নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাঘ্র ও মেষশাবক.....

১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের "কথামালা" র একটি গল্প:
ব্যাঘ্র ও মেষশাবক.....


এক ব্যাঘ্র, পর্ব্বতের ঝরনায় জল পান করিতে করিতে দেখিতে পাইল- কিছু দূরে, নীচের দিকে, এক মেষশাবক জল পান করিতেছে। সে দেখিয়া মনে মনে কহিতে লাগিল, এই মেষের প্রাণ সংহার করিয়া আজকার আহার সম্পন্ন করি। কিন্তু বিনা দোষে এক জনের প্রাণবধ করা ভাল দেখায় না। হিংস্র ব্যাঘ্র হইলেও তাহার মধ্যেও কিঞ্চিৎ নীতিবোধ ছিলো। অতএব, একটা দোষ দেখাইয়া, অপরাধী করিয়া, উহার প্রাণবধ করিব।

এই স্থির করিয়া, ব্যাঘ্র সত্বর গমনে মেষশাবকের নিকট উপস্থিত হইয়া কহিল, 'ওরে দুরা-ত্মন! তোর এত বড় আস্পর্দ্ধা যে, আমি জল পান করিতেছি দেখিয়াও, তুই জল ঘোলা করিতেছিস!'

মেষ শাবক ব্যাঘ্রের হুংকার শুনিয়া ভয়ে কাঁপিতে কাঁপিতে কহিল, "সে কি মহাশয়! আমি কেমন করিয়া আপনার পান করিবার জল ঘোলা করিলাম। আমি নীচে জল পান করিতেছি, আপনি উপরে জল পান করিতেছেন। নীচের জল ঘোলা করিলেও, উপরের জল ঘোলা হইতে পারে না।"

ব্যাঘ্র কহিল, 'সে যাহা হউক, তুই, এক বৎসর পূর্ব্বে, আমার বিস্তর নিন্দা করিয়াছিলি; আজ তোরে তাহার সমুচিত প্রতিফল দিব।'
মেষশাবক কাঁপিতে কাঁপিতে কহিল, "আপনি অন্যায় আজ্ঞা করিতেছেন; এক বৎসর পূর্ব্বে আমার জন্মই হয় নাই; সুতরাং তৎকালে আমি আপনকার নিন্দা করিয়াছি, ইহা কিরূপে সম্ভবিতে পারে!"

ব্যাঘ্র কহিল, 'হাঁ সত্য বটে, সে তুই নহিস, তোর বাপ আমার নিন্দা করিয়াছিল। তুই করিস, আর তোর বাপ করুক, একই কথা; আর আমি তোর কোনও ওজর শুনিতে চাহি না"- এই বলিয়া ব্যাঘ্র ঐ অসহায় দুর্বল মেষশাবকের প্রাণসংহার করিল।

নীতিকথা: দুরাত্মার ছলের অভাব নাই। আমি অপরাধী নহি, বা এরূপ করা অন্যায়, ইহা কহিয়া প্রবল ব্যক্তির অত্যাচার হইতে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না।

(নীতিকথার এই গল্পটা ঈশপের গল্প বলেও প্রচলিত)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: একদম সত্যি কথা!

শয়তান মানুষেরা তিলকে তাল করে তালকে তিলও করে।

তারা এসবের প্রাকটিসেই থাকে। X((

১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন দুষ্ট লোকের রাজত্ব.......

২| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

বিটপি বলেছেন: বাস্তব জীবনে এই ঘটনা যে কতবার ঘটে! আমি প্রায়ই এরকম ঘটনা ঘটতে দেখি।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষরুপী শয়তান চরিত্র ছাড়া সব মানুষই বর্তমানে এমন শিকারে পরিনত হচ্ছে।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মানুষ শয়তান হলেই হয়।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষের মধ্যেই মানুষরুপি শয়তান থাকে।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- দোষ চাপানো শক্তের স্বভাব।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: অযোগ্যদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগে ইশপের গল্প একেবারে বেমানান। আর নীতি কথা!!!! নীতি কথার ভাত নাই।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: নির্ভেজাল সত্য বলেছো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.