![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..
টাকা খুচরা করার তিক্ত অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই আছে। এই তিক্ততারও একটি সহনীয় মাত্রা আছে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত তিক্ততা যে কতটা অসহনীয় এবং এটা মানুষকে যে কতটা অসহায় করে দিতে পারে হাজার টাকার একটি নোট তা আমাকে আজ হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিল!
বরাবরের মতই ফ্লেক্সি দিয়ে ১০০০ টাকা ভাঙ্গানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলাম। ২০ টাকার একটি কার্ড চেয়ে মামুন ভাইকে(জব্বার মোড়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী) ১০০০ টাকার নোটটি ধরিয়ে দিলাম। মামুন ভাইও সুন্দর করে আমার হাতে দুটি ২০ টাকার কার্ড দুটি ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দিলেন। ব্যপারটাকে আমলে নিলাম না। পকেট ঝেড়ে ঝুড়ে ৪০ টাকা দিয়ে চলে এলাম।
সন্ধ্যায় আবার টাকা ভাঙানোর মিশনে নামলাম। খুচরো টাকা নেই। একটি চকলেট খেতে হলেও আমাকে ৫০০ টাকা ভাঙিয়েই খেতে হবে! সোজা চলে গেলাম শহীদ ভাইয়ের(জব্বার মোড়ের বিশিষ্ট ভাংতিদাতা) দোকানে। যে শহীদ ভাই সুদীর্ঘ আড়াই বছর আমাকে হতাশ করেন নি সেই শহীদ ভাই আজ আমাকে হতাশ করলেন। ১০০ টাকার একটি নোট দেখিয়ে বুঝিয়ে দিলেন ভাঙতি নেই!
চলে এলাম কেআর মার্কেটে। একটা জরুরী ঔষুধ কেনা লাগত। ঔষুধ নিলাম। যা ধারণা করছিলাম তাই হলো। ‘ভাই খুচরা দেন!’। পুরো মার্কেট খুঁজলাম। রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে মিষ্টির দোকান, ফাস্ট ফুড, বেভারেজ, চায়ের দোকান কিছুই বাদ দিলাম না। কিন্তু কেউ ‘না’ ছাড়া ‘হ্যা’ বললো না! অবশেষে এক গালামাল ব্যবসায়ী আমাকে অবাক করে দিয়ে পাঁচটি ১০০ টাকার নোট হাতে ধরিয়ে দিলেন!
কাহিনী এখানেই শেষ নয়। ১০০ টাকার নোট নিয়ে গেলাম সেই ঔষুধের দোকানে। দোকানী চরম বিরক্তি নিয়ে বলল, - ‘আরে ভাই বললাম না খুচরা লাগবে!’
কথাটা অনেক কষ্টে হজম করলাম। কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলাম।
‘ভাংতি’ সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন আনলাম। কিছু পেতে হলে নাকি কিছু দিতে হয়। যা বুঝলাম মিষ্টি কথায় কেউ টাকা ভাংতি দেবে না।
বেভারেজের দোকানে গিয়ে ২৫০ মিলির একটা সেভেন আপ নিলাম। এখানেও ঐ একি প্রব্লেম। খুচরা নেই! আকাশ সমান বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন করলাম,
- ‘ভাই ১০০ টাকাও কি আপনার এখানে খুচরা হবে না!?’
-‘না ভাই। আজ মোটেই ৬০ টাকা বেচছি!’
রিপ্লেটা এমন করুণ হবে সেটা আশা করিনি।
বিকেলে নাস্তাটা এমনিতেই অনেক বেশী হয়ে গিয়েছিল। এখন অন্তত মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে ইচ্ছে করছে। তারপরও অনিচ্ছা সত্বেও দ্বিতীয়বারের মত এলাম মিষ্টির দোকানে। মিষ্টি খাব!
-‘মামা মিষ্টি আছে না?’
- জ্বি আছে। কিন্তু খুচরা দিতে হবে!
- মামা ৫০০ না, ১০০ টাকা!
- জ্বি মামা, ১০০ টাকাও খুচরা নাই!
বিরক্তি চরমে পৌঁছে গেল। রাগে দুঃখে ক্ষোভে গিয়ে হাজির হলাম সেই গালামালের দোকানের সামনে। কিন্তু কিনবটা কি??? আলু, লবণ, হলুদ, তেল নাকি অন্যকিছু! না, এভাবে সম্ভব নয়।
আচ্ছা কলম কিনলে কেমন হয়? মন্দ হয় না। সামনে পরীক্ষা আছে, কাজে দেবে। যাহোক, বড় দেখে এক কাগজ-কলমের দোকানে গিয়ে বললাম,
-ভাই, একটা কলম দিন।
-কি কলম দিব?
-যা খুশি তাই দিন।
দোকানী আমাকে ১০ টাকা মূল্যের একটি Linc Slycer কলম দিলেন। আমি খুশিতে ডগমগ হয়ে ওনাকে ১০০ টাকার নোটটি দিয়ে দিলাম! উনি কি বললেন জানেন?
- ‘ভাই, খুচরা নাই!!!’
আমার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার উপক্রম। উচ্চস্বরেই বললাম,
- নাই কেন???
দোকানী বুঝি আমার অবস্থা খানিকটা আঁচ করতে পেরেছিল। খুচরা নাই এমন একটা ভঙ্গী নিয়ে ড্রয়ার খুললেন। অবাক হয়ে দেখলাম... ড্রয়ার ভর্তি খুচরা টাকা! দোকানী বিড়বিড় করে বললেন,
-‘মাত্র ১০ টাকার জন্য ৯০ টাকা রিটার্ন দেয়া যায় না!’
ইচ্ছা করছিল লোকটার নাক বরাবর একটা দিয়ে দেই! ইচ্ছাটাকে অনেক কষ্টে প্রশমিত করলাম। কিছু হোক খুচরো তো পেলাম! মুখে কৃত্রিম একটা হাসি এনে বললাম,
‘ধন্যবাদ ভাইয়া!’
আর মনে মনে বললাম, ‘আপনাদের অনেক অনেক ... ... ... বিপ বিপ বিপ!’
২| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০৯
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: কচু মচু বুখ বানায় ব্যাংক গুলা। খালি হাজার, ৫শ টাকার নোট বাইর হয়। পরে আলপেনলিবে কিন্না ১০০০ টাকার নোট দেয়া লাগে।
৩| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০১
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: সহমত
৪| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪৪
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভাই, ১০০০ টাকার নোটের অনেক প্রোয়োজন আছে। ব্যান্ক থেকে বেশী টাকা তুলে অন্য কোথাও নিতে হলে আমরা কিন্তু ১০০০ টাকার নোটই চেয়ে নিই (এমনকি আপনিও)। তখন মনে হয় ৫০০০ টাকার নোটও থাকা উচিত ছিল।
তবে ২০ টাকার মোবাইল রিচার্জ করে ১০০০ টাকার নোট না ভান্গিয়ে আপনি ব্যান্ক থেকে টাকা তোলার সময় ২/৪ টা নোট খুচরো করে নিবেন। মানে ১০০ টাকার নোট নিবেন।
৫| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ @ আমি ব্লগার হইছি
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫২
ইয়ার শরীফ বলেছেন: