নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শপ লিফটিং………

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

শপ লিফটিং………

কেস স্টাডি-১,
নিজের চোখে দেখাঃ- ধানমন্ডি এলাকার একটা বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ক্রেতাদের ভীড় লেগেই থাকে। স্টোরের স্টাফদের মাঝখানে একজন বয়স্কা মহিলাকে নিয়ে জটলা এবং নিন্দা সূচক মন্তব্য……ঘটনাঃ ভদ্রমহিলা প্রায় ১৪ হাজার টাকার শপিং করেছেন। যার পেমেন্ট দিয়েছেন ডেবিট কার্ড দিয়ে। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা সিসিটিভিতে দেখতে পেয়েছে- তিনি দুটো লিপিস্টিক তার ব্যাগে ঢুকিয়েছেন, যার দাম দেননি। নিরাপত্তা কর্মীরা বিষয়টা ফ্লোর সুপারভাইজারের নজরে দেন। ক্রেতা মহিলা- এখানকার নিয়মিত কাস্টমার এবং প্রতিবেশী। ফ্লোর সুপারভাইজার ম্যানেজারকে জানালে তিনি ভদ্র মহিলাকে একপাশে ডেকে খুব বিনয়ের সাথে বললেন-“ম্যাম, ভুল করে আপনি দুটো লিপস্টিক ব্যাগে নিয়েছেন- যার পেমেন্ট করা হয়নি……”। মহিলা প্রথমে প্রতিবাদ করলেও পরে স্বীকার করে স্যরি বলে পেমেন্ট করে চলে যান……
ডিপার্টমেন্ট স্টোরের শাখা ম্যানেজার মহিলাকে চেনেন- জানেন। মাসে অর্ধলক্ষাধিক টাকার শপিং করেন এখান থেকেই। অনেক সময় ফোন করে প্রয়োজনীয় পণ্যের নাম বললেই স্টাফদের মাধ্যমে তাঁর বাসায় পণ্য পৌঁছে দিয়ে টাকা নিয়ে আসে।

কেস স্টাডি-২,
ডরিস পেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত পরিবারের সন্তান হিসেবে জন্ম থেকেই সেলিব্রেটি। চুরি করতে শুরু করেছিলেন ২০ বছর বয়সে। তারপর এ বিদ্যাচর্চায় কেটে গেছে সাড়ে ছয় দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু একটুও বিচ্যুত হননি তার এই নেশা কিংবা পেশা থেকে। তিনি অত্যন্ত চতুর রত্নচোর। বারবার গহনা বা রত্ন চুরির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ১৯৫২ সালে প্রথম তাকে নিয়ে হইচই শুরু হয়। ১৯৭০-এর দশকে বাণিজ্য সংস্থা জুয়েলার্স সিকিউরিটি অ্যালায়েন্স ডরিসের বিষয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করে। তাকে ঘিরে তৈরি হতে থাকে নাগরিক কিংবদন্তি। তার চুরির কথা প্রচারিত হয়েছে বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী গণমাধ্যমেও।

২০১৩ সালে ডরিসকে নিয়ে নির্মাণ করা হয় একটি তথ্যচিত্রও। ‘দ্য লাইফ অ্যান্ড ক্রাইমস অফ ডরিস পেন’ নামের সেই ছবিটি যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছিল সমালোচক-দর্শকদের। গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ডরিস কিন্তু বেজায় সাবলীল। তথ্যচিত্রেই তিনি জানিয়েছেন, কোনোদিনই তিনি ‘চুরি করতে’ বের হননি। কিন্তু কোথা থেকে কী যে হয়ে যায়!

৮৬ বছরের ডরিস ভন মাউরের এক বিপণিতে শপ লিফটিংয়ের অভিযোগে ধরা পড়েন। সারা জীবন গণ্ডার মেরেছেন, ভাণ্ডার লুটেছেন। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এক সামান্য ছিঁচকে শপ লিফটিং! নিজের কাজের জন্য সারা জীবন লজ্জাহীন থাকা ডরিস কি এ বিষয়ে লজ্জা পাচ্ছেন? তার উত্তর ‘না’।

কেস স্টাডি-৩,
লিন্ডসে লোহান হতে পারতেন বিশ্বের শীর্ষ অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ও বিতর্কিত জীবনযাপনের কারণে দুনিয়াজোড়া পরিচিতি পেয়েছেন হলিউডের প্রবলেম সেলিব্রিটি হিসেবে। একটার পর একটা বিপদ তার লেগেই আছে লিন্ডসে লোহানের। অ্যালকোহল আসক্তির জন্য ১৩ দিন হাজতবাসের পর আদালতের নির্দেশে বেশ কিছুদিন রিহ্যাবে কাটিয়েছেন লোহান। কয়েক বছর আগে লিন্ডসে লোহানকে আড়াই হাজার ডলার মূল্যের নেকলেস চুরির সাজার অংশ হিসেবে অ্যান্টি শপ-লিফটিং থেরাপি সেশনে প্রতি সপ্তাহে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেন। ওয়ার্ল্ড শোবিজে যখন লোহানের এগিয়ে যাওয়ার সময়, তখনই হলিউডের এই প্রবলেম চাইল্ডের খামখেয়ালীপনা মাথা চাড়া দেয়।

লিন্ডসে লোহান মাত্র তিন বছর বয়সে মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রেখে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখান। ছোট থেকেই মেরিলিন মনরো হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছেন। অল্প বয়সেই ফোর্ড, সিকে-এর মতো কম্পানির মডেল হয়েছেন। দশ বছর বয়সে `অ্যানাদার ওয়ার্ল্ড` নামের একটি সোপ অপেরায় অভিনয় করেন। আরেকটু বড় হলে সঙ্গীত আর অভিনয়ে অর্জন করেন বেশ সুনাম।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় সংবাদের শিরোনাম হয়েছে- অমুক সেলিব্রেটি/ ধন্যাঢ্য ব্যক্তিত্ব সুপারশপ থেকে বক্স চকলেট কিম্বা একটা লিপস্টিক চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। দোকানের সবাই তো বেশ অবাক। কারণ, যে বা যারা চকলেট/লিপিস্টিক চুরি করেছেন সে বা তারা সমাজে খুবই বিত্তশালী ব্যক্তিত্ব- তার সামান্য চকলেট বা লিপিস্টিক চুরি করার দরকার কী? পরে ‘ভুলেই এমন হয়ে গেছে, আন্তরিকভাবে দুঃখিত’ বলে কোন ভাবে বিব্রত অবস্থা থেকে জড়িমানা দিয়ে রেহাই পেলেও দাঁগ কিন্তু থেকেই গেলো!

উপরের তিনটি ঘটনায় চুরির সাথে সম্পর্কিত একটি মানসিক রোগ যার নাম ‘ক্লিপটোম্যানিয়া’। আর এই ধরনের চুরিকে ইংরেজীতে বলে- শপ লিফটিং এবং সোজা বাংলায় ‘হাত সাফাই’। শপ লিফটিং বা ক্লিপটোম্যানিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তার ব্যক্তিগত বা আর্থিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু চুরি করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে না! একজন চোর আর্থিক অভাব মেটাতে বা লাভবান হতে চুরির মত অপরাধ করে। আবার সাধারণ জীবনে বেখেয়ালে কারও ছোটখাটো জিনিস অন্যের হস্তগত হতে পারে। কিন্তু ক্লিপটোম্যানিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি কোন বাহ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে নয়- আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়েই চৌর্যবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে।

অনেকের মতে, ক্লিপটোম্যানিয়া ওসিডি বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজিজেরই একটি অংশ – অর্থাৎ ব্যক্তি সচেতন ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার অবচেতন মনের অনাকাঙ্ক্ষিত ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেয়। এক্ষেত্রে চুরি করার পরে ব্যক্তি প্রচণ্ড মানসিক চাপ থেকে সাময়িকভাবে রেহাই পায়। সাধারণভাবে ক্লিপটোম্যানিয়া অন্যান্য মানসিক সমস্যা- মনমেজাজের ভারসাম্যহীনতা, হতাশা,দুশ্চিন্তা, মাদকাসক্তি, খাদ্যগ্রহণঘটিত মানসিক রোগ যেমন- বুলিমিয়া নার্ভোসার সাথে সম্পর্কিত থাকে।

ক্লিপটোম্যানিয়ার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও প্রচলিত তত্ত্ব অনুসারে- মস্তিষ্কের একটি নিউরোট্রান্সমিটার সেরাটোনিনের কম নিঃসরণই এ আচরণের জন্য দায়ী। কারণ সেরাটোনিনই আবেগ-অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হতাশা, দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বেড়ানো মানসিক চাপ ও সমস্যা, ব্যক্তিগত সমস্যার পারিপার্শ্বিকতায় এ রোগ হতে পারে। এ রোগের সাথে বংশগত মানসিক রোগের যোগসূত্রও থাকতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে বয়ঃসন্ধিকালে ও তরুণ বয়সেই এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এছাড়া নারীদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বেশি। এর কারণ হতে পারে- নারীদের মাঝেই বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে হতাশা ও অবদমিত আবেগজনিত সমস্যায় আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি হয়।

ক্লিপটোম্যানিয়ার সাথে অন্য একটি মানসিক রোগ পাইরোম্যানিয়ার যোগসূত্র রয়েছে [ সম্ভবত এ রোগেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার মার্ক ভারমিউলেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমির ভবনে]

ক্লিপটোম্যানিয়াকে একটি মানসিক রোগ হিসেবে বিবেচনা করেই এর চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যে কোন মানসিক সমস্যাই প্রাথমিক ভাবে নিরাময় করা না হলে তা ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করে। আর এই রোগ চেপে রাখলে যেমন যত্রতত্র অপদস্ত হওয়া ও সামাজিক মর্যাদাহানির ঘটনা যেমন ঘটবে তেমনি তীব্র অপরাধবোধ,গভীর হতাশা ক্রমেই ব্যক্তির মানসিক ভারসাম্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিভিন্ন সাইকোথেরাপি- সি,বি, টি (কনজিনিটিভ বিহাভিয়ার থেরাপি) এবং ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে এ রোগের সুচিকিৎসা সম্ভব।

কৃতজ্ঞতাঃ কেস স্টাডি-২,৩ এবং ক্লিপ্টোম্যানিয়া সম্পর্কে সকল তথ্যসুত্র মনোচিকিৎসক ও কথাশিল্পী ডা. মোহিত কামালের ভিন্ন রকম উপন্যাস 'মন' থেকে নিয়েছি। সূত্র ঠিক রেখে নিজের মতো পরিমার্জিত।




মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: চোরাই কাহিনী :D

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ঘটনাগুলো চোরাই হলেও এই ক্লিপ্টোম্যানিয়া রোগটা আমাদের সমাজের উচ্চবিত্তদের মধ্যেও আছে।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শপলিফটিং আর ক্লিপটোম্যানিয়া এক জিনিস না ভাইজান। প্রথমটা নির্ভেজাল চুরি। দ্বিতীয়টা মানসিক রোগ যার বিস্তারিত আপনি বলেছেন। একটু সহজভাবে বললে, ক্লিপটোম্যানিয়াকরা প্ল্যান করে চুরি করে না। কিন্তু যখন তাদের কোনকিছু হঠাৎ করে চুরি করার ইচ্ছা জাগে, সেটা এতোটাই শক্তিশালী হয় যে, তারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাছাড়া ক্লিপটোম্যানিয়াকরা চুরির পরে নিজেকে অপরাধীও মনে করে, তবে সামাজিকসহ বিভিন্ন কারনে পরে স্বীকার করে না। আর একটা ব্যাপার হলো, ক্লিপটোম্যানিয়াকরা চোরাইমাল বিভ্ন্নি জায়গায় লুকিয়ে রাখে আর প্রায়ই ভুলে যায়, কোথায় কি রেখেছে।

যাইহোক, শপলিফটাররা অনেক সময়ে ধরা পড়লে ক্লিপটোম্যানিয়ার ভাব ধরে। শপলিফটারদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কোন কারন নাই; যেটা ক্লিপটোম্যানিয়াকদের জন্য প্রয়োজন।

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আপনার বক্তব্য আর আমার বক্তব্য 'প্রায় কাছাকাছি'। আমি তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছি- তবে আমার লেখার ব্যার্থতায় আপনার মন্তব্যের মতো ক্লিয়ার করে ফুটে ওঠেনি। আপনার ব্যাখ্যা আমার জানার পরিধি বিস্তৃত করেছে। ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: অবশ্যই এটা একটা মানুষিক রোগ কিন্তু কিছু জাত চোর ধরা পরলে এর ফায়দা নিচ্ছেন ।

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও বিশ্বাস করি- এটা মানসিক রোগ। তা নাহলে সেইসব ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ২০০/৩০০ টাকার পণ্য চুরি করতে হবে কেনো- যেখানে তারা লক্ষ কোটি টাকার পণ্যা কেনার স্বামর্থ রাখে।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার আপত্তিটা অন্য জায়গায়।

আপনার রেফারেন্স আর ক্লিপটোম্যানিয়া সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে কোন দ্বি-মত নাই। আপনি বলেছেন, উপরের তিনটি ঘটনায় চুরির সাথে সম্পর্কিত একটি মানসিক রোগ যার নাম ‘ক্লিপটোম্যানিয়া’। আর এই ধরনের চুরিকে ইংরেজীতে বলে- শপ লিফটিং এবং সোজা বাংলায় ‘হাত সাফাই’। এখানেই আমার আপত্তি। ক্লিপটোম্যানিয়াকে ইংরেজিতে শপ লিফটিং বলে না।

ডা. মোহিত কামাল নিশ্চয়ই বলেন নাই, ক্লিপটোম্যানিয়া আর শপ লিফটিং একই। নাকি বলেছেন? বলে থাকলে ভুল বলেছেন, আর না বলে থাকলে আপনি এটা কোথায় পেলেন?

আশাকরি, আমার মন্তব্যে বিরক্ত হবেন না। আমি বিষয়টা পরিস্কার করতে চাচ্ছি। :)

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: 'ক্লিপটোমিয়ার ইংরেজী শপ লিফটিং' আমি কোথাও লিখিনি। ক্লিপটোম্যানিয়া আর শপ লিফটিং একই না। ক্লিপটোম্যানিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরাই সচারাচর শপ লিফটিং করে- এই রকম ব্যাখ্যাই দিয়েছেন লেখক ডা. মোহিত কামাল। তবে তিনি সরাসরি বলেননি। জাস্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন- আমি সেটা আমার মতো করে লিখেছি।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ কেন অনন্য তার আরেকখানা প্রমাণ :)
যদিও আগেই জানতাম বেশ খানিক টা কিন্তু আপনি নিজের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে লিখেছেন -পড়ে ভালো লাগল !

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বিশ্বে কতভাগ ক্লিপটোম্যানিয়াতে আক্রান্ত বলে মনে হয়?আমি অনেকজনকে বলতে দেখেছি,ওর হাতটানের অভ্যাস আছে

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্বে কতভাগ ক্লিপটোম্যানিয়াতে আক্রান্ত - সেই পরিসংখ্যান আমার জানা নাই ভাই। বাংলা ব্যাকরণে 'হাত টান' একটা জনপ্রিয় বাগধারাও বটে।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুযোগ পেলে সাধুও চোর।
আসলে এটা এক ধরনের অসুখ। এখন এ রোগের চিকিৎসা আছে।

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা এই স্বভাব একটা অসুখ।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

শায়মা বলেছেন: ক্লিপটোমানিয়া একটা নাকি অসুখের নাম কিন্তু আমার কেনো যেন মন মানতেই চায় না। মানুষ না বুঝে না জেনে এমন করে। আসলে বড়লোকদের এই অসুখ হয় তো তাই ধামাচাপা দেবার জন্য মনে হয় এই সব এক্সপ্লানেশন। আসলে শপ লিফটিং বা ক্লিপটোমানিয়া দুই ই চৌর্য্যবৃত্তি।

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: অত্যন্ত যুক্তিসংগত।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক সময় মানুষ ভুলেও দাম না দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। হয়ত সেটাই ক্লিপটোমানিয়া । কিন্ত কিছুক্ষন পরেইতো ভুল ভাঙ্গার কথা। ভুল যদি না ভাঙ্গে তবে সেটা শপ লিফটিং =p~

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যা এই স্বভাব একটা অসুখ।

শিক্ষিত লোকদের মধ্যে এই অসুখটা বেশি হয়। অবচেতন মনে তাঁরা এটা সেটা পকেটে ঢুকিয়ে ফেলে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন উদাহরণ বিশ্বজুড়ে অসংখ্য।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৬

বিষাদ সময় বলেছেন: ক্লিপটোম্যানিয়ার কথা আনেক আগে আব্বার কাছে শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম.....তবে চুুরির আরেক ভদ্রস্থ নাম যে শপ লিফটিং জানা ছিলনা।
অনেক বছর আগে একবার ইডেন কলেজের কোন এক অধ্যক্ষ মনে হয় এ রকম কোন কারনে খবরের কাগজের বিষয় বস্তু হয়েছিলেন.।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বিভিন্ন সময় পত্রিকায় পড়েছি- আমাদের দেশের অনেক সেলিব্রেটিই বিদেশে গিয়ে এমন অপকর্ম করে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৫

করুণাধারা বলেছেন: আমার এক আত্মীয়ের ছেলের বয়স যখন দশ বছর, তখন তিনি লক্ষ্য করেন যে সে অন্যের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছোটখাটো শোপিস লাইটার এই ধরনের জিনিস নিয়ে আসছে। তিনি এটাকে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু ছেলে বড় হবার সাথে সাথে এই স্বভাবের জন্য অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। পরে ছেলেকে চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ করেন। এটা ছিল ক্লেপ্টোমেনিয়া।

বাংলাদেশী এক অবসরপ্রাপ্ত বিত্তশালী ভদ্রলোক এবং তার স্ত্রী, মেয়ে আমেরিকান সিটিজেন হবার সুবাদে গ্রীন কার্ড পান। তারা নিউইয়র্কে থাকতেন এবং সকলের কাছে সম্মানিত ছিলেন। একদিন এক সুপার শপে ব্যাগে কিছু জিনিস লুকিয়ে নিয়ে বের হবার সময় ধরা পড়েন স্ত্রী। এটা শপ লিফটিং।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯

সোহানী বলেছেন: লিখাটা পড়তে পড়তে যেখানে আমার চোখ আটকেছে সেখানের ব্যাখ্যাই মফিজ ভাই দিয়েছেন।

শপলিফটিং আর ক্লিপটোম্যানিয়া এক জিনিস নয়। একটা মানসিক রোগ আরেকটা স্রেফ চুরি।

আমেরিকা বা কানাডায় শপলিফটিং মারাত্বক অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। একেবারে লাইফটাইম দাগ থেকে যায়। কাজেই সবকিছু ওপেন থাকলেও কেউই হাত দেয় না।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও মফিজ ভাই এবং আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। আমি নিজেও বলিনি- 'ক্লিপটোমিয়ার ইংরেজী শপ লিফটিং'।

১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: ক্লিপটোম্যানিয়া একধরনের মানসিক রোগ যার বিস্তারিত আপনি বলেছেন। আমি এটা বলার জন্য নিচে নামছিলাম । পরে দেখি পোস্টেই আপনি লিখে দিয়েছেন। ছোতবেলায় অনেক বাচ্চাদের মাঝে এই রোগ দেখা যায় যারা অন্যের বাসা থেকে খেলনা না বলে নিয়ে আসে। পারিবারিক শিক্ষা এবং মূল্যবোধ এটা কমাতে সাহায্য করে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

ফারহানা শারমিন বলেছেন: এমন অসুখে ভোগা মানুষ দেখেছিও বা অনেকের কথা শুনেছিও। অনেক স্বভাব দোষে চোরকে দিনের পর দিন বছরের পর বছর সহ্যও করতে হয়েছে।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন মানুষ আমাদের সমাজ সংসারে অনেক আছে....আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা হোটেল রেস্তোরাঁয়, উড়োজাহাযে কাটলারিজ- ক্রোকারিজ এমনকি টিস্যু নিয়ে যায়!

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দারুণ! বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো ওজনদারী চুরিগুলো। তবে উপরে ভূয়া ভাই বলেছেন ক্রিপ্টামেনিয়া বিষয়টা ঠিক এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কোনো একজন ব্যক্তিগতভাবে ক্রিপ্টোমেনিয়া হতেই পারেন তাই বলে যে চুরি করবে এমন কোন কথা নেই। আবার অভাবে চুরি কিছুটা সত্য হলেও ওপরের ঘটনা থেকে মনে হয় না যে তারা অভাবে চুরি করছেন। স্রেফ স্বভাব বলেই মনে হল।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: যে নামেই হোক, যারা এধরণের চুরি করে তারা কেউ অভাবের কারণে চুরি করে না। এটা মানুসিক অসুস্থতাই হবার সম্ভাবনা বেশী।

১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

নতুন বলেছেন: পারিবারিক মুল্যবোধ এটা রোধে সাহাজ্য করে।

এমন ছোট খাটো জিনিস নেওয়া যে ঠিক না সেটা ছোট বেলাতেই বাচ্চাদের বোঝাতে হয়।

ডানা কে বুঝিয়েছি কাউন্টারে পিপ দেওয়ার আগে চকলেট খাওয়া যাবেনা। আবার প্যাকেট খুলে দিয়ে কাউন্টারে ওকেই বলেছি যে আংকেলকে দিতে পিপ (ক্যাসিয়ারের ম্যাসিনে স্ক্যান করলে পিপ শব্দ হয়) দিতে হয়।

আমার প্রতিবেশির শাশুরী বাচ্চাদের আঙ্গুর, বাদাম, কমলা ডিসপ্লে থেকে নিয়ে তার নাতিন দের দিতেন, এখন ওরা একটু বড় হয়েছে কিন্তু ওরা মাঝে মাঝে একটা জিনিস হাতে করে নিয়ে বের হয়ে আশে, ওর মা আবার কাউন্টারে গিয়ে পে করতে হয়।

৭/৮ বছর পযন্ত বাচ্চাদের শিক্ষা সারাজীবনের জন্য মানুষের মনে একটা ভিক্তি গড়ে দেয় যেটা তারা বড় হলেও অনুসরন করে।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আশা করি- আপনার মতো আমাদের সবার মধ্যে এমন সচেতনতা গড়ে উঠবে। চমতকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.