নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই ফালাসরে পাগল মরতে একদিন হইবই

তারা ভরা রাতের নিষাচর...

জুনজুন

নিতান্তই সরল দিন গুলো কেটে যায়..... শুধু বসে থাকা কিছু সপ্নকে মুঠো করে।

জুনজুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংযোজিত কর

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

এয়ারপোর্টের কাছে বাস ঠায় দাঁড়িয়ে আছে প্রায় আধা ঘন্টা ...... গরমে সবাই দরদর করে ঘামছে। বাস এইসা ঠাসা তার মধ্যেও কন্টাক্টর পিচ্চি খালি ডেকেই চলছে......বাড্ডা রামপুরা যাত্রাবাড়ি!! লোকজন ক্ষেইপ্যা হৈ হৈ করতাছে......তবে কে শুনে কার কথা, বাসের একচুল জায়গা ফাকা থাকলেই লস।এর মধ্যে আরেক মদন আসছে ভাড়া তুলতে, যা হবার লাইগা গেল এক যাত্রির সাথে--
মামা আর তিন টাকা দেন...... উত্তরা থেকে পনের টাকা!
কি কস? প্রতিদিন আসি বারটাকা দিয়ে......
মামা গ্যাসের দাম বাড়ছে
আরে তুরা ত নেস তেলের টাকা......গ্যসের টাকায় ভাড়া ত আরও কম।।
মামা একবার আইতে যাইতে আড়াইশ টাকা বেশি লাগে......
আরে বেটা লোক ভর্তি পার হেড গ্যস হিসাব করলে ত একটা পাদের গ্যসও হবে না......
কন্টাক্টরও কম যায় না কইল—মামা টাকা না দেন এইডা দিয়েন না আবার! এমনিই লোকে গরমে কিমা আর অইডা মারলে যাত্রি মইরাই যাইব হা হা! যাক এ যাত্রা প্যাচাল থামল। তবে নতুন বাজার আসলে দেখি নতুন ঝামেলা। বাস আর যাবে না...... টিউশন ফি থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা সড়ক আবরোধ করে আছে।কি আর করা, অগত্যা হাটা শুরু.....যাইতে যাইতে দেখি... “বাংলাদেশ মুত্র সপ্তাহ”—থুক্কা “বাংলাদেশ মূসক সপ্তাহের”... বিরাট পুষ্টার ঝুলছে।সময় চলে গেছে তাই বিলবোর্ডের কালি কুলি ক্ষয়ে গিয়ে অবশ্য প্রথমটায় মনে হচ্ছে। উপরে আবার পদ্মা সেতুর বিশাল ছবিও শোভা পাচ্ছে বেশ। পদ্মা সেতু দেখে বা মুত্র সপ্তাহ দেখেই হোক না আমজনতা বিলবোর্ডের তলদেশে মুত্র বিসর্জন দিয়ে মোটামুটি পদ্মা নদী বানাই ফেলতাছে...। সামনে দেয়ালে বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আরবী, ইংলিশ, বাংলায় লেখা থোড়ায় কেয়ার ওদের... পেশাবের বেগ যেখানে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের আবেগ। তবে এ কথা অনস্বীকার্য মূসক হোক আর মুত্রই হোক... দুটোরেই মানুষে নিতান্ত বাধ্য হোয়েই ত্যাগ করে। তবে একটা প্রকৃতি যেমন শুষে নিয়ে আমাদের উপকারে লাগায় তেমনি অন্যটা আমাদের রাস্ট্র যন্ত্র শুষে নিয়ে আমাদের উপকারে লাগায়(!)বটে। তবে মূসক( মূল্য সংযোজিত কর) এর সাথে সাথে যদি ঘুষখোরদের জন্য ঘুসক (ঘুষ সংযোজিত কর), আর জনগণের টাকা হাপিশ করে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তোলাদের জন্য কাসক (কালো টাকার সংযোজিত কর) বা পথে প্রান্তরে যে সোনার ছেলেরা জনস্বার্থে চান্দা আদায় করেন তাদের তরে চাসক (চান্দাবাজি সংযোজিত কর)চালু করা যেত তবে ছাত্রদের থেকে টিউশন ফি থেকে ভ্যাট নেওয়া লাগত না ...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: খাসা বলেছেন!

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

জুনজুন বলেছেন: বক্তব্য খাসা হলেও সরকারি ঠাসা ত বন্ধ হচ্ছে না...

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।
এতো গেল ‘রাজপুত্রের’ কথা, আর চেতনাবাদী মিডিয়া, তার অবস্থান কি?
শাহবাগে চিল্লাচিল্লি আর বিরিয়ানি খাওয়া টেলিকাস্ট করতে লাইন লেগে যায় চেতনা মাখা সকল মিডিয়ার! আর আজকে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনরে " জন-দূর্ভোগ" হিসেবে দেখাচ্ছে। মনে হয় যেন জীবনে , রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে দাবী আদায় এই প্রথম দেখছে।
আজ দেশের ছাত্র সমাজের এই ভ্যাট বাতিলের জোয়ার কে কেন তারা টেলিকাস্ট করছে না?
দেখাচ্ছে " সড়ক অবরোধের কারনে যানজটে নগরবাসীর অবস্থা নাকাল " জাতীয় রিপোর্ট ।
কোথায় আজ মুন্নি সাহা?
কোথায় আজ রুপার সরাসরি সম্প্রচার?
কোথায় আজ নবনিতার টকশো?কোথায় ?
জাফর নামক ষাঁড় টা কই? তাঁর বিবেক কি বলে???
এই দেশের রন্ধে রন্ধে দালালে দালালে ভরে গেছে আর সব দালালের বড় দালাল হচ্ছে এই সাংবাদিক আর মিডিয়া । যাদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়া মানেই আন্দোলন আর লক্ষ লক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়ার নাম হচ্ছে সন্ত্রাসী দমন।
থু থু থু
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘চেতনাবাদীদের’ কমেন্ট ........



চটি পিয়াল ও তাঁর অনুসারীদের কমেন্ট-

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.