নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মপোলব্ধি.....৫

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

আত্মপোলব্ধি.....৫

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স হল এই পঁয়ত্রিশ। এরপরে কেউ তার জীবনকে খুব বেশি পরিবর্তন করতে পারে না। বা বলা যায় তার জীবনের ডিরেকশন সে বুঝে যায়। সবচেয়ে মোদ্দা কথা, ব্যক্তির গুরুত্বহীনতাও সে টের পায়। ফলে এক ধরনের ম্যাচুরিটি সে পায়। এসময় অনেক মানুষ ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বিশেষত যার পেটের ভাতের অভাব ঘুচেছে বা অন্তত পক্ষে জীবনে স্টাবিলিটি এসেছে। আগের জীবনের কৃত পাপের জন্য অনুতাপে এবং ক্ষমা প্রার্থনায় তার এক দীর্ঘমেয়াদি স্পিরিচুয়াল ভ্রমণ শুরু হয়। অন্য অনেকে হয়ে পড়ে ইনডিফারেন্ট।

অনেক মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করলে দেখি, এ বয়সে এসে তারা বুঝে যায়, এই বস্তির মত শহরে একটি নিজস্ব বাড়ি/ফ্ল্যাট আর যানযটে ভরা রাস্তায় চড়ার জন্য একটি গাড়ি- এর বাইরে নিজের জীবনকে দেয়ার মত তাদের কিছু নেই। এটা একটা নির্মম জীবন।
এক্ষেত্রে আর্ট কালচারের মধ্যে থাকাটার একটা বেনিফিট আছে। জীবনের এই ফাঁদ তাকে আটকে ফেলতে পারে না। হিসাব কিতাবের বাইরে গিয়ে সে চিন্তা করতে পারে, এক্ট করতে পারে। সে নিজেকে মাঝে মাঝে কিছু উপহার দিতে পারে।

কিন্তু হতাশাজনক হলেও সত্য আর্ট কালচারে বাঙালির তেমন আগ্রহ নেই। মাস পিপলের মধ্যে এরকম কোনো অভ্যাস দেখাও যায় না। এমনকি ত্রিশ বছর পর, পড়া-লেখা বন্ধ হয়ে যায় এ দেশে। অনেকে মনে করে সে অনেক পড়ে আসলে তা না। ত্রিশ পার হওয়া অনেক পড়ুয়াকে আমি পরীক্ষা করে দেখেছি, তাদের পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। তারা চাইলেও এখন একটা ইন্টারেস্টিং বই পড়ে ফেলতে পারছে না।
মাস লেভেলে আর্ট কালচারের এই নাজুক অবস্থার একটা কারন হতে পারে ভাষা। এদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা এতই নাজুক যে আমি দেশের সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ার পরও, আবিস্কার করেছি, ইংরাজিতে আমার দক্ষতা কম শুধু নয়, আমি আসলে খুব লো লেভেলের বাইরে ইংরাজিতে দক্ষই না। বারো বছর ইংরাজি ভাষা ছিল পাঠ্য, এর পর পাঁচ বছর মিডিয়াম অফ লার্নিং ছিল ইংরাজি, তারপরও এ দশা। তাহলে এ সতের বছর কি শিখলাম। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভীষণ গলদ আছে।

এর চেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, বাংলায় দক্ষতা এর চেয়েও কম। এ লেখায়ও প্রচুর ভুল বের করা যাবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষ লেখা দূরে থাক, একটা কিছু বর্ণনা করতেও পারে না। বলতে পারে না। কাজের বাইরে মজার কিছু ঘটলে সেটা বোঝাতে হিমিশিম খায়। আর কাজের বাইর আধা পেজ লিখতে পারবে এমন লোক কমই পাওয়া যাবে।

যে মানুষ ভাষায় সমৃদ্ধ না সে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পেছানো । বর্তমান সময়ে আমাদের ক্রাইসিসের একটা অন্যতম কারণ হতে পারে আমাদের ভাষার সীমাবদ্ধতা। যার শব্দভান্ডার উন্নত নয়, ইমাজিনেশন বলতে কিছু নেই, যে জীবনযাপনের বাইরে, শব্দ সাজিয়ে দু'মিনিট নতুন কিছু বলতেও পারে না, তার ক্রাইসিসটা সমাজে এখন কিউমিলিটিভ আকারে হাজির হয়েছে।

আমাদের কলেজের এক স্যার বলেছিলেন, এদেশে যদি সবাই পঞ্চাশ পাতা করে সৃজনশীল লেখা লিখতে পারত, তবে সব ধরনের হানাহানি বন্ধ হয়ে যেত। তিনি কী ভেবে বলেছিলেন জানি না, তবে কথাটা ফেলনা নয়। বড় ব্যাপার হল, গড়পড়তা এদেশে শিক্ষাজীবন বাইশ থেকে পঁচিশ বছরের। এর মধ্যেও আমরা কেন অন্তত একটা ভাষা ঠিকমত রপ্ত করতে পারি না? এমনকি মাতৃভাষা বাংলাও না!
আর্ট-কালচার সমাজে জাগরুক আত্মা হিসাবে জারি থাকে। ভাষা আর্ট কালচারের জননী। যে সমাজ আর্ট-কালচার প্রসিদ্ধ নয়, সে সমাজ হয় মৃত, না হয় স্থবীর। চারপাশে তাকালে তার কিছু আভাস পাই।

অতএব, আপনার শিশুকে ভাষা শিক্ষা দিন, আর্ট-কালচারের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাকুল্যে আমাদের যোগ্যতা অতিশয় নিম্ন মানের। সে ক্ষেত্রে আপনার উপদেশ গরুত্বপূর্ণ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি মনে করি- আমি গড়পরতা যোগ্যতায়ও অনেক পিছিয়ে, তারপরও আপনাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, আপনাদের লেখা করে নিজেকে ইম্প্রুভ করতে চাই।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাইয়া।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

নতুন বলেছেন: ভাবছি ছবি আকা শেখা শুরু করবো।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভালো সিদ্ধান্ত। খুব শীঘ্রই আপনার আঁকা ছবি দেখতে চাই। শুভ কামনা।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: সঠিক। মনের কথা বলেছেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

এম ডি মুসা বলেছেন: ,♥️♥️

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন:

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: বর্তমানে আমরা বাংলাটাও ভালো করে জানি না। বাস্তব সত্য কথা

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: তারপরও আমরা নিজেকে শিক্ষিত বলে জাহির করি!

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৩

আজব লিংকন বলেছেন: পড়ে অনেক কিছু উপলব্ধি হলো।
আমার শব্দকোষ অত্যন্ত পরিমিত এই জন্য আমার খুব লজ্জা লাগে। নতুন শেখার প্রতি আমার ইচ্ছাশক্তি কম। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার শব্দ ভাণ্ডার অত্যন্ত পুওর.... তাই চেষ্টা করি ভালো লেখকদের লেখা পড়ে নিজেকে একটু উন্নত করতে।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

জটিল ভাই বলেছেন:
দুঃখজন সত্য হচ্ছে, দেশের পরিস্থিতিতে সব বাদ দিয়ে বাচ্চাদের চুরি শেখানো জরুরী :(

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১২

জুল ভার্ন বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.