নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্লোবাল ব্রান্ডঃ ডক্টর ইউনুস....

৩১ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯

গ্লোবাল ব্রান্ডঃ ডক্টর ইউনুস....

রাজনৈতিক নেতাদের সাথে, ক্ষমতাসীনদের সাথে তাদের কর্মী সমর্থক, অনুগতরা ছবি তুলতে, কোলাকুলি করতে, হাত মেলাতে যায় পদ-পদবী, আনুকূল্য লাভের জন্য, নিজেকে নেতার নজরে আনার জন্য। আজ ঈদের জামায়াত শেষে আমজনতা যেভাবে ডক্টর ইউনুস সাহেবের সাথে একটু করমর্দন, একটু স্পর্শ পেতে যে-ভাবে পাগলপাড়া উন্মাতাল হয়েছে তাতে ছিলো সম্মান আর ভালোবাসার ছোঁয়া। এখানেই ডক্টর ইউনুস রাজনৈতিক নেতাদের থেকে আলাদা, ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও ব্যতিক্রম!

এই ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বব্যাপী ব্যতিক্রম ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। পৃথিবীতে এক নম্বর সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল। আমরা সবাই জানি- সম্মানসূচক হিসেবে নোবেলের পরে কোন পুরস্কারের অবস্থান কি? সম্মানসূচকে,

১ নম্বরে নোবেল
২ নম্বরে অ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড এবং
৩ নম্বরে মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড।
পৃথিবীর ইতিহাসে উপরের ৩ টা পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছেন বা ছিলেন ১২ জন! সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস!

'অলিম্পিক গেমস' পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন মশাল বাহক, জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস। ২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির একজন হচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস। আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো। ২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে, যাতে ওনি পরামর্শক হিসাবে থাকেন।

বর্তমানে বিশ্বের লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোনো তালিকায় টপ ১০ এর ভিতরে থাকেন ডা.ইউনুস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনুসের বিকল্প খুজে পাওয়া টা খুবি কঠিন,কিন্তু তিনি আমাদের বাংলাদেশের! এদেশে আর এমন ইউনুস জন্মাবে কিনা আজও সন্দেহ!

সারা পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দুর্নীতিবাজ সহযোগীরা ডক্টর ইউনূসকে 'সুদখোর' বলে। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানা কিম্বা শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না। এটাই সত্যি। ড. ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে-
এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না।
এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক। বাইরে থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা ঋণগ্রহীতাদের। কোম্পানীকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরী করতেন।

শুধু গ্রামীন ব্যাংকেই নয়, জর্জ সরোস, টেলিনরের গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১% মালিকানাও রাখেননি। লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।


ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। তার ভাষায় 'নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।'

মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছেন, নিজের কোনো মালিকানা রাখেননি। অথচ, বাংলাদেশের যেকোনো কোম্পানী দেখেন, তাদের সব নিজেদের মালিকানা।
কোম্পানীর কথা বাদ দেন, এনজিও ব্র‍্যাক দেখেন! মালিকানা ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের। বড় বড় পদে পরিবারের সদস্যরা আছে। মুহাম্মদ ইউনূস সেটা করেননি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।

প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী?

ড মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় সর্বনিম্ন ১ লাখ ডলার। বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ওনাকে নিয়ে যান ওনার বক্তব্য শুনতে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয় তাকে।
২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো। ২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন যাতে ওনি পরামর্শ দেন।

পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। এই ক্ষুদ্রঋণ ধারণার মূল লক্ষ্যই ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়া।

খেয়াল করে দেখেছেন, ১.৪ বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত শক্তি, ভবিষ্যতের সুপারপাওয়ার ভারত তাদের জাইগান্টিক সামরিক শক্তি এবং লক্ষ লোকের বিশাল গোয়েন্দা শক্তি প্রয়োগ করেও এক ফতুয়া পরা বাঙালি ডঃ ইউনুসকে টলাতে পারছে না, সরাতে পারছে না !

গত অগাস্টে ভারতের তৈরী পাপেট সরকার হাসিনার পতনের পরে থেকে নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য- ইসকন ইস্যুতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা, পুলিশকে ঐচ্ছিক ছুটি দিয়ে, আনসারের মাধ্যমে বিদ্রোহ করে, প্রশাসনকে ঘুম পাড়িয়েও এবং সর্বশেষ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিতে যাচ্ছে, জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে এমন গুজব তাদের দেশে ঢালাওভাবে প্রচার করেও ডঃ ইউনুসকে নড়াতে পারছে না।

ভারত তাদের বিশ্বব্যাপী এক্সিকিউটিভ এটমিক শক্তি প্রয়োগ করেও হিমালয়সম এক ডঃ ইউনূসের কাছে পরাজিত হচ্ছে!
সর্বশেষ সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে, তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিয়ে ক্ষমতা নেয়ার জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে। ফলে কয়েকজন জেনারেল এতে সায় দিলেও, জেঃ ওয়াকার বুঝেগেছেন এই কাজে আগালে সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ হতে পারে। জুনিয়র অফিসাররা জনগণের পক্ষে চলে যেয়ে বিদ্রোহ করতে পারে। তাই উনি প্রচন্ড চাপ থাকা সত্বেও এই কুবুদ্ধিতে আগান নাই।

উনি বুঝে গেছেন যে বাংলাদেশে এর আগে সকল সামরিক অভ্যূথানে জনগণ রাস্তায় না নামলেও, এবার রাস্তায় নেমে বিপক্ষে চলে যেতে পারে। কারণ, এবার সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়া মানেই হাসিনার ক্ষমতায় ফিরে আসা এবং দাদাদের সরাসরি ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ কায়েম করা। তাই এই অবস্থায় দাদাদের কানপড়াতে জেঃ ওয়াকার রাজি হন নাই।

এদিকে ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিশ্বব্যাপী তাদের খুনী সংগঠন র -এর সকল কর্মকর্তার ঘুম হারাম হয়েগেছে ডঃ ইউনূসের চীন সফর বাতিল করতে না পারায় বরং বাংলাদেশ-চিন সম্পর্ক নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ায় তুষেরআগুন হয়ে কলিজা পোড়াচ্ছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন:



ব্লগে অর্ধ-শিক্ষিত, প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ভারতীয় গোদি মিডিয়ার প্রেতাত্মাদের কমতি কখনওই হবে না। এতো বিষাক্ত মন-মানসিকতা নিয়ে এরা চলাফেরা করে কিভাবে?

৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: দেখতে মানুষের আকৃতি হলেও ওরা দ্বিপদী ছাগল।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা গর্বিত। দেশ এগিয়ে যাক।

একটা স্লোগান চলছে - ড: ইউনূসকে ৫ বছর দেখতে চাই। আমিও চাই, তবে এভাবে নয়। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা নির্বাচন হোক। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাকে পেতে চাই। ৫ বছর না, ৫+৫=১০ বছর বা ৪+৪=৮ বছর। সংবিধান সংস্কার হলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। আশা করি এভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, বা এমপিগণ যদি তাকে প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচন করেন, দেশকে সেবার করার সুবর্ণ সুযোগ থাকবে তার পক্ষে।

সুন্দর একটা পোস্ট। শেয়ার করলাম।

৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ডক্টর ইউনুস স্যার। বহুবিধ কারণে, আমি কোনো অবস্থাতেই আশা করবোনা তিনি জুন ২০২৬ এর পর ক্ষমতায় থাকুন।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ড. মুহাম্মদ ইউনুস নিঃসন্দেহে একজন বিশ্বস্বীকৃত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার অবদান শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা এবং সামাজিক ব্যবসার ধারণা দিয়ে তিনি লাখো মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন। তাঁর কাজের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন, যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে অহেতুক হয়রানি করা হয়েছে। একজন গ্লোবাল ব্র্যান্ড, যিনি বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে সম্মানিত করেছেন, তাকে এইভাবে অপমানিত করা দেশ ও জাতির জন্যই লজ্জার বিষয়। যারা তাকে ‘সুদখোর’ বলে অপবাদ দিচ্ছে, তারা হয়তো জানেই না যে তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানে কখনো ব্যক্তিগত মালিকানা রাখেননি, বরং জনকল্যাণে তার সব কাজ উৎসর্গ করেছেন।

রাজনীতির সংকীর্ণ স্বার্থে এভাবে দেশের গর্বকে অপমান করা আসলে জাতির জন্যই ক্ষতিকর। ইতিহাস এসব অন্যায় মনে রাখবে এবং যথাযথ বিচার করবে।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২০

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: দেখা যাক বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি করে। আর কি নোবেল পায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.