোর মতো লেয়ার থাকে না।
(৭) ফ্ল্যাট হোয়াইট (Flat White): নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় বেশি প্রচলন। অনেকটা দুধ এবং একটা এসপ্রেসো শট মিশিয়ে তৈরি। কোনো ফেনা থাকে না। দুধটা ঘন হয়, কিন্তু ফেনা থাকলে হবে না।
(৮) লং ব্ল্যাক (Long Black): গরম পানিতে তিনটে এসপ্রেসো শট।
(৯) মাক্কিয়াতো (Macchiato): এর একটা অন্য নাম আছে, পিক্কোলো লাটে (Piccolo latte)। একটাই এসপ্রেসো শট, তার ওপর দুধের ফেনার একটা স্তর তৈরি করা হয়। দুধ নয়, শুধু তার ফেনা।
(১০) মোক্যাক্সিনো (Mochaccino): এটা একটা লাটে। মানে কম্পোজিশন পুরো লাটের মতো। শুধু এর ওপরে গার্নিশিংটা দারুণ হয়। ক্রাস করা চকলেট, সিরাপ, হুইপড ক্রিম এসব দিয়ে সাজানো হয়।
(১১) ফিল্টার কফি (Filter coffee): কফি বিনস গুঁড়ো করে হয় গরম নয়তো ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয় বেশ কিছুক্ষণ। তারপর সেটা বিশেষ ফিল্টার দিয়ে ছেঁকে খেতে হয়। স্বাদ? এসপ্রেসোর চেয়েও কষা, তেতো!
(১৩) আইরিশ কফি (Irish coffee): কফির সাথে আইরিশ হুইস্কি, চিনি, ঘন ক্রিম মিশিয়ে তৈরি। নিউজিল্যান্ডে খুব পাওয়া যায়। তবে হ্যাঁ, যা তা হুইস্কি বা স্কচ মিশিয়ে দিলে মোটেই হবে না। ঐ আইরিশ হুইস্কিই লাগবে।
(১৪) ভিয়েনা (Vienna): দুটো এসপ্রেসো শট, আর তার ওপরে চিনি মেশানো হুইপড ক্রিম।
(১৫) অ্যাফোগ্যাতো (Affogato): এটা ঠিক কফি নয়। একটা এসপ্রেসো শট আইসক্রিমের ওপরে ঢেলে দেওয়া হয়।
(১৬) ক্যাফে ব্রিভ (Caffè Breve): একটা বেশ বড়োসড়ো কফিমাগের এক চতুর্থাংশ এসপ্রেসো, এক চতুর্থাংশ দুধ, অর্ধেক দুধের ফেনা দিয়ে তৈরি।
(১৭) করট্যাডো (Cortado): সমপরিমাণ এসপ্রেসো আর দুধ মেশাতে হয়। একবিন্দুও ফেনা নৈব নৈব চ। সার্ভ করা হয় অদ্ভুত দেখতে কাঁচের গ্লাসে যার হাতলে আর তলায় ধাতুর কারুকাজ করা থাকে। খেতে হলে যেতে হবে হয় স্পেন নয়তো পর্তুগাল।
(১৮) কোল্ড ব্রু কফি (Cold brew coffee): কফি বিনসের গুঁড়ো বরফশীতল পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে সারারাত। সকালে উঠে ছেঁকে খেতে হবে।
(১৯) নাইট্রো কফি (Nitro Coffee): এর মধ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস চালনা করা হয়, তাতে নাকি কফি ঘন হয়। আর তারপর হাল্কা বিয়ার মেশানো হয়।
(২০) কাসকারা (Cascara coffee): এটা ঠিক কফিও না, চা-ও না। কফির চা বলা যেতে পারে!! কফি গাছের পাতা গরম পানিতে ভিজিয়ে ছেঁকে খাওয়া হয়।
(২১) কোপি লুওয়াক (Kopi Luwak): এশিয়ান পাম সিভেট, একধরনের বেড়াল জাতীয় প্রাণী, তারা প্রথমে কফিগাছের কাঁচা ফলটা খায়। তারপর যখন মলত্যাগ করে তখন ওর মধ্যে ফলের বীজটাও থাকে। সেই বীজ সংগ্রহ করে শুকিয়ে কফি বানানো হয়। সত্যি বলছি!! বিশ্বাস না হলে গুগলকে জিজ্ঞেস করুন। এই কফির এক কাপের দাম শুনলে মাথা ঘুরে যাবে আপনার!!
(২২) ইন্সট্যান্ট (Instant): এইবার এল গিয়ে আমার মতো পাবলিকের কফি। মানে বকে যাচ্ছি দেশ বিদেশের কফি নিয়ে কিন্তু নেসক্যাফেই ভরসা করি পয়সার অভাবে। এতোক্ষণ যত কফি বলেছি, সব কফি বিনস খুব সুন্দর করে গ্রাউন্ড করা গুঁড়ো। এটা হল একেবারে প্রিপেয়ার্ড, প্যাকেজড কফি। পানি ঢালো, দুধ ঢালো, যত ইচ্ছে, যা ইচ্ছে... কোনো মাপামাপি নেই। সৌখিন কফি নেশাড়ুরা একে ভারি তুচ্ছ জ্ঞান করেন। ইন্সট্যান্ট কফি আবার কফি!!
(২৩) শীতের দেশে এক কাপ কফি ছাড়া কারোরই দিন শুরু হয় না। অন্যান্য দেশে যেমন টি-ব্রেক হয় কাজের মাঝে, নর্থ আমেরিকায় কফি ব্রেক। কানাডার কফি মানেই টিম হর্টনস (Tim Hortons). অন্য কফি সপ গুলো এর কাছেও আসতে পারবে না জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে। কানাডা, আমেরিকা, লন্ডনের পরে ওদের ব্রাঞ্চ আছে দুবাই আর আবুধাবি। আমি এদের ফ্রেঞ্চ ভ্যানিলা কিনি মাঝেমধ্যে। এরাবিকা কফির বীন রোস্ট করার সময় ভ্যানিলা ফ্লেভার দেওয়া হয়। ক্রিমি কফি + দুধ + চিনি।
কানাডায় একটা কফির আলাদা একটা নাম আছে, তা হলো "ডাবল ডাবল"। এটা শুধু কানাডায় শুনবেন আর শুধু টিম হর্টনস এ। "আমাকে একটা ডাবল ডাবল দাও"- এটা হলো কফি + ডাবল ক্রিম + ডাবল সুগার!!
আরবরা একটা কফি খায় চিনি আর দুধ ছাড়া। তিতা জেহের। ওরা বলে কাহওয়া। ঘন আর তার জন্য ছোট ছোট খেলনা কাপের মতো কাপ, দুই / তিন ইঞ্চি লম্বা কাপ। ওটা খেলে সাথে সাথে শরীরে একটা বিদ্যুৎ খেলে যায়।
(২৪) আমার মনে হয় নাম, স্বাদ, মেকিং ও পরিবেশনের ক্ষেত্রে ভিন্নতা গুলো একেকটি কফিশপের পরিচিতি, নিজস্বতা ও ইউনিকনেস ধরে রাখার প্রয়াস। আগে বিভিন্ন ধরনের কফি আর একটু বেশিই খেতাম কিন্তু এখন দিনে বড় (24oz.) এক কাপ ব্ল্যাক কফি খাই। এখন মনে হয় ব্ল্যাক কফি ছাড়া অন্য কিছুতে কফির মূল স্বাদ বা ফ্লেবারটা পাওয়া যায় না। বাসায় নেসক্যাফের ইন্সট্যান্ট কফি রাখি তবে বেশিরভাগ সময় Dunkin অথাবা Starbucks এর কফি খাই!!
(২৫) ডালগোনা (Dalgona)কফি:
উপকরণ:
ফোটানো ঠান্ডা দুধ - ১ কাপ, কফি - ২ টেবিল চামচ,
গরম পানি - পরিমাণমতো, চিনি- পরিমাণ মতো, বরফ - প্রয়োজন মতো।
পদ্ধতি:
প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাণ মতো চিনি, গরম পানি ও কফি ঢেলে নিন। এরপর মিশ্রণটি ভাল করে মেশান। ইলেকট্রিক বিটার বা হ্যান্ড বিটার দিয়ে মিশ্রনটিকে ঘন ফেনা না হওয়া পর্যন্ত ফেটাতে থাকুন।
এরপর কফি মগে প্রয়োজন মতো বরফের টুকরো নিন। তাতে পরিমাণমতো দুধ ঢেলে দিন। এরপর ফাটানো মিশ্রণটি দুধের উপর ঢেলে দিন। গার্নিশিং এর জন্য সামান্য কফি পাউডার ছড়িয়ে দিন। তৈরি আপনার স্বাদে ভরা 'ডালগোনা কফি'।
(আমি কিছু মিস করে গেলে সেটা আপনি বলে দিন)
১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ!
এসম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ করছি।
২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ল্যাক কফিতে থাকে ক্যাফিন যা খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয়। ফলে খিদেও কমায়। খালি পেটে কফি নয়-তবে খালি পেটে বা একদম সকালে কফি না খাওয়াই ভালো। সবাই এটা খেতে পারে না । আমি দীর্ঘদিন যাবত এটাই পান করে থাকি । সকাল বিকেল দু মগ । আগে আরো বেশি পান করতাম এখন কমিয়েছি । ভাল পোস্ট ধন্যবাদ
১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ব্লাক কফিতে থাকে ক্যাফিন যা খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয়। ফলে খিদেও কমায়। খালি পেটে কফি নয়-তবে খালি পেটে বা একদম সকালে কফি না খাওয়াই ভালো। সবাই এটা খেতে পারে না । আমি দীর্ঘদিন যাবত এটাই পান করে থাকি । সকাল বিকেল দু মগ । আগে আরো বেশি পান করতাম এখন কমিয়েছি । ভাল পোস্ট ধন্যবাদ ।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: বিকেল চ্রটার পর আমি চা কফি কিছুই খাইনা-ঘুমের সমস্যায়।
৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার অন্যতম প্রিয় পানীয় কফি। চা-কফি মিলিয়ে প্রায় ৮-১০ কাপ খাওয়া হয় দিনে (বাসায় চা, অফিসে কফি), সাথে অবশ্যই বিড়ি! আপনি কফিখোর জেনে ভালো লাগলো.....সাথে কি বিড়ি চলে?
একটা কারেকশান.......লন্ডনে কিন্তু টিম হর্টন্স এর কোন কফি শপ নাই। তবে গোটা বৃটেনে সব মিলিয়ে ওদের ২৮ টার মতো কফি শপ আছে। সবই লন্ডনের বাইরে। প্রসঙ্গক্রমে জানাই, গোটা বৃটেনেই কিন্তু চা এর জনপ্রিয়তা এক নাম্বারে। যদিও কফির জনপ্রিয়তা দিন কে দিন বাড়ছে, তারপরেও এখন পর্যন্ত চা কে ছাপিয়ে যেতে পারে নাই।
পোষ্টে ভালো লাগা।
১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: আরও একজন কফিযাত্রী পেয়ে ভালো লাগছে। ভালো লাগছে-আপনার সুন্দর মন্তব্য।
'টিম হর্টন্স' এর লন্ডন শাখা তথ্য আমি গুগল থেকে পেয়েছি। তবে গুগল যে সত্যবাদী যুধিষ্ঠীর নয়-তা আপনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মেনে নিতে দ্বিধা নাই।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওদের বৃটেনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট দিলাম। সবগুলো স্টোরের লোকেশান দেয়া আছে Tim Hortons Official UK Website.
তবে ওরা এখনও ততোটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। কোস্টা কফি এখানে এক নাম্বারে।
১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: লন্ডন প্রবাসী একবন্ধু আমার জন্য কোস্টা কফি নিয়ে এসেছিলেন-ভালো স্বাদ।
৬| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ২৫ রকমের কফি!!!!! খাইছে আমারে।
আমি সাধারনত কফি খাই না। আমার চা-ই ভালো লাগে। তবু মাঝে মাঝে কোথাও গেলে কফি খেতে হয়।
আমার এক বন্ধু আছে, তার অফিসে গেলে সে নিজের হাতে কফি বানিয়ে দেয়। সে বলে, বাংলাদেশের সেরা কফিটা নিজের হাতে বানিয়ে আমাকে খাওয়াবে। আমার এক চুমুক মুখে দেওয়ার পর আর খেতে ইচ্ছা করে না। অথচ হাসি মুখে বলতে হয়, চমৎকার কফি।
১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অনেক খারাপ খাবার খেওয়েও ভালো বলি। কিন্তু চা/কফি খেয়ে খারাপকে কখনোই ভালো বলিনা। বরং কতটা খারাপ হয়েছে তাও বলি। যেমনঃ-মন্দনা, ভালো হয়নায়, খুব খারাপ, এমন চা/কফি ছাগলেও খায়না- টাইপের মন্তব্য। যার জন্য আমার বাসায় আমার চা আমাকেই বানিয়ে খেতে হয়। নিকট আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গেলে আমাকে সাধারনত কেউ চা/কফি খেতে দেয়না-বিরুপ মন্তব্য শোনার ভয়ে
৭| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লাটে আর ভিয়েনা কফি এ দুটো ভালো লাগে কিন্তু যেটা রেগুলার খাওয়া হয় সেটা হচ্ছে decaf mocha,
যদিও কফির চেয়ে চা বেশী প্রিয় ।
প্রথম ছবিতে কি গাছ এটা ?
১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা যারা দেশে থাকি এবং সাধারন মানুষ তাদের প্রথম পছন্দই নেসক্যাফে ব্রান্ড। কারন স্বাদের চাইতেও দাম ও সহজলভ্যতা।
প্রথম ছবিটা কফি গাছের-যা আমাদের দেশেই এখন বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে। পার্বত্য চটগ্রাম ছাড়াও বৃহত্তর ময়মনসিং, রাজশাহী, রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় বানিজ্যিক চাষ হচ্ছে।
৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
বাসায় নিজে হাতে যখন কফি বানাই তখন নেসক্যাফে বেস্ট ।
থ্যাংকস গাছটা শেয়ার করার জন্য, আগে কখনও দেখিনি ।
১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: কফি কেউ না বানিয়ে দিলে নিজে বানিয়ে খাই না, কারণ বানাতে জানিনা। তবে আপনার কফি জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত হয়ে মনে ঈর্ষা জাগছে।
ইন্দোনেশিয়া অথবা মালয়েশিয়া ভ্রমণকালে কোথায় যেন দেখেছিলাম, কি নামের যেন খুব মূল্যবান এক ধরণের কফি বীনস বানর জাতীয় একটি প্রাণিকে খাইয়ে পুনরায় তার মল থেকে তা সংগ্রহ করে, রোদে শুকিয়ে, প্রক্রিয়াজাত করে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান কফি প্রস্তুত করা হয়। এ তথ্যটি জেনে বহুদিন কফি খেতে পারিনি। শুনেছি, সেই প্রাণীটির হজম প্রক্রিয়ায় বিশেষ এক ধরণের এনজাইম নিঃসৃত হয়ে সেই কফিকে পরিশুদ্ধ করে। আপনি হয়তো এ ব্যাপারে বিশদ জানবেন।
তথ্যসমৃদ্ধ এ পোস্টে ভাল লাগা + +।
১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বাসায়, অফিসে আমি কফি বানিয়েই খাই।
আপনি ঠিক বলেছেন- বেশ কয়েকটা উন্নত মানের কফি ব্রান্ড তৈরী করা হয় ভেড়া, বিড়াল ও হাতীর মলের মিশ্রনে যা আমিও পত্রিকায় পড়েছি, এর বেশী কিছু জানা নাই। কারন, প্রস্তুতকারী কোম্পানী কখনোই হান্ড্রেড পার্সেন্ট রেসিপি প্রকাশ করেনা নিজস্ব বিজনেস সিক্রেসি বজায় রাখতে।
ধন্যবাদ।
১০| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজে কি সিংগেল-শট, ডবল-শট এসপ্রেসো বানাতে জানেন?
১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: না, জানিনা এবং অদ্যাবধি কানাডায় যাওয়া হয়নি বলে সিংগেল/ ডাবল চেখে দেখাও হয়নি।
ধন্যবাদ।
১১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তিন ,পাঁচ এবং ছয় সৌদি আরবে পান করেছি
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: না, জানিনা এবং অদ্যাবধি কানাডায় যাওয়া হয়নি বলে সিংগেল/ ডাবল চেখে দেখাও হয়নি।
-কানাডা যাওয়ার সাথে সিংগেল-শট, ডবল-শট এসপ্রেসোর কি সম্পর্ক?
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সিংগেল-শট, ডবল-শট এসপ্রেসো নাকি কানাডায় জনপ্রিয়।
১৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কফি সমাচার বেশ ভালো হয়েছে।
অনেককিছু শেখা গেল।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এতো এতো নাম!!!
চা-কফির প্রতি তেমন কোনো আসক্তি নেই আমার।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি চা/কফি দুটোতেই আসক্ত।
১৫| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: চা আমি বানাতে পারি না। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি। হয় দুধ বেশি হয়, অথবা চিনি। আর চাপাতির হিসাবটাও বুঝি না।
তবে সুরভি খুব ভালো চা বানায়। সুরভির চা একদিন আপনাকে খাওয়াবো।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ইন শা আল্লাহ।
১৬| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চা বা কফি কোনোটারই নেশা নেই, যদিও এখন দুই বেলা নিয়ম করেই চা খাওয়া হয়। তবে, কফি তিতা লাগে কফি হতে হবে এমন, যাতে কফির কোনো তেতো না থাকে ক্যাপুচিনো হলো আমার জন্য পারফেক্ট।
তবে, যে কফির নাম খুঁজছিলাম, সেটা পেলাম ২১ নাম্বার সিরিয়ালে - কোপি লুওয়াক- এটার কথা শুনে তো ঘৃণায় আমার পাকস্থলি ছিঁড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল
কফিখোর না হওয়ায় সবচাইতে বড়ো সুবিধা পেয়েছি অর্থনৈতিক- এত টাকা খরচ করার সাধ্য নেই। কিন্তু ছেলেমেয়েরা এখন সেটা পূরণ করে দিচ্ছে
ভালো লাগলো বিস্তারিত জেনে। ভালো পোস্ট কফিখোরদের জন্য।
১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ,কফির বেলায় শুধু ২১ নম্যেবরই নয়, কোনো খাদ্য পণ্য নাহলেও বেশীর ভাগ খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত প্রণালী জঘন্য। সেমাই, পাউরুটি, জ্যাম জেলী, সরগোল্লা প্রস্তুত প্রণালী জঘন্যতম খারাপ।
বিশুদ্ধ কফি খেতে আপনি কফি বিন ডাস্ট করে কফি বানিয়ে খেতে পারেন।
১৭| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: আগে দিনে চার পাঁচ কাপের বেশি কফি খাওয়া হত কিন্তু এখন গুনে গুনে দুই কাপ । এর বেশি কোন ভাবেই না । লাটে আমার বেশি পছন্দ । আর এসপ্রেসো । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এগুলো খেতে হলে বাইরে যেতে হয় ।
বাসায় নিজের বানানো কফি যে খুব বেশি ভাল হয় সেটা বলবো না তবে ক্যাফেইন শরীরে যায় এটাই বড় কথা ! দিনে এই নির্দিষ্ট পরিমান ক্যাফেইণ শরীরে না গেলে কোন কিছুতেই ঠিকঠাক মত হয় না !
এই যে আজকে সারাদিন বাইরে ছিলাম । কফি খাওয়ার সুযোগ হয় নি । এখন কফি হবে তারপর ঘুম নয়তো শান্তি আসবে না !
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চা কফি যা ই হোক-বিকেল চারটার পর আর খাইনা, ঘুমের ব্যঘাত হয় বলে।
১৮| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৪২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সোনাবীজ ভাইয়ের সাথে আমার মিল আছে।
চা বেষ্ট। কড়া লিকারে দুধ চা। যদিও এই দেশের লোকরা ঠান্ডা চা খায়।
কোন বাসায় গেলে চা বা কফির কথা বললে আমি চায়ের কথাই বলি।
নিজেকে আধুনিক বানাতে বিভিন্ন ভাবে কফিতে অভ্যস্থ হওয়ার চেষ্টা করেছি বহুবার কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাই ভাল লাগে।
লেবু চা, আদা চাও ভাল মাত্র ২ মিনিটেই বানানো যায়,
সঠিক ভাবে বানাতে পারলে আদা চা এর উপরে কোন পানিয় পৃথিবীতে নাই।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: লেবু চা আমারও খুব পছন্দের। ছুটির দিনেই বাসায় কড়া লিকার, অল্প দুধের চা খাই।
ধন্যবাদ।
১৯| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
বৃতি বলেছেন: কফি বৃত্তান্ত ভালো লাগলো আমি দিনে এক কাপ কফি খাই, চা হয়ত এক বা দুইবার। দুটো পানীয়ই বেশ পছন্দের। কফির বিভিন্ন ভ্যারাইটি ট্রাই করতে ভালো লাগে। আইরিশ কফি মিস হয়েছে মনে হয়
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি, আইরিশ কফি মিস করেছি।
ধন্যবাদ।
২০| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৭
আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৩৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: চা কফির টেস্ট দুটোর দুইরকম। মুডের উপর ডিপেন্ড করে কোনটা খেতে চাই। মজার পোস্ট।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি নিয়ম করেখাই। সকালে বাসায় মশলা চা এক মগ। অফিসে এসেই একমগ কফি। সাড়ে এগারোটায় চা। লাঞ্চের পর এক মগ কফি।
২২| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:০৫
ডাব্বা বলেছেন: টিম হরটনস, স্টারবাক্স এ ছোট বেলায় কাজ করেছি। কফি তৈরির উপর আমাদের প্রশিক্ষণ হতো। আমার কাছে ভালো লাগে অ্যামেরিকানো। মাঝে মধ্যে এসপ্রেসো। No cream, no sugar. আমি অবশ্য সবুজ চা বেশি পছন্দ করি। তবে চা বলুন আর কফি বলুন এতে চিনি, দুধ, মধু, আদা, রসুন, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, বাদাম, জাফরান মিশিয়ে কি আর চা বা কফির স্বাদ পাওয়া যায়? এদের তখন অন্য নামেই মানায় বেশি যেমন, ক্যাফে মোকা, ক্যাপুচিনো, ফ্রেঞ্চ ভানিলা ইত্যাদি।
ফ্রেঞ্চ প্রেস কফির কথা জানেন বোধহয়। বেশ সহজ।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: তাহলে আপনি আমার কফি গুরু! আপনার সাথে কফি নিয়ে বাতচীত করা বিপদজনক
শুভ কামনা।
২৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিশ্বের বেশ কিছু ইন্টারেষ্টিং কফি সম্পর্কে তথ্য পাবেন নিচের সাইটে, যার একটি হচ্ছে ব্ল্যাক আইভরি কফি।
বিশ্বের পঁচিশটি ক্রেজি কফি প্রোডাক্ট
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:০৭
স্থিতধী বলেছেন:
একটা সময়ে মধ্যযুগে নাকি তুরস্কের নারীরা তাঁদের স্বামীকে তালাক দেয়ার আইনি অধিকার রাখতো যদি স্বামী পর্যাপ্ত কফি না দিতে পারে!
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। ব্ল্যাক আইভরি কফি মিস করেছেন। থাইল্যান্ডে হাতিকে এরাবিকা বিন খাইয়ে তার মল থেকে সংগ্রহ করা হয় কফি বিন।