নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্রাট অশোক পূত্র কুণাল এবং স্ত্রী তিষ্যরক্ষিতার কাহিনীঃ

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৪

সম্রাট অশোক পূত্র কুণাল এবং স্ত্রী তিষ্যরক্ষিতার কাহিনীঃ

প্রায় দুহাজার বছর আগের ঘটনা। ভারতের মৌর্য রাজবংশের তৃতীয় সম্রাট অশোক। সম্রাট অশোকের পাঁচজন পত্নী ছিলেন। ক্রমানুসারে তাদের নামঃ দেবী, কারুবাকি, পদ্মাবতী, অসন্ধিমিত্রা এবং তিষ্যরক্ষিতা। বৌদ্ধ গ্রন্থ ‘মহাবংশ’ এবং ‘দিব্যাবদান’ অবশ্য অশোকের শেষ ‘অগ্রমহিষী’কে ‘তিষ্যরক্ষা’ বলে অভিহিত করেছে। পালি সাহিত্য এই তিষ্যরক্ষার কামকিংবদন্তীতে ভরা। কারণ, তিষ্যরক্ষা/ তিষ্যরক্ষিতা নাকি অতিশয় কামুক ছিলেন। সম্ভবত ইংরাজিতে ওনার বিশিষ্টতা বোঝাতে ‘নিম্ফোম্যানিয়াক’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিষ্যরক্ষিতার সঙ্গে বয়সে সম্রাট অশোকের অনেক ব্যবধান ছিল। বাস্তবে তিষ্যরক্ষিতা, সম্রাটের চতুর্থ পত্নী অসন্ধিমিত্রার পরিচারিকা ছিলেন। ওনার রূপ- যৌবন দেখে অশোক ওনাকে নিজ রানীর স্থান দেন।

অশোকের প্রথম দুই সন্তান মহেন্দ্র এবং সঙ্ঘমিত্রা- যারা বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়ে ‘ধর্ম’ প্রচারের জন্য সিংহলে যান। সম্রাটের অন্য দুই পুত্র তীবর এবং জলৌক। তবে সম্রাটের প্রসিদ্ধতম পুত্র ছিলেন কুণাল, তৃতীয়া রানি পদ্মাবতীর সন্তান কুণাল। সর্বাপেক্ষা মেধাবী এবং সুদর্শন পূত্র সন্তান। সম্রাট মনে মনে কুণালকেই নিজের উত্তরাধিকারী হিসাবে চয়ন করে ছিলেন।

কুণালের চোখ দুটো অপরূপ সুন্দর ছিল। ‘কুণাল’ শব্দের অর্থ সুন্দর নেত্রের ব্যক্তি। তিষ্যরক্ষিতা এবং কুণাল ছিলেন সমবয়সী। এক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক যে কামাতুরা তিষ্যরক্ষিতা কুণালের প্রতি আকৃষ্ট হবে। কিন্তু সম্রাট অশোকের পত্নী হবার ফলে কুণাল তাঁকে ‘মাতা’ সম্বোধন করতেন। কুণালের নিজপত্নী কাঞ্চনমালার সঙ্গেও কুণালের প্রেম ছিল প্রগাঢ়। কিংবদন্তী আছে, তিষ্যরক্ষিতা কুণালের সমক্ষে প্রণয় প্রস্তাব করেন। ইজ দিস টু এবনর্মাল, বাট ইট ওয়াজ রিয়ালিটি! কুণাল সেই প্রস্তাবে অসম্মতি প্রকাশ করেন। মনাহত তিষ্যরক্ষিতা তখন অশোকের সীলমোহর চুরি করে রাজাদেশ জারি করালেন, যে কুণালের চক্ষু উৎপাটিত করা হোক। আদেশ পালিত হল। সম্রাট অশোক প্রকৃত সত্য জানতে পেরে তিষ্যরক্ষিতাকে জীবন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেন এবং সেই নির্দেশ পালন করা হয়। পবর্তীতে কুণালের পুত্র সম্প্রতি কে পরবর্তী মৌর্য সম্রাট ঘোষণা করা হয়।

কুণাল এবং তিষ্যরক্ষিতার এই কাহিনির অনেক সংস্করণ পাওয়া যায়। অনেক পণ্ডিত এই ব্যাপারে একমত হন, যে সম্রাট অশোক কুণালকে তক্ষশীলার দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেন, কিন্তু এই বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে যে কুণাল কি কখনও মৌর্য সাম্রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন? মিথিলার কোশী নদীর তীরে কুণৌলি (পূর্ব নাম কুণাল গ্রাম) নামক গ্রাম আছে এবং গ্রামবাসীরা মনে করেন যে কুণাল একটি সমান্তরাল সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন।

তিষ্যরক্ষিতার মৃত্যুর কারণ এবং বিধি নিয়েও অনেক কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। কিন্তু যেসব বিষয়বস্তুগুলি নির্বিবাদ, তা হল "তিষ্যরক্ষিতা ছিলেন সম্রাটের সবথেকে যুবা পত্নী, তিনি রাজপুত্র কুণালের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন এবং ওনার চাতুর্যের ফলেই কুণালের চোখ উপড়ে ফেলা হয়।" ইতিহাস যাকে ‘তথ্য’ রূপে স্বীকৃতি দেয়, লোকাপবাদ যাকে ‘কলঙ্ক’ বলে চিনহিত, সাহিত্য তাকেই সংবেদনশীলতা নিয়ে মূল্যায়ন করে। রামকুমার বর্মার একাঙ্ক নাটক ‘চারুমিত্রা’, জয়শঙ্কর প্রসাদের কাহিনি ‘অশোক’ তিষ্যরক্ষিতাকেই মুখ্য চরিত্র হিসাবে তুলে ধরেছে।

শ্রী নরেশ মেহতার একটি অদ্ভুত কাহিনী আছে, ‘তিষ্যরক্ষিতা কি ডায়েরি’। সেখানে কিন্তু তিনি তিষ্যরক্ষিতার পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। হিন্দি সাহিত্যে অদ্ভুত সহানুভূতি পেলেও বাংলায় সে সুযোগ তিষ্যরক্ষিতা পাননি। কৃষ্ণবিহারী সেনের ‘অশোক চরিত’ নাটকে আবার তিষ্যরক্ষিতা ‘লক্ষ্মীছাড়া’ অভিধা পেয়েছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর 'কাঞ্চনমালা'তেও ওনার চরিত্রের দিকে আঙুল তোলা হয়নি। অমিত মৈত্রর নাটক 'ধর্মাশোক' এবং সমরেশ মজুমদারের উপন্যাসিকা ‘শরণাগত’তে তিষ্যরক্ষিতাকে অদ্ভুত দোলাচলে এঁকেছেন। মাঝেমধ্যেই ভ্রম হয় তিনি নায়িকা, পরক্ষণেই বুঝি খলনায়িকা। অন্তিমক্ষণও বড় মেদুর করে তুলেছেন। ফাঁসি দিয়ে গ্রীবা ভঙ্গ করার পর রাজকুমার কুণাল অন্তিম দৃশ্যে তিষ্যরক্ষিতার বুকে কান রেখে হৃদস্পন্দন শোনার চেষ্টা করছেন। সে কী তবে প্রেমই ছিল, দুই অভিমুখেরই প্রেম ছিল? অব্যক্ত প্রেম? কামনা ছিল অবদমিত?

মনোবিজ্ঞানগত দিক থেকে তিষ্যরক্ষিতার চরিত্রের তিনটি কথা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। প্রথমত, নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষার অকুন্ঠ স্বীকৃতি। দ্বিতীয়ত, ঈর্ষা এবং প্রতিশোধের সুতীব্র বাসনা। আর তৃতীয়ত, রাজক্ষমতার দোহন করে নিজ স্বার্থ সিদ্ধি। মুন্সী প্রেমচন্দের উপন্যাস ‘নির্মলা’ কিংবা রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ‘নষ্ট নীড়’-র নায়িকারাও এমন পুরুষের প্রতিই আকৃষ্ট হয়েছিল, যারা বয়সে সমান হওয়া সত্ত্বেও সম্পর্কে পুত্র কিংবা অনুজ সম্বন্ধীয় কেউ ছিল। কিন্তু ‘মাতা’ সম্বোধন করা সত্ত্বেও কুণালের কাছে ওই প্রণয় প্রস্তাব এমনই এক স্পর্ধা প্রদর্শন করেছিল যা ভারতইতিহাসে বিরল। নিজের সুতীব্র যৌন আকাঙ্ক্ষার অমন বহিঃপ্রকাশ দুর্লভ! প্রায় দুহাজার বছর আগের এই রমণীর অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষমতার কথা ভাবুন। অপবাদকে তিনি ভয় করতেন না। কুণালের ক্ষেত্রে নিশ্চিত সেই মুহূর্ত ‘অয়দিপাস মোমেন্ট’ ছিল। সম্ভবত (!) কোনও দ্বিধা কুণালের মনে না থাকায় তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ব্যস, তিষ্যরক্ষিতা ক্রোধে জ্বলে ওঠেন।

প্রণয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার মত বড় অপমান খুব কমই আছে। সম্ভবত নারীদের ক্ষেত্রে এই অপমান আরও বেশি হয়ে থাকে। কিছু সামাজিক এবং মনোবিজ্ঞানভিত্তিক কারণ আছে। নারী প্রণয় প্রস্তাব দিলে কখনওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হবে এটা মেনে নিতে পারে না। ঠিক এই কারনেই তিষ্যরক্ষিতা ধ্বংসযজ্ঞ রচনা করেছিলেন কুণালের জন্য, শেষে বহ্নিপতঙ্গের মত নিজেও জ্বলেপুড়ে চাই হয়ে গিয়েছিলেন।
তিষ্যরক্ষিতা মনে মনে বলেছিল, কুণাল, তোমার দুই চোখ আমার বড় প্রিয়, তুমি আমার না হলেও ওই চোখই আমি চাই। সম্রাটের সিলমোহর চুরি হয়েছিল, কিংবা রাজাদেশ দেওয়ার ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল তাঁর উপরেই। সেই ক্ষমতার অনুচিত ব্যবহার হয়েছিল। নিজের আহত সত্তার থাবায় কুণালকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করাই ছিল তাঁর এক এবং অদ্বিতীয় লক্ষ্য। তাতে ওনার রহস্য সবার সামনে আসে। অনেক প্রত্যাখ্যাত পুরুষও কিন্তু ক্ষণিকের জন্য ‘তিষ্যরক্ষিতা’ হতে পারে। হয়েও থাকে। দিকে দিকে অ্যাসিড আক্রমণ তার প্রমাণ।

প্রেম হল আত্মার ইন্ধন, আর কামনা হল জ্বালামুখী। দুইই পরিণাম প্রদান করে। ফলাফল সকলেই জানে। সম্রাট অশোকের হাতে ছিলে ভারতের নিয়তি, কিন্তু ওনার মন আটকা পড়েছিল কলিঙ্গে। সম্রাজ্ঞী তিষ্যরক্ষিতা হতে পারতেন সম্রাট অশোকের নিয়তি, কিন্তু তাঁর মন আটকা পড়েছিল কুণালের চোখে। কুণাল হতে পারতেন এক অভিসারী প্রণয়ী, কিন্তু তিনি আটকা পড়েছিলেন সম্পর্কের জালে।
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ছোট গল্পে পড়েছিলাম, জমিদার দ্বিতীয় বিবাহের পর জানলেন তাঁর একমাত্র পুত্র তাঁর বিমাতাকে মনে মনে কামনা করে, আর তাঁকে ভোগ করতে না পেরে দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছে। তিনি পুত্রকে বিমাতা গমনে অনুমতি দেন। বিমাতা তাঁর পুত্রের ঔরসে সন্তানসম্ভবা হয়। যেদিন সন্তানের জন্ম হয়, সেদিন জমিদার আত্মহত্যা করেন।

সমাজে এমন অনেক অনেক জটিলতর সম্পর্ক ছিল, আছে এবং থাকবে। কিছুর পরিনতি ঘটে, কিছুর ঘটে না। লালসার রূপ বড় কুৎসিত। একজনের লালসা হয়ত অন্যের প্রেম। কারও প্রেম হয়ত কারও ঘৃণা। আর প্রেমের ঘৃণা ক্রূরতম হয়ে থাকে।

মূল ঘটনা Ashoka: The Search for India’s Lost Emperor by Charles Allen থেকে নেওয়া হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ-
১. প্রিয়দর্শী রাজা অশোক - অমরজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।
৩. স্বদেশ সভ্যতা ও বিশ্ব - জীবন মুখোপাধ্যায়।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: একসলেন্ট রাইটিংস। একটানা পড়ে গেলাম।
ভালো লেগেছে। কুনালের চোখ নামে একটা বই সম্ভবত এই কাহিনী নিয়ে বের করা হয়েছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কুনালের চোখ নামের কোনো বইয়ের কথা জানা নাই, তবে এই শিরোনামে একটা লেখা পড়েছি মনে পরে।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

মোগল বলেছেন: |-)

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: "একটা কিছু ক গোলাপী" =p~

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গুড পোস্ট।++
কুনালের চোখ বা অশোক পত্নী তৃষ্যরক্ষিতার ঘটনা সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকেই পরিচিত। বিষয়টা নিয়ে বহুবার নাটক সিনেমা হয়ে গেছে। কিন্তু এই পোস্টে আপনি যেভাবে তথ্য-উপাত্ত সহযোগে সমৃদ্ধ করলেন এবং এক অডিপাসের সম্ভাবনার কথাকে স্মরণ করালেন তাতে পোস্টটি ভীষণ ভালো লেগেছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাইয়া, এই পোস্টের ঘটনা বহুল প্রচারিত, প্রকাশিত। গুগল সার্চ দিলেই অন্তত ৫০ টা লিংক পাবেন। আমি সেইসব থেকে আরও একটু বেশী তথ্য উপাত্ত যোগ করতে চেষ্টা করেছি। নতুন কিছু যোগ না করতে পারলে কপি করে পাঠক বন্ধুদের বিরক্ত করার কোন মানে হয়না!

ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
জানা হলো ইতিহাসের একটি অজানা দিক।
আরো বিস্তারিত পড়ার ইচ্ছে জাগলো।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে এই উপখ্যান নিয়ে ২২০ পৃষ্ঠা থেকে শুরু করে ৪০০ পৃষ্ঠার অন্তত গোটা দশেক বই আছে। আমি এই পৃষ্ঠায় লিখেছি তাতেই বেশীরভাগ বন্ধুদের বিরক্তি- "এতো বড়ো লেখা!"
একসময় যত বড়ো লেখাই হোক ব্লগের বেশীর ভাগ পাঠই পড়ে মন্তব্য করতেন। এখন লেখার সাইজ বড়ো দেখলেই বর্জন করেন।

ইন্টারনেটে এই বিষয়ে অনেক লিংক পাবেন- পড়ে ভাল লাগবে।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১০

শেরজা তপন বলেছেন: ~নারী প্রণয় প্রস্তাব দিলে কখনওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হবে এটা মেনে নিতে পারে না-
এটা সবক্ষেত্রে কি? আমার ধারনা যারা নিজেকে অতীব সুন্দরী এবং পুরুষ মানেই তার পদতলে পিষ্ঠ হবে এরাই এমনটা হয়।
~‘মাতা’ সম্বোধন করা সত্ত্বেও কুণালের কাছে ওই প্রণয় প্রস্তাব এমনই এক স্পর্ধা প্রদর্শন করেছিল যা ভারতইতিহাসে বিরল। নিজের সুতীব্র যৌন আকাঙ্ক্ষার অমন বহিঃপ্রকাশ দুর্লভ! প্রায় দুহাজার বছর আগের এই রমণীর অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষমতার কথা ভাবুন;
এইটা চরম একটা কথা। এমনটা এখনো ভাবা কষ্ট!

দারুন কিছু তথ্য জানলাম নতুন করে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত।

ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২০

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রতিদিনইতো দেখছি অনেক নূতন-নূতন তথ্য নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়ে আমাদের জ্ঞাণ ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলছেন :)
তবে যাই বলুন, এসব করে আর যাইহোক, ব্লগ মাতানো যায় না =p~
নাকি গুরু-টুরু হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন? :P

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে শাখামৃগ এবং লম্বা কানওয়ালা চতুষ্পদ না হলে "ব্লগের আরটিপি বাড়েনা, হিট বাড়েনা, আর হিট বাড়া মানেই ব্লগের আরটিপি বাড়া"- এইয়া মডু বুগ্লোনা

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমিও ব্লগে বড় লেখা পড়ি নি। ভালো লাগে না। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে অবশ্যই।

লিংক থেকে পড়বো না।
বই বড়বো।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ভালো বিষয় ভিত্তিক লেখা হলে যতই বড়ো হোক পড়ি।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০২

ঢিসুম বলেছেন: একজনের সৎপুত্রের প্রতি আকর্ষণ, আরেজনের বিমাতার প্রতি আকর্ষণ - এই ব্যাপারগুলো আলোচনার খোরাক হয় কি করে? সেই কিশোর বয়েসে যখন প্রথম চটি সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছিলাম, কয়েকটি পড়ার পর বলতে পারেন একেবারে ছিটকে বেরিয়ে এসেছিলাম। মানুষে মানুষে সম্পর্কের যে একটা মর্যাদা, চটি সাহিত্যিক (!) দের কাছে তার কোন মূল্যই নেই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: চটি সাহিত্য আর পৌরাণিক মিথ এর পার্থক্য বুঝতে হবে। আএ এই আলোচনার সাথে পোস্ট লেখক জড়িত নয়। এখানে পৌরাণিক ইতিহাসের কিছু চরিত্রের ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ননা করা হয়েছে।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন ,



অনবদ্য একটি লেখা।
সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস " শরণাগত" উপন্যাসটি পড়েছি রুদ্ধ নিঃশ্বাসে। হৃদয় মোচড়ানো লেখা। পাঠক মাত্রেই চুম্বকের মতো আটকে থাকবেন কাহিনীতে। জানতুম, উপন্যাসটি ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে লেখা। ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে উপন্যাস লেখা যেতেই পারে কিন্তু তা যে সম্রাট অশোকের জীবন কাহিনী জানা ছিলোনা।
জানলুম আপনার এই লেখা থেকে।

সমরেশ মজুমদার উপন্যাসের শেষ প্যারায় লিখেছেন -
রাজকুমারের মস্তক অবনত হল। ধীরে ধীরে তিষ্যার বক্ষ স্পর্শ করল। হৃদস্পন্দন অনুভুত হতে না হতেই রাজকুমার বুঝতে পারল মহাঅনন্তের স্তব্ধতা তিষ্যাকে আশ্রয় করেছে। এবং তখনই রাজকুমারের অধর স্ফুরিত হয়ে সমস্ত সত্তা মন্থন করে একটি শব্দ উচ্চারিত হল , "কল্যান হোক।"
সমরেশ কি নিদারূন ভাবেই না ফুটিয়ে তুলেছেন একটি অতৃপ্ত ভালোবাসাময় তৃষিত হৃদয়ে অন্ধ এক স্তাবকের উচ্চারিত স্তোত্র!!!

যে যা-ই বলুক আমি এটাকে কামাচার মানতে রাজী নই। এ হলো এক অনির্বচনীয় প্রেমের উপাখ্যান, অতৃপ্ত প্রেমের হাহাকার.....
এ যেন নজরুলের সেই গান ---
জীবনে যারে তুমি দা্ওনি মালা
মরনে কেন তারে দিতে এলে ফুল।


৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় জিএস ভাইজান, আপনার মন্তব্যের কোনো তুলনা হয়না। এমন সুন্দর মন্তব্য!
সমরেসশ মজুমদারের শরণাগত পড়েছি। অসাধারণ উপন্যাস! সমরেশ মজুমদার গোটা উপন্যাস জুড়ে যা লিখেছেন আপনি এক লাইনে তা তুলে ধরেছেন!!! আমি সত্যিই অভিভূত!!

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১১

কামাল৮০ বলেছেন: অশোক কি হিন্দু বিদ্বেশী ছিলো নাকি নিজেই হিন্দু ছিলো।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: সম্রাট অশোক মৌর্য্য বংশের লোক এবং বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩১

ঘুটুরি বলেছেন: দারুন লেখা। এত সাবলীল যে, কল্পনায় একে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল না। ধন্যবাদ

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালোবাসা থাকলে কুনানের চোখ তোলার হুকুম দিত না ঐ রানী। অনেক আগে আমার এক কলিগ থানায় জিডি করেছিল কয়েকজন মাস্তান এবং একটি মেয়ের বিরুদ্ধে। ঐ মেয়েটি আমার কলিগকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু যে কোন কারণেই সেটা আমার কলিগ গ্রহণ করেনি। একই এলাকায় বা গ্রামে থাকার কারণে উভয়ে উভয়কে চিনত অনেক বছর ধরে। তবে প্রেম বা ভালোবাসা ছিল না। আমার সেই কলিগকে পাওয়ার জন্য ঐ মেয়ে স্থানীয় মাস্তানদের সহায়তা নেয়। বিভিন্নভাবে মাস্তানরা হুমকি দিতে থাকে। পরে অবশ্য ঐ বিয়ে বা সম্পর্ক হয়নি।

গ্রীক পুরাণে একটা গল্প আছে যে ওডিপাস নামে এক রাজা নিজের অজান্তেই তার বাবাকে হত্যা করে এবং তার মাকে বিয়ে করে। এই ব্যাপারে একটা ভবিষ্যৎবাণী আগে থাকতেই ছিল। ভবিষ্যৎবাণী জানা সত্ত্বেও এই কাজ সে করে ফেলে নিজের অজান্তেই। ঘটনাচক্রে পিতাকে হত্যার সময় সে জানতো না যে এটা তার পিতা এবং সে প্রকৃতপক্ষে তার মাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: 'ওয়েডিপস রেক্স' নাটকে দেখেছি- ওডিপাস থ্যাবসের এক দুঃখী রাজা, যিনি অজ্ঞাতসারে তার পিতা লায়সকে হত্যা করেছিলেন এবং তাঁর মাতা জোকস্তাকে বিয়ে করেছিলেন। গ্রীক পুরাণ মানেই একটি মহাকাব্য। গ্রীক পুরাণে যে কতশত রকমের চরিত্র এবং গল্প আছে তা বলে শেষ করা যাবেনা।

যেমন, গোলাপ নিয়ে আসলে একটা না, অনেক উপকথা। একদিন ফুলের দেবী ক্লোরিস বাগানে হাঁটতে বের হয়েছিলেন।
তখন তিনি সেখানে একটি পরীর মৃতদেহ দেখতে পান। তাকে একটি ফুলে রূপান্তর করেন। এরপর দেবতা তিনি অমৃতের দেবতা ডাইনোসাস এবং ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের দেবী আফ্রোদিতিকে ডাকেন। আফ্রোদিতি তখন ফুলটিকে উপহার হিসেবে দেন।

দেবতা ডাইনোসাস উপহার হিসেবে ফুলটিতে কিছু অমৃত যোগ করে দেন যা বাতাসে সুগন্ধ ছড়ায়। তারপর বাতাসের দেবতা জেফিরাস বাতাস দিয়ে ফুলটির ওপর থেকে মেঘের ছায়া সরিয়ে দেন। এসময় স্বর্গ থেকে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো ফুলটিকে একছটা সূর্যকিরণ দেন ফুলটি ফোটার জন্য। এভাবেই বিভিন্ন দেবতার উপহারে পৃথিবীর বুকে প্রথম গোলাপ ফুলের জন্ম হয় আর তা ফুলের রানী হিসেবে সব ফুলের মাঝে জায়গা করে নেয়।

আমি সময় সুযোগ পেলেই গ্রীক পুরাণ থেকে পড়ি- যা আমাকে অনেক লেখাই লিখতে সহায়তা করে।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নয়া ইতিহাস জানা হলো।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: এটা কিন্তু নয়া ইতিহাস নয়। বলা যায় মধ্য যুগের পৌরাণিক ইতিহাস। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.