নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প "দেনাপাওনা" র একটি নির্বাচিত অংশ....

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প "দেনাপাওনা" র একটি নির্বাচিত অংশ....

"এই সময়ে নিরুর একটা গুরুতর পীড়া হইল। কিন্তু সেজন্য তাহার শাশুড়িকে সম্পূর্ণ দোষ দেওয়া যায় না। শরীরের প্রতি সে অত্যন্ত অবহেলা করিত। কার্তিক মাসের হিমের সময় সমস্ত রাত মাথার দরজা খোলা, শীতের সময় গায়ে কাপড় নাই। আহারের নিয়ম নাই। দাসীরা যখন মাঝে মাঝে খাবার আনিতে ভুলিয়া যাইত তখন যে তাহাদের একবার মুখ খুলিয়া স্মরণ করাইয়া দেওয়া, তাহাও সে করিত না। সে-যে পরের ঘরের দাসদাসী এবং কর্তাগৃহিণীদের অনুগ্রহের উপর নির্ভর করিয়া বাস করিতেছে, এই সংস্কার তাহার মনে বদ্ধমূল হইতেছিল। কিন্তু এরূপ ভাবটাও শাশুড়ির সহ্য হইত না। যদি আহারের প্রতি বধূর কোনো অবহেলা দেখিতেন, তবে শাশুড়ি বলিতেন, “নবাবের বাড়ির মেয়ে কিনা। গরিবের ঘরের অন্ন ওঁর মুখে রোচে না।” কখনো-বা বলিতেন, “দেখো-না একবার, ছিরি হচ্ছে দেখো-না, দিনে দিনে যেন পোড়াকাঠ হয়ে যাচ্ছে।”

রোগ যখন গুরুতর হইয়া উঠিল তখন শাশুড়ি বলিলেন, “ওঁর সমস্ত ন্যাকামি।” অবশেষে একদিন নিরু সবিনয়ে শাশুড়িকে বলিল, “বাবাকে আর আমার ভাইদের একবার দেখব, মা।” শাশুড়ি বলিলেন, “কেবল বাপের বাড়ি যাইবার ছল।”

কেহ বলিলে বিশ্বাস করিবে না– যেদিন সন্ধ্যার সময় নিরুর শ্বাস উপস্থিত হইল, সেইদিন প্রথম ডাক্তার দেখিল, এবং সেইদিন ডাক্তারের দেখা শেষ হইল।

বাড়ির বড়োবউ মরিয়াছে, খুব ধুম করিয়া অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হইল। প্রতিমাবিসর্জনের সমারোহ সম্বন্ধে জেলার মধ্যে রায়চৌধুরিদের যেমন লোকবিখ্যাত প্রতিপত্তি আছে, বড়োবউয়ের সৎকার সম্বন্ধে রায়বাহাদুরদের তেমনি একটা খ্যাতি রটিয়া গেল– এমন চন্দনকাষ্ঠের চিতা এ মুলুকে কেহ কখনো দেখে নাই। এমন ঘটা করিয়া শ্রাদ্ধও কেবল রায়বাহাদুরদের বাড়িতেই সম্ভব এবং শুনা যায়, ইহাতে তাঁহাদের কিঞ্চিৎ ঋণ হইয়াছিল।"

(গল্পের অংশবিশেষ এর ব্যাখ্যা দেওয়া নিষ্প্রয়োজন)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: শেষের অংশে একই প্যারা দুবার এসে গেছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। এডিট করে দিয়েছি। সেল ফোনে লিখতেই আমার এমনতর সমস্যা প্রায়শই হয়।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেচারার শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না। আবার খরচ করে ফোটানির বেলায় ষোল আনা।

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই হলো আমাদের বাংগালী চরিত্রের অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

বিষাদ সময় বলেছেন: বাস্তব জীবনের পরতে পরতে লেখা আছে ভদ্রতার মুখোশ পরা এ রকম নির্মমতার অজস্র গল্প......

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমরা মাধ্যমিকে বাংলা টেক্সটবুকে এটা পড়েছি। ন্যায় নৈতিকতাটা যেন এখন পাঠ্য বইয়ের মধ্যেই আটকে আছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন পাঠ্যবইতেও ন্যায়নীতি নাই, বরং আছে ব্যাক্তি বন্দনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.