নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিকাসো-জিলোর প্রেম এবং যৌনতা....

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

পিকাসো-জিলোর প্রেম এবং যৌনতা....

বিংশ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ শিল্পী কে? এই প্রশ্ন করা হলে তর্কসাপেক্ষ পাবলো পিকাসোর নামটা আসবে। পুরো নাম- পাবলো রুইজ পিকাসো।
কেউ তাঁকে শ্রেষ্ঠ মানবেন, কিংবা মানবেন না, কিন্তু তর্ক হবে। এই পাবলো পিকাসো, যিনি এমন ধারণাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন যে, শিল্পী তাঁর সমকালে কদর পান না, কিংবা প্রকৃত শিল্পী কোনোদিন ধনকুবের হন না। তাঁর ছবি আঁকার যে অপ্রতিরোধ্য প্যাশন, সেটার উৎস কী? এটা অবশ্যই ঘটনা যে, পিকাসো কোনো প্লেবয় ছিলেন না, নারীর প্রতি কোনোরকম ন্যূনতম অশ্রদ্ধা তাঁর ছবির মধ্যে কোনোদিন দেখা যায়নি, নারীকে তিনি ভয়াবহ রূপে চিত্রায়িত করলেও কোনোভাবে সেই ছবির মধ্যে কোনো ইতরতার সন্ধান পাওয়া যায় না। ‘পিকাসো’ যে তাঁর নাম, সেই নামের উৎস ছিল তাঁর মায়ের নামের শেষাংশ। ১৮৯৬-এ বালকবেলায়, অর্থাৎ পনের বছর বয়সে আঁকা তাঁর ছবি ‘ফার্স্ট কমিউনিয়ন’-এ তাঁর বোন লোলা ছিলেন মডেল।



তাঁর ছবির প্যাশনের প্রধান উৎস ছিল নারীর শরীর, নারীর দেহ। এই যে শরীর আর দেহ- দুটো শব্দ। কিন্তু ‘দেহ’ শব্দটার মধ্যে যে প্যাশনের উদ্ভাস আছে, তা শরীরের নেই। শরীরের অসুখ করে, দেহের জন্য অপেক্ষায় থাকে কেবল সুখ, কেবল পুলক। দেহের অসুখ করে না, দেহের মনখারাপ হয়।

পিকাসো একজন প্রেমিক ছিলেন নারীর দেহের। নারীর পরিপূর্ণ দেহই তাঁর মনখারাপের ঔষধ ছিল। এখানে যদি কোনো বাঙালিনী নাক ছিটকে বলে ওঠেন- ‘এমা! কী বিশ্রী লোক!’- তাহলে কিছু বলার থাকে না। নারীকে দেখার পাপে ইন্দ্রের দেহে এক হাজার চোখ হয়েছিল। নারীকে স্পর্শের তাপে মৃত্যু হয়েছিল মহাভারতের পাণ্ডুর। একবার যদি খাজুরাহোতে যাওয়া যায় তাহলেই বোঝা যায় পিকাসোর নৈতিকতা আমাদের অতীতের সঙ্গে যথেষ্ট সামঞ্জষ্যপূর্ণ। আর আমাদের বর্তমান? সেদিন দেখলাম প্রেমিক প্রেমিকার ঘাড় ও কাঁধে হাত রেখেছেন আর এক বান্ধবী তাদের ছবি তুলে দিচ্ছেন; বান্ধবীটি নির্দেশ দিচ্ছেন- ‘এক্সাইট করার জন্য যেমন কানে হাত বোলায় তেমন করো...”! আমাদের দেশও দ্রুত বদলাচ্ছে।

১৯৪৩-এ ফ্রাঁসোয়া জিলো নাম্নী একুশ বছরের এক নারীর সঙ্গে পিকাসোর পরিচয় হয়। পিকাসোর বয়স তখন বাষট্টি। এই বয়সে আমাদের অনেক পুরুষ বাণপ্রস্থের কথা চিন্তা করেন। মজার ব্যাপার হল, পিকাসোর কথা অনুসারে, জিলোর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই নাকি তিনি জিলোকে এঁকে ফেলেছিলেন। পরে ফ্রাঁসোয়া জিলোকে স্বচক্ষে দেখার পরে নিজের সেই ছবির মানুষটিকেই তিনি খুঁজে পান। যাই হোক, যেটা পুরুষের রীতি, দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পিকাসোর চিন্তায় এল জিলোর তরুণী দেহ এবং জিলোকে সেক্স করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এই রমণীর সঙ্গে শোওয়ার ব্যাপারটা আদৌ সহজ ছিল না। জিলো একজন প্রকৃত বিদুষী নারী। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে তিনি নিজের গুণেই সুপরিচিত। পিকাসোর প্রথম সন্তান পাওলোর চেয়েও এই নারী নয় মাসের ছোট ছিলেন। সর্বোপরি, জিলো তখনও অবধি কারও সঙ্গে সেক্স করেননি। পিকাসো লেগে থাকলেন। অনেক চেষ্টার পর জিলো এলেন শতাব্দির শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পীর বিছানায়। এই ঘটনা পিকাসোকে নবজীবন দিল। তাঁর ছবি আঁকার আরেকটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল।

এটা ব্যাপার যে, পিকাসোর চিত্রজগতে পর্বের পর পর্বান্তর হয়েছে একের পর নারীর আগমনে ও নির্বাসনে- একজন এসেছেন, আগের জন বিদায় নিয়েছেন। এই ঘটনা আমাদের সমাজে খুবই ন্যক্কারজনক মনে হতে পারে, কিন্তু পিকাসোর জীবনে এ ঘটনা নির্মল আকাশে মেঘের আনাগোনার মতোই স্বচ্ছ আর স্বাভাবিক। ফ্রাঁসোয়া জিলো এলেন, আর চিরতরে ভেঙে পড়লেন পিকাসোর আরেক পূর্ব প্রেমিকা ডোরা মার। ডোরা মার পাগল হয়ে গেলেন, কারণ পিকাসো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ডোরা তাঁর শরীরে আর আত্মায় গ্রহণ করেননি।
জিলোকে নিয়ে পিকাসো সময় কাটাতে গেলেন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে একটি রিসর্টে, যে অঞ্চলের তাপমাত্রা পিকাসোর যৌবনের মতোই চিরনবীন। কিন্তু সেখানে হানা দিলেন পিকাসোর আরেক পূর্বপ্রেমিকা ওলগা। এই দুই নারীর মধ্যে কলহ শুরু হল, মারামারিও শুরু হল

এ ঘটনা পিকাসোকে বিরক্ত করল না। বরং ষাটোর্দ্ধ বয়সেও যে দুই নারী তাঁর দেহের মালিকানা চেয়ে কামড়াকামড়ি করছেন, এ ঘটনা পিকাসোর কাছে তৃপ্তিদায়ক ছিল। সেই তৃপ্তি একজন দাম্ভিক পুরুষের নয়, সে তৃপ্তি এক এমন মানুষের যাঁর যৌন মানসিকতা কোনোদিনই বয়ঃসন্ধিকে অতিক্রম করেনি, এবং তাঁকে সতেজ রেখেছে শিল্পের দরবারে। এই ছেলেমানুষিটুকু বাঁচিয়ে রেখেই হয়ত পিকাসো বৃদ্ধ বয়সেও তুমুল যৌনতাআক্রান্ত একের পর এক এচিং আঁকতে পেরেছিলেন, যেগুলোর মধ্যে নিজের উপভোগক্ষমতাশূন্য যৌনতাকে উদযাপন করছেন এক বৃদ্ধ শিল্পী, এবং যেগুলোর সামনে দাঁড়ালে কিছু দর্শকের কান গরম হয়ে যেতে পারে।

জিনিয়াসের সঙ্গে ঘর করা খুব সুখকর অভিজ্ঞতা প্রায়ই নয়। বিয়ে তাঁরা করলেন না। একত্রে ঘর বেঁধেও জিলোকে সেই দাম সমানভাবেই দিতে হচ্ছিল। কেবল অপরিমেয় সেক্স নয়, পিকাসো চাইতেন রোজ সকালে জিলো তাঁর ঘুম ভাঙ্গাবেন তোয়াজ করে এবং তারপর তাঁর কানে কানে বলবেন পিকাসোই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম শিল্পী। এই উচ্চারণ তাঁর সেদিন শোনা প্রথম কথা হবে। এছাড়া পিকাসো খুবই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন। তাঁর নখ যদি কোনো নাপিত কাটে সেটা সংগ্রহ করে কেউ কেউ তাঁর উপরে তুকতাক করতে পারে, তাই নখা কাটার ভার থাকত জিলোর উপর। অন্যদিকে জিলোর ছবি কিনতেও পিকাস শিল্পসংগ্রাহকদের বাধ্য করছেন তখন। ‘নারীপুষ্প’ নামক বিখ্যাত ছবিটি জিলোকে নিয়েই আঁকা। বিশ্ববিশ্রুত ‘গ্যেরনিকা’ ছবিতে যে ক্রন্দনরত নারীমুখ আমরা দেখতে পাই, তিনি আসলে ফ্রাঁসোয়া জিলো।


ফ্রাঁসোয়া জিলো পিকাসোর দুটি সন্তানের জন্ম দেন। ছেলে ক্লদ এবং মেয়ে পালোমা। পিকাসোর যৌনজীবন একসময় জিলো বরদাস্ত করতে পারলেন না। তাঁর মধ্যে দেখা দিল আসন্ন বিচ্ছেদের ইচ্ছা ও দুঃখ। ১৯৪৪ থেকে ১৯৫৩ অবধি ফ্রাঁসোয়া জিলো পিকাসোর সঙ্গে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি পিকাসোকে কেবল দেহ দেহ দেননি, দিয়েছিলেন অপূর্ব সাহচর্য। সেই সময়ে জিলো পিকাসোর প্রাইভেট সেক্রেটারির মতো সবরকম সহায়তা করেছেন। পিকাসোর হয়ে কথা বলার ভারও তাঁর ছিল। জিলো নিজে একজন ভালো শিল্পী ছিলেন, একজন উত্তম চিত্র সমালোচক ছিলেন। এই যে জিলোর মেধা আর বুদ্ধি, একসময় সেটাই অসহনীয় হয়ে উঠল পিকাসোর পক্ষে। নারীর কাছে কাম্য আত্মনিবেদন তিনি পাচ্ছিলেন না জিলোর কাছ থেকে। অন্য এক নারীর পিপাসা জেগে উঠছিল তাঁর মনে। সেই নারী হয়ে এলেন জ্যাকলিন রোক। বিদায় নিলেন জিলো।

তবে পিকাসোর জিলো-পর্ব সেখানেই শেষ নয়। পিকাসোকে ছেড়ে জিলো বিয়ে করেছিলেন মার্কিন জোনাস সাল্ককে। জোনাস ছিলেন একজন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ। যাই হোক, নিজের ৮৪তম জন্মদিনে পিকাসো জানতে পারলেন ফ্রাঁসোয়া জিলো ‘মাই ডেজ উইদ পিকাসো’ নামক একটি বই লিখেছেন, এবং সেই বইয়ে পিকাসোর গুণকীর্তন যেমন আছে, তেমনই তাঁর জীবনের ওই দিনগুলিতে চরম ব্যক্তিগত ও অন্ধকার দিকগুলোও জিলো ফুটিয়ে তুলেছেন খোলাখুলি। তীব্র বেদনা আর যন্ত্রণার স্পর্শ আছে বইটির পাতায় পাতায়। জিলোর কথা অনুসারে পিকাসো নিজে কোনো নারীকে তাঁর জীবনন থেকে সরিয়ে দেননি। নারীরাই সরে গেছেন পিকাসোর থেকে। তারপরেও পিকাসো চেয়েছেন এক ক্ষয়িষ্ণু অন্ধকারের মধ্যে সেইসব বিগত রমণীরা যেন তাঁকে ঘিরে থাকে। জিলোর মতানুসারে এইসব রমণীর দুর্ভাগ্য ও নিয়তিনিপীড়িত জীবনকাহিনির রচয়িতা পিকাসো ছাড়া আর কেউই নন। পিকাসো এই দায় এড়াতে পারেন না।

‘মাই ডেজ উইদ পিকাসো’ যখন প্রকাশিত হয়- পিকাসো তখন সারা পৃথিবীতে একজন নন্দিত মনীষী। তাঁর উক্তি তাঁর মতামতের গুরুত্ব অসীম। তাঁর কথা বিশ্বের মানুষ মন দিয়ে শোনে এবং তা নিয়ে সমস্ত সবুজ গ্রহটিতে আলোচনা ও আলোড়ন হয়। ‘মাই ডেজ উইদ পিকাসো’ যে তাঁর ইমেজের পক্ষে মোটেই ভাল হবে না, এটা পিকাসোকে ঘিরে থাকা বন্ধুবান্ধব এবং বিশেষ করে জ্যাকলিন রোক তাঁকে বোঝালেন।

........... পিকাসো মামলা করলেন এবং মামলায় হেরেও গেলেন। এই পরাজয় একজন শিল্পীর নয়। এই পরাজয় পুরুষের চিরকালীন পতন একজন নারীর সামনে। এতে পিকাসো ছোট নিশ্চয়ই হয়ে যান না, তবে জিলো উঠে আসেন একজন অসম্ভব শক্তিশালিনী রমণী রূপে। যিনি প্রেমে এবং সম্মানের যুদ্ধে পুরুষের কাছে নতি স্বীকার করেন না। মহান পুরুষকেও তিনি বাধ্য করেন স্খলনে।


কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ ‘মাই ডেজ উইদ পিকাসো’ এর ভাবানুবাদ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

চারাগাছ বলেছেন:



দারুন ভাবানুবাদ। চমৎকার পোস্ট।
ফ্রাঁসোয়া জিলো প্রতিকৃতিটা পোস্টে দিতে পারতেন।


পিকাসো একসময় প্যারিসে স্থায়ী হলেন। তখন থেকে তার ক্যানভাসে ভিন্ন একটা অধ্যায় দেখা যায়। ১৯০৫ সালে পরিচয় হয় ফার্নান্দো অলিভিয়েরের সঙ্গে। পিকাসোর জীবনে প্রেম ও রোমান্সের ঢেউ ওঠে । সেইসময় কবি গিয়োম এপোলোনিয়ের সঙ্গেও পরিচয় হয়। তার ক্যানভাসে রঙ পাল্টে যায়।
অনুজ্জ্বল রঙের ব্যবহার থেকে তিনি গোলাপি রংয়ে ক্যানভাস সাজান ।

পিকাসোর এই পর্বের একটা নাম আছে—পিংক পিরিয়ড বা গোলাপি পর্ব।


যদিও আপনার পোস্টাটা মূলত ফ্রাঁসোয়া জিলো কে নিয়ে। তাই ফার্নান্দো অলিভিয়ের ,গিয়োম এপোলোনিয়, ওলগা খোকলোভা,মারি-থেরেস ওয়াল্টার,ডোরা মার দের নিয়ে লিখলাম না।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: পিকাসোকে নিয়ে বেশ কিছু বই পড়ার সুযোগ হয়েছে। পিংক পিরিয়ড নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম- কোলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকায়। সেটা পড়েই জেনেছিলাম- ১৯০৫ এ পাবলো পিকাসো তাঁর প্রথম বান্ধবী ফের্নান্দ ওলিভিয়ের যে অনবদ্য প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন তা আজও নিউ ইয়র্কের গুগেনহাইম মিউজিয়ামে রাখা আছে। সেই ছবিটা আমার সংগ্রহে আছে- আপনার সৌজন্যে এড করে দিলাম।

শুধু পিকাসোর ব্যক্তিজীবন, প্রেম নিয়েই অনেক কিছু লেখা যায়। পিকাসোর প্রথম বান্ধবী ফের্নান্দ ওলিভিয়ে ১৯০৪ থেকে ১৯১২, এই আট বছর এক সঙ্গে ছিলেন। পিকাসোর সাথে সম্পর্ক শেষ হওয়ার কুড়ি বছর পরে ‘পিকাসো আর তাঁর বন্ধুরা’ নামে বইটি লিখেছিলেন ওলিভিয়ে। পিকাসো আটকাতে চেষ্টা করেছিলেন সে বই- কিন্তু পারেননি। এই বই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পিকাসো আর জিলো নিয়ে দারুন পোস্ট দিয়েছেন।
চারাগাছের মন্তব্য ভালো লেগেছে।

কিউবিজম ধারা এক অন্য রূপকার হচ্ছেন পাবলো পিকাসো। যে ধারা মানুষের ও অন্যান্য রূপের চিত্রায়নে জ্যামিতিক আকারগুলিকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে ।
চিত্রকর্মের প্রত্যেক ধারা তার আগের ধারা থেকে সরে এসেছেন। একটা পর্যায়কে ভেঙে আর একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।


১৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। কিউবিজম শিল্প-আন্দোলন বিশ্বাসী শিল্পীদের বিশ্বাস- আদিম ভিত্তির ওপর বিষয়কে দাঁড় করাতে পারলে সেটাতেই ছবির আসল রূপটা ফুটে উঠবে। যার সাথে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করি। কিউবিজম ধারার অনেক শিল্পীরই স্বাধীন একটা ভিত্তি গড়ে উঠেছে। এই ধারাতে শিল্পীর ব্যক্তিগত আবেগ ও অনুভূতির প্রকাশ কিছুটা কম ঘটিয়ে বিষয়বস্ত্তর যথাযথ রূপটা প্রকাশ না করেই ছবি আঁকা হতো।

চমতকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: এক কথা সুন্দর পোষ্ট।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

নাহল তরকারি বলেছেন: অবৈধ যৌন ‍মিলনের ফলে দেশে তালাকের সংখ্যা বাড়ছে। পরিবারে শান্তি নষ্ট হচ্ছে। দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাস কমছে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পিকাসো ও জিলো কাহিনী কাউকে অনুপ্রানিত করেছে কিনা জানা দরকার ছিলো।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আপনি নিজে কি অনুপ্রাণিত কিম্বা হতাশ?

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শিল্পী-সাহিত্যিকদের বিলাস!

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: সেই বিলাসিতার নাম- অনৈতিক যৌনতা.....

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

শাওন আহমাদ বলেছেন: জানাতে পারেন বলেই আপনার পোস্ট আগ্রহ নিয়ে পড়ি। মাই ডেইজ উইদ পিকাসো জিলোর প্রিতিবাদ, ভালোবাসা, ঘৃণা, অপূর্ণতা, অভিমান-অভিযোগ সবকিছুর বহিঃপ্রকাশ।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন একটা মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পিকাসো সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা ছিলো না।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে, পিকাসোকে আমরা যতটা একজন মহান শিল্পী হিসেবে জানি তার চাইতে আরও অনেক বেশী বৈচিত্র্যময় তার শিল্প কর্মের বাইরের জীবন।

৯| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: কোন মেয়ে কারে সাথে সেক্স করেছিল কিনা বুঝার কোন উপায় নাই।বর্তমানে আছে কেনা জানি না,তবে তখন যে ছিল না এটা নিশ্চিত।বর্তমানে ডিএনএ টেষ্ট করলে জানা যায় তবে তার জন্য আলামত থাকতে হবে।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

১০| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের জীবন প্রেম ও যৌনতায় ভরপুর।অংঙ্কন শিল্পীরা অনেকেই এমন হয়।কেবল মাত্র আমাদের ব্লগের চারু শিল্পীই ব্যতিক্রম।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সেই জন্যই মকবুল ফিদা হুসেনকেই "বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ" প্রবাদটা যথাযথ বলা যায়। =p~

১১| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস । এর কিছুই জানা ছিল না ।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ অপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.