![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম হবু চন্দের আইন কবিতা নিয়ে, যেখানে কান্নার বিরুদ্ধে রাজা আইন জাড়ি করেছিলেন.....আজ লিখতে হচ্ছে- হাসির জন্য প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে। আমরা সবাই ইতোমধ্যেই জেনে গিয়েছি- হাসির জন্য একজন মেধাবী ছাত্রের খুন হবার ঘটনা!
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ হত্যায় অজস্র মানুষ নিন্দা জানাচ্ছে, শোক প্রকাশ করছে, আবার অনেক দানব দাঁত কেলিয়ে হাসছে, ফেসবুক পোস্টে হাসির ইমোজি দিচ্ছে!
ফেসবুকে আমি একজনকে প্রশ্ন করলাম- হাসির ইমোজি দেওয়ার কারণ কি? উত্তরে লিখেছে- দুঃখের ইমোজি দিলেই কি পারভেজ জীবিত হয়ে যাবে?
ওই অর্বাচীনকে আমি কি উত্তর দেবো!
কয়েক দিন আগে 'মার্চ ফর গাজা' নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে অনেকে প্রশ্ন করেন-
এই যে, 'মার্চ ফর গাজা' জন্য লোকজন বিভিন্ন শহর থেকে, গ্রামগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসছিলো তাতে কী ফল হলো? ফিলিস্তিনিদের কোন উপকার হয়েছে? ইসরাইলিদের আক্রমণ ফিরাতে পেরেছে?
প্রথমত, এদের এই আন্দোলন ফিলিস্তিনের রক্ষা করতে পারবে না, ইসরাইলকে থামাতে পারবে না, সেটা আপনি আমি সবাই জানি। আবার পারবে বললেও সেটা যেমন অযৌক্তিক মনে হতে পারে। ঠিক তেমনি পারবে না বললেও সেটা অযৌক্তিক হতে পারে। ছোট ছোট অনেক আন্দোলন দেশে দেশে অনেক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। বিশ্বে অনেক পরিবর্তনের পিছনে এরকম আন্দোলন অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে।
এর চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে, জুলুমের বিরুদ্ধে, মাজলুমের পক্ষে দাঁড়ানো। তাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে সেটা দিয়ে তাদের বিবেকের তাড়নায় মাঠে লাখ লাখ মানুষ মাঠে মেমেছে। নিজের কাছে, বিবেকের কাছে, সন্তানের কাছে, রবের কাছে অন্তত বলতে পারবে যে- আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মাজলুমের বিরুদ্ধে ছিলাম। আমার ভাইয়ের জন্য আর কিছু না পারলেও একটা পতাকা হাতে চিৎকার করে বলেছিলাম "এই জুলুম বন্ধ কর"। কোনদিন যদি এই জুলুম বন্ধ হয় আর ফিলিস্তিনের ঝাণ্ডা স্বাধীনভাবে উড়তে থাকে পতপত করে দেশে বিদেশে তাহলে সেই স্বাধীন পতাকার এক কোনায় তাদের এই ভালবাসার চিহ্ন থাকবে অনন্তকাল ধরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় যেমন বিভিন্ন দেশে মানুষ কোন স্বার্থ ছাড়াই জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল- আজ তেমনি বাংলার মানুষ জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে।
এটা নিয়ে কি হবে? কি করতে পারবে? কিছুই হবে না? প্রশ্ন করা পক্ষান্তরে জুলুমের পক্ষে বুলি আওড়ানো। জালিমের পক্ষে থাকা আর অমানুষ হওয়ার মধ্যে খুব বড় কোনও পার্থক্য নেই।
মানুষ যদি তার সামর্থ্য দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ছেড়ে দেয় তাহলে বিশ্বটা হয়ে যাবে পশুর রাজত্ব। তখন আর মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার দরকার নেই! আজ যদি একজন পারভেজের জন্য আপনি প্রতিবাদ জানাতে না পারেন, তাহলে কাল যখন আপনার সন্তানকেও পারভেজের মতো প্রাণ দিতে হবে তখন কাউকে পাশে পাবেন না।
আপনার মাজলুমের পক্ষে দাঁড়ানোর হিম্মত না থাকলেও জালিমের পক্ষে দাঁড়ানোর মত ঘৃণাত্মক নোংরা কাজটি অন্তত করবেন না!
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই তারা বৈ ছা'র সদস্য, তাই কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমাদের মধ্যে হিংস্রতা বেড়েই চলেছে। যারা মেরেছে তারা কি বৈবিছার সাথে জড়িত? তাদের পিছে হ্যাডমওয়ালা নিশ্চয়ই কেউ আছে ।