নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ঋণ করে করে নেশা করা কবির জন্ম দিন আজ ......
মির্জা গালিব। আসল নাম মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ।
উর্দু ভাষার সর্বাধিক জনপ্রিয় কবি মির্যা গালিবের জন্মদিন আজ।
তিনি ১৭৯৭ সালের ২৭শে ডিসেম্বর জন্ম গ্রহন করেছিলেন। গালিবের জন্ম আগ্রায় হলেও তার পূর্ব পুরুষ ভারতীয় ছিলেন না। তার দাদা মির্যা কাকান বেগ খান সমরখন্দ থেকে এসেছিলেন সামরিক উচ্চাভিলাষিতার কারনে। তিনি মোগল সম্রাট শাহ আলমের অধীনে সামরিক দায়িত্ব পালন করেন। তার দুই পূত্র আবদুল্লাহ বেগ খান ও নসরুল্লাহ বেগ খান তাদের বাবারই পদাঙ্ক অনুসরন করে বিভিন্ন শাষকদের অধীনে সৈনিকের পেশা গ্রহন করেন। গালিবের চার বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। তার বাবা দিল্লির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। সৈনিকের পেশায় বিভিন্ন অনিশ্চয়তা থাকার কারনে গালিবের বাবা তার মাকে তার নানার বাড়িতেই অবস্হানের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাই গালিব তার নানার বাড়িতেই আরামদায়ক শৈশব কাটান। যদিও অহংকারী গালিবের নানা বাড়িতে অবস্হানের প্রভাব নেতিবাচক ছিলো।
আগ্রার খ্যাতিমান পন্ডিত শেখ মোয়াজ্জেম তার শিক্ষক ছিলেন। তাছাডা তিনি মীর আযম আলী পরিচালিত একটি মাদ্রাসায়ও যেতেন। তিনি যুক্তিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিত্সাশাস্ত্র ও অধিবিদ্যা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে পড়াশুনা করেন৷ কিন্তু তার ঝোঁক ছিল ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি, এবং বিশেষত ফার্সি ভাষার প্রতি৷ এসময়ে আরবি ও ফার্সি ভাষায় দক্ষ আবদুস সামাদ নামে এক জ্ঞানী ব্যক্তি আগ্রা সফর করেন৷ গালিব তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন৷ আবদুস সামাদ গালিবের মামার বাড়িতে দুই বছর অতিবাহিত করেন৷ গালিব কখনো কাউকে তার 'উস্তাদ' বলে স্বীকার না করলেও পরবর্তীকালে আবদুস সামাদের উল্লেখ করেছেন অত্যন্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার সাথে৷
নয় বছর বয়সেই গালিব ফার্সিতে কবিতা লিখতে শুরু করেন৷ পুরো জীবন ধরে তিনি ফার্সিকে তার প্রথম প্রেম বলে বর্ণনা করেছেন৷ কিন্তু তিনি যে শৈশবেই উর্দুতে কবিতা লিখতেন তারও দৃষ্টান্ত রয়েছে৷ কবি আলতাফ হোসেন হালীর বর্ণনা অনুসারে কানাইয়া লাল নামে এক লোক গালিবের একটি মসনবী সংরক্ষণ করেছিলেন যা গালিবের আট বা নয় বছর বয়সে লিখা৷ এটির অস্তিত্ব গালিব বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু পরে যখন তাকে এটি দেখানো হয় তখন তিনি অত্যন্ত ব্যগ্রতার সাথে সেটি পাঠ করেন৷
১৮১০ সালের ৮ আগস্ট তের বছরের কম বয়সে গালিব নওয়াব ইলাহী বখশ খানের কন্যা ওমরাও বেগমকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আগ্রা থেকে দিল্লিতে চলে আসেন৷ সম্ভবত তা ১৮১১ সালে এবং পরবর্তী একান্ন বছর ধরে তিনি দিল্লিতেই বসবাস করেছেন৷ অবশ্য সাত বছর বয়স থেকেই তিনি দিল্লিতে আসতেন বলে নগরীটি তার কাছে নতুন ছিল না। দিল্লিতে আগমণের পর গালিব চাঁদনী চকের কাছে একটি প্রাসাদ ভাড়া নেন৷ শ্বশুরের প্রভাবের কারণে দিল্লির অভিজাত মহলের সাথে পরিচিত হতে তাকে বেগ পেতে হয়নি৷ গালিব নিজেকে দিল্লির অভিজাতদের মধ্যে গণ্য করতেন এবং সেভাবে চলতে ফিরতে ও আচার আচরণে অভ্যস্ত ছিলেন৷ কবি আলতাফ হোসেন হালী লিখেছেন যে, গালিব কখনো পালকি ছাড়া কোথায়ও যেতেন না এবং যারা তার সাথে সাক্ষাতের জন্যে আসতেন, তিনিও শুধু তাদের কাছেই যেতেন৷
গালিব মদ্য পান করতেন এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে তার নিষ্ঠা ছিল না৷ অতএব, সেজন্যেও তাকে তীব্রভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে৷ তার কবিতায় ধর্মীয় শব্দাবলী উঠে এসেছে প্রতীকি অর্থে, যা অনিবার্যভাবে ধর্মের প্রতি তার বিরূপতা নাও হতে পারে৷ গালিবের আরেকটি দুর্বলতা ছিল জুয়া খেলার প্রতি৷ এ ব্যাপারে তার কোন রাখঢাক ছিল না৷ গ্রীষ্মের একদিন এবং তখন রমজান মাসও ছিল, গালিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশিষ্ট কবি ও ইসলামী আইনে বিশেষজ্ঞ মুফতি সদরুদ্দিন আজুর্দা গালিবের সাথে সাক্ষাত্ করতে গিয়ে দেখতে পান যে তিনি জুয়া খেলছেন৷ ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে এখন তার সন্দেহ হচ্ছে যে, পবিত্র গ্রন্থাদিতে যে বলা হয়েছে রমজান মাসে শয়তান কারারুদ্ধ থাকে, তা সত্য৷ গালিব তাকে স্বাগত জানিয়ে উত্তর দেন, গ্রন্থের বক্তব্য যথার্থ, শয়তান যথার্থই কারারুদ্ধ এবং তা এই কক্ষেই৷ গালিব কখনো রোজা রাখেননি এবং তিনি তা স্বীকার করেছেন৷ অন্যান্য দোষও তিনি স্বীকার করতেন এবং ধর্মের বাণী প্রচারকারীদের বিদ্রূপ করতেন৷ আর্থিক অনটন গালিবের জীবনকে বেপরোয়া করে তুলেছিল এবং নিজ বাড়িতে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাতেন জুয়া খেলতে৷ জুয়া খেলাকে নৈতিকভাবে অপরাধ মনে করতেন না তিনি৷ তখনকার ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছিল এবং জুয়া খেলাকে 'দেশীয়'দের বদভ্যাস বলে বিবেচনা করতো৷ জুয়াখেলার কারণে ১৮৪১ সালে গালিবকে সতর্ক করে দেয়া হয় এবং ১০০ রুপি জরিমানাও করা হয়৷ কিন্তু পরবর্তীতে দিল্লির কোতোয়াল ফৈয়াজ হাসান খান গালিবের বাড়িতে হানা দিয়ে জুয়া খেলারত অবস্থায় তাকে পাকড়াও করেন এবং বিচারে তাকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও দু'শ রুপি জরিমানা করা হয়৷ জরিমানা দেয়া না হলে কারা মেয়াদ বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত ৫০ রুপি দেয়া হলে সশ্রম কারাদন্ড বিনাশ্রম হওয়ার শর্ত ছিল৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রবল আপত্তি উঠে৷ তখনকার সংবাদপত্রগুলো প্রতিবাদে সোচ্চার হয়৷ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার পরও সরকার অনড় ছিল৷ সম্রাটকে জানানো হয় যে বিচারাধীন বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ না করাই ভালো৷ গালিবকে অবশ্য পুরো মেয়াদ কারাবাস করতে হয়নি৷ তিন মাস পরই তাকে মুক্তি দেয়া হয়৷ কারাগারে তাকে কোন শ্রম দিতে হয়নি৷ বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খেতে দেয়া হয়েছে। তবে সামাজিক ভাবে তিনি অনেক হেয় হয়েছিলেন। তার এক বন্ধু পত্রিকায় ঘোষনা দিয়ে তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন। তার বিপদে তার অনেক বন্ধুরা তাকে ত্যাগ করেছিলেন।
মির্জা গালিব কখনো তার জীবিকার জন্য কোনও কাজ করেননি। সারা জীবনই তিনি হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা ধার কর্য করে নতুবা কোনো বন্ধুর উদারতায় জীবন যাপন করেন। মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ও অযোধ্যার নবাব ওয়াজেদ আলীর কাছ থেকে গালিব অনেক অর্থনৈতিক সাহায্য পেতেন। সিপাহি বিদ্রোহের পর এবং অযোধ্যা বৃটিশদের দখলে যাবার পর গালিব চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন। ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে ১৮৩৫ সালে মহাজনরা এক সঙ্গে তার বিরুদ্ধে চার-চারটি মামলা আদালতে দায়ের করে দেয়। ঘর থেকে বের হওয়াই তার জন্য মুশকিল হয়ে পড়ে। দীর্ঘ চার মাস পর্যন্ত কবি প্রায় নিজের ঘরে বন্দী হয়েই থাকেন । এক সময় মহাজনরা কবিকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় । কবি তার ঋণের কথা স্বীকার করে বিচারকের সামনে নিম্নলিখিত দুই পংতি কবিতা আবৃত্তি করেন:
“ঋণ করে করে নেশা করি আমি
জানতাম একদিন,
রঙীন সুরার রঙনে আমার
দুনিয়া রঙীন হবে।”
এই আবৃত্তি শুনে বিচারক মৃদু হেসে কবির বিরুদ্ধেই রায় দেন কিন্তু প্রতিভার সম্মান রক্ষার্থে বিচারক নিজের গাঁট থেকেই ঋণ পরিশোধ করে কবিকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন।
১৮৬৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি মহান কবি গালিব মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারের কাছে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়৷ বর্তমানে গালিবের সমাধিক্ষেত্রটি চরম অবহেলায় পর্যবসিত।
তিনি তার নিজের সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, 'আমি বেঁচে থাকতে আমার গুণকে কেউ স্বীকৃতি না দিলেও, পরবর্তী প্রজন্ম আমাকে স্বীকৃতি দিবে'।
ইতিহাস এর সত্যতা প্রমাণ করেছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কর্ম দিয়েই মানব ধর্মের পরিচয়।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৪
জ্যাকেল বলেছেন: মির্জা গালিব একজন সাধক ছিলেন, উনার জীবনের প্রণালী আমার নিজের কাছেও অপছন্দ কিন্তু উনার মেধা, জ্ঞান/মেধা চর্চার ব্যাপারটা আমাকে বড় টানে। সবমিলিয়ে উনি একজন লেজেন্ড, এটা অস্বীকার করা যায় না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন:
অহংকার থেকে মানুষের চারিত্রিক দৈন্যতা শুরু হয়। যদিও তিনি বিশাল প্রতিভার অধিকারী তবু তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগে না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমাদের মতো কেউ তাকে অশ্রদ্ধা করলে তাঁর সম্মান হানী হবেনা, বরং আমরা তাকে সম্মান করলেই আমাদের সম্মান বাড়তে পারে।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিকই তিনি বেঁচে থাকা কালীন সময়ে তাকে মানুষ তেমন ভাবে দাম দেয় নি । কিন্তু আজ মৃত্যুর মত তার কত শত অনুরাগী !
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: যুগে যুগে, কালে কালে এভাবেই পণ্ডিত এবং মহাগুণীজন তাদের কর্মে মরনোত্তর কালজয়ী হয়ে থাকেন।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: 'আমি বেঁচে থাকতে আমার গুণকে কেউ স্বীকৃতি না দিলেও, পরবর্তী প্রজন্ম আমাকে স্বীকৃতি দিবে'। খুব কম ই বেঁচে থাকতে স্বীকৃতি পায়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: যার জলজ্যান্ত উদাহরণ কবি জীবনানন্দ দাশ!
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: গালিব সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম দাদা ভাল থাকবেন----------
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৪
সোবুজ বলেছেন: এতবড় একজন কবির সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতাম না।জেনে কিছুটা অবাকই হলাম।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক যে আমাদের এই প্রজন্ম মির্জা গালিব সম্পর্কে জানবেনা। আশা করি মির্জা সম্পর্কে পড়বেন। ধন্যবাদ।
৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
“কাহো কিসসে ম্যাঁয় কি কিয়া হ্যায় শাবে গাম বুরি বালা হ্যায়,
মুজে কিয়া বুরা থা মারনা আগার এক বার হোতা?”
-এই নিরাসক্ত আর বিষণ্ণ রাতের অভিযোগ আমি কার কাছে করব?
প্রতি সন্ধ্যায় মরার চেয়ে একবারে মৃত্যুটাই কি শ্রেয় ছিল না?
মরমী সাধকের জন্মদিনে দারুন একটা পোস্ট দিলেন। ++
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: “কাহো কিসসে ম্যাঁয় কি কিয়া হ্যায় শাবে গাম বুরি বালা হ্যায়,
মুজে কিয়া বুরা থা মারনা আগার এক বার হোতা?” - অসাধারন শের!
ধন্যবাদ।
৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ঋণ করে করে নেশা করি আমি
জানতাম একদিন,
রঙীন সুরার রঙনে আমার
দুনিয়া রঙীন হবে।
এই পঙক্তিগুলোকে কি এভাবে সাজানো যায়?-
ঋণ করে করে নেশা করি আমি
জানতাম একদিন-
রঙীন সুরার রঙনে আমার
দুনিয়া হবে রঙীন।
মির্জা গালিবের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার চিন্তা ও উপলব্ধির সাথে মির্জা গালিবের শের সমার্থক হয়েছে।
ধন্যবাদ।
১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উনার সমাধীতে যাওয়া হয়নি। আবার কখনো দিল্লী গেলে অবশ্যই দেখে আসবো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ওনার সমাধী দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি। অত্যন্ত অনাদর অবহেলায় জীর্ণ এক কবরের পাশে একটা সাইনবোর্ড।
১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কবি গালিবের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অল্পই জানতাম, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য।
পোস্টে লাইক।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি গালীবের কবিতার ভক্ত। তাঁর কবিতাকে আরও বেশী অনুভব করার জন্য ফারসী ভাষা শিখতে মন চায়। আমি তার কবিতার বাংলা- ইংরেজী অনুবাদ পড়ি, তার নির্যাসও অমূল্য মনে হয়|
মানুষ এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পর বেঁচে থাকে তার কর্ম আর চিন্তায়।
যেখানেই গালীবের জীবনী পড়ি, সেখানেই এই মদ ও জুয়ার কথা উঠে আসে। আমার মনে হয় এই অংশটুকু তার চেতনাকে এতটুকু খর্ব করেনি। শেষ বিচারের নিক্তি তো মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। সেখানে তো আর মাধ্যাকর্ষণ বা অন্য কোন প্রভাব থাকবে না, সেই বিচার হবে চুলচেরা। আমাদের মানবীয় ত্রুটি বিচ্যুতি যেন গাফুরুররাহিম ক্ষনা করেন।
১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: গালিব সাহেব তার জীবনটা উপভোগ করতে পেরেছেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: গালিবের জীবন উপভোগ করার দর্শন ছিলো ভিন্ন যা তাকে স্বকীয়তা দিয়েছে তার ভক্তদের কাছে।
১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঋণ করে নেশা করা জুয়াড়ু কবির জন্মদিন আজ । শুধু কবিতার কারণে এতো দূষান্বিত একজন মানুষ সম্মানিত হতে পারে তিনি তার উদাহরণ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। কবি গালিবের বোহেমেনিয়ান জীবনের সাথে মিল খুঁজে পাই আমাদের অকাল প্রায়ত কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লা এবং কবি নির্মলেন্দু গুণের।
১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১১
কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম কবি মির্জা গালিব সম্পর্কে। কবি ব্যাক্তি জীবিনে এরকম ছিলেন জানতাম না, তার কবিতা তুমুল জনপ্রিয় বর্তমান সময়ে, হয়ত আরো বহুকাল থাকবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: খারাপ যেতই করুক তারপরও উনি মির্জা গালিব। জগত বিখ্যাত এক লোক।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আলবাত।
১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বাহ! দারুন পোস্ট, শুভ কামনা আপনার জন্য
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৬
জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্টটা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম যে আজকের পোস্ট ফ্লাডিং এর ভেতর নজরের বাহিরে থাকে কিনা দেখতে। কিন্তু বাস্তবিক ব্লগারদের নজর এড়ায়নি। ভালো পোস্ট বানে ভাসে না। জটিলবাদ জানবেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল।
তবে একটা বিশয় অস্বীকার করার উপায় নাই- বর্তমানে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যে কোনো পোস্টের কমেন্টস/লাইক রেটিং নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেটে।
১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৪
ঈশ্বরকণা বলেছেন: আমি কিন্তু জানতাম গালিবের নাম মির্জা আসাদুল্লাহ খান । তার নামের পরে যে বেগ আছে সেটা জানতাম না । ব্রিটানিকা এন্সাইক্লোপেডিয়াতেও তার নাম মির্জা আসাদুল্লাহ খান -ই কিন্তু লেখা আছে।তার শেরগুলো সব সময়ই চমৎকার ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: মির্জা গালিবের নাম কোথাও মির্জা আসাদুল্লাহ খান , আবার কোথাও মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ/খান পেয়েছি।
ধন্যবাদ।
১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৫
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: প্রেম নেশা বিসন্নতার
গজলের কবি ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম তাই।
২০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: মির্জা গালিব -
তাকে নিয়ে কিকোনো মুভি আছে?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, মির্জা গালিবের উপর ভারতেই দুটি পূর্ণদৈর্ঘ চলচিত্র নির্মিত হয়েছে। একটা ১৯৫৪ সনে আর একটা ১৯৮৮ সনে। একটায় অভিনয় করেছিলেন নাসিরউদ্দীন শাহ, শাবানা আজমী। অন্যটায় ভারত ভূষণ ও সুরাইয়া। এছারাও ইরান, তুরস্ক এবং রাশিয়ায় মির্জা গালিবকে নিয়ে চলচিত্র নির্মিত হয়েছে। ইন্ডিয়ান মুভি দুটি ইউটিউবে পাওয়া যায়।
২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আজ ইউটিউবে গালিবের একটা সিনেমা দেখব।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: নাসিরউদ্দীন শাহ-শাবানা আজমী অভিনীত মুভিটা দেখো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এত বদনাম যার, তার প্রতিভা দিয়ে কি হবে?