নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কালেভদ্রে লিখি :)

মোঃ জুনায়েদ খান

ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..

মোঃ জুনায়েদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গিভ মি সাম সানশাইন :(( :(( :((

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

সেদিন এগ্রিকালচার পড়ুয়া আমার এক ভাতিজা বিমর্ষ হয়ে আমার রুমে এল। চোখ পানিতে টলটল করছিল। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? বলল রেজাল্ট খারাপ হয়েছে! বাকৃবিতে রেজাল্ট খারাপ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। হতেই পারে। আমারো কয়েকবার হয়েছে। তাই বলে কান্নাকাটি করিনি। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কত পেয়েছিস?’ সে লম্বা একটা শ্বাস ছেড়ে বলল, ‘৩.৮৭!’



কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। তারপর শব্দ করে হেসে দিলাম। আমরা যেখানে ক্যারি না এলেই সৃষ্টিকর্তার দরবারে কোটিকোটি শুকরিয়া জানানো শুরু করি সেখানে এ ছেলেটা ৩.৮৭ পাওয়ার পরও কান্নাকাটি করছে! মুখস্ত করা কিছু সান্ত্বনার বাণী আওড়ালাম। কাজ হল না। হবেই বা কি করে? যেখানে ৩.৯০ এর উপড়েই ২৫ জন পেয়েছে সেখানে ৩.৮৭ পেয়ে কান্নাকাটি করাটা স্বাভাবিক!



এবার আসি আমাদের ফ্যাকাল্টিতে! “Faculty of Agricultural Engineering & Technology!” এখানে রেজাল্ট বিষয়টা অনেকটা লুডুর সাপ খেলার মত। মই বেয়ে তরতর করে উপড়ে ওঠা যেমন সহজ তেমনী সাপে কেটে সাঁই করে নিচে নামাটাও কঠিন কিছু নয়। ‘৩.৫ এর বেশী নয় ২.০ হলে ভালো হয়’ এমন একটা মোটোকে সামনে রেখে এখানে পাঠদান করা হয়। ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ অনেক জটিল বিষয়! এটা বোঝা যার তার কাজ নয়! এখানকার ভাইভা বোর্ড যেন এক কশাইখানা। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কটা দা আর গোশতের মত। যতই ভালো উত্তর দাও তুমি প্রশ্নকর্তার মন যোগাতে পারবে না! গণহারে B+ দিয়ে বলা হবে ‘৮০% মার্কস পাওয়ার মত কোন স্টুডেন্ট তোমাদের ব্যাচে নেই!’ কখনো কখনো তোমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে আবার কখনো কখোনো মিষ্টি হেসে বলা হবে, ‘বাবা, তুমি আগামী বছর দেখা করো!’



আজ আমাদের রেজাল্ট দিয়েছে। বরাবরের মতই ধ্বংসাত্মক রেজাল্ট। কোন লেভেলেই(ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং) ৩.৮ এর কোটা স্পর্শ করতে পারে নি। পারারও কথা না। ৩.৮ পাবার মত যোগ্যতা আমাদের নেই। এটা আমার কথা না। স্যারের কথা। তিনি IEB এর এক সম্মেলনে বলেছিলেন,



“এখানে(বাকৃবিতে) যে মানের স্টুডেন্ট ভর্তি করানো হয় তাদের কারুরই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা নেই”



স্যারের সাথে আমিও একমত। স্যাররা কখনো মিথ্যে বলেন না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হুম !!! স্যাররা কখনো মিথ্যে বলেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.