নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।

ব্লগ মাস্টার

আমি লেখতে পারি না তাই লেখতে চাইনা পড়তে চাই তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করবো লেখতেআপনাদের সহযোগিতা পেলে ।

ব্লগ মাস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবাশ বাংলাদেশ এর ইতিহাস

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাবাশ বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ভাস্কর্যগুলোর অন্যতম একটি। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটা বৃহৎ ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী নিতুন কুণ্ডু। এটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীকী ভাস্কর্য।বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের যে প্রতীকি ভাস্কর্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রকাশভঙ্গীর সরলতা, গতিময়তা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজস্বী প্রকাশ এবং নন্দনতাত্বিক দিক থেকে এই ভাস্কর্যটি অনবদ্য।
স্বাধীনতার জ্বলন্ত প্রমাণকে ধরে রাখার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য সাবাশ বাংলাদেশ। ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারীদের বলিষ্ঠ সাহসী ভূমিকা ছিল। সেইসময় এমন ঘটনার আর্বত সৃষ্টি হয় যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলই তাতে জড়িয়ে পড়েন এবং অধ্যাপক ড: শামসুজ্জোহা শাহাদাৎ বরণ করেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৫শেমার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ নিশ্চিহ্ন করার যে ব্যর্থ প্রয়াসের সূচনা করে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও আক্রান্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে দল রাজশাহীতে সক্রিয় ছিল তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে স্থানীয় ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। রাজশাহী শহর তৎকালীন ই.পি.আর. নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বিপুল অংশ শহরে প্রবেশ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ঘাটি স্থাপন করে। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবপূর্ণ অবদান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাদের বিতাড়িত করতে শাহাদৎ বরণ করেন অধ্যাপক হবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আক্ষদুল কাউয়ুম, কর্মকর্তা- কর্মচারী এবং ছাত্র।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শিক্ষক,ছাত্র শহীদ হওয়ায় এর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেন কর্তৃপক্ষ। তারপর নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ হয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুন্ডুর উপাস্থপনায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষে হলে এর ফলক উম্মোচন করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার কয়েকটি লাইন। যা হলো

সাবাস বাংলাদেশ
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।


তথ্য পেলাম যেখান থেকে

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০

নষ্টজীবন® বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, ভালো লাগলো জেনে।
শুভকামনা আপনার জন্য

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ।আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো ।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্হান চয়েসটা ভালো হয়নি, রাজশাহীতে না হয়ে, চট্টগ্রাম বা নোয়াখালী ভালো চয়েস হতে পারতো!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৬

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: এটা আমার মনে হয় স্যার আপনাদের ব্যর্থটা।কেননা তখন আপনারা ছিলেন আমরা ছিলাম না। আপনাদের হাত ধরে বাংলাদেশে
হওয়া তাই আপনেরাই বাংলাদেশের আসল মালিক । এরকম আকটা ভুল মেনে নেয়া যায়না । একটু সরকারকে বলে দেখা যায়না
যদি কোনো ব্যবস্থা করা যেত ।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
তথ্যটি শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: আপনাকেও সেইম ২

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ব্লগ মাস্টার,



নিঃসন্দেহে সাবাস বাংলাদেশ এর মতোই ৬৯ এর আন্দোলনে আত্মাহুতি দেয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডঃ শামসুজ্জোহাও জীবন্ত থাকবেন বাঙলার ইতিহাসে। সে সময় তার জন্যে কেঁদেছিলো সমগ্র বাংলাদেশ। উঠেছিলো ফুঁসে।
পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে ওখানকার শিক্ষক ও ছাত্রদের ভূমিকাও মাথা নোয়ানোর ছিলোনা।
ভাস্কর্যটি তার ন্যায্য স্থানটিই পেয়েছে।

সহব্লগার চাঁদগাজীর মন্তব্য আর তাতে আপনার প্রতিমন্তব্য প্রসঙ্গে বলি -- চট্টগ্রাম বা নোয়াখালীতে ৭১ এর স্মৃতি জড়ানো এমন আরো ভাস্কর্য বানানো যেতে পারে যদি সদিচ্ছা থাকে কারো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে এই আনারি লেখকের পোস্ট পড়ার জন্য।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে এত সুন্দর একটা ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে জেনে, সুন্দর ছবি তুলেছেন।
সুন্দর পোস্ট

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ভাবছি, রাজশাহীতে ইহা নিরাপদ নহে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আমি এই সর্ব প্রথম এ সম্পর্কে জানতে পারলাম।আমরা প্রায় সময় কথায় কথায় সাবাস বাংলাদেশ সাবাস বাংলাদেশ বলে থাকি কিন্ত এর পিছনে এত ইতিাস জানা ছিলনা। জানান দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ লেখককে।এরকম একটা বিষয় আরো অনেকর নাও জানা থাকতে পারে, তাই পোস্টটি স্টিকি করা হলেও মনে হয় ভালো হতো।তাতে এরকম একটা ইতিহাস সম্পকে অনেকের
জানা হত।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ভাস্কর্য বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা উচিত।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও, যাদের নিজস্য ক্যাম্পাস আছে।
নোয়াখালী চট্টগ্রাম সিলেট ধর্মিয় কুসস্কারের কারনে পিছিয়ে আছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

নাইম রাজ বলেছেন: সুন্দর একটা ইতিহাস।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪১

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: ভালো লাগল জেনে এরকম একটা ঐতিহাসিক বিষয়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.