নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা সড়ক নৈরাজ্যের কাহিনী...

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

একটা সড়ক নৈরাজ্যের কাহিনী...

সাইন্সল্যাবরেটরি থেকে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হল পর্যন্ত ২.৬ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যের ব্যাস্ততম রোডের নাম গ্রীন রোড। এই রোডের দুই পাসে বৃহৎ ও মাঝারি আয়তনের হাসপাতাল আছে ১৬টি। যথাক্রমেঃ ল্যাব এইড হসপিটাল, ল্যাব এইড স্পেশালাইজড কার্ডিয়াক হসপিটাল, গ্রীন লাইফ রিলায়েন্স এন্ড রেনাল হসপিটাল, ইউনিভার্সাল হসপিটাল, সেন্ট্রাল হসপিটাল, ধানমণ্ডি ক্লিনিক, ল্যাব এইড ক্যান্সার হসপিটাল, নিউ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল, গ্রীন লাইফ হাসপাতাল এন্ড মেডিক্যাল কলেজে, ধানমন্ডি হাসপাতাল প্রাঃ লিঃ, কমফোর্ট হসপিটাল লিঃ, মাদার তেরেসা হসপিটাল(আন্ডার কন্সট্রাকশন), সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন, ব্রেন এন্ড কিউর হাসপাতাল, ঢাকা আই হসপিটাল। এছাড়াও বৃহৎ পরিসরের ডায়োগনাইসিস ক্লিনিক, ডাক্তার চেম্বার, ডেন্টাল ক্লিনিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার আছে অসংখ্য।

২ টা স্কুল, ১ টা গার্হস্থ মহিলা কলেজ এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আছে ৫টা। রোডের দুই পাসে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সায়েন্স ল্যাব থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রোডের দুই পাসের ফুটপাত সম্পুর্ণটাই ভাসমান হোটেল, টং দোকানের দখলে। এই রোডে অর্ধশতাধিক লেগুনা চলাচল করে ফার্মগেট- নিউমার্কেট পর্যন্ত। লেগুনার চালকরা প্রায় সবাই টিনএজার- যাদের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। এই রোড রাত বারোটা থেকে সকাল পর্যন্ত মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

লেগুনাস্ট্যান্ড না থাকায় ফার্মগেট থেকে গার্ডেন রোড পর্যন্ত রোডের দুই পাসে লেগুনা সিরিয়াল ধরে সারাদিন দাড়িয়ে থাকে। রিকশার সারাই কারখানা গোটা গ্রীন রোড জুড়ে। এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা সকাল থেকে রাত বারোটা একটা পর্যন্ত রাস্তায়, ফুটপাতে যেমন বেলেল্লাপনা করে তেমনি দাঁড়িয়ে থাকা লেগুনা আর রিকশায় বসে চলে গাঁজা সহ অন্যান্য মাদক সেবন। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি নামক একটা বড়ো কোচিং সেন্টারের ছাত্র পরিবহনের ছয়টি বাস সব সময় মূল সড়কের উপর দাঁড় করিয়ে রাখায় সড়কের অর্ধেক দখল করে রাখে- দেখার কেউ নাই। গোটা রোডে গ্রীন রোড - পান্থপথ সিগনাল ছাড়া কার্যকর কোনো ট্রাফিক সিস্টেম নাই। অসংখ্য এম্বুল্যান্স, ট্রাক, লেগুনা ড্রাইভাররা বিকট শব্দে হাইড্রলিক/ইলেকট্রনিক হর্ণ বাজিয়ে আবাসিক বাসিন্দাদের কান পচিয়ে দিয়েছে।
আমি শুধু একটা সড়কের নৈরাজ্যের কাহিনী বলেছি, তবে এমন নৈরাজ্য ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেকটা সড়কে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: পুরো দেশটায় নৈরাজ্যকর।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: নিঃসন্দেহে।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো কেবল একটা রাস্তার নয় । এটা পুরো ঢাকা শহরের চিত্র । এগুলো তো আর এমনি এমনি চলতে পারে না । প্রতি লেগুনা প্রতি দিন বখড়া চলে যায় বাংলাদেশের সেরা রাজনৈতিক দলের সদস্য সহ আরও কত গ্রুপের কাছে । এই কারণেই তো নিশ্চিত এই নৈরাজ্য চলতে পারছে এতো গুলো বছর ধরে । সামনেও চলবে । কারো কিছু বলার নেই ।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: লেগুণা ব্যবসায়ীরা একই সাথে গাঁজা-ইয়াবা ব্যবসার সাথেও জড়িত। সর্বপরি এই অশুভ চরের সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী একটা চক্র। অন্যদিকে এশিয়া প্যাসেফিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা বেহায়াপনামী আর অশালীনতার সব সীমা অতিক্রম করে চলছে।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমরা একদিন সভ্য হবে। কিন্তু, কবে?

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: জিন্দেগীতেও না।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঢাকা কে ঠিক করতে হলে কিছু নেতা, পাতি নেতা কে জেলে রাখতে হবে। আর্মিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। সোজা কথা। এই তথাকথিত গণতন্ত্র ঢাকাকে আর লাইনে আনতে পারবে না...

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: গনতন্ত্র আমাদের জন্য না। আমরা ডান্ডা মারলেই ঠান্ডা থাকি।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১০

চারাগাছ বলেছেন:
ওরা গাঁজা টেনে এসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ড্রাইভার সীটে বসেই ইলেক্ট্রিনিক হর্ণ চেপে ধরে স্টেশনে না পৌঁছা পর্যন্ত ছাড়মে না।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সমস্ত ঢাকা শহরের সব রাস্তা গুলোই একই রকম অবস্থা। হয়তো আপনি গ্রীন রোড থাকেন তাই সেটা আপনি 'গ্রীন রোড' কে বড় করে দেখছেন।

দুই মেয়র নগরবাসীকে কি দিয়েছে বলেন? তাঁরা আজ পর্যন্ত ফুটপাত মুক্ত করতে পারেন নি। কোনোদিন পারবেও না। তবে কোনো ভিআইপি যদি সে পথ দিয়ে যায়- পুরো রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। ফুটপাত দখলমুক্ত হয়ে যায়। দারুন ম্যাজিক।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার পরিবার দুইভাগে ভাগ হয়ে থাকি। গ্রীন রোড এবং ধানমন্ডি ১০ নম্বর রোড। দুই যায়গাতেই একই অবস্থা। ধানমন্ডি ১০ নম্বর রোড বাড়ি থেকে সকালে স্কুল টাইমে গাড়ি বের করতে কখনো ঘন্টা পার হয়ে যায়।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরের অবস্থা এরকমই থাকবে। কোনো উন্নতি হবে না। এইই গজব অবস্থার মধ্যে আমাদের জীবনযাপন করতে হবে। অন্যথ্যায় পরিবার নিয়ে উন্নত কোনো দেশে চলে যেতে হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: শুধু ঢাকা শহরের অবস্থাই এমন সংকটপূর্ণ নয়। গোটা দেশের অবস্থা একই রকম। গতকাল থেকে আমি অবস্থান করছি- নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর উপজেলা শহরে। গোটা শহর জুড়ে ব্যাটারী চালিত থ্রী হুইলার আর ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছে। তার উপর রাতে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় পানি জমে একাকার!

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭

বিটপি বলেছেন: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকাগুলোকে আমার কাছে তুলনামূলকভাবে পরিচ্ছন্ন ও সুশৃংখল মনে হয়। মেয়র আতিকুল সম্ভবত আনিসুলের চেয়েও সফল মেয়র হতে যাচ্ছে। অবশ্য অনেক বছর ধরেই আছে তো, তাই অনেক চ্যালেঞ্জ খুব সহজেই ফেইস করতে পারছে। এই এলাকাতে এখন খুব জায়গাই বেদখল অবস্থায় আছে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উত্তর-দক্ষিন সীমান্তে আমার দুটো ফ্ল্যাট। উত্তরের গ্রীন রোডে স্ত্রী আর ছোট ছেলেকে নিয়ে আমি থাকি। দক্ষিনে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় থাকে বড়ো ছেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দুই যায়গাতেই একই অবস্থা। খোদ গুলশান আবাসিক এলাকায় ট্রাফিক জ্যাম অসহনীয়।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

বিটপি বলেছেন: হ্যাঁ, গুলশান এলাকায় বিকাল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত - এই সময়ে অসহনীয় যানজট থাকে। এই সময় স্কুল কলেজ, ব্যাংক, অফিস - সব একসাথে ছুটি হয় বিধায় সারাটা ঢাকা শহরেই যানজট লেগে থাকে। গুলশান যেহেতু ঢাকার কেন্দ্রে অবস্থিত, তার কিছুটা ধাক্কা তো এদিকে লাগবেই। কিন্তু আমি মনে করি পরিচ্ছন্নতা ও ডিসিপ্লিনে গুলশান ধানমন্ডির চেয়ে অনেক সভ্য একটি এলাকা।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। আমার ধারণা, আভিজাত্যের দিক থেকে ধানমন্ডি এখন বেশ খারাপ পর্যায়ে আছে। বলা যায়- গোটা আবাসিক এলাকাই এখন বানিজ্যিক হয়ে গিয়েছে। প্রতিটা রোডেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ক্লিনিক, হোটেল রেস্তোরা এবং ফুটপাথ জুড়ে হকারদের ভীর। সর্বপরি এখন ধানমন্ডি এলাকায় কোনো প্রকার স্বাতন্ত্র নাই। পুরোটাই কসমোপলিটান রুপ ধারণ করেছে।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই সড়কের মধ্যস্থলে পান্থপথ সিগ্ন্যালে আমার দুইবার চাকুরীর অফিস ছিলো। যেহেতু পুরাতন ঢাকায় থাকি, আমি হেঁটে হেঁটে হয় সাইন্সল্যাব অথবা আনোয়ার খান মর্ডান হসপিটাল এসে আজিমপুরগামি যে কোন বাসে উঠে কানে হেডফোন গুঁজে দিতাম। কিন্তু সমস্যা ছিলো, ঐ পথের ফুটপাথ বলে যা আছে তা দিয়ে হাঁটা দুস্কর আর রাস্তায় তো ঠাসা জ্যাম, হাঁটার কোন উপায় ছিলো না। আর অফিস যখন গুলশানে, প্রতিদিন টেনশনে থাকতাম পান্থপথ সিগ্ন্যাল আর কারওয়ান বাজার মোড়ের দুই সিগন্যাল পার হওয়া নিয়ে। তাও প্রায় দশ বছর আগের গপ্প; এখনকার অবস্থা ভাবাই যায় না।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: বর্তমান অবস্থা আরও ভয়াবহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.