নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন সুন্দর হোক......

১৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২২

জীবন সুন্দর হোক......

অকাল প্রয়াত ব্লগার ইমন জুবায়ের তার প্রোফাইল বায়োতে লিখেছিলেন-
"জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন
জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন।"- এই উপলব্ধি আমরা সবাই করতে পারিনা।

জীবনের প্রাণ রসায়ন- বোঝার আগে একটা প্রবাদ মনে করিয়ে দেই- "টাকা দিয়ে সব কেনা যায় না"। যেমন- সুখ, সম্মান, ভালোবাসা ইত্যাদি। আমি এই প্রবাদে সম্পুর্ণ বিশ্বাসী না। এই ভীষন প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে একটা মিনিমাম ভদ্রোচিত জীবন কাটাতে হলে অবশ্যই অর্থের দরকার আছে- তবে টাকা দিয়ে এসব কেনা যায় না। এগুলো মার্কেটের শপ থেকে শপিং করা যায় না এটা ঠিক।

কিন্তু আপনাকে সম্মানজনক একটা জীবন করতে হলে একটা সম্মানজনক পেশাতে (সব পেশাই সম্মানিত হলেও এখানে মূলত আর্থিক মানদন্ডকেই বোঝানো হয়েছে) থাকতেই হবে এই যুগে। দেখানতো একজন বেকারকে সমাজ সম্মান করে? কঠিন সত্য হচ্ছে, লেখাপড়ার পেছনে অর্থ, সময় শ্রম ইনভেস্ট করে যখন আপনি একজন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাঙ্কার, শিক্ষক, ল'য়ার, বিজনেস ওনার কিম্বা একজন কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ হয়ে উঠবেন- তখন যে সম্মান সমাজ আপনাকে দিবে তা আপনি বিশ্বের তুখোড় সুন্দরী কিম্বা ম্যাচোম্যান হয়েও কখনোই পাবেন না বেকার থাকলে, দোকানদার হয়ে, আম গুড় মধু বিক্রেতা হয়ে অথবা বসে বসে বাবার সম্পত্তি ভোগ করে। শুনতে রুঢ় হলেও এটাই বাস্তবতা।

ভালোবাসা পেতে হলেও অবশ্যই আপনার একটা সাউন্ড এবং সিকিউরড ফাইন্যান্সিয়াল সেটেল লাইফ লাগবে এ যুগে। তা নাহলে একজন পুরুষ হয়ে আপনি কখনোই ভালো অবস্থানে থাকা স্ত্রী পাবেন না, এবং নারীও স্বামী পাবেন না। আজকাল তো ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, বহুজাতিক কোম্পানির পদস্থ ইত্যাদি পেশাদার পুরুষেরা বিয়ের সময়ে আলাদা করে বলেই দেয়- মিনিমাম অনার্স পাশ হতে হবে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, এলাকার সোনা মিয়া ব্যাপারী কলেজ থেকে না। ছেলেরাও এখন চায় পেশাগত মানানসই একজন যোগ্য স্ত্রী, শোকেসে সাজিয়ে রাখার জন্য তুলতুলে পাপেটিং স্ত্রী নয়। বেকার শো-পিস স্ত্রী এখন আর কোন স্ট্যান্ডার্ড পুরুষ চায় না।

জরুরী না কখনোই সমাজের সব ছেলেদের স্ত্রীকে প্রথম শ্রেণির জব করা উপযুক্ত স্ত্রী পেতেই হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে, আজকাল অধিকাংশ পুরুষই আশা করে একজন স্ট্যাব্লিসড নারীকে স্ত্রী হিসেবে, একজন নারী আশা করেন একজন এস্টাবলিস্টড স্বামী। কিন্তু যখন নিজের অযোগ্যতার জন্য তা পান না তখন এই ব্যার্থ পুরুষেরাই ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকে এসব বলে বেড়ায়- "উচ্চ শিক্ষিত চাকরি করা নারীরা সংসারী হয় না"। আরে উজবকু, উচ্চ শিক্ষিত কর্মজীবি নারীর তো নিজেরই হ্যাডাম আছে সংসার সাজানোর জন্য ঘর তৈরি করার। সে কেন একজন ঘরহীন, পরিচয়হীন, কম শিক্ষিত, চরিত্রহীন, financially unstable পুরুষের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের জীবনকে আমৃত্যু দৌঁড়ের উপরে রাখবে? এক দুদিন চলে বেকার পুরুষকে পোষা কিন্তু আজীবন বেকার, আনহেলদি লাইফ স্ট্যাইল মেইনটেইন করা পুরুষকে বেবি সিটিং করার কোন মানেই হয় না। পুরাই সময় নষ্ট প্রোজেক্ট এটা। আজকালকার মেয়েরা বেকার ছেলেদের সাথে বড়োজোর পার্ট-টাইম প্রেমের নামে টাইমপাস করে... শিক্ষিত এবং ফাইন্যান্সিয়ালী সেটেল কোনো নারী কেন এই ঝুঁকি নিবে? সে কি হাবা নাকি? একজন ফাইন্যান্সিয়ালী সেটেল পুরুষই বা কেন আইডেন্টিহীন বেকার নারীকে পালবেন এই যুগে? পুরুষের ক্লাস বোঝা যায় তার স্ত্রীকে দেখে, ইট'স জাস্ট সিম্পল।

এবার আসুন সুখের বিষয়ে। সুখ এক অলীক বিষয়। একে দেখা যায় না, ধরা যায় না। শুধু অনুভব করা যায়। মানে পুরোটাই মাইন্ড সেটের বিষয়। আপনার যখন পেটে হেলদি ফুড থাকবে, মাথার উপরে নিশ্চিত ছাদ থাকবে, ভদ্রোচিত শৌখিন পোশাক থাকবে আলমারিতে, শরীর মনের যত্ন নিতে আপনি ক্যাপাবল থাকবেন তখন মন খারাপ বলুন আর অসুখ বলুন, সবকিছু কিউর করার জন্য আপনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কিন্তু টাকা পয়সা না থাকলে রুম বন্ধ করে ফ্যাচফ্যাচ করে কান্নাকাটি করা আর ভিক্টিম কার্ড প্লে করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না।
সুতরাং উঠুন, রেডি হন, বেরিয়ে পড়ুন ক্লাস করতে কিংবা অফিসের দিকে। অনেক অর্থের দরকার নেই জীবনে, কিন্তু মিনিমালিস্টিক লাইফ স্ট্যাইল মেইনটেইন করার জন্য অতোটুকু অর্থ সৎ পথে রোজগার করুন। নারী পুরুষ সবার জন্যই কথাগুলো প্রযোজ্য।

ব্লগার কবি সুলতানা শিরিন সাজি তার বায়োতে লিখেছিলেন- "বেঁচে থাকাটা দারুণ ব্যাপার....."- সেই দারুণ ব্যাপারটা হোক সার্বিক সততায়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ইমন জুবায়ের ভাইয়ের ব্লগের লিংটা দিয়ে দিলে ভালো হতো। একটু ঘুরে আসা যেতো।

১৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: যেকোন ব্লগারকে খুঁজে পেতে ব্লগ অনুসন্ধান অপশনে নাম লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।

২| ১৯ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দারুণ লিখেছেন।

১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:১২

সামিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটি

২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: আহেন বাইড়ৈয়া পড়ি, চিটারী_বাটপারি কৈরা ট্যাকা কামাইয়া বিদেশে বাড়ি-গাড়ি কীন্না প্রকৃতির মাঝে মজা লৈ,এমন মনোভাব সবার,
আমরা নষ্ট হয়ে গেছি

২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সকল খারাপের মধ্যে আমরা ভালো থাকতে চেষ্টা করবো।

৫| ২২ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

মেহবুবা বলেছেন: বেশ যুগোপযোগী একটা লেখা। কঠিন বাস্তবে সুখী হবার জন্য, চারপাশ সুখময় করবার জন্য নিজেকে তৈরী করতে হয়, সজাগ থাকতে হয়, সহানুভূতিশীল হতে হয়। স্বার্থ ত্যাগ করবার মানসিকতা প্রয়োজন, তবে বেশী আবেগপ্রবণ হয়ে গেলে অনেক সময় প্রতারিত হতে হয়।
হীনমন্যতা বিশেষ করে উপযুক্ত এবং বেশী যোগ্যতাসম্পন্ন স্ত্রী হলে কি আকার ধারন করে বেশ কটি উদাহরণ জানি। কিছুদিন আগে একটা বিষয়ে খারাপ লাগল। একজন উচ্চশিক্ষিত, অত্যন্ত সজ্জন, মিষ্টি ভাষী,আর্থসামাজিক ভাবে ভালো অবস্থানে থাকা মহিলা, যার আচরণের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন ; মৃত্যুবরণ করলেন। তাঁর গুণমুগ্ধ পুত্র বধূর কাছ থেকে জানলাম ওনার স্বামীর হিংসা এবং হীনমন্যতার কথা! বাইরে থেকে বোঝা যায় নি, মানে আমরা টের পাইনি।
ওনার স্ত্রীকে সবাই এত ভালবাসতো, প্রসংশা করতো এটা মনে হয় ওনার সহ্য হোত না, অথচ নিপাট ভালো মানুষের অবয়ব।
পুত্র বধূ বলছিল, "আর কিছু না, আমি মামনির মত হতে চাই"। মামণি মানে শাশুড়ী।
প্রিয় দুজন ব্লগারকে স্মরণ করছেন, ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক খারাপের মধ্যেও 'কিছু ভালো' আমাদের পরিবার, সমাজ তথা জগৎ সংসারে ভালো থাকার প্রেরণা জোগায়।

৬| ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা।

২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:২৫

অপলক বলেছেন: ১. "পুরুষের ক্লাস বোঝা যায়, তার স্ত্রীকে দেখে.. ইটস জাস্ট সিম্পল"<<< একমত হতে পারলাম না। পরিস্থিতির শীকার বলে একটা ব্যপার আছে...অথবা মন দেয়া নেয়ার একটা ব্যপার আছে। বইয়ের মোলাট দেখে ভেতরের অংশ যাচাই করবেন না। মানুষের জীবন খুব বিচিত্র। তাকে ছকে বাধা অত সহজ নয়।
২. বেঁচে থাকাটা দারুন ব্যপার... <<< যাদের রঙিন দুনিয়া আছে। আর যাদের স্বপ্ন আর সাধ্যের সমন্বয় আছে ।

মোটের উপর দারুন লিখেছেন। ভাল লেগেছে...

২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ইমন জুবায়ের - একজন অসাধারণ মানের লেখক, অনুবাদক, ও সঙ্গীত বোধসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। উনার লেখার পরতে পরতে জ্ঞান আহরণের পিপাসা বাড়ে।
উনাকে মহান রাব্বুল আলামীন - জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন, আমিন।

৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.