নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
হারিয়ে গেছে কতো কী....
কত রকমের হারিয়ে যাওয়া যে আছে জীবনে। আমার হারানোর শুরুটা হয়েছিল জন্ম থেকেই.... তারপর কতো কিছু যে হারালাম! একমাত্র বুবুকে হারালাম, বাবা হারালাম, ভাই হারালাম- প্রথম প্রেম হারালাম.... এখনো কতকিছু যে হারাই- চাবি হারাই, চোখে চশমা পরে চশমা হাতড়ে বেড়াই.... ঘড়ি, কলম থেকে বইপত্র, চিঠি থেকে সেলফোন। হারাবার বস্তুর কমতি নেই জীবনে। জিনিস হারাই পথে-ঘাটে, বাসে-ট্রেনে, বাড়ীতে-অফিসে। ঠিকানা হারাই- বন্ধু বলে গেছেন বাড়ীর নম্বর, হারিয়ে ফেলেছি। বলেছেন আমন্ত্রন শুক্রবারে, হারিয়ে ফেলেছি ফোন নম্বর। কেমন করে জানা যাবে কখোন ক'টায় যেতে হবে? তারপরও যাই- রাস্তা হারাই- যাব কলাবাগান প্রথম লেনে, গিয়ে উপস্হিত লেক সার্কাস। এমনকি নিজের ফ্ল্যাটে না ঢুকে অন্যের ফ্ল্যাটে ঢুকে জুতা শার্ট খুলে সম্বিত ফিরে পাই.....আমি লজ্জিত হই, বারবার স্যরি বলি- যদিও ভুল ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা অত্যন্ত সম্মান আর দরদী ভাবেই গ্রহণ করেন।
আজকের পৃথিবীতে শিশুরা তাদের শৈশব হারায়, কিশোররা হারায় তাদের কৈশোর। যে হাতে বই ধরার কথা, সে হাত যখন হাতুড়ি ধরে, তখন তারা তাদের শৈশব হারায়। তেমনিভাবে যে কিশোর পড়ার ভারে নুয়ে পড়ে, পরিবারের চাপের কাছে সময় হারায়, তারাও তো তাদের কৈশোর হারায়। তবে যে জিনিসটা আমাকে খুব কষ্ট দেয় তাহচ্ছে- প্রতিদিন চোখের সামনে দেখা একটা নামকরা স্কুল/কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্ছন্নে যাওয়া।
আমার অফিস সংলগ্ন একটা ‘এন্ড রোড়’ আছে....বেশ নিরিবিলি প্রাকৃতিক ছায়াঘেরা যায়গা। অভিজাত আবাসিক এলাকা.....আমার অফিসের কাছাকাছি শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ। এই কলেজের একশ্রেণীর স্টুডেন্ট সকাল থেকে গ্রুপ করে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত মহা উল্লাসে গাঁজার আসর বসায়....গাঁজার গন্ধ আর ধূম্র জালে গোটা এলাকা দুষণীয় হয়ে ওঠে। এরা প্রায় সবাই বড়ো লোক/অভিজাত পরিবারের সন্তান। সবারই দামী গাড়ি কিম্বা মোটরবাইক আছে.....এই সংঘবদ্ধ গাঁজারুদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। আবার আমার বাড়ির কাছেই একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে সকাল থেকে রাত দেড়টা দুইটা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের চলে দৃষ্টিকটু বেলেল্লাপণা! কারোর সাধ্যনেই প্রতিবাদ কিম্বা ভালোউপদেশ দেওয়ার। আসলে সাহসের চাইতেও বড়ো বিষয়- "কার গরু, কে দেয় ধোঁয়া!"
স্মৃতিও তো হারাই আমরা। ভুলে যাই প্রিয়জনের নাম। ছেলেবেলার বন্ধুরা যখন পড়ন্ত বেলায় সামনে এসে দাঁড়ায়, হাতড়ে বেড়াই কি যে ছিল নাম টা- এটা কি কামাল, না কি রমেন, জোসেফও তো হতে পারে। ভুলে যাই দিনক্ষন- জন্মদিন ভুলি, বার্ষিকী বিস্মৃত হই। কত ঘটনার স্মৃতি হারিয়ে যায়। প্রেশারের ঔষধ সহ বেশ কয়েকটা ঔষধ আমাকে খেতে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদে। এর মধ্যে দুটো ঔষধ খাই টানা চার পাঁচ বছর ধরে ব্রান্ড/পাওয়ার অদলবদল করে। গতকাল ঔষধ কিনতে গেলাম....অনেক চেষ্টা করেও ঔষধের নাম মনে করতে পারলাম না। প্রায় ঘন্টা খানিক লাজ ফার্মা ঔষধের দোকানে বসে থেকে ঔষধ না কিনেই বাসায় ফিরে এলাম! বাজার করতে যেয়ে একই পণ্য একাধিকবার কিনেছি কিন্তু প্রয়োজনীয় পণ্যটি কেনাই হয়নি!
নিজেকে তো হারিয়ে ফেলি নানান সময়ে- চিন্তায় ডুবে যাই পারিপার্শ্বিকতাকে ভুলে গিয়ে। হারিয়ে ফেলি সত্যিকারের আমিকে। মাঝে মাঝে ভাবি- এই আমিটি কে? আমার নিজের মাঝে শত শত আমিকে দেখি- মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে করে, 'আমার মাঝের সত্যিকার আমি কি উঠে দাঁড়াবে'? নিজেকে খুঁজে বেড়াই নিজের মাঝে- ‘আপনাকে জানা আমার ফুরোয় না’!
অন্যের মাঝেও তো হারায় মানুষ- প্রেমে, মায়ায়, মমতায়। এ হারানোর সুখ আর আনন্দের কি তুলনা চলে? এ হারানো মানুষকে রিক্ত করে না, সিক্ত করে, শূন্য করে না, পূর্ণ করে। এ হারানো মানুষ অনেক সময়ে টের পায় না- হঠাৎই তা হয়ে যায়, অনেকটা সেই 'হারিয়ে ফেলেছি মন, জানি না কোথায়, কখন' এর মতন। ভালবাসায় কি নিজেকে হারিয়ে ফেলে নি 'নেতাই কবিয়াল' 'ঠাকুরঝির' মাঝে? কিংবা 'বিজয়া' কি হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করে নি যে 'নরেন' এর প্রতি প্রেমে সে হারিয়ে গেছে?
যখন প্রিয়জনেরা এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, তখন আমরা বলি, 'আমরা বন্ধু হারিয়েছি, স্বজনেরা চলে গেছে, অথবা প্রিয়জনেরা আর ফিরবে না।' এ হারানো আর ফিরে আসে না। মাঝে মাঝে তখন মনে হয় -'লুকিয়ে আছ, আঁধার রাতে, তুমি আমারও বন্ধু হে'। তবে হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রবি ঠাকুরের বামির তুলনা নেই। 'হারিয়ে যাওয়া' কবিতায় মাঝের ক' লাইনে এক অদ্ভুত হারানোর কথা আছে:
“সিঁড়ির মধ্যে যেতে যেতে
প্রদীপটা তার নিভে গেছে বাতাসেতে,
শুধাই তারে, 'কি হয়েছে বামি?'
সে কেঁদে কয় নীচে থেকে, 'হারিয়ে গেছি আমি”।
কখনে কখনো বিশ্বাস হারাই মানুষের ওপরে। কখনো হয়তো কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে- অর্থের ব্যাপারে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে, প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে। আর বিশ্বাস ফিরে আসে না- হারিয়ে যায় চিরদিনের মতো। আস্থা হারাই প্রতিষ্ঠানের ওপর, নিয়মের ব্যাপারে, মূল্যবোধের ক্ষেত্রে। আস্থা হারাই রাষ্ট্রের ওপরে, নেতৃত্বের ওপরে। ভাবি রাষ্ট্রে সমতার প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে, ন্যায় লঙ্ঘিত হবে না, মানবিকতা রক্ষিত হবে। যখন এর কিছুই হয় না, আমাদের আস্থার জায়গাটি থাকে কোথায়?
আবার অন্যদিকে মানুষ অন্যভাবেও তো হারিয়েছি. বহু মানুষকে যে ভাবে দেখেছি, পরে তাঁরা সেখান থেকে হারিয়ে গেছে। লোভ-যশ-খ্যাতির বশবর্তী হয়ে বহু সম্মানিত মানুষের পদস্খলন দেখেছি- তাঁরা আমাদের শ্রদ্ধা হারিয়েছেন। বহু বান্ধব তাঁদের মত ও পথ বদলেছেন, নানান মোহের কাছে পরাজিত হয়েছেন। যা তাঁরা হতে পারতেন, তা তাঁরা হন নি, যা তাঁরা করতে পারতেন, তা তাঁরা করেন নি। সুতরাং তাঁদেরও তো আমরা হারিয়েছি- সর্ব অর্থেই। জাতি পথ হারায়, দেশ লক্ষ্য হারিয়ে ফেলে।
অনেক সময় হারিয়ে ফেলি ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মূল্যবোধ। পরিবর্তনের নাম করে বদলে ফেলি সনাতন মূল্যবোধ। আধুনিকতার দোহাই দিয়ে অস্বীকার করি ঐতিহ্য। নানান স্বার্থ প্রনোদিত হয়ে বদলে ফেলতে চাই ইতিহাস। আমাদের দেশের সংস্কৃতি, স্বকীয়তা আর মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে এ হারানো বড় প্রকট। আমরা বিস্মৃত হই যে, এগুলো হারালে আমাদের আর কিছুই থাকে না।
আমরা তো মানবতাও হারাই। আমাদের নিত্যদিনের কর্মকান্ডে আমরা মানবতাকে নিধন করি। সম্মানিত মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেই না, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে। অন্য ধর্মের মানুষদের ধর্মচর্চ্চায় বাধা দেই, অন্যের কণঠস্বরের টুঁটি চেপে ধরি। এর প্রতিটি মাত্রিকতাতেই আমরা মানবতা হারিয়েছি।
চুড়ান্ত বিচারে মানুষ হিসেবে মানবতাকে যখন আমরা হারাই, তখন আর আমাদের থাকে কি? যাই থাকুক না কেন, আমরা যে আর তখন মানুষ থাকি না, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: দোয়া করবে ভাইয়া।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রতিদিন চুরি যায় মূল্যবোধের সোনা,
আমাদের স্বপ্ন, আমাদের চেতনা
কিছুটা মূল্য পেয়ে ভাবি বুঝি শোধ-বোধ,
ন্যায় নীতি ত্যাগ করে, মানুষ আপোস করে,
চুরি গেছে আমাদের সব প্রতিরোধ।
নচিকেতার গান টা মনে পড়লো।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: নচিকেতার গান অত্যন্ত জীবনধর্মী।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অনেক কিছু পেয়েছিলেন বলেই তো বেশকিছু হারাতে পেরেছিলেন, যাইহোক সব তো হারাননি, তারচেয়ে বরং এটা ভেবে না হয় সান্তনা খুজুন জীবনে কত কিছু পেয়েছিলেন এটাই বা কজন পেয়েছে। হ্যাপি ব্লগিং।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, হারানোর তালিকাও যেমন দীর্ঘ, তেমনি পাওয়ার তালিকাও একেবারেই কম নয়। আলহামদুলিল্লাহ।
ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: =হারিয়ে ফেলি নিমেষেই কত কী=
হারিয়ে ফেলি অতীতের সুর কলরব
হারিয়ে ফেলি কোকিলের ডাক, চড়ুইয়ে উড়োউড়ি প্রহর
হারিয়ে যায় সময়, হারিয়ে যায় বয়স
হারিয়ে হারিয়ে আমি নিজেও হারাবো, হবো
লোকালয় হতে অদৃশ্য।
হারিয়েছি দাদা দাদী নানা নানী, বান্ধবী শিফা
ছোট ভাই সুমন, যারা ফিরবে না আর জনসমুদ্রে;
হারিয়ে ফেলেছি পিনু মুক্তা, সোহেল রিপন রোবেল,
মোনা, পলি শিমু, হারিয়েছি বন্ধুত্বতা অনন্তকালের জন্য।
হারিয়ে খুঁজি আজও প্রথম প্রেম, প্রথম খুশি
প্রথম কৈশোরের আনন্দ, হারিয়েছি সেই ডানা মেলা প্রহর
মেয়ে বলে বাপের ঠিকানা হারিয়েছি
হারিয়েছি মায়ের মমতার আঁচল।
শৈশব হারিয়েছি, হারিয়েছি ডাংগুলি, বউছি কানামাছি
রোমাল চুরি, দাঁড়িয়াবান্ধা আর ঘুড়ি উড়ানোর ক্ষণ
হারিয়েছি ৪৫ বসন্ত,
দেহের বল, চোখের আলো আর গলার শাখে বসা সুরের পাখি।
হারাই রোজই হারাই বিষণ্ণতার বুকে
হারিয়ে হারিয়ে খুঁজি অতীতের রঙবাহারী দিন
কল্পপুরি গিয়ে দেখে আসি সেই মেঘবালিকাদের উচ্ছল প্রহর
সেই প্রহরে স্বাধীনতার ডানা রেখে এসেছিলাম একদা।
প্রিয়জনদের নাম হারিয়ে বন্ধ চোখে স্মৃতি হাতড়াই
কই চেহারা মনে পড়েনি আর, নামও যেন বেভুলা স্মৃতি;
হারাই এখনও হারাই কারো বিশ্বাস;
স্বার্থের ঢেউয়ে ভেসে গিয়ে হারাই সুখের কূল।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ! কী অসাধারন সুন্দর করে লিখেছেন! এই জন্যই কবিদের আমার খুব হিংসে হয়। আমি (অকবি) এক পৃষ্ঠাজুড়ে লিখে যা বলতে চেয়েছি- তা আপনি কতো সহজেই কয়েকটা বাক্যে বলেছেন!
শুভ কামনা সব সময়।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই চলতে হবে জীবনের বাকিটুকু পথ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই কঠিন বাস্তবতা।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৮
এম ডি মুসা বলেছেন: ফেলে আসা দিন হারিয়ে গেছে অনেক জন হারিয়ে গেছে
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই প্রয়াকৃতিক নিয়ম।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৮
এম ডি মুসা বলেছেন: আমার মা হারিয়ে গেছে তার জন্য ,আর আমার প্রেমিকা হারিয়ে গেছে হারিয়ে গেছে স্কুল চলার দিন হরিয়ে গেছে রাস্তা ঘাট আগের থাকার ঘর সেই ভিটি মাটি আরো কত কী এটা নিয়ে
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: অসম্পুর্ণ মন্তব্য!
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বয়স অনেক কিছু ভুলতে বাধ্য করে তেমনি সময়ের কারণেও অনেক কিছু হারাতে হয়।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই জীবনের বাস্তবতা ভাইয়া।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
অপু তানভীর বলেছেন: আমি সব থেকে বেশি হারিয়েছি মানুষের উপরে বিশ্বাস । এটা এমন একটা পর্যায়ে গেছে এখন আর কারো উপরেই আমি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারি না ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্বাস!!!
বিশ্বাস বলে কিছু নাই ভাইয়া!
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: হাহাকার ভরা একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
আসলে এটাই মানুষের জীবন। এরকমই হয় মানুষের জীবন।
আপনাকে অনুরোধ করবো- আপনি স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালকে জানান তার স্কুলের ছাত্ররা গাঁজা খাচ্ছে। নিশ্চয়ই তাঁরা কনো না কোনো ব্যবস্থা নেবেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মিথ্যা মামলা দিয়ে দানবগুলো আমার জীবনটাকে তচনচ করে দিয়েছে.....
আমার ধারণা, শাহীন স্কুল কলেজ কতৃপক্ষ বিষয়টা ওয়াকিবহাল.....
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এক জীবনে অনেক কিছু হারাতে হয় কিন্তু মূল্যবোধ ও মানবতা হারালে জীবনের আর কিছুই থাকেনা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮
বিষাদ সময় বলেছেন: স্মৃতি ব্যতিত আর সব কিছুই হারিয়ে ফেলেছি। লেখাটি পড়তে পড়তে কখন লেখার মাঝে নিজেকেও হারিয়ে ফেলেছি.....অসাধারণ!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা।
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক জীবনে আমরা অনেক অনেক কিছুই পাই। আবার তার মধ্যেও না পাওয়ার বঞ্চনা মাঝে মাঝে তাড়া করে আমাদের। সাথে থাকে একে একে প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা। এক শাশ্বত নিয়মের দিকে আমরা সকলেই এগিয়ে চলি।
তবে তার মধ্যে রাষ্ট্র ও আপনজনদের আঘাত সহ্য করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
ভালো থাকবেন ভাইজান সবসময়।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সেই জন্ম থেকে শুরু.....হারানোর বেদনা থামছেনা, বরং শুধুই বেড়েই চলছে। আমৃত্যু এই হারানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। এই নিয়েই আমাকেদের জীবন।
শুভ কামনা।
১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !! পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো নিজের কথা।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপু, কষ্টকথন চমৎকারই হয়! সর্বপরি আমাদের বেশীরভাগ সাধারণ মানুষের জীবন কাহিনী একই।
১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঢাকায় মোবাইল সার্জার রেখে এসে দেখি অফিসে যে সার্জার রেখে গিয়েছিলাম সেটাও নেই।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই বয়স বাড়ার লক্ষণ। জানিনা আপনার বয়স এখন কতো?
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আপনাকে হেফাযত করুন।
আমীন।
১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৪
রানার ব্লগ বলেছেন: ছোট্ট এই জীবনে কতো কিছুই যে হারালো তার হিসাব রাখতে গেলে পৃথিবীর সব কাজ ফেলে হিসাব করতে বসে যেতে হবে !!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: জীবনে পাওয়ার চাইতে হারানোর খতিয়ান অনেক লম্বা।
১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জীবন থেকে মহামুল্যবান সময়ই হারিয়ে গিয়েছে, অন্য কিছু নিয়ে ভেবে আর লাভ কি? এক সময়ে তো আমরা নিজেরাই হারিয়ে যাবো!!!
তারচেয়ে ভালো, ওল্ডহোমের কাজ শুরু করেন; এসব হারানোর হিসাব না করে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: কোনো কিছুই করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি- এটাও একটা হারিয়ে যাওয়া!
১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক কইলেন না ভাইজান। ব্লগিংয়ের আগ্রহ তো আছে। কাজেই বাকীসবও হবে। খালি একটু ইন্সপিরেশান আর ইনিশিয়েটিভ দরকার। হতাশা ভালো জিনিস না। যা গেছে, গেছে; সেসব নিয়ে ভাবা কোন কাজের কথা না।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি আসলে ব্লগ লিখিনা- স্রেফ সময়ের অপচয় করি! আপনিতো অনেক পুরনো ব্লগার। কখনো দেখেছেন- আমাকে রাস্ট্র কিম্বা সরকার বিরোধী কিছু লিখতে? অথচ মিথ্যা মনগড়া একাধিক রাস্ট্রীয় মামলায় আমার মাসের দশদিন কাটে আদালত চত্বরে!
১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সময়ের অপচয় হবে কেন, আপনার লেখা থেকে আমরা অনেক সমৃদ্ধ হতে পারি। আপনার অভিজ্ঞ চোখে দেখা বিষয়গুলো আমাদেরকে নিশ্চয়ই ভাবায়.......... চিন্তা, ভাবনা কিংবা চেতনায় আলোড়ন তোলে। সেটার মুল্য অনেক বেশী। যে বোঝার, সে বোঝে।
সবটা না জানলেও আপনার বিষয় অনেকটাই জানি। আমি এমনও মানুষ চিনি, যাকে মিথ্যা রাস্ট্রীয় মামলায় ধরে নিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু বানিয়ে দেয়া হয়েছে.......শারীরিক এবং মানসিক, উভয়ভাবেই। আপনার বিষয়টাও দুঃখজনক, মেনে নেয়া কঠিন। কিন্তু কি করবেন, এটাই আমাদের বাংলাদেশ। যেটা পরিবর্তনের ক্ষমতা আমাদের নাই, সেটা নিয়ে ভেবে লাভ কি? বরং যেটা আমরা করতে পারি, সেটা নিয়েই ভাবি। তাতে করে ঘটে যাওয়া বা নিয়ন্ত্রণহীন ঘটমান বিষয়গুলো নিয়ে মন খারাপ না করে কিছু করতে পারার আনন্দ নিয়ে বাকী জীবনটা পার করা যায়।
কেউ দ্বি-মত পোষণ করতেই পারে, তবে আমি বিষয়টাকে এভাবেই দেখি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: “ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ”
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেককিছুই হারাতে হয়
এটাই বাস্তব-----ভাল থাকবেন দাদা