![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমার বক্তব্য .....
আমরা জানি, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। তবে আমি শুরু করতে চাই- স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রলীগের ভুমিকা দিয়ে। স্বাধীনতার পর থেকেই ছাত্রলীগ তাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডের কারণে শুধু সমালোচিত হয়েছে। কারণ, স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড কখনওই না ছিলো ছাত্রকল্যাণ মূলক, না ছিলো জনকল্যাণমুখী।
ধর্ষণ ও লুণ্ঠন....
সংগঠনটি প্রায় সময় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, খুন, লুটপাট, যৌন সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে থাকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা দুর্ধর্ষ ক্যাডার জসিমউদ্দিন মানিক ১০০ ছাত্রীকে ধর্ষণের ‘সেঞ্চুরি উৎসব’ পালন করেছিল।
(১) ৪ এপ্রিল, ১৯৭৪ সাল। সূর্য সেন হল থেকে ৭ ছাত্রলীগের কর্মীদের ধরে এনে মুহসীন হলে গুলি করে মেরেছিল। ছাত্রলীগের হাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী খুনঃ ঘটনাটি সেভেন মার্ডার বা সাত খুন নামে পরিচিতি পায়।
(২) আবু বকর হত্যাকাণ্ড....
আবু বকর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে মারা যান।
(৩) জুবায়ের হত্যাকাণ্ড.....
জুবায়ের আহমেদ ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তঃকলহে বিরোধী পক্ষের হামলায় আহত হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়, কিন্তু বিচারের রায় কার্যকর করা হয়নি।
(৪) বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড...
বাংলাদেশে এই ছাত্রসংগঠনটি দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় যখন এই সংগঠনের কিছু সদস্য বিশ্বজিৎ নামের একজন দর্জি দোকানিকে হরতাল চলাকালে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কোপানোর সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। রক্তাক্ত বিশ্বজিৎ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।
(৫) এহসান রফিক নির্যাতন.....
২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দ্বারা নির্যাতিত হন। এতে তার চোখের কর্ণিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে অন্ধ হয়ে যান।
(৬) কোটা সংস্কার আন্দোলন.....
২০১৩, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয় এবং আন্দোলকারীদের ওপর রড, লাঠি, হকিস্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ১৫ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে নারীদের ওপর সহিংসতার সচিত্র প্রমাণ সকল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।
(৭) নিরাপদ সড়ক আন্দোলন......
শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও অবরোধ করতে চাইলেও দুর্ঘটনার পরদিন থেকেই পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে; পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও তৎকালীন আওয়ামী সরকার-সমর্থক যুবকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। এদিকে ২, ৪, ৫ ও ৬ তারিখ ছাত্রলীগসহ তৎকালীন আওয়ামী সরকার-সমর্থক যুবকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সংবাদ-সংগ্রহে-যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে; সেসব সংঘর্ষে প্রায় দেড় শতাধিক জন আহত হন; পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রমণকারীদের প্রতি নির্বিকার থাকলেও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দমাতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। প্রায় ১১৫ জন শিক্ষার্থী ও ১৫ জন সাংবাদিক আহত হন।
(৮) আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড......
বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে তার জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
(৯) সিলেটে গৃহবধূ ধর্ষণ.....
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের শাহ পরাণের মাজার ভ্রমণ করে ফেরার পথে মুরারিচাঁদ কলেজের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়। স্বামীর কাছ থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের এই ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যাদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ঘটনার পর পলাতক আসামিদের কয়েকজনকে দ্রুত গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ।
(১০) ঢামেকে শিক্ষার্থী নির্যাতন......
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলে ইন্টার্ন চিকিৎসক এ এস এম আলী ইমাম শীতলকে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করাসহ হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে দেয়। মাথায় আঘাতের ফলে বমি শুরু হলে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা জড়িত। শীতল ঢামেক ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক।
অবশেষে নিষিদ্ধ....
ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ইন্টেরিম গভর্মেন্ট ২৩ অক্টোবর ২০২৪ সালে "ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠন" ঘোষণা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায় থেকে গেজেট জারি করে নিষিদ্ধ করা হয় সংগঠনটিকে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। যেহেতু ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরো অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে; এবং যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে; সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর ধারা ১৮-এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং ওই আইনের তফসিল-২-এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু তাদের অপকর্ম বন্ধ হয়নি।
(৪ জানুয়ারী, ২০২৫ সাল)
১১ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনটা নিয়ে ব্যপক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সেই দুর্বার আন্দোলন হেলমেটলীগকে মাঠে নামিয়ে দমানো হয়েছিল। সুষ্ঠু তদন্ত করলে অনেক ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: "শুধু নিরাপদ সড়ক চাই" আন্দোলনই নয়, পোস্টে বর্নিত প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত হলে শেখ হাসিনার অনেক কুকীর্তির তথ্য বেরিয়ে আসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
ইয়া আমিন বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো তথ্য নির্ভর