নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
যুদ্ধাবস্থা ও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি.....
আমি অনেক যুদ্ধকালীন/ যুদ্ধের পটভূমি নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত মুভি দেখেছি। যেমনঃ টু ওমেন, শিন্ডলার'স লিস্ট, দাস বুট, ডানকার্ক, দ্য গ্রেট এসকেইপ, কাম এন্ড সি, দ্য ইমিটেশন গেম, ক্যাসাব্লাঙ্কা, জোজো র্যাবিট, ডার্টি ডজন ইত্যাদি।
যুদ্ধের পটভূমিতে বাংলাদেশে যেসব সিনেমা নির্মিত হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ ওরা এগারো জন, আবার তোরা মানুষ হ, ধীরে বহে মেঘনা, কলমি লতা, মেঘের অনেক রং, আগুনের পরশ মনি, জয়যাত্রা ইত্যাদি। সকল যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত সিনেমায় উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো - নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব, দারিদ্রতা, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সেই সুযোগে একশ্রেণীর ফটকাবাজদের লোভের কাছে সাধারণ মানুষের জিম্মিদসা। যুদ্ধকালীন সময়ে দ্রব্য মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা একটা কমন সমস্যা। এই সমস্যা চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন শহিদুল্লা কায়সারের কালজয়ী উপন্যাস শংসপ্তক উপন্যাস এবং ধারাবাহিক নাটকে, সেই স্মৃতি এখনো বিটিভি'র সাদাকালো সময়ের দর্শকদের মনে আছে।
আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে- যুদ্ধাবস্থায়, যুদ্ধের পরবর্তীতে দ্রব্য মূল্য বেড়ে যায়। যার চাক্ষুষ প্রমাণ দেখেছি ১৯৬৫ সনে পাক-ভারত যুদ্ধের সময়, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় (তবে ব্যতিক্রম ভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সবকিছু বিক্রি হয়েছিল পানির দড়ে)! আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে ১৯৭৪ সনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির সাথে সাথে দ্রব্য মূল্য ছিল আকাশচুম্বী। বর্তমানে দেশের কোথাও কোনো পণ্যের কমতি নাই। কিন্তু দাম সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতার পর প্রথম চার বছরের মূল্যস্ফীতিতে ততকালীন ক্ষমতাসীন দলের কারোরই মূল্যস্ফীতিতে কোনো সমস্যা হয়নি।
কিন্তু এখনতো দেশে যুদ্ধাবস্থা নাই। তবুও অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে আমজনতার নাভিশ্বাস! যুদ্ধ নেই, তবে ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট এইদেশের জনগণের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়ে ইচ্ছে করে নিজেদের মতো করে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি করে আখের গোছাচ্ছে। এর বড় একটি অংশ অটোমেটিক ঊর্ধ্ব স্তরের আ্যকাউন্টে যোগ হচ্ছে। অবাক মিল হচ্ছে- স্বাধীনতার পর প্রথম চার বছরের মূল্যস্ফীতিতে ততকালীন ক্ষমতাসীন দলের কারোরই মূল্যস্ফীতিতে যেমন কোনো সমস্যা হয়নি, বর্তমান মূল্যস্ফীতিতেও বর্তমান সরকার সংশ্লিষ্টদের কোনো সমস্যা নাই। তাই তারা মূল্যবৃদ্ধিকে অপপ্রচার হিসেবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
সব ধরণের পণ্যে বাজার ঠাসা। তারপরও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিন পাগলা ঘোড়ার মতো পণ্যমূল্য বেড়েই যাচ্ছে। বাজার দেখভালের দায়িত্ব যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তারা বাজারে নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সচিবালয়ে মাঝেমধ্যে বৈঠক করার খবর প্রচার হচ্ছে। অতঃপর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সহজ সরল স্বীকারোক্তি ‘ব্যসায়ীরা সুবিধা নিচ্ছেন’ ‘ব্যবসায়ীরা কথা রাখছেন না’ ‘এমন হবে বুঝতে পারিনি’ ‘এক মাস পর দাম সমন্বয় করা হবে’ ইত্যাদি উক্তি করে তিনি যেন ব্যবসায়ীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রীর এই ‘খেই’ হারানো কথাবার্তার দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছেন অসৎ ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো, শুল্ক প্রত্যাহার এবং কোটি পরিবারকে টিসিবির ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির কর্মসূচি নিত্যপণ্যের বাজারে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। এতে করে বাজার করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের পরিবারগুলো।
গ্যাস আমাদের নিজস্ব সম্পদ। যথাসময়ে স্থল ও সমুদ্র ভাগের গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন এবং জ্বালানি খাতে ভুল নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম দূর করতে পারলে আজ গ্যাসে আমদানিনির্ভর হতে হতো না। অথচ এ দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপানো হচ্ছে। এটা অন্যায়, অযৌক্তিক ও অনৈতিক।
* অমর্ত্য সেন অর্থনীতির যে বিষয়টির উপরে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সেটি হল দুর্ভিক্ষ পণ্যের অভাবে হয় না দুর্ভিক্ষ হয়েছে মানুষের পণ্য ক্রয় ক্ষমতা যখন থাকে না। আগে অর্থনীতিবিদরা মনে করতেন দুর্ভিক্ষ হয় পণ্যের অভাবে। কিন্তু অমর্ত্য সেন বাংলাদেশের চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের উপরে গবেষণা শেষে নতুন তত্ত্ব হাজির করেন যে দুর্ভিক্ষ হয়েছে মানুষের কোন পণ্য কেনার মত ক্ষমতা ছিল না। তার এই স্টাডির সাবজেক্ট ছিল চুয়াত্তরের বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ। এবং সেখানে তিনি গবেষণা করে দেখেন যে সে দুর্ভিক্ষ আসলে পণ্য ঘাটতির জন্য হয়নি, বাংলাদেশের বাজারে সে সময় যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য ছিল। কিন্তু মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এত নেমে যায় যার ফলে মানুষের খাবার কেনার মত সামর্থ ছিলনা। তার এই আবিষ্কারের ফল হচ্ছে অমর্ত্য সেনের নোবেল বিজয়।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: লাভ হয় সমরাস্র বিক্রেতাদের।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দ্রব্যমূল্য যে হারে বাড়ছে এটা নিয়ে সরকারের দ্রুত কাজ করা উচিত।তা না হলে সাধারন জনগনের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাবে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কী দুর্বিসহ জীবন যাচ্ছে- তা ভুক্তভোগীরা আছা কেউ বুঝবেনা।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কিসের কিসের দাম বড়েনাই গত ৩ মাসে তার কি কোনো তালিকা আছে?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: যদি আপনার বাজার সদাই করার প্রয়োজন না হয়- তাহলে এগুলো আপনার জানার দরকার নাই! তারপরও যদি জানতে ইচ্ছে করে- কষ্ট করে বাজারে যাবেন, অথবা দৈনিক পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাবেন।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অভাব অনটনে দেশে কি কি সমস্যা হতে পারে এইগুলো রাজনৈতৈক দলগুলো জানে, তাই ইচ্ছাকৃত মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ তৈরি করা হচ্ছে বলে আমি মতামত রাখি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বর্তমান অবস্থার জন্য সম্পুর্ণ সরকারের পলিসি দায়ী।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: @রাজীব, তোমার মন্তব্যের জবাব এর একটা বানান ভুল এডিট করতে গিয়ে তোমার মন্তব্যটা ডিলিট করে ফেলেছি। স্যরি।
তোমার মন্তব্যের সাথে একমত। সম্পদের সুসম বন্টন হলে এওমন অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকতোনা, এতো বেশী অসম দারিদ্রতা থাকতোনা।
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৮
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ গণতন্ত্র ও সুশাসনের ওপর নির্ভর করে। কানাডায় মুদ্রাস্ফীতি অসম্ভব বেড়ে গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়েই চলেছে, আমজনতার অবস্থা কিছুটা নাজুক। তবে তাঁদের সুশাসন ও সদিচ্ছার কারণে এটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে ৮০র দশকে এখানে সুদের হার এক সময় 20% এর উপরে গিয়েছিলো।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি খোদ কানাডায় থেকে কানাডার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে আমরা বাংলাদেশে থেকেই আমাদের ফাটা কেস্ট নেতাদের মুখে শুনি- "বাংলাদেশ এখন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর, মালেশিয়ার চাইতেও উন্নত"!
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অমর্ত্য সেন একজন বড় মাপের অর্থনীতিবিদ।
বাংলাদেশে গত ১০ বছর বা তার চেয়ে বেশী সময়ে নতুন জ্বালানী গ্যাস খোঁজা হয়নি। ঐ সময় থেকে খোঁজা শুরু করলে জ্বালানীর দামের এই অবস্থা হত না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের একাধিক গ্যাসক্ষেত্র বিদেশী গ্যাস অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান গ্যাস নাই বলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিলো... অথচ বাপেক্স সেই পরিত্যক্ত গ্যাস ক্ষেত্র থেকেই (ব্রাম্মনবাড়িয়া ও ভোলা) বর্তমানে বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করে দেশে গ্যাসের চাহিদার যোগান দিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যুদ্ধ খুবই ভয়াবহ। সব শেষ করে দেয়।