নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
জনারণ্যে একা আমি.....
একাকী নিঃসঙ্গ জীবনের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী ভালো বই পড়া, ভালো মুভি দেখা। যারা প্রচুর বই পড়ে, প্রচুর মুভি দেখে দেখে বড় হয়। জীবনের এক পর্যায়ে তারা আসলে একা হয়ে যায়, ভীষণ নিসঙ্গ হয়ে পড়ে, যেমনটি কবি আবুল হাসান অনুভব করেছিলেন- "অবশেষে জেনেছি মানুষ একা" এবং আমার ধারণা- পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ না হলেও বেশীরভাগ মানুষ কোনো না কোনো সময়ে একাকীত্বের যন্ত্রণা ভোগ করেছে। আবার কখনো কখনো একা থাকা ভালো, একা থাকলে কেউ দুঃখ দিতে পারবে না। একাকীত্ব উপভোগ করতে হয়। একাকিত্ব নতুন করে নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ করে দেয়।
শুধু মাত্র আত্মীয় স্বজন, বন্ধুত্বের অভাবই একাকীত্ব এনে দেয় না; অনেক সময় একাকীত্ব প্রকৃতপক্ষে লক্ষ্যের অভাব থেকে জন্ম নেয়। এমন হয় কারন এই বইপড়ুয়া মানুষেরা তাদের সমবয়সীদের তুলনায় মানসিকভাবে ম্যাচিউরড যায়। একসময় এদের রুচি ও মন একেবারে আলাদা হয়ে ওঠে, পরিমিতিবোধ ও শিল্পের প্রতি সংবেদনশীলতা আসে যা অন্যদের মাঝে সৃষ্টি হয় না। জীবন ও জগৎকে দেখার ভিন্ন একটি দৃষ্টিভঙ্গী তৈরী হয়, উপলব্ধি ও পর্যাবেক্ষণ তীক্ষ্র হয়ে ওঠে যা- একই বয়সী অন্যদের মানসিকতা, আগ্রহ ও প্রায়োরিটি এর সাথে কিছুতেই আর মেলে না।
এজন্যই বলা হয়- কেউ যখন বুঝতে পারে সে বন্ধু হারাচ্ছে তার মানে সে আসলে ম্যাচিউর হচ্ছে। এই মানুষেরা এমন অনুভব করে যেন তারা ভুল সময়ে জন্মেছেন। নিজের গণ্ডির কারো সাথে মতের মিল হয় না। এতোদিনের নিকটজনদের উপর বিরক্তি ও রাগ তৈরী হতে পারে। মনে হয়- ওরা কেন আমার মতো চিন্তা করছে না, ওরা কেন এমন অযৌক্তিক আচারণ করছে। একসময় এমন মানুষেরা ধীরে ধীরে অসামাজিক হতে থাকে নিজের তৈরি করা পৃথিবীতে। চারপাশের বেশিরভাগ বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, পরিচিত মানুষের সেখানে কোন প্রবেশাধিকার থাকে না। এই পৃথিবী একবারে নিজের ভালোলাগার, নিজের চিন্তা ও দর্শনের, নিজের প্রারোরিটিজ এর। তখন আর কেউ থাকে না, তখন মানুষটা শুধু একা থাকে। তবে নিজেকে ভালো করে জানার জন্যও নিজেকে পর্যালোচনা করার জন্য একাকিত্বের প্রয়োজনীয়তা আছে।
একাকিত্বের সাথে সবচেয়ে খারাপ অনুভূতি হল মৃত্যুর চিন্তা!
একাকীত্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বিষয়টি হলো এটি নিজের মুখের মুখোমুখি হয়। সব থেকে কঠিনতম একাকিত্ব হলো নিজেকে নিজের ভালো না লাগা। একাকী হওয়া এমন একটি পর্যায় যখন আপনার সমস্ত রাগ বিষণ্নতা এবং অশ্রুতে পরিণত হয়। পৃথিবীতে মনে রাখার চেয়ে ভুলে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা বেশি। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একটি বিন্দুর মতো আমরা সবাই একা!
(পুরনো লেখা, রি - পোস্ট)
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একাকিত্ব মানুষকে খুবই ভোগায়, কষ্ট দেয়!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: কাজেই একাকিত্ম উপভোগ করতে হবে।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দলেবলে থাকাই ভালো। সময়গুলো সহজে কাটে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি নিভৃতচারী মানুষ, একাকিত্ব উপভোগ করি।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৫
জটিল ভাই বলেছেন:
টাইটেলটা পরে অন্য আরেক ব্লগারের লিখা ভাবছিলাম
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: সে একা নয়, তার বিশাল সিন্ডিকেট আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অবশেষে জেনেছি মানুষ একা - ধ্রুব সত্য।