নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসলে "ওরফে গফুর" এর উদ্দেশ্য কি....

০৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

আসলে "ওরফে গফুর" এর উদ্দেশ্য কি....

'ওরফে গফুর' এর লেখা আমি বহুবছর থেকেই পড়ি। ওনার লেখা পড়ে ওনার মতবাদ, আদর্শে আমি বিভ্রান্ত হয়েছি বারবার। কারণ, কোন এক পত্রিকায় তিনি কার্লমার্স্কের কথা তথা কম্যুনিস্ট আদর্শের কথা লিখতেন- তখন তাকে মার্ক্সবাদী মনে হতো। আবার ইনকিলাব- নয়া দিগন্তে 'আরব থেকে বাংলামূলকে আসা দখলকারীদের বীরত্ব' ইনিয়ে বিনিয়ে প্রচার করত- তখন তাকে ইসলামি ভাবধারার আদর্শিক একজন বুদ্ধিজীবী মনে হতো। ওরফে গফুর নিজে নাস্তিক হলেও ২০১৩ সালে হেফাজতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল।

উনার ইনসাফ কায়েম কমিটির কার্যক্রমও লক্ষ্য করতাম।
একসময় বুঝতে পারলাম তিনি আসলে উগ্রবাদী মতলববাজ। তাকে আদর্শ বিচ্যুত 'একজন বিভ্রান্ত মানুষ' বলে মনে হলো। বিডিনিউজে প্রকাশিত "অর্চনা-ফরহাদে দিশা খুঁজছে পুলিশ" লেখাটা পড়ে ও ভিডিওগুলো দেখে জনাব মজহারকে একটা 'নিম্নশ্রেণীর ফাতরা মানুষ' বলে মনে হয়েছে। একই সাথে নিজেকে তিনি 'ইতর বাঙালির মুখোচ্ছবি' হিসেবে ব্রান্ডিং করেছেন। বলতে গেলে আমি তাকে বর্জনই করেছি। তারপরও তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চোখ এড়াতো না।


বেশী দিনের কথা না, স্মরণ করে দেখুন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মাম চিন্ময় প্রভু গ্রেফতারের পূর্বেও ওরফে গফুর তার সাথে বৈঠক করেছিলেন। কাদের উস্কানিতে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে একজন আইনজীবীকে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং অনেক আইনজীবী, আদালতে বিচার প্রার্থী নির্বিচার আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হয়েছিল।

চিন্ময়কে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মায়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গিয়ে দেখা করেছেন ওরফে গফুর। ইদানিং তিনি আওয়ামী লীগকে পূর্নবাসন করতে নানাবিধ ফতোয়া দিচ্ছেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চিংকু বাম !

০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

জুল ভার্ন বলেছেন:

২| ০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১

কামাল১৮ বলেছেন: পথভ্রষ্ট মার্ক্সবাদী।৭১ তার সাথে অনেক আলাপ করেছি।

০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: একদা আমার সাথেও কিঞ্চিৎ চেনা-জানা এবং যোগাযোগ ছিলো। কিন্তু যখন টের পেলাম- উনি আদর্শহীন একজন মানুষ তখন দূরে সরে এসেছি।

৩| ০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: চরম ধাপ্পাবাজ ও পল্টিবাজ । এ ধরনের ব্যক্তিরাই পেছন থেকে ছুড়ি মারে।

০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: এই বাটপারকে আমিই বোধহয় প্রথম থামিয়ে দিয়েছিলাম....

২০১৩ সালের দিকে যখন আওয়ামী পুলিশ লীগ পাগলা কুকুরের মতো বিএনপি, জামাত শিবিরের নেতা কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে চরম নিবর্তন মূলক আগ্রাসী অভিযান চালাচ্ছে তখন Md Shohidul Islam Babul ভাই, ক্যাপ্টেন Muhammad Wahid Un Nabi ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কখনও কোনো হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ায়, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কেবিনে, কখনও শফিক রেহমান স্যারের বাড়িতে, নবী ভাইর বাসায়, আমার বাসায় /বাসার ছাদে, Hafiz M Ullah স্যারের অফিসে ছোট ছোট গ্রুপে মিটিং করে আমাদের পরবর্তী করনীয় নির্ধারন করতাম। সেই কঠিন সময়ে সকল মিটিংয়ে সমন্বয়ক/ লিয়াজো করতেন K M Nazmul Haque, Mir Solaiman সহ ওদের একটা ইয়াং গ্রুপ। প্রায় প্রত্যেক মিটিংয়েই এক একজন বিজ্ঞ আঁতেলকে নিয়ে আসা হতো আমাদেরকে প্রেরণা দেওয়ার জন্য। ২০১৬ সালের দিকে তেমনই একটা ঘরোয়া মিটিংয়ে নিয়ে আসা হয় ফরহাদ মজহার সাহেবকে, সাথে ছিলেন যার নামটা মনে করতে পারছিনা, বর্তমানে তিনি এবি পার্টির মহাসচিব। সেই ঘরোয়া মিটিংয়ের হোষ্ট নবী ভাই ছাড়াও বাবুল ভাই, ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন Reza Rahman ছাড়াও আরও কয়েকজন। তবে পুলিশের ধরপাকড়ের কারণে আমন্ত্রিত/ আয়োজকদের মধ্যে সম্ভবত A K M Wahiduzzaman অ্যাপোলো ভাই, Iqbal Chowdhury এবং হাফিজ স্যারের উপস্থিত হতে লেট হচ্ছিল।

যেহেতু গোয়েন্দাদের নজরদারি এবং পুলিশের শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে মিটিং হচ্ছে তাই তড়িঘড়ি করে উল্লেখ্য উপস্থিত সদস্যদের নিয়েই মিটিং শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বক্তব্য শুরু করেন ফরহাদ মজহার সাহেব..... উনি চিবিয়ে চিবিয়ে বিভিন্ন দেশের আন্দোলনের নানান ইতিহাস কপচানো বক্তব্য দিচ্ছিলেন ১৫ মিনিট ধরে... মোটামুটি সবাই তার বক্তব্যে বিরক্ত হলেও কেউ মুখ ফুটে কিছু বলছেন না। আমি বিরক্ত হয়ে কর্কশ গলায় বলি- "রাখেন আপনার বিদেশি আন্দোলনের পুঁথিগত ইতিহাস, আমরা এখন পুলিশের দৌড়ানির মধ্যে থেকে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আন্দোলন বেগবান করতে পারি- সেই বিষয়ে কিছু বলার থাকলে বলেন, তা নাহলে এই মিটিংয়ের দরকার নাই, আমরা আমাদের মতো এগিয়ে যাবো...."!

আমার উত্তেজিত অবস্থায় উপস্থিত সবাই হতবিহ্বল.... তখন ফরহাদ মজহার সাহেব নিজেই আত্মসম্মান বজায় রাখতে বক্তব্য রাখা থেকে বিরত হন.....মিটিং শেষ। যে যার মতো একজন একজন করে বেরিয়ে যাচ্ছি....বাবুল ভাই আমার পিঠ চাপড়ে দিয়ে চলে গেলেন। নবী ভাই বললেন, "বড়ো ভাই, এতো উত্তেজিত হলে হবে!"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.