নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার লোকাচারঃ অগ্রহায়ণ>ধান>নবান্ন.....

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১২

বাংলার লোকাচারঃ অগ্রহায়ণ>ধান>নবান্ন.....

নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

অগ্রহায়ণ মাসের আরেক নাম 'মার্গশীর্ষ!' এটি বাংলা সালের অষ্টম মাস হলেও এক সময় অগ্রহায়ণ ছিল বছরের প্রথম মাস! 'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যে কবি মুকুন্দরাম অগ্রহায়ণ বন্দনায় চাষাবাদের কথা লিখেছিলেন ঠিক এভাবে-

"ধন্য অগ্রহায়ণ মাস
বিফল জনম তার,
নাহি যার চাষ।"


বাংলার কৃষকের গোলা ঘর এ মাসেই ধানে ধন্যে পূর্ণ হয়ে উঠে! তাই বৈশাখ নয়, অগ্রহায়নই ছিল বাঙালি কৃষিরভিত্তিক সমাজের আনন্দের মাস! বাঙালি হিন্দু সমাজের বিশ্বাস অনুযায়ী, অগ্রহায়ণ মাস বিবাহের জন্য অত্যন্ত শুভ! বাংলায় একে 'লক্ষীর মাস' মনে করা হয়! এ কারনেই অগ্রহায়ণ মাসে, লক্ষ্মী পূজা ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়!

অগ্রহায়ণের চিরায়ত ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাংলার রাঢ় অঞ্চলে ধান কাটার আগে 'ধানশুয়রী দেবীর' পূজা অনুষ্ঠিত হয়! অগ্রহায়ণের প্রথম দিন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়- এর নাম 'ধান্য ছেদন' বা 'মুঠ আসা' অনুষ্ঠান!

অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে মাঠ থেকে ধানের ছড়া মাথায় করে ঘরে এনে এরপর কিষান কে উঠোনে পিরিতে দাঁড় করিয়ে, পানি দিয়ে তার পা ধোয়ানো হয়! তারপর তাকে পান ও দূর্বা দিয়ে বরণ করে, মিষ্টিমুখ করানো হয়! এভাবে কৃষক ও তার ফসলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়ে!

নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্ন। নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে তৈরি চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবকেই নবান্ন উৎসব বলা হয়। তবে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বাস্তবজীবন থেকে এই উৎসবটি অচেনা এক দূরে চলে যেতে বসলেও কেউ কেউ ধরে রেখেছেন পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য। বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলা এবং ওপার বাংলার বর্ধমান জেলাকে 'শস্য ভান্ডার' বলা হয়! এই 'ধান্য ছেদন' বা 'মুঠ আসা' অনুষ্ঠানটি সাধারণত এই দুই জেলাতেই উতসাহ উদ্দীপনায় বেশী পালন করা হয়! তবে অন্য কোন জেলাতে অন্য নামে এই আচারটি পালিত হয়!

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্য অনুযায়ী কোনো কোনো শহুরেরে বাসিন্দারাও খোদ রাজধানী ঢাকায়ও এই উৎসব ঘরোয়া ভাবে পালন করেন। আজ 'মার্গশীর্ষ' অগ্রহায়ণের প্রথম দিন, সবার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।

তথ্যসূত্রঃ বাংগালী কৃষকদের নবান্ন উৎসব।

(পুরনো লেখা এডিট করে নতুন করে উপস্থাপন করলাম)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭

জটিল ভাই বলেছেন:
"অগ্রহায়ণ মাস বিবাহের জন্য অত্যন্ত শুভ!" অংশটি পড়ার পর আপনার বিবাহের কাহিণী জানতে মন চাচ্ছে......

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: সে এক কাহিনী বটে! দুজনে দুটো রসগোল্লা খেয়ে যার যার বাড়ি....তারপর সীতার বনবাস.... রামচন্দ্র গৃহহারা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.