![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদ.....
রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি হলো দলীয় বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দ্বারা জনগণ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সমষ্টি বা কর্মকাণ্ড। রাজনীতি এ্যাকাডেমিক অধ্যয়নকে রাজনীতিবিজ্ঞান বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে। সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনীতি. রাজনীতির সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে উপরিউক্ত সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে অস্বীকার করে সাম্যাবস্থার স্বীকৃতি দিয়ে রাজার মতো মানসিকতা প্রকাশ।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি হল মনোভাব, বিশ্বাস এবং অনুভূতির সমষ্টি, যা একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আদেশ ও অর্থ প্রদান করে এবং যা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন অন্তর্নিহিত অনুমান এবং নিয়ম প্রদান করে।
রাজনীতির মূল অর্থ ছিল রাজা বা রাজার নীতি, যেখানে আভিজাত্যের একটি বিশেষ প্রভাব ছিল। অতীতে রাজনীতিতে মানবিকতা ও মমত্ববোধের ছোঁয়া ছিল, কারণ আভিজাত্য কিছুটা হলেও নৈতিকতার দিকে ঝুঁকতো। কিন্তু গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসন সেই আভিজাত্যের ক্ষীণ প্রভাবটুকুও ধ্বংস করেছে।
শেখ হাসিনাই সমাজের অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। পাড়াগাঁয়ের, অলিগলির অশিক্ষিত মাস্তান, চাঁদাবাজ গাঁজাখোরদের ছাত্রলীগের নেতা বানিয়েছে, হাট-বাজারের পকেটমার হয়েছে লীগের ইউনিয়ন নেতা। মসজিদের মুসুল্লিদের জুতা-স্যান্ডেল চোর, মসজিদের দান বাক্সের টাকা চোরদের মসজিদ কমিটি পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব দিয়েছিল। এর ফলে দেশের রাজনীতিতে যোগ্যতার চেয়ে অর্থ, অহমিকা এবং দুর্নীতি প্রাধান্য পেয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এসব ব্যক্তিকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে, অথচ উন্নয়নের নামে সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষদের দিয়ে দেশের সামাজিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের ১৬ বছরে দেশের সামাজিক অবকাঠামো একেবারেই ভেঙে পড়েছে। যেখানে আগে কিছুটা হলেও আভিজাত্য ও নৈতিকতার প্রভাব ছিল, সেখানে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও নৈতিকতার অভাব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বিদ্যমান।
আমি রাজনীতিবিদ নই, তবে রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক হিসাবে বিএনপি রাজনীতির সমর্থক। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক শহীদ জিয়া-ম্যাডাম জিয়ার দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দর্শন গভীরভাবে লালন করি। বিএনপি রাজনীতির সমর্থক, তৃণমূল কর্মী হিসাবে নিবিড় ভাবে লক্ষ্য করেছি- একশ্রেণীর উঠতি কর্মীদের হামবড়া ভাব, উন্মাষিকতা, পারস্পরিক অশ্রদ্ধাজনক আচরণ কোনো ভাবেই রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদ সংগায়িত নয়। এই শ্রেণীর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দলের উপকার তো হবেই না, বরং দলের জন্য অশনি সংকেত!
একজন নেতার কিছু বৈশিষ্ট্য বা বিশেষত্ব থাকতে হয়।
Must have a compassionate mind, ability to communicate with all classes of people, foresight, introspection, ability to adapt to situations, mentality of continuously learning from experience, courage, dedication to public interest, and integrity....
অর্থাৎ;
একজন নেতার সহানুভূতিশীল মন থাকতে হবে, সব শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা, দূরদর্শিতা, আত্মজিজ্ঞাসা, পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা থেকে ক্রমাগত শিক্ষা নেয়ার মানসিকতা, সাহস, জনস্বার্থের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এবং চারিত্রিক সংহতি থাকতে হবে। নেতাকে শুধু সৎ হলে চলে না, চারিত্রিক সংহতি- এটা সততার চেয়ে অধিক কিছু।
মোদ্দা কথা, একজন নেতাকে কৌশলী (Tactful) হতে হবে কিন্তু কূটকৌশলী(Trickster) নয়।
মনে রাখতে রাখতে হবে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও বদলে যাচ্ছে। নষ্ট ও মুর্খদের পেশীশক্তির রাজনীতি চলবে না। রাজনীতিতে মেধাবী ও সৎ লোকদেরই লাগবে। 'কৌশলী' রাজনৈতিক নেতা-কর্মী হতে হবে, 'কূটকৌশলী' নেতা কর্মী যারা মেধাবী কর্মীদের ল্যাং মেরে সাইডে ফেলে দিচ্ছেন- তেমন ধারা বদলাতে হবে। মনে রাখবেন- কারোর ক্রেডিট কেড়ে নেওয়ার মানসিকতা, সব ক্রেডিট নিজের ঝুলিতে নেওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করে উদারতা দেখালে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না। ভোটের রাজনীতি ফিরে এসেছে, আগামী নির্বাচন হবে ভোটের নির্বাচন। ভোটাররাই নির্ধারণ করবেন কে নেতা? কাজেই কর্মী সমর্থকদের সালামের অপেক্ষায় না থেকে নিজেই কর্মী সমর্থকদের সালাম দিয়ে সম্মান জানান, কর্মী-সমর্থকেরাও আপনাকে শতগুণ বেশী সম্মান দিবেন।
'মুই কি হনুরে' মানসিকতা ত্যাগ করে দলীয় ঐক্যের জন্য সবাইকে নিয়ে চলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার মাধ্যমে মেধাভিত্তিক রাজনীতির চর্চা করতে হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষ বিএনপি আর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে (প্রসঙ্গত স্বীকার করতে দ্বিধা নাই, আওয়ামী লীগের অসংখ্য দোষ থাকলেও আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থক বান্ধব দল, বিএনপি তার বিপরীত) রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাবে না।
(ইহা একটি দোষ মিয়া পোস্ট)
২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন ম্যাডাম জিয়াকে অনেক সম্মান দিয়েছেন।আলহামদুলিল্লাহ। সবকিছুই শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। আল্লাহ ভরসা।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বেগম খালেদা জিয়াকে আর কোনোদিন স্টেজে বক্তৃতা দিতে দেখবো ? তাহলে হটাৎ রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া অনেকের কাপড় চোপড় নষ্ট হয়ে যেত।