|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
মানুষের অভাব বোধ যত বাড়ে,  কষ্ট যত বাড়ে ততই কি সে সস্তা উপকরণ, উত্তেজনার মধ্যে সুখ খোঁজে?
 আসলে মানুষের মধ্যেই বোধহয় লুকোনো থাকে আত্মহননের বীজ। 
সেই আদিম কাল থেকে আমরা যে দৈত্য দানবদের কথা শুনে এসেছি- আজ মনে হয় তাদের আলাদা করে কোন অস্তিত্ব নেই। মানুষের ধৈর্য, সহ্য নির্বিকার ভাবই হয়তো দেবত্ব। আর যত অশুভ, হিংসা,অকল্যাণ অসুর রূপে কল্পনা করা হয়েছে। সবই এই মানব শরীরে বর্তমান।কোন মানুষই এর উর্দ্ধে নয়। আমাদের বড়ো খিদে, বড়ো লোভ। নাম, যশ, খ্যাতি, গুরুত্ব পাবার ইচ্ছে..কিছুতেই যেন লোভের শেষ হয়না।
এক একসময় মনে হয় চেয়ে চেয়ে কাঙাল হওয়ার জন্যই বোধহয় জন্মেছি। প্রত্যেকটি পাওয়ার পেছনে কি অসম্ভব দাম মেটাতে হয় সকলকে। ছিনিয়ে নিতে নিতে, ভিক্ষা চাইতে চাইতে, চালাকি করতে করতে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে মানুষ। প্রতিদিন একধাপ একধাপ করে নিচে নামতে থাকে।তবু কি  দুর্নিবার আকর্ষণ এই চাওয়ার, এই ভিখারি পনার যেন শেষ নেই। মানুষ অমৃতের সন্তান। অন্তরের দেবতা কিন্তু সদা সর্বদা অপেক্ষা করে থাকে তাঁর কাছে গিয়ে দাঁড়ানোর। দুহাত ভরে রাখা থাকে স্নেহ, প্রেম, বাৎসল্য। দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন তিনি। আমরা শুধু চাইতে জানিনা, দাঁড়াতে জানিনা গিয়ে তাঁর দুয়ারে। সস্তা থেকে আরও সস্তা উপকরণ খুঁজে চলি নিজেকে প্রবোধ দেওয়ার। যা নয় আমার, যা ছিলনা কোনদিন, যা হবেও না, তাকে পাবার কি অসহনীয় প্রচেষ্টা। সাময়িক হয়তো মনে হয়.. এইতো ছিনিয়ে নিয়েছি, কেড়ে নিয়েছি। পড়ে দেখি শুধু গ্লানি জমা হয়েছে হিসেবের খাতায়। আসলে পাওয়া হয়নি কিছুই।
 অথচ আমাদের ভেতর কিন্তু পরিপূর্ণ ছিল কানায় কানায়। আমরা নিজেরাই হয়তো পূর্ণ থাকতে পারতাম। কাঙাল হতে হতোনা। প্রকৃতি সব উপকরণ দিয়ে রেখেছিল আমাদের আনন্দে থাকার। প্রকৃতিগত ভাবেই মানুষ মিলতে চায়।বিচ্ছিন্ন থাকা মানুষের স্বভাব বিরুদ্ধ। 
এই বয়সে এসে  ভীষণ ক্লান্ত লাগে আজকাল। মনে হয়  যদি প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত হবার চেষ্টাটুকুও করতে পারতাম। যদি আমরা সবাই নিজেদের ভেতরের আমি কে খুব সামান্য পরিবর্তনও করতে পারতাম তাহলে হয়তো নিজেদের মধ্যেই আবিষ্কার করতাম পরিপূর্ণতা কে। বাকি, চলতে তো হবেই। জীবন, থামার অধিকার দেয়নি কাউকেই যে।
 ২২ টি
    	২২ টি    	 +৬/-০
    	+৬/-০  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১২
১০ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। সীমাহীন লোভ লালসা, শর্টকাট পদ্ধতিতে সবকিছু পাওয়ার মানসিকতাই আমাদের অভাবের মূল কারণ।
২|  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৩৯
১০ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৩৯
হৃদ_স্পন্দন বলেছেন: অনেক পুরোনো প্রবাদ
অভাবে স্বভাব নষ্ট ভাই
  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১২
১০ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৩|  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:৩৪
১০ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: কিছু নিজের উপলব্ধির প্রকাশ,কিছু ভাবের প্রকাশ,কিছু হতাশার প্রকাশ।আসল কথার কোন প্রকাশ নাই।আসল কথা হলো সমস্যাটা কি।সমস্যা যদি জানেন সমাধানও জানেন।সমাধান ছাড়া কোন সমস্যা নাই।
  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১৪
১০ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এর মিসির আলি চরিত্রের ভাষায় বলতে চাই- পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই আছে, যার সমাধান এখনো বিজ্ঞান দিতে পারেনা।"
৪|  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৩:০১
১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৩:০১
শেরজা তপন বলেছেন: কি চমৎকার উপলব্ধি পোজ আসলে মানুষ বলে যে বয়সের অভিজ্ঞতা বাড়ে সেটা ঠিক একেবারেই ঠিক কিন্তু ভুলগুলো শুধরে নেবার জন্য পিছনে ফিরে যায় আর কোন উপায় নাই। তবে দুঃখজনক ব্যাপার যে এ থেকে পরবর্তী প্রজন্ম কিছু শিখবে না তারা ফের ভুল করবে একটা বয়সে গিয়ে আফসোস করবে।
  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৫:৪৪
১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৫:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে মানুষ মাত্রই ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে না। তবে উপলব্ধির জন্য বয়স এখন অভিজ্ঞতা একটা ফ্যাক্টর।
৫|  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৩:০৬
১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৩:০৬
বেবিফেস বলেছেন: ভালো লেখা। শুভ ব্লগিং।
  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৫:৪৪
১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৫:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬|  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৪:৩২
১০ ই মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৪:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত উচ্চ-মার্গীয় লেখা। ''চাওয়ার কোন শেষ নাই, চাওয়া পাওয়ার চেষ্টা বৃথা তাই'' এটা মনে রাখলেই সব সমস্যার সমাধান। তবে এটা সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। বিদেশী শিক্ষায় শিক্ষিত আউলিয়াদের পক্ষে সম্ভব। আপনার কি বিদেশী শিক্ষা আছে? না থাকলে আপনার কোন আশা-ভরসা নাই। 
  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:০৭
১০ ই মার্চ, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: উচ্চমার্গীয় না হলেও মর্গের লেখা 
শিক্ষায় আমারও ছোটো খাটো একটা বিদেশী ডিগ্রী আছে তবে আওলিয়ার মতো মর্গে পৌঁছাতে পারিনি। 
৭|  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:৪৯
১০ ই মার্চ, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:৪৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: 
২০৫০ সালে সাইকোলজিক্যাল রিলেটেড পেশাসমূহ হারিয়ে যাবে,মানুষ আত্নহননের পথ ভুলে যাবে।
  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ৮:২৮
১০ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ৮:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার ধারণা ভিন্ন। যেভাবে মানুষের জীবনে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এবং বিপর্যস্ত হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে সাইকোলজিক্যাল বিষয়টাই মুখ্য হবে।
৮|  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ৯:১১
১০ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ৯:১১
কামাল১৮ বলেছেন: এই না জানাটা কোন সমস্যা না।এখন যা জানে সেগুলি কি  মানুষ আগে জানতো ?এখনো যেগুলি জানে না,ভবিষ্যতে জানবে।তারজন্য কি মানুষের জীবন থেমে আছে।
এখন মানুষ যা জানে আপনি কি তার একহাজার ভাগের  এক ভাগ জানেন। আপনার জীবন কি এই না জানার জন্য থেমে আছে।প্রয়োজনেরটা জানলেই হলো।
এই জানা না জানার বিষয়টা একটা চলমান প্রকৃয়া।এটা চলতেই থাকবে।
  ১০ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ৯:৫৮
১০ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ৯:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৯|  ১১ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:১৩
১১ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:১৩
অক্পটে বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আমাদের সমাজ, দৈনন্দিন অভাববোধ। প্রতিদিন দুর্নীতির স্বীকার সাধারণ মানুষ। সচল দূর্ণীবার বিবেকহীনতা, সমাজ থেকে সুনীতি হারিয়ে যাওয়া, স্বাভাবিক জীবনবোধ নিয়ে মানুষকে বাঁচতে দেয়না বাড়তে দেয়না।
  ১১ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:৫০
১১ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: মানবিক, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় তখনই চুড়ান্ত হয় যখন দেশে আইনের শাসন বলে কিছুই অবশিষ্ট্য থাকেনা।
১০|  ১১ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:৫৭
১১ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:৫৭
অক্পটে বলেছেন: দেশতো চালাচ্ছে চাঁদাবাজরা। প্রশাসন চাদাবাজদের কাছে দেশ ইজারা দিয়েছে। আর তাইতো বাংলাদেশের এমন কোন ইটপাটকেল ধুলিবালি নেই যারা দুর্ণীতি করেনা। দুর্ণীতি যেখানে সাবলীল সুনীতি সেখানে অনুপস্থিত। প্রশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্ণীতির জয়জয়কার। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে।
অফ-টপিক: আপনি কি মিরপুরের? প্রথম আলোতে আজকে মিরপুর-১০ এর একটি প্রতিবেদন আছে। আমি নিজে সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তা দ্বারা দূর্ণীতির স্বীকার। উপরের মন্তব্যটা আজ আমি প্রথম আলোয় করেছি। এ কেমন দেশ আমাদের!!!
  ১১ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১৭
১১ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ২:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশের সাথে ১০০ ভাগ সহমত। না, আমি মিরপুরের বাসিন্দা নই, তবে "ধানমন্ডি-মিরপুর রোড" সংলগ্ন ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা- ১০ নম্বর রোড।
১১|  ১৩ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ২:০২
১৩ ই মার্চ, ২০২৩  রাত ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়লেই বুঝা যায়, আপনি একজন অভিজ্ঞ মানুষ।
  ১৩ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:০১
১৩ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যার্থতার অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ!
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:১৬
১০ ই মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সীমাহীন চাওয়া থেকে মুক্তির জন্য আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন আমাদের। ধর্ম আমাদের দিনে পাঁচবার মনে করিয়ে দেয় যে ইহকাল তুচ্ছ, পরকালের জন্য কিছু কর। কিন্তু আমাদের মন প্রতি মুহূর্তে বস্তুবাদী জীবনের আকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। আমরা নিজের অজান্তে অসম প্রতিযোগিতায় নিজেদের ঠেলে দেই এবং অভাব বোধ করি। এই প্রতিযোগিতা না থাকলে মানুষ অল্পতেই ভালো থাকতো।