নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।

ব্লগ মাস্টার

আমি লেখতে পারি না তাই লেখতে চাইনা পড়তে চাই তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করবো লেখতেআপনাদের সহযোগিতা পেলে ।

ব্লগ মাস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বিস্তারিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩


পবিত্র কুরআনের ৯৭ নম্বর সূরা এর আয়াত সংখ্যা ৫ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। আল কদর সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।এই সূরাটিতে পবিত্র লাইলাতুল কদরের বিষয়বস্ত ওফজিলত বা গুরুত্বের ওপরে বিস্তারিত বর্নণা করা হয়েছে।লাইলাতুল কদর প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশ রোযার যে কোনো বেজোড় রাত্রীতে হতে পারে।তবে আমরা বাংলাদেশীরা মনে হয় আমাদের প্রপাগন্ডা চাঁদ দেখার অন্তরালের জন্য এই মহিমত পবিত্র রাতটা সঠিক ভাবে খুঁজে পাইনা বা বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছি।কদরের এক অর্থ মাহাত্ন্য এবং সম্মান। এর মাহাত্ন্য এবং সম্মানের কারনে একে লায়লাতুল-কদর তথা মহিম্মান্বিত রাত বলা হয়। আবু বকর ওয়াররাক বলেনঃ এই রাত্রিকে লায়লাতুল-কদর বলার কারণ এই যে,আমল না করার কারনে এর পূর্বে যার কোন সম্মান ও মূল্য মহিমান্বিত থাকে না, সে এ রাত্রিতে তওবা-এস্তেগফার ও এবাদতের মাধ্যমে সম্মানিতও হয়ে যায়।হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বর্ণিত রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ ইবরাহীম (আঃ)-এর সহীফাসমূহ ৩রা রমযানে, তওরাতে ৬ই রমযানে, ইঞ্জিল ১৩ই রমযানে এবং যাবুর ১৮ই রমযানে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন পাক ২০শে রমযানুল-মোয়ারকে নাযিল হয়েছে। হাদীসে আছে, শবে-কদরে জিবরাঈল ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামায অথবা যিকরে মশগুল থাকে, তাদের জন্যে রহমতের দোয়া করেন। ফেরেশতাগণ শবে-কদরে সারা বছরের অবধারিত ঘটনাবলী নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে। কোন কোন তফসীরবিদ একে "সালাম্মুন" এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এ অর্থ করেছেন যে, এ রাত্রিটি যাবতীয় অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে শান্তিস্বরূপ।শবে-কদরের এই বরকত রাত্রির কোন বিশেষ অংশে সীমিত নয়; বরং ফজরের উদয় পর্যন্ত বিস্তৃত।

ইবনে আবী হাতেম (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে আছে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) একবার বনী-ইসরাঈলের জনৈক মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। সে এক হাজার মাস পর্যন্ত অবিরাম জেহাদে মশগুল থাকে এবং কখনও অস্ত্র সংবরণ করেনি। মুসলমানগণ একথা শুনে বিস্মিত হলে এ সূরা কদর অবতীর্ণ হয়। এতে এ উম্মতের জন্যে শুধু এক রাত্রির ইবাদতই সে মুজাহিদের এক হাজার মাসের এবাদত অপেহ্মা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ইবনে জরীর (রহঃ) অপর একটি ঘটনা এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বনী-ইসরাঈলের জনৈক এবাদতকারী ব্যক্তি সমস্ত রাত্রি এবাদতের মশগুল থাকত এবং সকাল হতেই জেহাদের জন্যে বের হয়ে যেত এবং সারাদিন জেহাদে লিপ্ত থাকত। সে এক হাজার মাস এভাবে কাটিয়ে দেয়। এর পরিপ্রেহ্মিতেই আল্লাহ্‌ তাআলা সূরা-কদর নাযিল করেন এবং উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। এই থেকে আরও প্রতীয়মান হয় যে শবে-কদর উম্মতে মুহাম্মদীরই বৈশিষ্ট্য।এই রাতে মহানবী, মুহাম্মদের অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলিমবিশ্বের কাছে এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় এবং মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। কুরানের বর্ননা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। তাই আসুন সামান্য ভুলের জন্য যেন আমরা এমন একটা রাতের বর্কত না হারাই সে দিকে মনযোগ দিই।

শবে কদর এমন মহিমান্বিত বরকতময় এবং বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এই জন্য যে, এই রজনীতে পবিত্র গ্রন্থ ‘আল-কোরআন’ অবতীর্ণ হয়েছে। আর আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন,

নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)


কদরের রাত্রের যাবতীয় কাজের ইঙ্গিত দিয়ে এ রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের অন্যত্র ঘোষণা করেছেন,

হা-মীম! শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। (সূরা আদ-দুখান, আয়াত: ১-৪)

শবে কদরের রাতে ফেরেশতারা এবং তাদের নেতা জিবরাঈল পৃথিবীতে অবতরণ করে উপাসনারত সব মানুষের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে থাকেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, শবে কদরে হজরত জিবরাঈল (আঃ) ফেরেশতাদের বিরাট একদল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে তাঁদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (মাযহারি )লাইলাতুল কদরে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিজিক, সবকিছুর পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাদেরকে লিখে দেওয়া হয়, এমনকি কে হজ্জ করবে, তা-ও লিখে দেওয়া হয় ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এ মহিমান্বিত এক বিশেষ রাতের বর্ণনা এখন খুব প্রয়োজন ছিল; পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে।
ভাল লাগলো আপনার আজকের ব্লগ। শিরোনামের কি-টাকে ঠিক করে দিয়েন! বাকি সংশোধন আপনার ইচ্ছে ;)

প্লাস++++

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: মহানবী সাঃ কে তার স্ত্রী আয়েশা শবে কদর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে রাসুলুল্লাহ! আমি যদি লাইলাতুল কদর পাই তখন কী করব? তখন নবী মত দেন, তুমি বলবে, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন—অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। (তিরমিযি) লাইলাতুল কদর গোটা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত পুণ্যময় রজনী এবং এ রাত বিশ্ববাসীর জন্য স্রষ্টার অশেষ রহমত, বরকত এবং ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। এ রাতে কোরান শরীফ নাজিল হয় যার অনুপম শিক্ষাই ইসলামের অনুসারীদের সার্বিক কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, ইহকালীন শান্তি এবং পারলৌকিক মুক্তির পথ দেখায়।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: আপনি কেমন আছেন?

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো আছি । তবে কদিন খুব গরম পরেছে।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই রাত হাজার রাতের চেয়ে উত্তম।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: কিন্তু আমরা বুঝিনা।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে পোস্ট করেছেন।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৩

ফেরদৌসী মাসুদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.