|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
শাল বাইম এর বদলে কুঁইচা......
বাইম মাছ খুব সুস্বাদু একটি মাছ। আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের বাইম মাছ পাওয়া যায়। একটা তারা বাইম/গুছি বাইম ইংরেজিতে বলে Star Baim। অন্যটার নাম শাল বাইম ইংরেজিতে বলে Tire-track Eel, বা Marbled spiny Eel)- যা দেখতে কিছুটা কুঁইচার মতো। বাজারে বাইম মাছ বেশ দামী মাছ। বড়ো সাইজের তারা বাইম কেজি ৬০০-৯০০ টাকা। আর শাল বাইম সাইজ ভেদে ৯০০--১২০০ টাকার কেজি বিক্রি হয়। 
  কুইচা মাছের ছবি।
 কুইচা মাছের ছবি।
আপনি বাইম মাছ খেতে পছন্দ করেন? 
কিছুদিন আগে স্বপরিবারে একটা কাজে রাজধানীর পূর্বাচল গিয়েছিলাম। এখানেই একটা এলাকা "তিনশো ফুট" নামে বহুল পরিচিত। খুব সকাল বেলা ওখানে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির তাজা মাছের অস্থায়ী হাট বসে। আমরা মাছের হাটে গেলাম। এখানকার বাজারে বিভিন্ন রকম মাছের সাথে কুইচা মাছের আমদানি এবং বিক্রি বেশ ভালো। আমাদের সংগী স্থানীয় একজনের কাছে জানতে চাইলাম- কুইচা মাছ কারা কেনে? জবাবে জানালো- "এইসব হোটেল রেস্তোরায় হরদম কুইচা মাছ বিক্রি করে বাইম মাছ বলে! তা ছারা এই এলাকার কাছাকাছি ময়মনসিংহের গারোরা ছাড়াও অনেক উপজাতির লোকেরা থাকে- তারাই বেশী কেনে।"
 
শাল বাইম মাছের ছবি।
আমাদের দেশে খাদ্য সামগ্রী মানেই শতভাগ ভেজাল। মাছের বেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। চাষ করা মাছ আপনাকে নদীর মাছ বলে গছিয়ে দিবে। শাল বাইমের নামে হোটেল রেস্তোরাঁয় কুঁইচা(Asian swamp Eel) 
খাওয়াবে। কারণ, শাল বাইম মাছের কেজি যেখানে গড়ে হাজার টাকা, সেখানে কুঁইচার কেজি দুইশো থেকে আড়াইশো টাকা। বাইম মাছ দুস্পাপ্য হলেও কুঁইচা সহজলভ্য। শাল বাইমের যেভাবে চামড়া ছাড়িয়ে রান্না করা হয়, কুঁইচারও একইভাবে চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। চামড়া ছাড়ানোর পর শাল বাইম আর কুঁইচার পার্থক্য করা মোটেই সহজ নয়।  
 
তারা বাইম মাছের ছবি।
কুঁইচা সাধারণত মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা খায়না। সাপের মত দেখতে কুঁইচা আঁশ যুক্ত মাছ। কুঁইচার বৈজ্ঞানিক নাম Monopterus cutchia. মিঠা পানি এবং নরম কাদার এই মাছটি পাওয়া যায় উপমহাদেশ সহ বেশ কিছু দেশে। চীন-তাইওয়ান কুঁইচার সবচেয়ে বড় বাজার। তবে দক্ষিন কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়াতেও কুঁইচার ভাল বাজার আছে। 
আমাদের দেশে কুঁইচা মূলত 'ট্রাইবেল ফুড' হিসেবে সুপরিচিত। তবে অ-আদিবাসীদের মধ্যেও অনেকে কুঁইচা খেয়ে থাকে। কুঁইচা সুস্বাদু এবং ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ। বেঁচে থাকার জন্য মানব শরীরে যে ছয়টি উপাদান প্রয়োজন, এগুলি হলঃ- প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল এবং পানি। এই প্রত্যেকটি উপাদানে ভরপুর কুঁইচা মাছ। এমন গুণধর মাছ সম্ভবত খুব বেশি নেই।
(১) কুঁইচা মাছের মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থেকে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়।
(২) আছে ওমেগা-6 এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি এসিড,পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট,মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
(৩) কোলাইন, প্যান্টোথিনিক এসিড, ভিটামিন বি-12, বি-6, ই, সি, রাইবোফ্লোবিন, নিয়াসিন, ফোলেট নামক ভিটামিন।
(৪) ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সেলিনিয়াম,বজিংক এবং ম্যাঙ্গানিজ নামক মিনারেলস।
কুঁইচা মাছ সম্পর্কে হ্যামিলটন নামে একজন বিজ্ঞানী প্রথম আলোকপাত করেন ১৮২২ সালে। পরে এর আরও অনেক গুণাগুণ আবিস্কার হলেও ২০১২ সালে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি কুঁইচা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। বাংলাদেশে কুঁইচার ব্যাপক ব্রিডিং টেকনোলজি এবং শুকনো করার পদ্ধতি এদেরই গবেষণালব্ধ ফল। বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় দুইশত শত কোটি টাকার কুঁইচা-কাঁকড়া রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে। কাকড়া কুচিয়া রপ্তানিতে রপ্তানি কারকদের সরকার ১০% ক্যাশ ইন্টেন্সিভ দিচ্ছে!
কুঁইচার ঔষধি গুণ এবং পুষ্টি গুণ অসাধারন। বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট প্রচার করেছেঃ- 
স্বাস্থ্য উদ্ধার, রোগ প্রতিরোধ, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্ট্রল, ডায়াবিটিস রোধে, আর্থাইটিস, মাসিক স্রাবের যণ্ত্রনায়, কুঁচকে যাওয়া চামড়া এবং স্তন ক্যানসারে কুঁইচা মহৌষধ প্রায়। বিশেষ করে মস্তিষ্কে রক্ত সন্চালন দ্রুত করতে এর জুড়ি নেই। 
আমাদের দেশের সকল আদিবাসী/ উপজাতিদের জীবন চর্চার খাদ্য তালিকায় কুঁইচার ব্যবহার শত-শত বছরের পুরানো। তুলনায় বর্তমান বৈজ্ঞানিক আবিস্কার একেবারেই সাম্প্রতিক। আদিবাসী মানুষজন মূলত রক্তাল্পতা এবং স্বাস্থ্য উদ্ধারের প্রয়োজনেই কুঁইচা মাছকে খাদ্য হিসেবে যুগযুগ ধরে ব্যবহার করে থাকেন।
হাজং, মুরং, সাঁওতাল ছাড়াও অনেক আদিবাসী/উপজাতিদের টোটেম বিশ্বাসও এই কুঁইচা মাছ। আবার সাঁওতালদের ঝুমুর গানেও আছে,
"বিহাই খাঞে লে হে
মাছের কোল,
বিহাইনে রাঁইধেছে
কুঁইচার ঝোল।" 
(তারা বাইম মাছের ছবি নিয়েছি গুগল থেকে)
 ৪৪ টি
    	৪৪ টি    	 +৫/-০
    	+৫/-০  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:৪০
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই মোগল, আপনি এত্তোগুলা প্লাস দিলেন কিন্তু রেটিং শুণ্য  
২|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:৪৪
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: 
বাইম অতি সুস্বাদু মাছ। এখনতো পাওয়াই যায় না।
বর্ষায় ছোট আরেক পোকার বাইম পাওয়া যায়। আকারে ছোটো, হয়তো তারা বাইমের বাচ্চাই হবে।
কইচা কখনো খাইনি।
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:০৩
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি মাছের ভক্ত। বাইম মাছ অনেক পছন্দ করি। জেনে বুঝে কুচিয়া খাইনি, তবে এখন সন্দেহ করছি- না জানি হোটেলে বাইমের নামে কতোবার কুচিয়া খেয়েছি! 
হ্যা ছোট জাতের(ওগুলো আকারে বড়ো হয়না) বাইমকে সম্ভবত গুছা/ভুতুম বাইম বলে।
৩|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:০২
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:০২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সব মাছ ত প্রিয় ছিল কিন্তু এলার্জির কারনে আর খেতে পারি না
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:০৫
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কিছু কিছু মাছে এলার্জির সমস্যা আমারও আছে। কিন্তু মাছ খাবারের সময় আমি এলার্জি কেয়ার করি না।
৪|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:৩৩
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: 
কুঁইচা ও বাইম মাছের জীবনীশক্তি প্রবল।  দেশে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তারা কুঁইচা ও বাইম মাছ পছন্দ করে খান, তবে আমাকে কখনো খেতে দেননি আমি নিজেও আগ্রহ বোধ করিনি। মাছটি দেখতে আমার কাছে সাপের মতো মনে হয় আর তাই কখনো খাওয়া হয়নি। 
আমাদের বিলে এক সময় কাইক্কা মাছ পাওয়া যেতো এক একটি প্রায় ১২-১৫ ইঞ্চি লম্বা, এতো বড় কাইক্কা খুব সম্ভব এখন দেশের আর কোনো হাওর বিলে নেই। বিষাক্ত পানি আর কীটনাশকের কারণে শেষ। 
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:৪৬
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন- কুঁইচা ও বাইম মাছের জীবনীশক্তি প্রবল! তবে বাইম মাছ এখন লুপ্ত প্রায়! 
কাইক্কা মাছ খুব সুস্বাদু। দেশীয় প্রজাতির এই মাছও এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে শুধু মাত্র মনুষ্য সৃষ্ট বিষাক্ত পানি আর কীটনাশকের কারণে।
৫|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৩৬
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৩৬
রানার ব্লগ বলেছেন: যেহেতু মুসলিম দেশে বসবাস তাই খাদ্যা অভ্যাস ও তেমন তাই জিজ্ঞাসা করছি কুইচা খাওয়া কি হারাম ??
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:০০
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: হারাম-হালাল সম্পর্কেও জানিনা এমনকি মুসলমানরা কুঁইচা খায় তেমন কোনো তথ্য আমার জানা নাই।
৬|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:১৪
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:১৪
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শিরোনামে প্রতারণার গল্প, কিন্তু বিষয়বস্তু তথ্যমূলক।
কুচিয়ার আঁশ থাকে না। চামড়া লালচে-বেগুনি, বাইমের চামড়া ও মাংশের চেয়ে নরম।
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:২৭
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে একটা লেখার শিরোনাম খুব গুরুত্বপূর্ণ- যা আমি দিতে ব্যর্থ হয়েছি। কুচিয়া সম্পর্কে আপনার তথ্য কুচিয়া সম্পর্কে আমার জানার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। ধন্যবাদ।
৭|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৪৯
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৪৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার ঐ কুইচা মাছ দেখে আমি একদিন পুরাই অজ্ঞান হয়ে যেতাম।
ছবি দেখেও একই অবস্থা হলো।
কেউ যদি আমাকে শাস্তি দিতে শুধু সামনে এই মাছ ছেড়ে দেয় তাহলেই আমি শেষ।
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৩:৫৫
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৩:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বমি আমারও পাচ্ছে....আমি সেল ফোনে কুইচার ছবি তুলেছি তাই আমার ফোন নিয়ে আমার স্ত্রী গাড়ীতে তার পাশেই বসতে দেয়নি! বাধ্য হয়ে আমি অন্য গাড়ীতে বাসায় ফিরেছিলাম
৮|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৫২
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি রফতানি করা গেলে ভালো হত।
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৪:০১
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৪:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে( প্রায় শত কোটি টাকার) কুইচা হংকং, তাইওয়ান, কোরিয়ায় রপ্তানি হয়। অপ্রচলিত পণ্যের তালিকায় রপ্তানিকারকদের ১০% ক্যাশ ইন্টেন্সিভ দিচ্ছে। কাকড়া কুচিয়া রপ্তানির জন্য উত্তরা এলাকায় বেশ কয়েকটি হাব আছে। আমার বন্ধু দেবনাথ একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির এদেশীয় দ্বিতীয় প্রধান কর্মকর্তা। ওর সাইড বিজনেস হিসেবে কাকড়া কুচিয়া রপ্তানির বিজনেস আছে। শুধু ওদের কোম্পানিই বছরে ১৫ কোটি টাকার কাকড়া কুচিয়া রপ্তানি করে।
৯|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:৩০
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: অনলাইন মাছ ওয়ালাকে বাইন মাছ দিতে বললাম । কেটে ধুয়ে দেয় সবসময় । আমার বাবা বাইন মাছ খুব পছন্দ করে খেতেন , আমরাও খেতাম । এবার রান্নার পর টেবিলে বসে মুখে তুলতেই কুইচ্যার গন্ধ নাকে এলো । খাওয়া বাদ । সব মাছ গৃহ কর্মীকে দেওয়া হল আর বাইন মাছ খাওয়ার হাউশ মিটে গেল । আমরা দক্ষিণে পোঁদ , আমাদের নিয়ে এই একটা সমস্যা । আইড় খাচ্ছি বেশ মজার । পার্শে , পোয়া , পাবদা , রিঠা এসব মাছ দুর্গন্ধ হীন , আরামেই খাওয়া যায় । ভাল পোস্ট ।
  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সন্ধ্যা  ৭:৫৬
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সন্ধ্যা  ৭:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: চারুকলা ভাইজান নিশ্চয়ই কুচিয়া মাছ খেয়েছিলেন, তা না হলে বাইম মাছ খেতে গিয়ে কুইচ্যার গন্ধ বুঝলেন কি করে!  
আইড়, নদীর পাংগাশ, পার্শে , পোয়া , পাবদা , রিঠা এসব মাছ দুর্গন্ধ হীন সুস্বাদু এবং দেশীয় মাছের রাজা বললে ভুল বলা হবে না। 
ভাইজান, আপনিও কি আদি দক্ষিনা? 
শুভ কামনা।
১০|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ৮:১৫
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ৮:১৫
কামাল৮০ বলেছেন: কুইচা খেয়েছি।আসলেই স্বাদ খুব ভালো।ধর্মে কি আছে জানিনা।কিন্তু আমরা খাই না।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৪
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি কখনোই জেনে শুনে খাইনি। ধর্মীয় বিধানমতে যেসব উপসর্গ থাকলে ইসলাম ধর্মে খাওয়া নিষিদ্ধ- তেমন কোনো এলিমেন্ট কুচিয়ার মধ্যে লক্ষণীয় নয়।
১১|  ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ১১:২৩
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ১১:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কুইচা কখনো খাইনি। তবে তথ্য বহুল পোস্ট। গরু বাইম সবচেয়ে দামী মাছগুলোর একটি। ইলেকট্রিক ইল বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ইলেকট্রিক শক দিয়ে একটা কুমিরকে মেরে ফেলতে সক্ষম।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৭
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ইলেকট্রিক ইল নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি ফ্লিম দেখেছিলাম- ন্যাচারাল হিস্টরী চ্যানেলে। তাতে কুমির মারা যায়- তেমনটা মনে হয়নি। সেখানে দেখেছি ট্রাইবাল পিপল ইলেকট্রিক ইল শিকার করার সময় ইলেক্ট্রিক শক পেয়ে কিছুক্ষনের জন্য হাত/পা অবশ হয়ে থাকে, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
১২|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ১:০৩
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ১:০৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: 
বাইম মাছ আমার প্রীয়।
কুইচ্চা মাছকে খারাপ মনে করি না, তবে বাজারে পাওয়া যায় না।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৮
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বাইম মাছ আমারও খুব পছন্দের। কুইচা সচারচর সব বাজারে পাওয়া যায়না তবে কুচিয়া কাকড়া বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাব আছে।
১৩|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ২:০৮
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ২:০৮
শায়মা বলেছেন: ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫০
লেখক বলেছেন: বমি আমারও পাচ্ছে....আমি সেল ফোনে কুইচার ছবি তুলেছি তাই আমার ফোন নিয়ে আমার স্ত্রী গাড়ীতে তার পাশেই বসতে দেয়নি! বাধ্য হয়ে আমি অন্য গাড়ীতে বাসায় ফিরেছিলাম 
 হা হা হা একদম ঠিক শাস্তি হয়েছে।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৯
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কঠিন শাস্তি পেয়েছি!
১৪|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৮:২৬
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৮:২৬
বিটপি বলেছেন: কুইচা মাছ খাওয়া হারাম নয়। কুরআন অনুসরণ করলে শুকর ছাড়া আর সব কিছুই হালাল, যদি যা পবিত্র বস্তু হয়। অপবিত্র প্রাণী, যা নোংরা অবস্থায় থাকে - এগুলো খাওয়াও হালাল নয়। এই ফর্মুলায় চিংড়ি, কুইচা, মাগুর - এগুলোও হারামের মধ্যে পড়ে। তবে এ নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে। 
হানাফী মাজহাব অনুযায়ী যেসমস্ত খাবার খেলে কোন রকম রোগ ব্যাধির আশঙ্কা নেই এবং সহজ পাচ্য - এরকম সব কিছুই হালাল।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৪২
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে হারাম-হালাল অনেক বিতর্কিত! আমাদের দেশে যা হালাল সেই জিনিষ অনেক মুসলিম দেশেই দেদারসে খাচ্ছে- পরিবেশগত কারনে। তবে আমরা বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ অনেক কঠোর ভাবেই হারাম-হালাল মেনে খাই।
১৫|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:২৬
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল পোষ্ট! 
 হোটেলে গজার মাছকে রুই বলে চালানোর প্রচলন বহু পুরনো।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৪৪
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: খোদ ঢাকা শহরের ৯৫% হোটেল রেস্তরায় গজার মাছকে শোল মাছ বলে, আমদানীকৃত মহিষের মাংশকে গরুর মাংশ বলে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।
১৬|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:৫৬
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:৫৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তারা বাইম এবং শাল বাইম দুইটাই আমার পছন্দের মাছ।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৪৬
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: মাছের জগতে এই দুই প্রকার বাইম অন্যতম সেরা মাছ।
১৭|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:২৫
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১২:২৫
জটিল ভাই বলেছেন: 
কুঁইচ্চা দেখলেই গা কেমন যেনো করে।
তবে আপনিই আমার দেখা প্রথমজন যিনি এটাকে এতো সম্মান করে মাছ নামে আক্ষায়িত করলেন 
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৫২
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ 
কুইচ্চা দেখলে আমারও বমি পায়। কিন্তু এই জিনিসটা নিয়ে টিভিতে একটা প্রোগ্রাম দেখে বিস্মিত হয়েযাই- এর গুণাগুণ জেনে। তারপর একদিন ল্যানসেট ম্যাগাজিনে কুইচ্চার উপর বিরাট এক প্রতিবেদন পড়ে এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানার কৌতূহল মেটাতেই গুগল ঘাটাঘাটি করে এতো কিছু জানতে পারি!
টিভি প্রতিবেদন এবং ল্যানসেট ম্যাগাজিনে কুইচ্চা সম্পর্কে জানার আগে আমিও কুইচ্চাকে "কুইচ্চা সাপ" বলতাম- এতো কিছু জানার পর কুইচ্চাকে মাছের সম্মান দিয়েছি। 
১৮|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৪৩
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৪৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বাইম আমার পছন্দের মাছ। বাড়িতে থাকতে প্রচুর ধরতাম। গরুর মাংসের মত মসলা দিয়ে রান্না করতে হয় ভুনা ভুনা।
কুইচ্চা মাছ আমরা খেতাম না। শখ করে দুয়েকজন কে খেতে দেখেছি। চামড়া ছিলে রান্না করে। 
বুনো পাড়া থেকে লোক এসে কুঁচো মাছ ধরে নিয়ে যেতো। দেখলেই গা গুলায়।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৩৩
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বরশি এবং জাল দিয়ে আমার মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আছে-তবে বাইম মাছ ধরার অভিজ্ঞতা নাই। শাল বাইম কোকোনাট মিলক দিয়ে রান্না খুবই মজার।
১৯|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৫০
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৫০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: 
হারাম হালাল নিয়ে লিখতে গেলে আরেকটা পোষ্ট দিতে হতে পারে। কুইচ্চা আদৌ মাছ কিনা জানা নেই। শামুক, কাঁকড়া, অক্টোপাস কেন খেতে হবে সেটাও মাথায় আসে না।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৫৬
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ১:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ১৫/১৬ বছর আগে আমি চায়নাতে ঝিনুক, কাঁকড়া, অক্টোপাস" খেয়েছিলাম- যা নিয়ে ২০০৯-২০১০ সনে চায়না ভ্রমণ নিয়ে এই ব্লগেই লিখেছিলাম। 
প্রবাদ আছে- "ছাগলে কি না খায়"! মানুষ এখন ছাগলের মতো সর্বভূক হয়ে গিয়েছে।
২০|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৪০
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  দুপুর ২:৪০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বাইম মাছ পদ্মা নদীতে বড়শী দিয়ে ধরেছি। তবে বেশি ধরেছি খাল বিল পুকুর শুকিয়ে গেলে, কাদার মধ্যে থেকে। জালে কোনদিন ওঠেনি।
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৫:৩৯
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৫:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: তারা বাইম ধরার সব থেকে মোক্ষম অবস্থা হলো পুকুর, বিলের পানি সেচ দিয়ে কাদার মধ্যে বাইম মাছ ধরা.... শাল বাইম ধরা হয়- খাল নদীতে বাঁশের চোংগা, চাঁই ফাঁদ পেতে.....
২১|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৫:৪৬
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  বিকাল ৫:৪৬
মিরোরডডল  বলেছেন: 
ওহ গড !!
পুরোই দেখতে সাপের মতো ।
কেনো আসলাম এখানে   
  
 
  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ৯:৩৩
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ৯:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: না আসলে কি এমন কদর্য কদাকার খাবারের স্বাদ পেতেন!  
২২|  ১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ৯:৪৯
১৪ ই আগস্ট, ২০২২  রাত ৯:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক কষ্টে ছবি না দেখে পোষ্ট শেষ করলাম।
  ১৫ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:০৯
১৫ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ একদিন আপনাকে এক কেজি কুইচ্চা উপহার পাঠিয়ে দেবো  
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:২৪
১৩ ই আগস্ট, ২০২২  সকাল ১১:২৪
মোগল বলেছেন: +++++++++++++